রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ১১টি বাক স্পটের কাজ শেষ করার আগেই ৫ কোটি টাকা উত্তোলন

মো. গোলাম আযম সরকার. রংপুর থেকে : রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ধাপেরহাট থেকে চিকলি পর্যন্ত রাস্তার ১৫ শতাংশ কাজ না করেই ১৬ কোটি টাকার মধ্যে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে এটি রংপুরে সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই রাস্তাটির কাজ চলতি বছরের ৭ মে উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাস্তাটির ১১টি বাক স্পট সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্র জানায়, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের রংপুর মহানগরীর মেডিকেল মোড়, পীরগঞ্জ, ধাপেরহাট, বড়দরগা, লালদিঘী, মিঠাপুকুর ইন্টার সেন্টার, শঠিবাড়ি, দমদমা, ধর্মদাস বাসস্ট্যান্ড, তারাগঞ্জ, ইকরচালী ও চিকলী। স্থানগুলোতে সরকারি বেসরকারি অফিস ও শিা প্রতিষ্ঠান বেশি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এই ১১টি বাক স্পটের জন্য চলতি বছর সড়ক ও জনপথ বিভাগ দরপত্র আহ্বান করে এক বছর মেয়াদী এই কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এসব স্পটের দৈর্ঘ্য ২৬০ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত। পাবনার র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে কাজটি নেয় কুড়িগ্রামের ঠিকাদার বেলাল হোসেন ও রংপুরের ঠিকাদার কিরণ। কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল।

জানা গেছে, পীরগঞ্জের লালদিঘী, বড়দরগা, দমদমা, মডার্ন এলাকায় এখনও কাজ শুরুই হয়নি। তারাগঞ্জের চিকলী স্পটে ডিভাইডার ও রাস্তা প্রশস্থ করণের কাজ চলছে । এছাড়াও তারাগঞ্জ সদরের বর্ধিত অংশে খোঁয়া বিছানো ও ডিভাইডারের কাজ চলছে। বাকি ৭টি স্পটে এখনও কাজ শুরুই হয়নি। সড়ক বিভাগ একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যা হয়েছে তা মোট কাজের ১০ থেকে ১৫ ভাগ। কিন্তু কাজ না হলেও এই কাজের ঠিকাদার বেলাল ও কিরণের গত ঈদ উল ফিতরের আগে ৫ কোটি টাকা বিল তুলে নিয়েছেন। টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করে রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুলাহ আল মামুন জানান, জুন কোজিংয়ের কারণে সংশিষ্ট ঠিকাদারকে ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। অগ্রিম টাকা না দিলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত চলে যেত বলে দাবি তার।

কাজ না হলেও কাজ হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে বিল দেয়া হয়েছে দাবি করে রংপুর সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রেজ্জাক জানান, এখন প্রর্যন্ত ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় বিল দেয়া হয়েছে।

একই দাবি করেছেন, ঠিকাদার বেলাল ও কিরণ। তারা জানান, ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই কাজের বিপরীতে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছি।

তবে রংপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এখলাস হোসেন নিশ্চিত করে জানান, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারাগঞ্জের চিকলি ও তারাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ১০ থেকে ১৫ ভাগ কাজ ছাড়া অন্য কোনো স্থানে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি।