সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র না উন্নয়ন? ** দেশ থেকে মানবতা কি বিদায় নিচ্ছে? ** গণতন্ত্রহীনতায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে ** মালয়েশিয়াগামী নিখোঁজদের জন্য আহাজারি ** প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণ ** ৩ মাসে ধর্ষণ ১২৩, গতিহীন তদন্ত ** গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদল থাকা বাধ্যতামূলক ** জীবন দিতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের ** কবি নজরুলের ভুল! ** কমলগঞ্জে ধলাই নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ** ধানের দরপতনে ঋণের টাকা পরিশোধে দিশেহারা কৃষক ** নায়ক শেখ আবুল কাসেম মিঠুনের প্রস্থান **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২, ১০ শাবান ১৪৩৬, ২৯ মে ২০১৫

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদল থাকা বাধ্যতামূলক

॥ কামরুল হাসান॥
যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদল থাকা বাধ্যতামূলক। সরকারি দল ছাড়া যেমন গণতন্ত্র অচল, ঠিক তেমনি বিরোধী দল ছাড়া রাজনীতি অচল। কারণ চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূলভিত্তি। সরকারি দল যেন কোনো মতে তার চরম ক্ষমতা ব্যবহার করতে না পারে, সেই সুবাদে বিরোধী দলের প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো, বর্তমানে বাংলাদেশে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। যা আছে তা বিরোধী এবং সরকার উভয় দলের ভূমিকায়। এটা কীভাবে সম্ভব বোধগম্য নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে মানব পাচারসহ অনেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে অথচ সংসদীয় বিরোধীদলের এ নিয়ে কোনো বক্তব্য শোনা যায় না। অন্যদিকে প্রকৃত বিরোধী দল বিএনপিরও কোনো ভূমিকা লক্ষণীয় নয়।

মোরশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘কেমন চলছে দেশ’।

তারেক শামসুর রেহমান বলেন, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন যেকোনো দেশের মূল চাহিদা। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলা-দেশেরও চাহিদা একই। বাংলাদেশের মতো দেশে পশ্চিমা বিশ্বের মতো গণতন্ত্র দিয়ে চলবে না। কারণ ঐ সব দেশের পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এক নয়। তবে বাংলাদেশ একটা রোল মডেল পালন করতে পারে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা তুরস্কের মতো দেশগুলোকে দেখে। উন্নয়নশীল দেশের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন এবং সঠিক নেতৃত্ব। বাংলাদেশের মতো দেশে উন্নয়নের সকল পূর্বশর্ত রয়েছে। যদি আমরা সঠিক বিরোধী দল এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে ব্যবহার করতে পারি তবে বাংলাদেশ পৃথিবীকে অনেক কিছু দিতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, বিএনপিই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বিরোধী দল। দেশের সিংহভাগ জনগণ তাদের পক্ষে। তাই দেশ এবং জনগণের স্বার্থে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া উচিত। বিএনপি যদি সঠিক রাজনীতিতে মনোনিবেশ করে, তবেই দেশ উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছাতে পারবে।

বর্তমানে আমাদের সমাজে নারীরা ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়

বর্তমানে আমাদের সমাজে নারীরা ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। তারা স্বামীর ঘর, কর্মক্ষেত্র কিংবা স্কুল-কলেজের কোথাও নিরাপদে থাকতে পারে না। গত ২২ মে শুক্রবার বাসে নারীর উপর ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে ঐ ধর্ষিত নারী প্রথমে মামলা করতে পারেনি। অনেক ঘোরাঘুরির পর তার মামলা নেয়া হয়েছে। সাধারণত এই ঘটনাগুলোর মামলা পুলিশ নিতে চায় না এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। আবার যদিও নেয়, তবে তা নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া শুরু করে।

সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন এসব কথা বলেন। মুজতবা দানিশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘নারী, নিরাপদ কোথায়?’।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ধর্ষিত নারীর প্রতি আদালত যে প্রশ্নের তীর নিক্ষেপ করে, তার আঘাত একজন নারীর কাছে অসহনীয়। কারণ নির্যাতিত নারীকে নানান প্রশ্নে জর্জরিত করা হয়। কোথায় কী করেছিল, তারপর কী হয়েছিল, কয়জন এসেছিল, আপনি কী করলেন? এরকম আরো অনেক প্রশ্ন। নানাবিধ প্রশ্নের তীরে বিদ্ধ হয়ে ধর্ষিত নারীটি তখন ‘ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি’ বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। যার ফলশ্রুতিতে নির্যাতিত নারী আর মামলা করতে চায় না এবং ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যায়।

তিনি বলেন, ধর্ষিত নারীর সমস্যা সমাধানের সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করলেও প্রকৃত অর্থে এর প্রয়োগ সঠিক রূপে দেখা যায় না। অন্যদিকে অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজে যৌন নির্যাতন মনিটরিং এর কথা বলা হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ কোথায়?

অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং দেখভালের নিয়ন্ত্রক সংগঠনের চরম অভাব

ঢাকা শহর হলো এমন একটি শহর যার পিতা একজন কিন্তু সন্তান প্রায় চুয়ান্ন জন। পিতা একজন আর সন্তান যদি চুয়ান্ন জন হয় তাহলে একজন পিতার যে দুরবস্থা হওয়ার কথা ঢাকাবাসীরও সেইররূপ নাজেহাল অবস্থা। ঢাকা শহরে প্রতিষ্ঠান এতো বেশি যে, দেখভাল করার লোক নেই। আর ব্যাঙের ছাতার মতো যেভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে তাতে দেখাশুনা করার জন্য লোকবলের অভাব। মোটকথা, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং দেখভালের নিয়ন্ত্রক সংগঠনের চরম অভাব।

যমুনা টিভিতে ‘নগরায়ন ও যানজট’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এসব কথা বলেন।

স্থপতি মোবাশ্বের বলেন, ঢাকা শহরে দিন দিন দালানের সংখ্যা বাড়ছে। আর যে হারে দালানের সংখ্যা বাড়ছে ঠিক সেই হারে কমছে সড়কের সংখ্যা। ঢাকাতে অধিকাংশ ফ্লাইওভারগুলোতে ব্যাপকহারে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তার একমাত্র কারণ ফ্লাইওভারগুলোর দুই মুখেই একই অবস্থা। গাড়িগুলো বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। যদি বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে গাড়িগুলো দ্রুত বের হয়ে যেতে পারতো আর তাতে করে যানজট কমে যেত।

তিনি বলেন, ঢাকায় দিন দিন যে হারে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকার অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে। প্রতিদিন ঢাকায় প্রায় ৫০ হাজার লোক পায়ে হেঁটে চলাফেরা করে। আর এতে করে যানজট আরো বেশি সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ এলোমেলোভাবে রাস্তা পাড়ি দিচ্ছে, আর এভাবে রাস্তা পাড়ি দিতে গিয়ে যানজট বেশি হচ্ছে আবার কেউ কেউ শিকার হচ্ছে দুর্ঘটনার।

তিনি আরো বলেন, যানজট দূর করার জন্য দরকার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। ঢাকায় প্রতিদিন নিত্যনতুন গাড়ি ঢুকছে। আর অনুমোদন না পাওয়া গাড়িগুলো এসে ভিড় জমানোর কারণে সৃষ্টি হচ্ছে আরো বেশি যানজটের।

তিনি বলেন, ঢাকা শহর যানজটমুক্ত হলে পাবলিকের দুরবস্থা আরো বাড়বে। সব মানুষ ঢাকামুখী হবে। আর এতে করে একটা সময় এ শহরে পা ফেলারও জায়গা থাকবে না। উদাহরণস¦à¦°à§‚প, আমি যদি একটি ঘরের মাঝখানে অনেকগুলো মিষ্টি রাখি তাহলে সবগুলো পিঁপড়া কিন্তু মিষ্টি খাওয়ার জন্য এক জায়গায় সমবেত হবে। আর এতে করে অতি মাত্রাতিরিক্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে গেলে ঢাকার সাথে আশপাশের জেলা শহরগুলোর আস্তঃসংযোগ বজায় রাখতে হবে। বাইরে থেকে আসা গাড়িগুলোকে সারিবদ্ধভাবে ঢাকায় প্রবেশের সু-ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং বের হওয়ার সময়ও একই ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে। ঢাকার প্রত্যেকটা রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক সিগনালের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজনৈতিক পথ অত্যন্ত বন্ধুর

রাজনৈতিক পথ অত্যন্ত বন্ধুর। এখানে সবসময় একই আবহাওয়া বিরাজ করে না। বিভিন্ন সময়ে হেরফেরের অনেক উদাহরণ লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দুর্বল অথবা শক্তিশালী হওয়াটা পুরোপুরি সময় নির্ভর এবং আপেক্ষিক বিষয়। বিশেষ করে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল একটু দুর্বল হয়ে যায় এটাই স¦à¦¾à¦­à¦¾à¦¬à¦¿à¦•à¥¤ দমন পীড়ন, মামলা হামলাসহ অনেক ঝড়ের মোকাবেলা করতে হয় বিরোধী দলকে। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির উপর সেই ঝড় চললেও তারা দুর্বল নয়, কারণ জনসমর্থন একটা বিশাল শক্তি।

এসএ টেলিভিশনের ‘লেট এডিশন’ অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ একথা বলেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, রাজনৈতিক দল বিএনপি আগেও শক্ত অবস্থানে ছিল, বর্তমানেও আছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও থাকবে।

তিনি আরো বলেন, বিরোধী দলে থাকার পরও বিএনপির  জনসমর্থন কোনো অংশে কম হয়নি বরং আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিএনপি একটি শক্তিশালী দল এবং ভবিষ্যতে এর মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।

বিরোধীদলকে মত প্রকাশের সুযোগ না দিলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না

বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বিএনপি বার বার ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের দেশে যে জনসমর্থন আছে এর মধ্যে শতকরা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করে। বিরোধী দল যদি শক্তিশালী না হয়, এবং বিরোধী দলকে যদি মত প্রকাশের বা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া হয় তাহলে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকশিত হওয়াতো দূরের কথা, আগামী এক’শ বছরও পেছনে চলে যাবে।

একাত্তর টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত একাত্তর সংযোগ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি এসব কথা বলেন।

ফাহিমা নাসরিন মুন্নি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন গত দুই দশকের চর্চার ফলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তবে, বেশি গণতন্ত্র আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা জানতে চাই, কোন ধরনের গণতন্ত্র চর্চা করবো বা আমরা কোন ধরনের গণতন্ত্রে দিকে এগিয়ে যাবো?

নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি

নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ হলো পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি। এই সকল কাজ করার সাহস তারাই পায়, যারা বেপোরোয়া এবং ইচ্ছামতো অপরাধমূলক কাজ করে থাকে। বর্তমানে এদেশের সংস্কৃতিতে এই নিয়ম অহরহভাবেই ঘটে চলেছে। প্রতিটি নারী নির্যাতনের পর অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়ার পেছনে সাধারণত অর্থনীতি, পরিচিতি এবং রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা বিশেষ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

একাত্তর টেলিভিশনের ‘একাত্তর সংযোগ’ অনুষ্ঠানে নিজেরা করির নারী নেত্রী ও সমন্বয়কারী খুশী কবির এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘নিরাপত্তা হীনতায় নারী’।

পুলিশি আচরণ ধর্ষিত নারীটিকে পুনরায় ধর্ষণ করেছে

নির্যাতিত নারীটির প্রতি প্রথমে নির্যাতন করা হয়েছে গাড়িতে, দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন করা হয়েছে তাকে থানা থেকে ফেরত দিয়ে। পরবর্তীতে তাকে থানায় দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখাটা হয়েছে তৃতীয় দফায় নির্যাতন। পুলিশি এহেন আচরণ ধর্ষিত নারীটিকে পুনরায় ধর্ষণ করার সমতুল্য এবং এর দায়ভার ঐ সময় কর্তব্যরত সকলকে নিতে হবে।

আহমেদ জোবায়েরের সঞ্চালনায় ‘যৌন হয়রানি এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ আলোচ্য বিষয়ের উপর সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ধর্ষিত নারীটি সৎসাহসিতার কারণেই থানায় গিয়ে মামলা করেছে। তবে এই সব নির্যাতনের ঘটনা সাধারণত ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়। কারণ আমাদের পরিবার, সমাজ এবং বাস্তবতায় আত্মমর্যাদার অনেক প্রশ্ন থাকে। তবে সামগ্রিক অর্থে আমাদের সমাজে নৈতিকতার অভাব প্রচণ্ড রকমের। ব্যক্তি সমাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে নির্যাতিত স্রোতধারায় আমরা নিমজ্জিত। বাংলাদেশে এই সব বিচারহীনতার সংস্কৃতি একদিনের নয়। নির্যাতনের পর পুলিশের পক্ষ থেকে নারীটির প্রতি যে অবহেলা প্রদর্শন করা হয়েছে তা মোটেও কাম্য নয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সবক্ষেত্রে নারীর জাগরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ নানান জায়গায় নারীর অবাধ বিচরণ হয়েছে। তবে সমাজে যখন দায়িত্ববোধের জায়গায় বিচ্যুতি ঘটে, তখনই অবক্ষয়ের মতো ঘটনা বিকাশ লাভ করে। আমাদের সমাজে আগের চেয়ে অনেক নারীর বিচরণ মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে সাথে সাথে নির্যাতনের মাত্রাও বেড়েছে। দায়হীনতার সংস্কৃতি এবং দায়বদ্ধতার সংস্কৃতিকে যদি একাকার করা হয়, তখনই সমাজে ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। সম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনাসমূহ এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

তিনি বলেন, জবাবদিহিতা সমাজের অবক্ষয় রোধের অন্যতম পন্থা। একজন বিপদগ্রস্ত মানুষ যদি থানায় যান, তবে তার তাৎক্ষণিক আশ্রয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অপরাধ একটি জায়গায় সংঘটিত হবার পর তার ধারাবাহিকতা যতদূর বিস্তৃত হবে, সেই মামলা যেকোনো জায়গায় করা যাবে। নারী নির্যাতনের ঘটনাটিতে বাসে ধর্ষণ করে অন্যত্র নামিয়ে দেয়া হয়। তাই যে স্থান থেকে নারীটিতে গাড়িতে তোলা হয়েছে এবং যেস্থানে ফেলা হয়েছে এই পুরো জায়গাটি অপরাধ সংঘটনের স্থান। আইনানুযায়ী এর যেকোনো স্থানে বিচার করা যেতে পারে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।