সংবাদ শিরোনামঃ

সরকারের শেষ রক্ষা হবে না ** চাণক্যদের নোংরা খেলা ** ১০০ বছরের জ্বালানি সম্পদ হারিয়েছে বাংলাদেশ ** আফগানিস্তানে মতৈক্যের সরকার এবং শান্তির প্রত্যাশা ** সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণে মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ** কুরবানির পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন ** লতিফ সিদ্দিকী বনাম কাদের সিদ্দিকী ** জিতেছে চাঁদ দেখে পক্ষ ** ঝিনাইদহে সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ নেতার মার্কেট ** কবি ফররুখ আহমদের শিশু কবিতায় বিচিত্র পাখি **

ঢাকা, শুক্রবার, ২ কার্তিক ১৪২১, ২১ জিলহজ ১৪৩৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৪

সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি

॥ কামরুল হাসান॥
দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয়। সংবিধান জনগণের স্বার্থে পরিবর্তিত হবে। পরিবর্তনের সেই সময় এসেছে। ’৭২ সালের সংবিধান ২০১৪ সালে অপরিবর্তিত থাকবে, তা হতে পারে না। কিন্তু সংবিধান একা পরিবর্তন করলে চলবে না, সকলের মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। ৭০ অনুচ্ছেদ শেখ মুজিবুর রহমান নিজের অভিজ্ঞতায় তৈরি করেছেন। গত সোমবার রাতে এনটিভি’র ‘এই সময়’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রসঙ্গে মাহফুজ উল্লাহ বলেন, দুদক লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নেবে বলে মনে হয় না। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তবে সেই সব মন্ত্রী দুদকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খালাস পেয়ে যাচ্ছেন। এসব মন্ত্রীরা যদি দুর্নীতি না করেই থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কেন?

তিনি বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মতো কিছু গডফাদার রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে কথা বলেছেন।

মাহফুজ উল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। অথচ এটাকে কেন্দ্র কিছু মানুষ রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। তারা মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে যেতে দেবেন না, ফিরেয়ে দিবেন। ড. পিয়াস করিম গণতান্ত্রিক অধিকার, দেশের কল্যাণ, অর্থনীতিমুক্তি ও সুশাসনের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

লতিফ সিদ্দিকী নিঃসন্দেহে একজন বিবেকবর্জিত মানুষ

লতিফ সিদ্দিকী নিঃসন্দেহে একজন বিবেকবর্জিত মানুষ। ধর্মকে নিয়ে এহেন বক্তব্য দেয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিস্কার এবং দল থেকে বাদ দিয়েছে এটা ভালো। যদি তাকে অপসারণ করা না হত তবে পুরো ব্যাপারটা আরো খারাপ হত। তবে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে ন্যায় বিচার দরজায় এখনও খট খট করা হয়নি অর্থাৎ তার যা শাস্তি হওয়া উচিত ছিল তা এখনও বাকি আছে।

গত মঙ্গলবার কলামিস্ট, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিম সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। আহমেদ জোবায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির।

মোফাজ্জল করিম বলেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ধর্মকে নিয়ে যে অবমাননামূলক কথা বলেছে তার প্রেক্ষিতে এটাই বলতে হয় যেёলতিফ সিদ্দিকীর কথা অমৃত সমান, কাশিরাম দাস কহে শুনে পূর্ণবান’। লতিফ সিদ্দিকী এ রকম বক্তব্য নতুন কিছু নয় কারণ এর আগেও তার পক্ষ হতে অনেক বচন শোনা গেছে। আজ থেকে ছয় বছর আগে তিনি যখন মন্ত্রী হয়েছিলেন একের পর এক এমন সব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে যা অত্যন্ত অশালীন। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে দেশে এনে বিচার করা নিয়ে বিএনপি অত্যন্ত আগ্রহী। কারণ বর্তমানে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো একটা ভালো ইস্যু হলো আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি অনেক উপকার পাবে কারণ এর মধ্যে সাধারণ মানুষের সমর্থন অত্যন্ত বেশি। তাই বিরোধী দল হিসেবে বর্তমানে বিএনপি চাইবে সরকারকে খুঁচিয়ে কোনোভাবে লতিফ সিদ্দিকীকে দেশে এনে বিচার করা যায় কিনা। তবে আওয়ামী অত্যন্ত কৌশলী রাজনৈতিক দল এবং বিএনপির এই ফাঁদে আওয়ামী লীগ কখনই পা দেবে না।

তিনি আরো বলেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ধর্মকে নিয়ে যে ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলেছেন তা মাস্তানি এবং অভদ্রতার সামিল। তিনি আপাদমস্তক অসংলগ্ন মনোবৈকল্যে ভুগছেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি অত্যন্ত অকৃতজ্ঞ। প্রকৃত পক্ষে লতিফ সিদ্দিকী একজন ইনফেরিয়রিটি কমপ্লেক্সের রোগী আর বর্তমানে ভুগছেন সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে।

আওয়ামী লীগের একাধিক মন্ত্রী বেফাস কথাবার্তা বলেন

লতিফ সিদ্দিকী কোনো সাধারণ মানুষ, সাহিত্যিক বা কবি নন। তিনি বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের মন্ত্রিসভার সদস্য। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় আওয়ামী লীগের ইমেজ ভীষণভাবে নষ্ট করেছেন তিনি। যার দরুন তার শিক্ষা হওয়া উচিত। শুধু লতিফ সিদ্দিকী একাই নন বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে একাধিক মন্ত্রীও রয়েছে যারা বেফাস কথাবার্তা বলেন। যে কথা বলা উচিত নয়, সেসব কথাও আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা এখন বলে বেড়ান। বিশেষ করে কিছু মন্ত্রী এমন সব ভাষা ব্যবহার করেন à¦¯à§‡Ñ à¦¸à¦¾à¦§à¦¾à¦°à¦£ জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উদ্বেগ ঘটান। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য এটা মোটেও শুভদিক নয়, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের জন্য।

গত ১৩ অক্টোবর ব্রি. জে এম সাখাওয়াত হোসেন চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের একটা শিক্ষা হওয়া উচিত : লতিফ সিদ্দিকী সর্ম্পকিত সমস্যা আওয়ামী লীগের কাটবে কিনা এতে সন্দেহ আছে। তবে আওয়ামী লীগের একটা শিক্ষা হওয়া উচিত। কারণ আওয়ামী লীগে অনেক ভালো লোক রয়েছে। কিন্তু এমন একটি স্পর্শকাতর মুহূর্তে কেন আওয়ামী লীগ এই সব বিপদজনক চরিত্রের লোকদের রেখেছে? এবিষয়ে অবশ্যই আওয়ামী লীগকে আত্মমূল্যায়ন করতে হবে।

গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অত্যন্ত সুপরিচিত এবং প্রাচীন একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু আওয়ামী লীগে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। সাম্প্রতিককালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ধর্মকে যেভাবে অবমাননা করেছে তা প্রচণ্ডভাবে ব্যথিত করেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের। লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্কটের শেষ হয়নি। কারণ লতিফ সিদ্দিকী যদি প্রচণ্ডভাবে ক্ষীপ্ত হন তবে আওয়ামী লীগের অনেক গোপন তথ্য ফাঁক করে দিতে পারেন এবং তা অসত্যভাবেও পেশ করতে পারে। প্রশ্ন উঠতেই পারে লতিফ সিদ্দিকী যা বলবে তা সঠিক কিনা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা অথবা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কেও আক্রমণাত্মক কথা বলতে পারে লতিফ সিদ্দিকী। তাই একে নিয়ে সরকারের বিপদ এখনও কাটেনি।

মন্ত্রিসভায় যে যায়, তার পদত্যাগ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়

মন্ত্রীরা বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত। তাই বাংলাদেশের যে কোনো মানুষের অধিকার রয়েছে মন্ত্রী সম্পর্কে মত প্রকাশ করার। সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় মন্ত্রীদের রদবদল খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে- মন্ত্রীদের রদবদলের ছিটে ফোঁটা বাংলাদেশে দেখতে পাওয়া যায় না। যে একবার মন্ত্রিসভায় স্থান পায় তার বদল কিংবা পদত্যাগ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সে যতই দোষ করুক না কেন? মন্ত্রীরা বাংলাদেশে থেকেও ভিন্ন জগতে বসবাস করে।

গত ১০ অক্টোবর সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

আশরাফ কায়সার বলেন, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় বাংলাদেশে যে ধরনের শাসন থাকার কথা তা বর্তমানে নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষ সরকারের ভেতর যে দক্ষতা দেখতে চায় তা বর্তমান সরকারের মধ্যে নেই। একটি সরকারের প্রধান কাঠামো ব্যবস্থা হলো মন্ত্রিপরিষদ। সরকারের এবং দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভর করে একটি দক্ষ মন্ত্রিপরিষদের উপর। তাই মন্ত্রিপরিষদ সম্পর্কে প্রধান মন্ত্রীকে অনেক গুরুত্ব এবং জনমত সহকারে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি কোনো মন্ত্রী সম্পর্কে কোনো সমালোচনা আসে তা অত্যন্ত ইতিবাচক আকারে গ্রহণ করে তার পূর্ণতদন্ত করতে হবে।

উন্নয়ন আছে শুধু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি এবং নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বৈধতা নেই কারণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেনি। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্যেই শুধু উন্নয়ন আছে। বাস্তবে বাংলাদেশে উন্নয়ন নেই বললেই চলে।

গত ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া চ্যানেল আইয়ের ‘তৃতীয়মাত্রা’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির পর বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে বলা হচ্ছে যে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন শুধু তাদের মুখে হয়েছে বাস্তবে বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার গায়ের জোরে প্রশাসনকে ব্যবহার করে যেন তেন পদ্ধতিতে টিকে থাকার মহড়া দিচ্ছে সরকার। তবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ কখনই আওয়ামী লীগের সাথে ছিল না ভবিষ্যতেও থাকবে না।

রাজনীতির চেয়ে সমাজের অভ্যন্তরীণ হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা অনেক বেশি : বর্তমান সমাজের এমন বেহাল অবস্থা à¦¯à§‡Ñ à¦°à¦¾à¦œà¦¨à§€à¦¤à¦¿à¦° কারণে যত না খুন হয় তার চেয়ে বেশি খুন হচ্ছে সমাজের অভ্যন্তরীণ কারণে। ২০০৯-২০১৩ পর্যন্ত এই ৫ বছরে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বছরে বিশ হাজার ছয়শত আশিজন। অথচ চলতি বছরে তিনহাজার একষট্টিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সিংহভাগই রাজনীতির চেয়ে সমাজে ভেতরের অবক্ষয়কে ইঙ্গিত করে। সমাজে যে অশান্তি এবং অস্থিরতা বিরাজ করছে তার মূল কারণ সমাজের নৈতিক অবক্ষয়।

গত ১১ অক্টোবর সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে আমাদের সমাজে যে অশান্তি এবং অস্থিরতা বিরাজ করছে তার মূল কারণ সমাজের নৈতিক অবক্ষয়। এবং যার জন্য রাজনৈতিক হত্যার চেয়ে সামাজিক হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে। এর পেছনে সমাজ যেমন একাংশে দায়ী, তেমনি দায়ী পরিবার। প্রবাদ à¦†à¦›à§‡Ñ à¦¯à§‡ মূলা বড় হয় পত্তনেই তা বোঝা যায়। একটি শিশু সবার আগে যে বিদ্যালয় হতে পাঠ লাভ করে তা হলো পরিবার। সমাজে অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো পরিবারের সদস্যের সাথে সন্তানের দূরত্ব। পরিবারে একটি সন্তান কীভাবে মাদকাসক্তিতে লিপ্ত হচ্ছে তা যদি বাবা-মা না জানে তবে এটা অবিশ্বাসযোগ্য। পরিবার, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা আমাদের মধ্যে বৃদ্ধি করতে হবে।

সমাজের কালো টাকা নিয়ে তিনি বলেন, কালো এবং সাদা টাকা নিয়েই আমাদের অর্থনীতি। বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ষাট ভাগ কালো অর্থ। যেদেশের ষাট ভাগ অর্থ কালো সেদেশে টাকার ব্যবহার অসৎ পন্থায় হবে এটাই স্বাভাবিক। এই টাকা নিয়েই বর্তমান সমাজে অশান্তি, ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনের দ্বন্দ্ব, লোভ-লালসা প্রভৃতি সৃষ্টি হচ্ছে। আর এর মূল কারণ অবৈধ অর্থ, লোভ-লালসা এবং আমাদের উচ্চাভিলাসের প্রবৃত্তি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের সমাজ নেশায় ছেঁয়ে গেছে। সমাজে এখন অনেক নেশার উপকরণ যা অত্যন্ত সহজলভ্য। গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা কিসিমের নতুন নতুন নেশা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। নেশায় বেশি আসক্ত হচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা এবং এর ফলে সমাজে যেমন অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে অন্যদিকে খুন, ছিনতাই রাহাজানিসহ নানান ধরনের অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের এই অবক্ষয় রোধে সরকারকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য মাধ্যমেও এ নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন উদাহরণও তৈরি করতে হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।