সংবাদ শিরোনামঃ

তীব্রতর হচ্ছে আন্দোলন ** পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে ** শক্তি নয় সমাধান সংলাপে ** টানা অবরোধ হরতালে অচল দেশ ** সংলাপে বসতে বহির্বিশ্বের প্রচণ্ড চাপে বেকায়দায় সরকার ** অনুমতি ছাড়াই চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান ** আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে সরকার টিকে আছে ** রাজনৈতিক দমন নিপীড়ন বন্ধ করুন ** আবারও দৃশ্যপটে বিদেশী কূটনীতিকরা ** অভিযান নামের নির্যাতন ** গণতন্ত্র মুক্তির দাবিতে ২০ দলীয় জোটের অবরোধে অচল দেশ ** আল মাহমুদের কবিতা কার প্রেমে, কার সান্নিধ্যে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪২১, ১ রবিউস সানি ১৪৩৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৫

শিবগঞ্জে পুড়ে যাওয়া এক বাড়ি (ইনসেটে) আতঙ্কে কাঁদছেন গ্রামবাসী : ছবি : মানব জমিনের সৌজন্যে

গ্রাম বাংলা ডেস্ক :  যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে নির্যাতন ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ  গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে। ভুক্তভোগী নিরীহ পরিবারগুলোর কান্না আর আর্তনাদেও ভারী হয়ে উঠেছে চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আকাশ-বাতাস। ঢাকা থেকে ৩৩৬ কিলোমিটার দূরের এই উপজেলার মানুষের গত ১৫ জানুয়ারি দিনটি শুরু হয়েছিল অন্যদিনের মতোই। কিন্তু সকালে শুরু হওয়া যৌথবাহিনীর অভিযান মুহূর্তে বদলে দেয় সবকিছু। শিবগঞ্জ থেকে একাধিক ব্যক্তি ঢাকায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিককে নানা মাধ্যমে জানিয়েছেন সে অভিযানের খবর। দেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিকগুলো লিখেছে, সকাল থেকে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর একাধিক দল বিভক্ত হয়ে অভিযান শুরু করে। পুরো উপজেলায় পরিচালিত হয় এ অভিযান। অভিযানে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে কমপক্ষে ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছাই হয়েছে বাড়ির আসবাবপত্র। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পুরো এলাকা এখন পুরুষশূন্য। এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত এসব এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত না হবে ততক্ষণ তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযানে অর্ধশত জামায়াত-বিএনপি’র কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে শিবগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন। শিবগঞ্জ পৌর এলাকার রসূলপুর, শ্যামপুর এলাকার উমরপুর, চামাবাজার, বাবুপুর, শাহবাজপুর এলাকার ধোবড়া, মুসলিমপুর এলাকায় অভিযানের সময় তল্লাশির নামে ব্যাপক ভাঙচুর ও কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে। রসূলপুর এলাকার মো. ইয়াসিনের বাড়িতে ঘরের শোকেস, আসবাবপত্র ও ফ্রিজ ভাঙচুর শেষে একটি  মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া ওই এলাকার মো. আলম, একরামুল হক, আবু সুফিয়ানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, মাওলানা আবদুল মালেক, আনসারুল ইসলাম, মংলু সরদার, জয়নাল আবেদীন ও মজিবুর রহমানের বাড়িসহ আরও ৭/৮টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে যৌথবাহিনীর অপর একটি দল শাহবাজপুর (ধোবড়া) এলাকায় অভিযানের সময় দুরুল হুদা, আবদুল মকিমের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ আরও ৫/৬টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে দুরুল হুদা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এমএম ময়নুল ইসলাম বলেন, অভিযানে সাধারণ মানুষকে হয়রানি বা আটক করা হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, রসূলপুর, কানসাট, ধোবড়া ও মুসলিমপুরে সন্ত্রাসীরা হরতাল ও অবরোধের নামে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়ে আসছিল। বিশেষ করে সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবোঝায় ট্রাক পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের প্রহরায় পারাপার করা হলেও হামলাকারীদের নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। তাদের হামলায় বেশ কয়েকটি পণ্যবোঝায়ই ট্রাক পুড়ে গেছে। অভিযানের সময় যৌথবাহিনীর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার বানী ইসরাইল বলেন, দুর্বৃত্তরা কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিলে যৌথবাহিনীর সহায়তায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গত ১৮ জানুয়ারি প্রথম আলো লিখেছে,‘  স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) যৌথ বাহিনীর সদস্যরা মহদিপুর ছাড়াও রসুলপুর ও চণ্ডীপুর গ্রামের ৩৫টি বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযানের সময় হেলমেট পরা আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী তৎপর ছিলেন।

শিবগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) দিনভর এই অভিযান চলে। জেলা পুলিশ সুপার বশির আহমেদ ছাড়াও ৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জাফর শেখ মোহাম্মদ বজলুল হক ও র‌্যাব-৫-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

গত শনিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যার ঠিক আগে মহদিপুর থেকে ১৫-১৬ জন নারী-শিশুকে লেপ-কাঁথা ও বাক্সপ্যাটরা নিয়ে শিবগঞ্জের উজিরপুরের দিকে যেতে দেখা যায়। তাঁরা জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানের ভয়ে তাঁরা গ্রাম ছাড়ছেন।

গতকাল ( ১৭ জানুয়ারি) বিকেলে শিবগঞ্জের মহদিপুর ও রসুলপুরের ১৬-১৭টি বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুরের আলামত দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় বাড়িতে টিভি, আসবাব, চিনামাটির থালাবাসন এবং কয়েকটি বাড়িতে ফ্রিজ ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। একটি বাড়ির খড়ের ঘর ও একটি বাড়ির রান্নাঘর এবং খড়ের গাদা পোড়ানো দেখা যায়।

নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও মহদিপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, এ বাড়ির ধান রাখার গোলা পোড়ানোসহ তিনটি ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। নজরুল ইসলামের স্ত্রী সালেয়া বেগম অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ( ১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পেছনের দরজা ভেঙে র‌্যাব ও পুলিশ বাড়িতে ঢুকে তিনটি ঘরে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালায় ও ধানের গোলায় (বাঁশ ও মাটি দিয়ে তৈরি ফসল রাখার বড় পাত্র) আগুন দেয়। এতে প্রায় ৩০ মণ ধান পুড়ে যায়।

রসুলপুর গ্রামের ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ইয়াসিন আলীর স্ত্রী চম্পা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী কোনো দল করেন না। অথচ তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে টিভি, ফ্রিজ, রাইসকুকার, শোকেস ও থালাবাসন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মোটরসাইকেল।

তাঁর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মেয়ে আতিফা জানায়, ২০ জনের মতো কালো পোশাকধারী লোক তাদের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি করে।

এ গ্রামের বিএনপির কর্মী আবু বাক্কারের বাড়িতেও ভাঙচুরের আলামত দেখা যায়। একই গ্রামের প্রয়াত হজরতের বাড়িতেও ভাঙচুর হয়। তাঁর মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী জমিলা খাতুন বলে, ‘কেঁদে কেঁদে হাতজোড় করে র‌্যাবের লোকজনকে বলেছি, আমার বাবা-মা নেই, আমরা খুব গরিব, আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর করিয়েন না। কিন্তু তারা শোনেনি। আমার বড় বোনকে মারধর করা হয়।’

এ গ্রামের বিএনপির কর্মী মনিমুলের বাড়িতে একটি মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, চারটি শোকেস, দুটি ড্রেসিং টেবিল, রাইসকুকার ও থালাবাসন ভাঙচুর করা হয়। তাঁর স্ত্রী হামিদা বেগম অভিযোগ করেন, ‘আমার শিশু ছেলে বাড়ির বাইরে বিজিবির সদস্যদের মোটরসাইকেল না পোড়ানোর কথা বলে গড়াগড়ি করে কাঁদছিল। কিন্তু ওরা শোনেনি। র‌্যাবের লোকজনকে অনুরোধ করে বলি, আমার শ্বশুর, স্বামী ও দেবর কোনো সক্রিয় রাজনীতি করেন না। তাঁরা বলেন, আমরা জেনেশুনেই এসেছি। এরপর যদি এ এলাকার সড়কে কোনো গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, তাহলে এ গ্রামের অস্তিত্বই রাখব না।’

এ গ্রামের আওয়ামী লীগ-সমর্থক মো. সোহুবুল ও তাঁর ছেলে ইসমাইলের বাড়িতেও যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় ভাঙচুর চালানো হয়। সোহুবুল অভিযোগ করেন, র‌্যাবের লোকজন তাঁর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে।

বিএনপির শিবগঞ্জ পৌর কমিটির সদস্য রসুলপুর গ্রামের মনিমুল হকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে নষ্ট করা ছাড়াও চারটি শোকেস, দুটি টিভি, দুটি ড্রেসিং টেবিল ভেঙে ফেলা হয়েছে।

গ্রামের লোকজন জানান, মহদিপুর, রসুলপুর ও চণ্ডীপুরের কয়েক শ পরিবার দামি জিনিসপত্র নিয়ে অন্য গ্রামে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আবারও অভিযানের ভয়ে গ্রামের সব মানুষই আতঙ্কের মধ্যে আছে।

শিবগঞ্জের ৫০টি বাড়িতে হামলার অভিযোগ জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সরকার গণআন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তিনি এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। গত ১৫ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ সরকারের সন্ত্রাসী হামলা, মামলা, গণগ্রেফতার ও জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হরতাল ও অবরোধ চলাকালে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, চাঁদপুর, রংপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, গাজীপুর, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা, সিলেট, নেত্রকোনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, ভোলা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, মেহেরপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০ দলীয় জোটের প্রায় চারশ’ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াত-শিবির নেতাদের ৫০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও বাড়ির আসবাবপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছে। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ সারাদেশে প্রায় চারশ’ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকারসহ যাবতীয় গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে একদলীয় ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন করছে। এ আন্দোলন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও বাঁচার অধিকার আদায়ের আন্দোলন। স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণ স্বৈরাচারী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মিছিল, সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।