ঘটনা-১
ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর ভারী গলায় বললেন, বাহ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না! ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছো! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে! এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও! তারপর তোমার নিয়োগ হবে! ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না! গ্রামের সহজ-সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন! তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেল!
ঘটনা-২
আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন! বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে! তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন! ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার “হ্যাপি বার্থডে মাই সান” বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন! বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বলল, আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা!
ঘটনা-৩
বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক! হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা সবকিছু থেমে গেল! বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো। হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন, আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না। খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে। কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন! বড় স্যার কোনো উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্য ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন!
ঘটনা-৪
বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি! ৩-৪ লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ! খুশিতে তিনি তার একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন! বাসায় ঢুকেই তিনি তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মামুনি মামুনি বলে ডাকতে শুরু করলেন! ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের মেয়ে এখনো বাসায় ফেরেনি! বড় ডাক্তার সাহেব তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন এলো! ফোনেও ঐ প্রান্ত থেকে জানালো, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে! কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করলেন!
* * শিক্ষা : আপনি অতীতে যা করেছেন, বর্তমানে যা করছেন, ভবিষ্যৎ তার চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে আপনার কাছে ফিরে আসবেই!
প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে! (নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্র)।
সুতরাং সময় থাকতেই সাবধান থাকুন!
সৎপথে চলার অভ্যাস করতে হবে। ভালো কাজে অংশগ্রহণ ও মানুষের উপকারে এলেই ভালো থাকতে পারবেন।