সংবাদ শিরোনামঃ

সরকারের শেষ রক্ষা হবে না ** চাণক্যদের নোংরা খেলা ** ১০০ বছরের জ্বালানি সম্পদ হারিয়েছে বাংলাদেশ ** আফগানিস্তানে মতৈক্যের সরকার এবং শান্তির প্রত্যাশা ** সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণে মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ** কুরবানির পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন ** লতিফ সিদ্দিকী বনাম কাদের সিদ্দিকী ** জিতেছে চাঁদ দেখে পক্ষ ** ঝিনাইদহে সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ নেতার মার্কেট ** কবি ফররুখ আহমদের শিশু কবিতায় বিচিত্র পাখি **

ঢাকা, শুক্রবার, ২ কার্তিক ১৪২১, ২১ জিলহজ ১৪৩৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৪

একই দিনে রোজা-ঈদ বিতর্ক

জিতেছে চাঁদ দেখে পক্ষ

একই দিনে রোজা-ঈদ বিতর্ক

সংবাদদাতা : সৌদি আরবের সঙ্গে একইদিনে সিয়াম শুরু ও ঈদ উদযাপন সম্ভব নয়। অঙ্গীকার নামার পরেও কেউ এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে।

 à¦¸à§Œà¦¦à¦¿ আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা থেকে এ রায় এসেছে। একই দিনে সারা পৃথিবীতে (সৌদি আরবের সঙ্গে) একই সঙ্গে ঈদ-সিয়াম পালন শিরোনামে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া গোষ্টা মার্কাস মসজিদে এ বিতর্ক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

১০ অক্টোবর শুক্রবার দু’প এই বিতর্কে অংশ নিয়ে কুরআন-হাদীসের আলোকে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। বিতর্কে বাংলাদেশে চাঁদ দেখে সিয়াম শুরু ও ঈদ উদযাপন পরে দল জয়ী হয়। বিতর্কে যারা হারবে তারা প্রতিপরে নিয়ম মোতাবেক ঈদ করবে বলে বিতর্কের আগে এক অঙ্গীকারনামায় দু’পরে সদস্যরা স্বার করেন। জমজমাট এ বিতর্ক শেষে স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেয়া হয়, অঙ্গীকারনামার লঙ্ঘন করে দেশের কোথাও যদি ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটে তবে কুরআন-হাদিস ও সরকারের সংবিধানের পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হবে।

বিতর্কের আয়োজক স্থানীয় দাপুনিয়া গোষ্টা মার্কাস মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানান, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে সিয়াম শুরু ও ঈদ করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। কোন প ঠিক আর কোন প ঠিক না এ নিয়েও চলে আসছে বিতর্ক। এসব বিতর্কের অবসান ঘটাতেই দু’প নিজেদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। সেই চ্যালেঞ্জ মোতাবেক দু’পরে ওলামায়ে কেরামগণ শুক্রবার এ বিতর্কে অংশ নেন।

এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাদীসের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল ওয়াহাব লাবীব। তার সঙ্গে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ময়মনসিংহের কাতলাসেন কাদেরিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব মাদানী ও জামালপুরের সরিষবাড়ি কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল নুরুল হুদা।

সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ করার পে বিতর্কে অংশ নেন আবুল কাশেম (কুড়িগ্রাম), জুলহাস উদ্দিন, রেজাউল হক, আনোয়ারুল হক ও জহিরুল ইসলাম। বাংলাদেশের পে ছিলেন ড.আব্দুল্লাহ ফারুক, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, কামরুজ্জামান, মুফতি মুনির উদ্দিন ও কামরুজ্জামান বিন আব্দুল বারী। বিতর্ক পরিচালনা করেন শহরের গুলপুকুরপাড় আহলে হাদিস জামে মসজিদের খতিব আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সৌদি আরবের পে বক্তারা বলেন, চন্দ্রের মাসের ২৯টি মঞ্জিল থাকে। আল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যকে মধ্যস্থল করেছেন। এ কারণে সারা বিশ্বে মুসলমানদের একই দিনে সিয়াম-ঈদ পালন করতে হবে।

তারা বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন সিয়াম রাখ, যদি তোমরা দু’জনের স্যা পাও। অসংখ্য মানুষের সারে ভিত্তিতে একই দিনে মুসলিম বিশ্বে সিয়াম-ঈদ করতে হবে। কারণ পৃথিবীতে চাঁদ একটি। পৃথিবীর সব তারিখও একটিই। এসব যুক্তির বিপে চাঁদ দেখে বাংলাদেশে ঈদ করার পরে আলেম-ওলামারা উল্টো প্রশ্ন রাখেন, আল্লাহতালা চাঁদের জন্য অনেক স্তর নির্ধারণ করেছেন। আমাদের দেশে চাঁদ আসেনি, তাহলে আমরা ঈদ করবো কীভাবে? এসব ওলামায়ে-কেরাম বলেন, ১৪৬১ সালে সৌদি আরবে সারা বিশ্বের মাজহাবে ওলামায়ে কেরাম বসেছিলেন। ওই বৈঠকে একই দিনে চাঁদ দেখে রোজা করা বা ঈদ করা সম্ভব না বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।

তারা বলেন, দেশে সরকার আছে। কিন্তু যারা চাঁদ দেখে রোজা-ঈদ করার সরকারি নির্দেশনা পালন করে না তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো যাবে না।

চাঁদের ২৮টি মঞ্জিল আছে উল্লেখ করে দেশে চাঁদ দেখে ঈদ করার পরে বক্তারা বলেন, যখন আমাদের দেশের শেষ মঞ্জিলে চাঁদ আসবে না তখন আরেক দেশের চাঁদ দেখে আমরা কীভাবে ঈদ করবো? আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, চাঁদ দেখে রোজা রাখ, চাঁদ দেখে রোজা শেষ করো।

গোটা পৃথিবীতে একদিনে চাঁদ দেখা যায় না এ বিষয়ে একটি উদাহরণ দিয়ে এ পরে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে রমজানের চাঁদ প্রথম দিন আমেরিকা, দ্বিতীয় দিন মধ্যপ্রাচ্যে ও তৃতীয় দিন উপমহাদেশে দেখা গেছে।

আপনারা সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা রাখেন আবার ইফতারি করেন এ দেশের সময়ে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, রাসূল (সা.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা চাঁদ দেখে ঈদ করবো।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ-রোজা করতে হবে এর অনুকূলে হাদিস দেখানোর চ্যালেঞ্জ করেন বাংলাদেশের পরে আহলে হাদীসের অনুসারী আলেম-ওলামারা। কিন্তু আহলে হাদীসের ওই পটি এ সংক্রান্ত কোনো হাদিস উপস্থাপন করতে পারেননি। বিতর্কের বিচারক কাতলাসেন কাদেরিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব মাদানী বলেন, যদি সৌদি আরবের চাঁদ দেখেই ঈদ করতে হয় তাহলে দু’দিন পরেও কেন সূক্ষ্ম চাঁদ দেখা যায়? ২ দিনের চাঁদের মতো কেন বড় চাঁদ দেখা যায় না?

এটা আল্লাহর সৃষ্টিগত বিধান, যে একদিন সৌদি আরবে চাঁদ উঠবে, আরেকদিন বাংলাদেশে উঠবে। সুতরাং, সৌদি আরবের সঙ্গে চাঁদ দেখে ঈদ এ দেশে সম্ভব নয়। যারা এ কাজটি করছেন তারা কুরআন-হাদিস ও সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করছেন। বিতর্ক অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাদীসের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল ওয়াহাব লাবীব বলেন, আমার বয়স ৭৮ বছর। ৪/৫ বছর ধরে দেখছি কেউ কেউ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করছেন। এ ফেৎনা কেন শুরু হলো সেটাই আমার প্রশ্ন।

তিনি বলেন, সৌদি আরবের পরে বিতার্কিকরা চাঁদ দেখে ঈদ করার পরে বিতার্কিকদের ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের কোনো উত্তরই দিতে পারেননি। অথচ দেশে চাঁদ দেখা সাপেে ঈদ করা বিতার্কিকদের যুক্তি-তর্ক শাণিত ও তথ্যভিত্তিক।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।