সংবাদ শিরোনামঃ

ভারতের নদী হত্যা অব্যাহত ** সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** মোদি জিতলে ‘হারবে’ ভারত ** ১৮ দল আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ** বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো বিশেষ ধর্ম দায়ী হতে পারে না : সউদী রাষ্ট্রদূত ** বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ ** পহেলা বৈশাখে ‘ফিলদি রিচ’দের তাণ্ডব! ** বাংলা নববর্ষ ** সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ কুষ্টিয়াবাসী ** আত্রাইয়ে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উৎপাদন, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত ** ক্ষুধার জ্বালায় হনুমানগুলো কাতর **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪২১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৪

॥ আসাদুল্লাহ আল গালিব॥
যারা আ’লীগ করে তাদের ভাষা র্নদমার ভাষা, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আ’লীগের যে সকল এমপি নির্বাচিত হয়েছে তারাও অবৈধ। বাকশাল প্রমাণ করে আ’লীগও অবৈধ দল। শাহবাগ আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরানকে দাবার গুটিরমত ব্যবহার করা হয়েছে। এ আন্দোলনের টাকার উৎস সম্পর্কে কেউ জানে না। মঞ্চের দু’পক্ষই জনগণ দ্বারা ধিক্কৃত হয়েছে। আবাসন সমস্যার সমাধানের নামে ঢাকাকে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্র বানানো হয়েছে। কথা এবং মানসিকতার পরিবর্তন এ থেকে রাজনীতিবিদরা বেরিয়ে আসতে পারেনি। যেখানে প্রশাসন নির্বিকার সেখানে সমস্যার সমাধান কিভাবে সম্ভব। বিগত দশ বছরে যে পরিমাণ মাঠ, নদী, পুকুর, বিল, জলাধার দখল হয়েছে তা কি পুনরায় সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। জাতীয় অনুষ্ঠান পালনে রাষ্ট্রীয় কোনো পরিকল্পনা নেই। ৭২’র পর থেকেই জাতীয় জীবনে গুণের ঘাটতি বেড়েছে। ব্যবস্থাপনা ত্র“টিমুক্ত রাখতে হলে যোগ্য মানুষ দরকার। ছয় দফায় স্বাধীনতার কোনো ঘোষণা ছিলনা। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে বিচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়না। টকশোর আলোচনায় এসব কথা বলেন, দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষক, পরিবেশবিদ ও  নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। গত সপ্তাহে দেশের সব কটি চ্যানেলের টকশোতে রাজনীতিবিদদের কথা না রাখা, রাজনৈতিক ভাষায় নীতিবোধা না থাকা, শাহবাগ আন্দোলন জনগণ দ্বারা ধিক্কৃত হওয়া, তাদের আন্দোলনের খরচের আয়-ব্যায় পরিস্কার না করা, ছয় দফা, নদ-নদী দখল, মন্ত্রীদের দুর্নীতি, ঢাকার আবাসন সমস্যা, বাংলা নববর্ষ পালন, ঢাকার যানজট, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় নীতিমালা, জাতীয় জীবনে যোগ্য লোকের অভাব এ বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। এ বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত দিতে গিয়ে উপরোক্ত কথা বলেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা।

১২ এপ্রিল বাংলা ভিশনের টকশোতে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, তারেক রহামনের বক্তব্যর বিপরীতে আ’লীগ যে ভাষায় কথা বলছে বিশেষ করে আ’লীগ নেতা মায়া যে ভাষায় কথা বলেছেন তা জনগণের ভাষা নয়। তা নর্দমার ভাষা। মায়ার মতো রাজনীতিবিদ যারা ছাত্র রাজনীতি করে এসেছেন তারা আ’লীগে এসে এভাবে বক্তব্য দিবে তা ভাবতে অবাক লাগে। অবশ্য এখন যারা আ’লীগ করে তাদের ভাষা এমনই। এতে করে নিজেদের ওপরই থুথু নিক্ষেপ করা হয়। বিএনপি অবৈধ দল প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে বলেন, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আ’লীগের যে সকল এমপি নির্বাচিত হয়েছে তাহলে তারাও অবৈধ।

এসময় এক দর্শক ফোন করে প্রশ্ন করেন যে, বাকশাল গঠনের সময় সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাহলে আ’লীগও অবৈধ দল কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে মাহফুজ উল্লাহ বলেন, আপনার প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর রয়েছে যে, আ’লীগও অবৈধ দল কি না। আ’লীগ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে যোগ-সাজশ করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা ধর্মীয় দলগুলোকে ব্যবহার করেছে। নীতি ও নৈতিকতার মধ্যে থাকেনি।

শাহবাগ আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান সরকারের বিষয়ে প্রবীণ এ সাংবাদিক বলেন, ইমরানের এ মুহূর্তে উপলদ্ধি করা দরকার তিনি কি করেছেন। ইমরানের আশে-পাশের লোকজন কোথায়। তাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। এখন সে আর সরকারের ছায়াতলে নেই। এত বড় একটি আন্দোলনের টাকা আসলো কোথা থেকে। ২০১৩ সালে এত বড় একটি আন্দোলন মাত্র ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে সম্ভব কি না, তা বুঝার বিষয় রয়েছে। ইমরান এখানে দাবার গুটিরমত ব্যবহৃত হয়েছে। যারা এ জাতীয় আন্দোলন করে তাদের মধ্যে আত্ম উপলদ্ধি থাকা দরকার ছিল। তখন করেনি এখন তাকে ব্যবহার করার পরে ছূঁড়ে ফেলা হয়েছে।

সিনিয়র সাংবাদিক মুনিরুজ্জামান বলেন, জাগরণ মঞ্চের লোকজন একটি নির্দিষ্ট লাইনে প্রভাবিত হয়েছে। আত্মমুল্যায়ন করা উচিত ছিল তাদের। এখন জাগরণ মঞ্চ বিভক্ত। দু’পক্ষই এখন জনগণ দ্বারা ধিক্কৃত হয়েছে। এখানে আ’লীগ লাভবান হয়েছে। ৭১ টিভির আলোচনায় নাইমুল ইসলাম খান বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আয়-ব্যয় পরিস্কার করতে হবে। এটা আদৌ কোনো সংগঠন কিনা তা পরিস্কার করেত হবে।

১৩ এপ্রিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের টকশোর বিষয় ছিল ঢাকা মহানগরী। আলোচনায় পরিবেশবিদ রেজওয়ানা চৌধুরী বলেন, ঢাকার আবাসন সমস্যার সমাধানের নামে ঢাকাকে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্র বানানো হয়েছে। সবার যে ঢাকায় ফ্লাট থাকবেনা এটা মানতে হবে। এটা সম্ভবও না।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সাংবাদিক তওফিক সাত্তার বলেন, বর্তমান সরকারের সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান দায়িত্ব নেয়ার পর বলেছিলেন সব খাল, জলাশয়, জলাধার মুক্ত করা হবে। দেশের নদ-নদী দখলমুক্ত করা হবে। সরকারি জমি অবৈধভাবে যেখানে আছে তা মুক্ত করা হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই তিনি তার চিন্তার পরিবর্তন করে ফেললেন। পরে বললেন ঢাকার ডিটেইল এরিয় প্লান যা ড্যাপ নামে পরিচিত তা বাস্তবায়নে বাস্তবতাকে সামনে রাখতে হবে। ভুমি দস্যুদের দ্বারা ম্যানেজ হয়ে গেলেন। এই যে কথা এবং মানসিকতার পরিবর্তন এ থেকে রাজনীতিবিদরা বেরিয়ে আসতে পারেনি। যেখানে প্রশাসন নির্বিকার সেখানে সমস্যার সমাধান কিভাবে সম্ভব। বিগত দশ বছরে যে পরিমাণ মাঠ, নদী, পুকুর, বিল, জলাধার দখল হয়েছে তা কি পুনরায় সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যে ক্ষতি হযেছে তা কি পুণরুদ্ধার করা সম্ভব। কক্ষনো নয়। কিছু ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়না।

বাংলা ভিশনের রাতের টকশোতে আলোচকরা বলেন, বাংলা নববর্ষসহ যে কোনো জাতীয় অনুষ্ঠানের আগের দিনে ঢাকা শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের দিনেও কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করার কারণে এর প্রভাব সমগ্র শহরে পরে। এমনকি জরুরি সেবা নিতে হাসপাতালেও যেতে পারেন না অনেকে। এর উত্তরে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, জাতীয় অনুষ্ঠানের সময় অনেকেরই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিনটি উৎযাপনের জন্য ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কিছু পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, এত বড় একটি অনুষ্ঠান উৎযাপনের জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো পরিকল্পনা নেই। এ বিষয়টি নিয়ে কোনো নৈতিক দিকনির্দেশনা নেই। যাতে করে রাষ্ট্রীয়ভাবে নৈতিক প্রভাব পরে আমাদের নাগরিক জীবনে। রাজনীতিবিদ বা জাতীয় গুণীজনদের পক্ষ থেকেও কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় না। সাধারণ মানুষ তাহলে কিছুটা নির্দেশনা পেত দিবসটি পালনে। আসলে আমাদের জাতীয় জীবনে ৭২’র পর থেকেই এই গুণের ঘাটতি বেড়েছে।

আমাদের জাতীয় উৎসবগুলো যদি ব্যবস্থাপনাটা ত্র“টি মুক্ত থাকত তাহলে জরুরি সেবা গুলো পাওয়া যেত। জনগণকে দুর্ভোগ না দিয়েও উৎসব মুখরভাবে দিবসটি পালন করা যেত। আসলে ব্যবস্থাপনা ত্র“টিমুক্ত রাখতে হলে মানুষ দরকার। যারা ব্যবস্থাপনায় আসবে তাদের ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা থাকতে হবে। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা হলো মূল বিষয়। ছয় দফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছয় দফায় স্বাধীনতার কোনো ঘোষণা ছিলনা। এটি ছিল পাকিস্তানকে গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হওয়ার বিষয়।

১৪ এপ্রিল যমুনা টিভির রাতের টকশোতে বাসদের সেক্রেটারি খালেকুজ্জামান দুর্নীতি বিষয়ে বলেন, কলমের খোঁচায় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। দলীয়ভাবে কিছু নেতা লাভবান হচ্ছে। তাহলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কোথায় যাবে। কি করবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে বিচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়না।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।