সংবাদ শিরোনামঃ

খুনিদের বিচার করতে হবে ** দেশে সঙ্কট আরো বাড়বে ** লাগামহীন লুটপাটের যোগান দিতেই সরকার দাম বাড়াচ্ছে ** ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট ** গাজায় গণহত্যার দায়ে ইসরাইলের বিচার দাবিতে বিশ্ব জনমত গঠন করতে হবে ** বাংলাদেশে অদ্ভুত কাণ্ড শুরু হয়েছে ** প্রতি বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং এতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে ** গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জনগণের জানমাল নিরাপদ নয় ** এ এক অসহায়ত্বের যুগ ** বাংলাদেশ : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ ** নাটোরে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৪ ** পুলিশের গুলিতে পা হারাল সাজু ** তেঁতুলিয়ার টুপি কারখানার শ্রমিকরা মহাব্যস্ত ** ২৮ অক্টোবর : ইতিহাসের কালো অধ্যায় ** মানবতার কান্না ** ২৮ অক্টোবর ও তার বেনিফিশিয়ারি ** ২৮ আক্টোবর যেন ফিরে না আসে বার বার ** রক্তের তৃষ্ণা প্রবলতর হয়েছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৯ কার্তিক ১৪২১, ২৮ জিলহজ ১৪৩৫, ২৪ অক্টোবর ২০১৪

ফ্যাসিস্ট ইহুদি হামলায় ক্ষত-বিক্ষত গাজা

॥ খন্দকার মহিউদ্দীন আহমদ॥
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে ভোট দিলেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্যরা। ৬৫০ জন সদস্যের মধ্যে ২৭৪ ভোট প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে ১২ ভোট, বাকীরা ভোটাভুটিতে অংশ নেননি। অর্ধেকের কম সদস্য ভোটাভুটিতে অংশ নিলেও এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখবার অবকাশ নেই। এই ভোটাভুটি প্রতীকী হলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এর সুস্পষ্ট প্রভাব পড়বে তাতেও সন্দেহ নেই। আইনগতভাবে যুক্তরাজ্যের সরকারের পররাষ্ট্রনীততে এ প্রস্তাবের আলোকে সহসা কোনো পরিবর্তন সূচিত হবে না। কিন্তু নৈতিক অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সরকারের উপর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণে চাপ বাড়বে। সমঝোতার ভিত্তিতে দুই রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ২৭৪ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অবস্থান এবং সমর্থন নিশ্চিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি অর্জনে ফিলিস্তিনিদের বড় অর্জন। যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তারা বলে আসছে যে কোনো সময়ে তারা এই স্বীকৃতি দিতে পারে। তাদের মতে এর আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, এ ধরনের পদক্ষেপ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ইতিবাচক হবে। এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাব উত্থাপনকারী গ্রাহাম মরিস বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার ‘ছোট কিন্তু প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি খুব দরকার ছিল’। অন্যদিকে গত ৩ অক্টোবর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লুফডেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে  সুইডেনই প্রথম স্বীকৃতির ঘোষণা দিল। ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করে। জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভের পর বিশ্বের বহু রাষ্ট্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। শান্তির পক্ষে ইসরাইলের কোনো অবস্থান নেই। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কট্টর অবস্থান মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটকে  বরাবরই কঠিন করে তুলেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিন অথরিটির বর্তমান ভূমিকাও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তারা ইসরাইলের বিভিন্ন ভূমিকার নিন্দা জানালেও বাস্তবে তাকিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশের অপেক্ষায়। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সঙ্কটে মাহমুদ আব্বাসের দুর্বল অবস্থান ইসরাইলকে উৎসাহিত করেছে। মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটকে দীর্ঘায়িত করতে। গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তিনি অপেক্ষা করেছেন হামাসের শেষ পরিণতি দেখার জন্য।

পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও কার্যত নীরব রয়েছে। তারা ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধানে লক্ষণীয় কোনো উদ্যোগ আরব রাষ্ট্রগুলো গ্রহণ করেনি। গাজায় ৫১ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসন ও হাজারো ফিলিস্তিনি হত্যার ঘটনায় আরব দেশগুলোর মধ্যে কোনো উদ্বেগ দেখা যায়নি। কার্যত তারা ছিলেন নীরব। লজ্জার বিষয় হলো তাদের নীরবতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসরাইলি সাংবাদিক আমিরা হাস। গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা, হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর কিছু লোক দেখানো তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও আরব বিশ্বের কোনো দেশেই কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। বস্তুতপক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো ফিলিস্তিন সঙ্কটের সমাধান হউক তা তারা মনেপ্রাণে চায় না। ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তাদের কাম্য নয়। তাদের ভয় মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রে যদি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে বিপদে পড়বে তারাই। রাজতন্ত্রের অবসান কোনো রাজারই কাম্য নয়। মিসরে ব্রাদারহুডের সরকার পতনে আরব রাজতান্ত্রিক সরকারগুলোর আতঙ্কই মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।  আজ হউক অথবা কাল এই অবস্থার পরিবর্তন হতেই হবে। ফিলিস্তিনিরা রক্ত ঝরিয়ে প্রমাণ করেছে তাদের দমিয়ে রাখা সম্ভবপর নয়।

১৪০ বর্গমাইল আয়তনের গাজা ফিলিস্তিনের অতি ক্ষুদ্র একটি ভূখণ্ড। দুইদিকে ইসরাইল একদিকে মিসর অন্যদিকে ভূমধ্যসাগর। ২০ লাখ লোকের আবাসস্থল গাজার অধিকাংশই উদ্বাস্তু অর্ধেকের বেশি মানুষ বেকার। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। সেই গাজার উপর চলেছে ইসরাইলি বর্বরতা। ৫১ দিনের ইসরাইলি হামলায় লণ্ডভণ্ড গাজা উপত্যকা। দুই হাজার ১০০ নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে ইসরাইল। বাস্তবে এটা ছিল ইসরাইলের ফিলিস্তিনি হত্যার উৎসব। গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে লেগে যাবে বহু বছর। ত্রাণ ও সাহায্য নির্ভরশীল গাজার মানুষগুলোর উপর ইসরাইলি বর্বরতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবারের বর্বরতার মোকাবেলায় হামাস তার দক্ষতা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। লাশের সংখ্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ যদি জয়ের মাপকাঠি হয়ে থাকে তাহলে গাজায় ইসরাইলের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু হামাস ইসরাইলের লড়াইয়ে কে জয়ী তা নির্ণয়ে লাশের সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড নয়। আসল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লড়াইর পেছনের অর্জন। কে কি অর্জন করতে পেরেছে বিবেচনায় হামাসের অর্জন অনেক বেশি। ইসরাইলের আগ্রাসী স্থল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে হামাস নতুন করে সক্ষম ও দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। তারা সুড়ঙ্গ পথে বার বার ঢুকে ইসরাইলি সেনাদের উপর সফল আক্রমণ চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করতেও সক্ষম হয়েছে। হামাসের হাতে ৬৮ জন ইসরাইলি সেনা হত্যা ও কয়েকজনের গ্রেফতারি হামাসের বড় অর্জন। ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলার মধ্যদিয়ে তারা ইসরাইলের মাটিতে ভয়ের বীজ বুনতে ও সাধারণ ইসরাইলিদের মনোবল ভাঙ্গতে সক্ষম হয়েছে। হামাস ৫১ দিন লাগাতার হামলা চালিয়ে ইসরাইল ও তার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে লড়াইয়ের  চড়া মাশুল গুণতে বাধ্য করেছে। কার্যত ইসরাইলের কোনো প্রকার যুদ্ধ বিরতি ছাড়াই গাজা থেকে তার সমস্ত সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। হামাস কৌশলে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে লড়াই দীর্ঘতর করেছে। ইসরাইলি সর্বাত্মক বিমান হামলার মধ্য দিয়েও হামাসের রকেট ছোড়ার ঘটনা সংগঠনটি দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে ইসরাইলকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়নি। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, এটা ছিল বাড়ির লনে ঘাস ছাটাইয়ের মতো ব্যাপার। এই ধ্বংসযজ্ঞ ও রক্তপাতের পর কি তাদের এমনটাই মনে হয়েছে? গাজায় যা কিছু হয়েছে তা যুদ্ধ নয়। এটা ছিল একতরফা গণহত্যা। আর এটা সম্ভবপর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পশ্চিমা সমর্থন পেয়েছে ইসরাইল। আর্থিক ও সামরিক সাহায্য তো রয়েছেই। ইসরাইলকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার পরিমাণ বছরে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমারা গাজার গণহত্যার জন্য দায়ী তারাই ইসরাইলকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাদের দেয়া অর্থ ও অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইল গাজাকে মৃত্যুপুরিতে পরিণত করেছে।

বাস্তবতা হলো গাজার এই ভয়ঙ্কর গণহত্যার বীজ বপন করা হয়েছে। ওয়াশিংটন, লন্ডন ও জেরুসালেমে  এরাই এর জন্য দায়ী।  এজন্য এই দেশগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। ইসরাইলের সীমাহীন বর্বরতা ও নরহত্যার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। ৫১ দিন ইসরাইল গাজায় যে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার কিয়াদ্বংশও যদি অন্য কোনোদেশ করতো তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে বসতো।

বিশ্ব বিবেক ফিলিস্তিনের পক্ষে। তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায় বিচার চায়। এখন প্রয়োজন জনমতের এই শক্তিকে চাপে পরিণত করে ইসরাইলকে দখলদারী প্রত্যাহারে বাধ্য করা। ফিলিস্তিনকে বন্দিত্ব এবং দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আরও অনেক কিছু করতে হবে। তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ঘাটতি হলে এর ফল ভোগ করবে ইসরাইল। এ ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে। হামাস তার লক্ষ্য পূরণে সফলকাম হয়েছে। দুনিয়ার দৃষ্টি এখন তাদের দিকেই। তবে তাদেরকেও এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে সুস্পষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার সময় এসেছে। আমেরিকার খেয়াল খুশির ওপর নির্ভর না করে ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। হামাস ও ফাতাহ সমন্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের ঐকমত্যের সরকারকে সঙ্কট সমাধানে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। মাহমুদ আব্বাসের একলা চলো নীতি ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ। এখন সময় এসেছে গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নিয়ে ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করা। ইসরাইলি দখলদারিত্ব মুক্ত গাজা ও পশ্চিম তীর নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনই হবে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র পথ। পশ্চিমাদের এই দাবি মানতে বাধ্য করতে হবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে। গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরাইলি যুদ্ধবাজ নেতৃত্বের বিচারের দাবিতে বিশ্ব জনমত গঠন করতে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে আরও সোচ্চার হতে হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্লেষক। Email : mohi_ahmad15@yahoo.com

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।