সংবাদ শিরোনামঃ

গণআন্দোলনের ডাক ** সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণে দেশজুড়ে গণঅসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ** বিচারপতিদের অভিশংসন, সম্প্রচার নীতিমালা গণতন্ত্রের ওপর ডেমোকিসের ছুরি ** ইরাকে পশ্চিমাদের হোলি খেলা ** অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন ** সরকার স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ভিত্তিমূলে আঘাত করছে ** বন্যাকবলিতদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন ** হীনম্মন্যতাবোধ এবং সেবাদাসদের দৌরাত্ম্য ** সাম্রাজ্যবাদ ও কাজী নজরুল ইসলাম ** পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর ** উপমহাদেশে রেল দুর্ঘটনার শীর্ষে বাংলাদেশ, ক্ষয়ক্ষতিতে ভারত ** বন্যাপরিস্থিতির চরম অবনতি ** মুসলমানদের অনৈক্যের কারণেই ইসরাইল গাজায় নির্বিচার গণহত্যা চালাচ্ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪২১, ২৫ শাওয়াল ১৪৩৫, ২২ আগস্ট ২০১৪

॥ খোদাকাত হাসান॥
মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশে গত ৯ আগস্ট থেকে অস্থিতিশীল ইরাকে আবারো বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন বোমারু বিমান। এযাবত বিশদফা বিমান হামলা চালিয়ে ৫০০ জনের মতো আইসিআইএস যোদ্ধা হত্যার দাবি করছে পেন্টাগন। গত জুনে যখন আইসিআইএস যোদ্ধারা মসুল দখল করেছিল তখন ইরাকি পুতুল প্রধানমন্ত্রী নুর-ই-আল মালিকি মার্কিনিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইরাকে হামলা চালাতে অনুরোধ জানিয়েছিল, এ অনুরোধ এক প্রকার উপেক্ষা করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। মার্কিনিরা উপদেশ দিয়ে বলেছিল, সবার অংশগ্রহণে ইরাকে একটি সরকার গঠন করলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এবারে কোনো অনুরোধ ছাড়াই মার্কিন বিমান ও ড্রোন থেকে বোমা পড়েছে। ইরাকে মার্কিন বিমান হামলা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা পক্ষে বিপক্ষে নানা মত ব্যক্ত করছে। প্রথমে জেনে নেয়া যাক হামলা সম্পর্কে মার্কিনিরা কি বলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলছেন ‘আইসিআইএস যোদ্ধাদের খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে দেয়া হবেনা’। উল্লেখ্য আইসিআইএস যোদ্ধারা ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে ইতোমধ্যে। তারা গত মে মাস থেকে ইরাকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে একটার পর একটা শহরের দখল নিচ্ছিল। মার্কিনিরা জরুরি বৈঠক করে তাদের দূতাবাস ও স্বার্থ রক্ষার জন্য কিছু সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়ে তাদের কর্তব্য সমাপ্য করেছিল। সবশেষে কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিল অভিমুখে আইসিআইএস যোদ্ধারা। ইরবিল অভিযানের আগেই মার্কিনিরা আইসিআইএস যোদ্ধাদের উপর হামলা চালায়। বলা হচ্ছে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকদের উদ্ধার করতেই এ হামলা। কথাটা পশ্চিমাদের অন্য অনেক সত্যের মতো সত্যের আদলে একটা মিথ। ইরাকে মার্কিন হামলার নেপথ্যে ইরাকের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষা । ইরবিল আক্রমণের পূর্বে আইসিআইএস যোদ্ধারা খ্রিস্টান অধ্যুষিত কারাকোস দখল করলে সেখানকার খ্রিস্টান অধিবাসীরা পালিয়ে যায় ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সিনজার পাহাড়ে। সেখানকার খ্রিস্টানদের রক্ষা করাই মূলত মার্কিন হামলা, ঘোষণা কিন্তু ইয়াজিদিদের রক্ষা করা। মার্কিনিরা হামলা করছে আইসিআইএস যোদ্ধাদের উপর আর ত্রাণ ফেলছে ইয়াজিদি ও খ্রিস্টানদের জন্য। ত্রাণের কাজে মার্কিনিদের সহযোগিতা করছে মার্কিনিদের তল্পিবাহক দোষর ‘বন্ধুও বলে কেউ কেউ’ ব্রিটিশরা। একই অঙ্গে কতরূপ যেন।

অনেকে আশঙ্কা করছেন পশ্চিমারা ইসরাইলি যুদ্ধ থেকে পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর জন্যই ইরাকে মার্কিন বিমান হামলা বা যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিন যুদ্ধে ব্রিটিশদের ভূমিকায়, ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ বৃটিশদের যুদ্ধংদেহি মনোভাব ঠেকাতে পারেনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন-যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে ইরাকে হামলা চালানো যায়। সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকার নিবন্ধে ক্যামেরন লিখেছেন ‘ইরাকের জন্য শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা যথেষ্ট নয়, ইরাক অভিযানে ব্রিটেনের প্রস্তুতি জরুরি’। ইরাকে খ্রিস্টানদের রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্রিটিশ সরকারের সমালোচনা করেছে চার্চ অব ইংল্যান্ড।

গত শতকের নব্বই এর দশকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েত আক্রমণ করলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। মার্কিন নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনীর হাতে ‘প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রম’ ইরাকিদের পরাজয় ও কুয়েত মুক্তির পর হয়ত অনেকে ভেবেছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমাদের খবরদারির ইতি ঘটবে। তা অবশ্য হয়ে উঠেনি। তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য তখনও অনেক বাকি। তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ছিল ইরাক দখল করা। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানের জন্য তারা নতুন ফন্দি আটে। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী, গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া তুমুল প্রচারণা-প্রপাগান্ডা শুরু করে ইরাকে মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের উৎপাদন মজুদ প্রসঙ্গে। মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের মিথ ছড়িয়ে চাপিয়ে দেয় অর্থনৈতিক অবরোধ। এ অবরোধে হাজার হাজার নিষ্পাপ ইরাকি শিশু নিহত হয়েছে শিশু খাদ্যের অভাবে, জরুরি চিকিৎসায় জীবন বাঁচানের মতো ওষুধ পর্যন্ত পায়নি ইরাকিরা। একে তো যুদ্ধের ধকল দ্বিতীয়ত পশ্চিমাদের অবৈধ নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতি, সমাজনীতি, সামাজিক ন্যায়বিচার, মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে যায়নি তবুও। স্বৈরশাসক সাদ্দামের জনপ্রিয়তায় তবুও ধস নামেনি। ইরাকি সরকার ও জনগণ সব সত্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, তারা মানব বিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদনের সাথে জড়িত নয়, তারা মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদও গড়ে তোলেনি। ইরাকিরা আন্তর্জাতিক অস্ত্র পরিদর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তাদের সব অস্ত্রাগার, তারা তন্ন-তন্ন করে খুঁজেও পায়নি কোনো মানব বিধ্বংসী অস্ত্র। ইরাকিদের এ সত্য পশ্চিমাদের মিথ্যা প্রচারণার সামনে দাঁড়াতে পারেনি ‘বিশ্ব এলিটদের কাব খ্যাত জাতিসঙ্ঘ’ পশ্চিমাদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে পশ্চিমাদের ইরাক আক্রমণের অনুমতি প্রদান করে। না দিলেও অবশ্য চলত। পশ্চিমারা হামলা চালাত-ই ইরাকে। জাতিসঙ্ঘের অনুমতি এ যুদ্ধে বৈধতার সার্টিফিকেট মাত্র। সার্টিফিকেট পেয়েই ৯০ এর দশকে ইরাকের যে প্রাণ প্রাচুর্য পশ্চিমাদের ঈর্ষার জন্ম দিয়েছিল, সে ঈর্ষার অনলে জ্বলতে থাকা জিঘাংসু-পরশ্রীকাতর পশ্চিমারা ইরাক নামের একটা দেশের, ইরাকি জাতির ‘মুসলিম’ প্রাণশক্তি নির্মূল করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বিধ্বংসী অস্ত্র খোঁজার নামে ইরাকি অস্ত্রাগার সমূহ রেকি করেছিল। অস্ত্রাগারের যে ছবি সরবরাহ করেছিল মার্কিনিদের, তার উপর ভিত্তি করে মার্কিনি তথা পশ্চিমারা নিখুঁত হামলা চালায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। খুব অল্প সময়ে ইরাকিদের ‘দ্বিতীয় উপসাগরীয় যুদ্ধ অপারেশন ডেজার্ট ফক্স’ ঘায়েল করে ইরাক দখলে নেয় পশ্চিমারা। সেই যে একটা সমাজ, সেই যে একটা সভ্যতা, যা পৃথিবীর সুপ্রাচীন সভ্যতাগুলোর অন্যতম। ইরাকি সমাজ-ইরাকি সভ্যতা তুরুপের তাসের মতো ভেঙ্গে খান-খান হয়ে গেল। ছবির মতো সাজানো গোছানো একটা দেশ ধ্বংস করে ছাড়ল মানবতাবাদের কসাইরা। এই অসম চাপিয়ে দেয়া ২ কোটি ইরাকির প্রতিটি ইরাকি এ যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হলো চরমভাবে। ইরাক যুদ্ধে কত ইরাকি জীবন হারিয়েছে-প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে তার হিসাব সভ্যতাগর্বীরা রাখবে কেন? ১০ লক্ষ ২০ লক্ষ কোনো হিসাব খাটেনা প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাধীন একটা দেশের শাসক সাদ্দামের পরিণতি হলো আরও ভয়াবহ। ঈদের রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো। ইরাকের আবুগারিব কারাগারে পশ্চিমারা জন্ম দিল নতুন মানবতার। ‘হায় পশ্চিমা মানবতা তোমার মরণ কবে-তোমার অন্তষ্ট্যিক্রিয়ার আয়োজনে আমি যেন শরিক হতে পারি’।

 à¦†à¦®à¦°à¦¾ জানি মার্কিনি তথা পশ্চিমারা ইরাক দখলের পর ইরাকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত শাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরে। তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় ইরাক ‘বাগদাদ ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল মার্কিনিদের কব্জায়, দক্ষিণের বসরা ও তদসংলগ্ন এলাকা বৃটিশদের নিয়ন্ত্রণে’ এবং আঞ্চলিক শক্তিসমূহকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে সহায়তা করে। মধ্যপ্রাচ্যের গ্লানি খ্যাত শিয়া-সুন্নী বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। শিয়া-সুন্নী বিরোধের সুবাদে উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের স্বাধীন কুর্দিস্তানের স্বপ্ন আবারো বেগবান হয়। এটা সা¤à§à¦°à¦¾à¦œà§à¦¯à¦¬à¦¾à¦¦à§€à¦¦à§‡à¦° ভাগ করো ও শাসন করো নীতিরই বহিঃপ্রকাশ ছিল। বহুধাবিভক্ত ইরাকের বিষয়ে ইন্ধন দিয়েছে খোদ ব্রিটিশ ও মার্কিনিরা। তারা চতুরতার সাথে সমন্বিত ইরাকে বিভাজনের বীজ বপন করেছে, তাদের দোষর ইসরাইলকে রক্ষার মানসে। তারাই শিয়া-সুন্নি-কুর্দিদের উদ্বুদ্ধ করেছে ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্র কায়েমের।

 à¦‡à¦°à¦¾à¦•à§‡ পশ্চিমারা নতুন মেরুকরণ করতে চেয়েছিল, সফলও হয়েছে তারা। আইসিআইএস’র উত্থান সেই মেরুকরণে ছেদরেখা টানতে সক্ষম হয়েছে বোধহয় ! যদি আইসিআইএস একটা সমন্বিত ইরাক গঠন করে, ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল তো কব্জায় নিয়েছে, ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক স্টেটের, যদি আরও সফল হয়, যদি সমস্ত ইরাকি তাদের ভেদ ভুলে একটা ইরাকের পথে অগ্রগামী হয়, একটা পতাকার তলে সমবেত হয় তাহলে যে মহাসর্বনাশ। তাদের সমস্ত দূরভিসন্ধি ভেস্তে যাবে। বিপন্ন হবে সন্ত্রাসী ইসরাইলিদের আবাস। আর তাই ইয়াজিদিদের রক্ষার বুলি কপচিয়ে আবারো তারা আক্রমণ শানিত করছে ইরাকে। পশ্চিমাদের ইরাক তথা মধ্যপ্রাচ্যের সমীকরণটা খুব সোজা ‘যে কোনোভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া অবৈধ ইসরাইলকে রক্ষা’।

মার্কিনিরা ইরাক ছাড়ার পর তাদের সৃষ্ট ক্ষত এখনো সাড়িয়ে উঠতে পারেনি ইরাকিরা । তার উপর আবার বিমান হামলা ! মার্কিনিরা যতই বলুক তারা শুধু বিমান হামলা চালাবে নতুন করে আর সেনা পাঠাবে না ইরাকে। এ সিদ্ধান্ত পাল্টাতে খুব বেশিক্ষণ সময় লাগবে না। এর আগে লাগেনি-লাগবে কেন ! ¯œà¦¾à§Ÿà§à¦¯à§à¦¦à§à¦§à§‡à¦° অবসানের পর থেকে মার্কিনীরা একক আধিপত্যে পৃথিবীর সব প্রান্তে যাচ্ছে তাই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, ঠেকানের কেউ নেই, বলার কেউ নেই, কারো যেন করারও কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সব খানেই মার্কিন একাধিপত্য। মার্কিনিরা এই একাধিপত্যের পথে প্রধান অন্তরায় ঠাওরে নিয়েছে মুসলমানদের। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম শাসকদের জনবিচ্ছিন্নতা, পরষ্পরের প্রতি অবিশ্বাস দ্বন্দ্ব পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য সাধনে কার্যকর হাতিয়ায় হিসেবে কাজ দিয়েছে ইতঃপূর্বে বর্তমানেও এর ব্যত্যয় হবে না-হচ্ছে না। পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যের সাধারণ জনগণের অনিষ্ট যতটা না করেছে তার চেয়ে বেশি অনিষ্ট করছে এর শাসকদের । নিজ দেশের জনগণকে হেয় করে যত বন্ধুভাবাপন্ন তারা পশ্চিমাদের ভাবুক না কেন (!) শাসকরা কেউই পশ্চিমাদের রোষানল থেকে রক্ষা পায়নি ‘সাদ্দাম-গাদ্দাফি’। বর্তমানের যে ক’জন অবশিষ্ট আছে তাদের ভুল ভাঙতে বেশিদিন বাকি নেই।

স্মর্তব্য যে ইরাকের আইসিআইএস যখন তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাদের ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ছাত্র’ হিসেবে অভিহিত করে তাদের বিষয়ে নাক না গলানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সামান্য ক’দিনের ব্যবধানে কি এমন হলো যে তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাতে হচ্ছে। এদিকে নুরি-আল-মালিকির স্থলে মাকির্নিদের পচ্ছন্দের হায়দর-আল-আবাদি ইরাকের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি কি ভূমিকা নেবেন হামলা প্রসঙ্গে তা সহজে অনুমেয়। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী মসুলের গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ থেকে মার্কিন সহায়তায় কুর্দিস্তানের পেশমেরগা বাহিনী আইসিআইএস যোদ্ধাদের হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, খোলাচোখে দেখে বোঝার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হই, তারা কামনা করি ইরাকিরা নিজেদের সমস্যাগুলো নিজেরাই সমাধান করুক। মার্কিনিরা অহেতুক ফপর দালালি বন্ধ করুক-সেটাই প্রত্যাশা বিশ্ববাসীর।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।