সংবাদ শিরোনামঃ

সিটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে একতরফা! ** কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারতে শেরপুরে হাজারো মানুষের ঢল ** আওয়ামী লীগ মরিয়া ** শহীদী কাফেলায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ** গণতন্ত্রহীনতায় অরক্ষিত অর্থনীতি ** সরকার সিটি নির্বাচনকে পুরোপুরি রাজনৈতিককরণ করেছে ** অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হোক ** পহেলা বৈশাখের ‘লীলা’ ** আমার সন্তানের কি দোষ ** ফারাক্কা বাঁধের কারণে সাতক্ষীরার ২৭টি নদী এখন মরা খাল ** যাদের কাছে কোনো পুঁজি নেই তারাই সমালোচনা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চায়: মনজুর আলম **

ঢাকা, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪২২, ৪ রজব ১৪৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

॥ হারুন  ইবনে শাহাদাত॥
গণতন্ত্রহীনতায় অরক্ষিত দেশের অর্থনীতি। রাজধানী, নগর-বন্দর, শহর- গ্রাম কোথাও জীবনযাত্রায় গতি নেই। এই গতিহীনতার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। জনগণের জীবন মান ধন-সম্পদ কোনো কিছুই নিরাপদ নয় আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট সরকারের দুঃশাসনের বেড়াজালে। এই নিরাপত্তাহীনতা আরো বেড়েছে এই সরকারের ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অভিনব নবতর সংস্করণে যাত্রা শুরুর পর। এদেশে এখন অনেক কিছুর সংজ্ঞাও পাল্টে গেছে, যেমন জনগণ মানে সরকার সমর্থক, সরকারের গণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদকারী মানে জঙ্গি। গত ১৪ এপ্রিল থেকে নিয়ে ২০ এবং ২১ এপ্রিলে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার প্রভাবে দেশের ১৬ কোটি মানুষ জীবন মান ধন-সম্পদ নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের ওপর আর আস্থা রাখতে পারছেনা। কারণ সরকার যখন বিরোধীদল নির্মূলে ব্যস্ত তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে ঘটছে নারীর ইজ্জত লুটের ঘটনা, রাজধানীর বুকে আক্রান্ত হচ্ছেন সংসদের বাইরের প্রধান বিরোধীদলের নেতা, ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ই পি জেট)-এর খুব কাছে প্রকাশ্য দিনের আলোয় লুট হচ্ছে ব্যাংক। লুটেরা ডাকাতদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৭ জন। গণপিটুনিতে একজন ডাকাত নিহত হয়েছে। এমন হাজারো অঘটনের প্রভাবে আক্রান্ত আজ দেশের অর্থনীতি।  গত ২১ এপ্রিল এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক দেশ-বিদেশের অন্যান্য আর্থিক গবেষণা সংস্থার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেছে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ উন্নয়নের পূর্ব শর্ত গণতন্ত্র। কারণ বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর উন্নয়নের প্রধান বাধা দুর্নীতি। আর গণতন্ত্রহীন পরিবেশে দুর্নীতি শিকড়-বাকড় শক্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে উন্নয়নের মেকি চমক দেখিয়ে জনগণের সম্পদ লুটের প্রতিযোগিতা শুরু করে।

গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর ‘কোয়ার্টারলি ইকোনমিক আপডেট’ শীর্ষক এডিবির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান উন্নয়ন বাংক (এডিবি) চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি  (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী গড় মূলস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যও পূরণ হবে না বলেই মনে করছে ম্যানিলা ভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থাটি। শুধু এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক নয় এর আগে বিশ্বব্যাংকসহ দেশী বিদেশী একাধিক অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৪ এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি বেশ মজবুত হওয়ায় ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হতে পারে। সংস্থাটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বলেছিল ২০১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। আগামী  অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ সহনীয় পর্যায়ে আসছে, কিন্তু বেসরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধির পরেও বিনিয়োগ বাড়ছে না। এজন্য আর্থিক সূচকগুলোর উন্নতি প্রয়োজন। আর এসবের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার  কোনো বিকল্প নেই। রফতানি আয়, রেমিটেন্স, বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানিসহ বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচক ইতিবাচক। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পেক্ষাপটে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে সেটা অবশ্যই সম্ভব। শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল মেশিনারি, শিল্পের কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় আমদানি বেড়েছে। এটা ইতিবাচক। এদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেছিলেন, সরকারের তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে প্রথম নয় মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে সাড়ে ৬ শতাংশ। আর অর্থবছর শেষে এটি বেড়ে ৭ শতাংশের কাছাকাছি যাবে। বিশ্বব্যাংকের এ ধারণা সঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে জানুয়ারির পর থেকে তিন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ খুবই কম। এটি জিডিপির দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। তার বেশি নয়।’

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্কট শুরু হয়েছে গণতন্ত্রহীনতা থেকে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জোর গলায় বলছেন,‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট হতো। কিন্তু একবারও বললেন না এই নির্বাচনের ফলে দেশের গণতন্ত্র সঙ্কটে পড়েছে। এই সঙ্কটের কবলে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকমহল এব্যাপারে সবাই একমত। দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোও তাদের ক্ষতি ও উদ্বেগের কথা বলেছে। তাদের দেয়া ক্ষয়ক্ষতির কিছু তথ্য ও বিবরণ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সিপিডির তরফে একটি মূল্যায়ন উপস্থিত করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকেও সামগ্রিক অর্থনীতির বিদ্যমান অবস্থা, প্রবণতা ও সম্ভাবনা-অসম্ভাবনা সম্পর্কে  তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’। শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে অর্থনীতির ক্ষতি দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির এক শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দর্শমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, সরকার যাই দাবি করুক বাস্তবতা এটাই, প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের বেশি হবে না।

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একবার বলা হচ্ছে হরতাল অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। আবার বিভিন্ন মন্ত্রীর মুখ থেকে বিভিন্ন অংকের ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখ করা হচ্ছে। দেশের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান  সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ)-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষতির বিষয়ে সমীক্ষা করেনি, সমীক্ষা করেছে শুধু উৎপাদন খাতে ক্ষতির বিষয়ে। তিন মাসের কম সময়ে যদি চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা উৎপাদন ক্ষতি হয়ে থাকে তবে অন্যান্য খাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বা হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এবার আসা যাক বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে বিরোধীদলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধোরের জন্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল-অবরোধে অর্থনীতির ক্ষতি ১৭ হাজার কোটি টাকা বলে দেখানো হয়েছে। ১৭ হাজার কোটি টাকা মোটেই সামান্য ক্ষতি হতে পারে না। ক্ষতির এ হিসাব যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে কোনোভাবেই জিপিডি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছি হবে বলে আশা করা যায় না। চলতি বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়। এডিবিই সর্বপ্রথম পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রবৃদ্ধির হার অন্তত দশমিক ৯ শতাংশ কমে যাবে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৩ শতাংশের স্থলে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এর পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফে বলা হয়, প্রবৃদ্ধির হার দশমিক ৮ শতাংশ কম হবে। অর্থাৎ ৭ দশমিক ৩ শতাংশের স্থলে হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এডিবি তার গত মার্চ মাসের পূর্বাভাসে জানায়, প্রবৃদ্ধির হার দশমিক ৯ শতাংশ নয়, ১ দশমিক ২ শতাংশ কম হবে। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের আলোচ্য রিপোর্টে প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এক দশক ধরে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ঘরে থাকার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এটাকে তিনি’ ৬ শতাংশের খাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং এ জন্য দায়ী করেছেন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টকে। গত এক দশকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি বলেছেন, কর্মক্ষম জনসংখ্যা বাড়লেও কর্মসংস্থান কমেছে। কাজে অংশ নেয়ার প্রবণতা কমেছে। তিনি আরও  বলেছেন, সরকার প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ দাবি করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যে পদ্ধতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব করে তাতে ক্ষতির তথ্য বাদ পড়ে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষতির যে বিবরণ দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সেবা খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৬৮ শতাংশ। শিল্প খাতে ক্ষতির পরিমাণ ২৫ শতাংশ এবং কৃষি খাতে ৭ শতাংশ। তবে এই সময় কি পরিমাণ সম্পদ ক্ষতি হয়েছে তা এ হিসাবে ধরা হয়নি।

 à¦¦à§‡à¦¶à§‡à¦° আর্থিক শক্তির বড় উৎস সম্ভবত রফতানি আয় ও রেমিটেন্স। রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে গার্মেন্ট পণ্য রফতানি থেকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় সব দেশ থেকেই রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে। কিন্তু কমেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহ। গ্রামাঞ্চলের মানুষ সাধারণত যেসব দেশে বেশি যায়, কুয়েত, লিবিয়া ছাড়াও যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি। এই ৪টি দেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। ফলে সার্বিক রেমিট্যান্সের বৃদ্ধির হারও কম। চলতি অর্থবছরের (২০১৪-১৫) প্রথম সাত মাস (জুলাই-জানুয়ারি) পর্যন্ত সময়ে প্রবাসীরা ৮৭৩ কোটি ৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের একই সময়ে  রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৮০৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার। কয়েকটি দেশের নেতিবাচক রেমিট্যান্সের প্রভাবেই রেমিট্যান্স যে হারে বাড়ার কথা সেভাবে বাড়েনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের  দেশভিত্তিক রেমিট্যান্সের হিসাব অনুযায়ী, কুয়েত থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ৬৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। আর লিবিয়া থেকে এ সাত মাসে এসেছে দুই কোটি ৫২ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসা রেমিট্যান্সের অর্ধেকেরও কম। যুক্তরাজ্য থেকে আগের অর্থবছরের সাত মাসে ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার আসলেও এ অর্থবছরের এর পরিমাণ ৪৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। একইভাবে জার্মানি ও ইতালি থেকেও রেমিট্যান্স কমেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স প্রেরণকারী শীর্ষ দেশ সৌদি আরব থেকে জুলাই হতে জানুয়ারি সময়ে ১৮৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এদেশ থেকে ১৭৭ কোটি ৩ লাখ ডলার এসেছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্সের প্রধান যোগানদাতা দেশ সৌদি আরব থেকে মাত্র ১০ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। একইভাবে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একইসময়ে ছিল ১৫১ কোটি মার্কিন ডলার। একই অবস্থা কাতার, ওমান ও বাহারাইনের ক্ষেত্রেও। আর এ অঞ্চলের দেশ ইরান থেকে আগের অর্থবছরে কোনো রেমিট্যান্স না এলেও এ চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে ৫০ হাজার ও জানুয়ারিতে ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। কিন্তু গ্রামীণ জনপদের মানুষ যেসব দেশে বেশি সেখান থেকে রেমিট্যান্স কম আসায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।

পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশিলিতা দূর হবে না। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে বিনিয়োগ, উৎপাদন, আমদানি-রফতানি, বিপণনসহ অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই সঙ্কট অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে, বিরোধী মত দলনের নামে দুর্নীতি সন্ত্রাস অরাজকতা এবং জনদুর্ভোগ বাড়বে। সাথে সাথে ব্যাহত হবে দেশের আর্থিক ও মানবিক উন্নয়ন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।