সংবাদ শিরোনামঃ

মুজাহিদ ও সালাউদ্দিনের শাহাদাত ** মুজাহিদের বিরুদ্ধে সরকারের করা মামলার ইতিহাস ** দুই জাতীয় নেতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ** অপরাজিত শহীদ মুজাহিদ পরাজিত সরকার ** শহীদ মুজাহিদের কবরের পাশে অশ্রুভেজা জনতার ঢল ** প্রতিহিংসা চরিতার্থে মুজাহিদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সরকার ** মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন মার্সি পিটিশন করেননি ** মুজাহিদকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল পালিত ** বিরোধী নেতাদের ফাঁসি রাজনৈতিক বিভাজন বাড়াবে ** আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে ** একজন নির্দোষ মানুষকে হত্যার বিচার আল্লাহ করবেন ** দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে হবে ** ধাওয়া-খাওয়াদের খবর ** নতুন উদ্যোক্তা গড়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশ ** শহীদ মুজাহিদের রক্ত এদেশের মাটিকে ইসলামী আন্দোলনের জন্য উর্বর করবে ** প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন মুজাহিদ ** শাহাদাতের মৃত্যু গৌরবের **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪২২, ১৪ সফর ১৪৩৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

আবদুল হালীম খাঁ
নারীমুক্তি-নারী স্বাধীনতা ও নারী প্রগতির খেসারত দিতে দিতে ইউরোপ যখন ফতুর হয়ে সত্যিকারের ঐতিহ্য ও সভ্যতায় ফিরে আসার জন্য চিৎকার শুরু করেছে, আমাদের দেশের নারী ও নারীবাদীরা তখন তথাকথিত নারী স্বাধীনতা ও নারী প্রগতির বিভ্রান্ত ইউরোপীয় স্লোগান তপজপ শুরু করেছে।

আমাদের আধুনিক সমাজে যেভাবে নারী স্বাধীনতার চরম দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে, তাদের নির্লজ্জ চালচলন, হাসি-তামাশা, হাবভাব ও সাজসজ্জা, বিশেষ করে তাদের রূপের প্রদর্শনী ও মহড়ার তুমুল আয়োজন চলছে, তাতে বুঝা যায় যে, আমাদের উপরে রোমকদের চাইতেও কঠিন বিপদ ঘনীভূত হয়ে আসছে।

এশিয়ার কেউ যদি আমাদের এসব শুনতে পায়, তাহলে আঁতকে উঠবে, কারণ এসব তাদের কল্পনার বাইরে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। কারণ তাদের ধারণা যে, শিক্ষা ও সভ্যতায় ইউরোপ তাদের অনেক ঊর্ধ্বে।

এই ধ্বংসমুখী সভ্যতাকে আমাদের সমাজের একশ্রেণীর নরনারী বাহবা দিয়ে অন্ধ অনুকরণে নিজকে কেউকেটা মনে করে সমাজকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। তবে সৌভাগ্যের বিষয়, সংখ্যায় অল্প হলেও আমাদের দেশের কতিপয় জাতীয় প্রতিভা ইউরোপের এই বিষাক্ত সভ্যতাকে হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন :

কার হাতে হাত দিয়ে নারী চলে কাম সহচরী

কোন সভ্যতার?

কার হাতে অনায়াসে শিশু কণ্ঠে হেনে যায় ছুরি

কোন সভ্যতার? ...

কুক্কুর কুক্কুরী

কোন ব্যভিচারে তারা পরস্পর হানিতেছে ছলনার ছুরি

আনিয়াছে জারজ কোন মৃত সভ্যতার পদতলে!

উরুর ইঙ্গিত দিয়ে তাদের নারীরা আজ মৃত্যুপথে চলে?

(ফররুখ আহমদ)

ইউরোপের নারী সমাজ আজ মৃত্যু পথযাত্রী। মাতৃত্ব নারীত্ব বলতে আজ তাদের কিছু অবশিষ্ট নেই। আমাদের দেশের নারীরাও আজ সে পথে হাঁটতে শুরু করেছে। নারীর মানসম্মান তারা হারাচ্ছে খুব দ্রুত। লজ্জাশীলতা মেয়েদের ভূষণ। কিন্তু আজ মেয়েরা সে ভূষণ খুলে ফেলে উলঙ্গ হয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় সভ্যতার বদৌলতে নারীরা আজ বেহায়াপনার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

যারা নারী স্বাধীনতার নামে নারীত্ব হরণের খেলায় মত্ত, নারী প্রগতির নামে বারবণিতা প্রগতিতে লিপ্ত, তারা জানে না এ তথাকথিত নারী স্বাধীনতা ও নারী প্রগতির ফলে পাশ্চাত্যের তরুণ-তরুণীরা জৈব চাহিদা সংক্রান্ত অপরাধকে অপরাধ বলেই মনে করে না, করলেও দেখা যায় তারাই বেশিরভাগ অসুখী। আসল সুখশান্তি তাদের নেই, সব মেকী, সব কৃত্রিম। নরনারী সংক্রান্ত অপরাধ তরুণ-তরুণীদের জীবনে বয়ে আনে অনেক জ্বালা অনেক বেদনা ও দুঃখ।

১৯৭৩ সালের কথা। যেসব দেশে অবাধ নারী স্বাধীনতা রয়েছে সেসব দেশের অন্যতম জাপান। ৯ জুলাই এর (১৯৭৩) টাইমস à¦²à¦¿à¦–à§‡à¦›à§‡Ñ ‘জাপানের রাজধানী টোকিওতে ৭৩ সালে ধর্ষণ অপরাধমূলক ঘটনার সংখ্যা একলাখ নব্বই হাজার।’ পাশ্চাত্য জগতের প্রতিটি শহরে এ উদাহরণ ভুরি ভুরি। পশ্চিমাঞ্চলের প্রখ্যাত লেখিকা মিস এসতার ভিলারের কথা। তিনি তাঁর ‘দি ম্যানিপুলেটেড ম্যান’ বইতে লিখেছেন : যুক্তরাষ্ট্রের মহিলারা কাণ্ডজ্ঞানহীনা, পুরুষেরা প্রবঞ্চিত দাস। পৃথিবীর পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বঞ্চিত মানুষ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষ সম্প্রদায়।’ তিনি যুক্তি সহকারে জোরের সাথে ঘোষণা à¦•à¦°à§‡à¦¨Ñ à¦¸à§‡à¦–à¦¾à¦¨à¦•à¦¾à¦° পুরুষ সম্প্রদায় অনেকটা দাসের মতো আর তাদের সবচেয়ে বেশি বঞ্চনা করেছে মহিলা সম্প্রদায়। পাশ্চাত্যের নারী সমাজ তাদের মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছে। আর তাদের ঐ নগ্ন বেহায়াপনা সভ্যতাকে বাহবা দিচ্ছে তথাকথিত প্রগতিবাদীরা। অনুসরণ করছেন দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের মা-বোনেরা সভ্যতার নামে বর্বরতাকে, প্রগতির নামে পশ্চাদপদতাকে এবং নারী মুক্তির নামে নারীত্ব হরণকে। ফল à¦¹à¦šà§à¦›à§‡Ñ à¦¸à¦¬à¦¾à¦‡ এক এক করে হারাচ্ছে জায়া-জননী-ভগ্নির মর্যাদা।

॥ দুই॥

আধুনিক বিশ্বে এমন কোনো দেশ নেই, যে দেশে পাশ্চাত্যের নারী স্বাধীনতাবাদীদের মারাত্মক প্রচারণার শিকার হয়নি এবং পর্দা প্রথাকে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্শীয় বিধানরূপে চিহ্নিত করেনি। তার ফলে পাশ্চাত্য অপশক্তি বিশ্বের বুক থেকে মুসলিম জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যত ধরনের চক্রান্তের জাল তৈরি করেছে তন্মধ্যে মুসলিম নারীদের উলঙ্গ করা ও তাদের গণধর্ষণের শিকার করা অন্যতম ষড়যন্ত্র।

কিছুদিন আগে আমাদের স্কুল কলেজের ছাত্রীদের ধর্ষণের কী না নির্লজ্জ ঘটনা ঘটে গেল। এখনো ব্যাপকহারে ঘটছে। পত্র-পত্রিকা ও মানুষের মুখে মুখে এখনো তার আলোচনা সমালোচনা শেষ হয়নি। ধর্ষণজনিত কারণে ছাত্রীরা কেউ ফাঁসি দিয়ে, কেউ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করছে। পত্রিকায় তো সব খবর ছাপা হয় না। কোনো কোনো ঘটনা ছাপতে দেয়া হয় না। বর্তমানে ধর্ষণ মহামারী রোগ রূপ এ রোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই, বিচার নেই। সরকারের নিরবতায় দুষ্ট চক্র উৎসাহিত হচ্ছে।

বিশ্বের সর্বত্র নারী স্বাধীনতার গলাবাজি করা হয়, বড় বড় নারী সম্মেলন হয়। আমাদের দেশেও নারী স্বাধীনতার তথাকথিত পুরোধারা লম্বা লম্বা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে মাঠ গরম রাখেন অধিকাংশ সময়। কিন্তু বিশ্বের ইতিহাসে এক ঘণ্টার জন্যও কি নারী নির্যাতন ধর্ষণ বন্ধ হয়েছে? আজ পর্যন্ত কোনো ষোড়শী তন্বী নারী কি ঝলমলে অলঙ্কার পরিধান করে নিশ্চিন্তে নিরাপত্তায় বের হতে পেরেছে? বরং দিন দিন নারী নির্যাতনের তালিকা দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হচ্ছে। ইয়াসমিনের মতো নিষ্পাপ যুবতী প্রাণ নিয়ে বাসায় ফিরে যেতে পারেনি। চট্টগ্রামের তের বছর বয়সী নাজমা ধর্ষিতা হয়েছে। বরিশালের কোহিনূর আখতার কনা ঈদের ছুটি ভোগ শেষে ঢাকা আসার পথে সেখানকার বাসস্ট্যান্ডের কাছে সাত পাষণ্ডের ধর্ষণের শিকার হয়েছে। লালবাগ এলাকায় স্কুলছাত্রী রেহানার ধর্ষিতা হওয়ার খবর পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। পল্লবী থানা এলাকার ফারহানা অপহৃতা হয়ে ধর্ষিতা হয়েছে ঈদের আগের রাতে।

এভাবে প্রতিদিনের পত্রিকার পাতায় নারী নির্যাতনের দীর্ঘ তালিকা থাকে। এ সব নারী হত্যা, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ তথা নির্যাতনের আর্থ-সামাজিক কারণের পাশাপাশি অন্যতম কারণ হচ্ছে ইসলামের ফরজ পর্দা লঙ্ঘনজনিত কারণ।

এ জাতীয় অনেক ঘটনার মূল অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, যুবতী মহিলারা অপর যুবক পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশার কারণই বেশি। পর্দার বিষয়টিকে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যেভাবেই বিচার করা হোক না কেন Free style-এর বিষময় পরিণতি যে বর্তমানে দেশে-বিদেশে সর্বত্র নগ্নভাবে ধরা পড়ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের সমাজে আধুনিকতার নামে যেসব পরিবার নারীদের পর্দাকে এক সময় সেকেলে বলে জাতে ওঠতে ব্যস্ত ছিলেন, বর্তমানে ঐ জাতীয় পরিবারে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর ভুল বুঝাবুঝি, মেয়েদের পিতামাতার অবাধ্যতা ও যার তার সাথে মেলামেশার তিক্ত অভিজ্ঞতা সুস্পষ্ট।

বিপ্লব উত্তরকালে চীনের মাওসেতুং বেইজিং-এ এক যুব সম্মেলনে তরুণীদের এ কথা বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন যে, তোমরা টাইটফিট পোশাক পরিধান করবে না। কেননা তোমাদেরকে দেখে আমার যুবকদের কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে। অতিসম্প্রতি ফিলিপাইনের সিভিল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান প্যাটারিসিয়া স্টোটোমাস বলেছেন, মিনিস্কাট, উগ্র মেকাপ এবং রকমারী গহনা সরকারি কর্মকর্তাদের চিত্তি বহ্বল করে দেয়। তাই সরকারি সংস্থা ও অফিসে এ সাজসজ্জা নিষিদ্ধ। এক বেতার সাক্ষাতে তিনি বলেন, মহিলারা এমন পোশাক পরতে পারবে না, যাতে শরীরের বিশেষ উত্তেজক স্থান প্রদর্শিত হয়। মহিলারা সংক্ষিপ্ত পোশাক পরলে তাদের ইজ্জত-আব্রু ঢেকে রাখার জন্য সারাদিন কাপড় ধরে টানাটানি করতে হয়। হাফ প্যান্ট, জিনস শরীর চর্চার পোশাক ও কাঠ নির্মিত তালি দেয়া জুতা সরকারি কর্মজীবী মহিলাদের জন্য উপযোগী নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

আধুনিক সভ্যতা বলতে পাশ্চাত্য সভ্যতাকেই বুঝায় এবং এ সভ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্য  EAT DRAINK AND MARRY  খাও দাও ফূর্তি করো। যেভাবে যত পারো উপার্জন করো, যে যত উলঙ্গ হতে পারে, সে ততবেশি সভ্য ও প্রগতিশীল। বর্তমান সভ্যতার বাহাদুরী এখানে, কে কতটুকু দেহ অনাবৃত করতে পারল। সভ্যতার বদৌলতে নারী আজ পুরুষের প্রাইভেট সেক্রেটারি, উলঙ্গ মডেল কন্যা, অশালীন বেহায়া-বেশরম  প্রতারিত জিনাকারিনী, পুরুষের যৌনুধা নিবৃত্তির সামগ্রী, অঙ্গ দর্শনীর বস্তু, ইজ্জত ও সম্ভ্রম বর্জিত, পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের জননী। নারী এ হীন ও ঘৃণ্য অবস্থায় পতিত হওয়ার কারণ তথাকথিত প্রগতিশীলতা ও আধুনিকতা। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে বেগানা নারী-পুরুষ যখন নির্জনে ওঠাবসা করে তখন তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান। এ সময়ে শয়তান তাদের উভয়কে উভয়ের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় যাতে করে তাদের দ্বারা খারাপ কাজ সংগঠিত হয়। এ সময়ে একজন নারীকে কাছে পেয়ে পুরুষের পক্ষে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা, যৌন উত্তেজনা থেকে নিজকে সংযত করা বড়ই কঠিন। কেননা শয়তান বলেছে, বেগানা যুবক-যুবতী যখন এ অবস্থায় থাকে তখন তাদের দ্বারা পাপ কাজ করার জন্য আমি আমার সর্বশক্তি নিয়োগ করি।

বেগানা যুবক-যুবতীর সম্পর্ক চুম্বক ও লৌহদণ্ডের ন্যায়, চুম্বকের নিকট লৌহদণ্ড আনলেই তা আকর্ষণ করবেই। কোনো শক্তি এ আকর্ষণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। আরবিতে একটি প্রবাদ à¦†à¦›à§‡Ñ ‘আল ইনসানু হাবিছুন মিম্বা মুনিরা’ অর্থাৎ নিষিদ্ধ বস্তু পাওয়ার জন্য মানুষ বেশি ব্যাকুল থাকে, বাধা পেলেই পাওয়ার স্পৃহা বাড়ে। আবার সহজে কোনো জিনিস পেয়ে গেলে তার প্রতি দরদ কম থাকে। কষ্ট সাধনায় কোনো জিনিস  অর্জন করলে তার প্রতি মানুষের দরদ থাকে বেশি।

আমাদের আধুনিক উন্নত, সভ্য ও ভদ্র সমাজে নারীরা রাস্তায় বেরুতে পারে না। লুটেরা তাদের গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা ছোঁ মেরে ছিঁড়ে নেয়, কখনো তাদের পরনের শাড়ি খুলে দিগম্বর করে ফেলে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে অহরহ নারীরা ধর্ষিতা ও নির্যাতিতা হচ্ছে। ছাত্রীরা স্কুল-কলেজ ভার্সিটিতে শিক্ষক ও সহপাঠীদের দ্বারা ধর্ষিতা হচ্ছে। পথে ঘাটে, ট্রেনে বাসে, থানা হাজতে, চাকরিজীবী মহিলারা সহকর্মী ও কর্মকর্তাদের দ্বারা ধর্ষিতা হচ্ছে। চাকরি লোভ দেখিয়ে এক শ্রেণীর টাউট বাটপার ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে নিয়ে কেড়ে নিচ্ছে অর্থ ও ইজ্জত। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, বাসার কাজের মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছে গৃহকর্তার হাতে। আরো গোপন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। চাকরি ও রাজনৈতিক সুবিধার লোভ দেখিয়ে কলেজ ভার্সিটির ছাত্রী ও  নারী কর্মীদের বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করছে একশ্রেণীর নেতা নামের শয়তানেরা। এসব কোনো গল্প উপন্যাসের কথা নয়। আমাদের চারপাশের একদম সত্য ও তাজা ঘটনা।

বর্তমান সারা বিশ্বে নারী নির্যাতন মহামারী ব্যাধির মতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ ভয়াবহ ব্যাধি থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় আবার ইসলামকে ধারণ করা। এর ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। আধুনিক শিক্ষিত যুবক যুবতীরা ইসলামের কথা শুনেই ছ্যান্নত করে ওঠেন। বলেন, ওসব সেকেলে। এ যুগে অচল। তারা আলেয়াকে আলো ভেবে ছুটে চলছে ধ্বংসের দিকে। বর্তমান আদর্শহীন শিক্ষাই এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। যারা রসগোল্লা খাননি, দেখেননি তাদের কাছে রসগোল্লার স্বাদের ওয়াজ হাজারবার করেও বুঝানো যাবে না। তবু এ ওয়াজ ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনো ওয়াজ নেই।

বর্তমান বিশ্বে কোথাও ইসলামী হুকুমত কায়েম নেই। দু’একটা দেশে যেখানে শরয়ী বিধান কায়েম আছে সেখানে নারীরা এখনো অনেক নিরাপদে আছে। তারা পুরোপুরি মর্যাদায় অধিকার ভোগ করছে।

বিশ্ব দেখেছে যখন খিলাফতে রাশেদার যুগে সমাজে ইসলামী বিধান কায়েম ছিল, তখন একজন সুন্দরী তরুণী স্বর্ণালঙ্কার পরে সানা থেকে হাদ্রামাউত পর্যন্ত কয়েকশ’ মাইল নির্ভয়ে চলে যেত। তার দিকে কোনো পুরুষ ফিরেও তাকাত না। তখন নারীরা পেয়েছিল পরিপূর্ণ মর্যাদা স্বাধীনতা এবং অধিকার। শুধু নারীরাই নয়, ধনী-দরিদ্র শাসক শাসিতের মধ্যে উঁচু নিচু কোনো ভেদাভেদ ছিল না। একজন মরুচারী বেদুইন রাখাল সরাসরি শাসকের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারত।

দেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম হলে নারীরা আর নির্যাতিত হবে না, তারা পরিপূর্ণ মর্যাদা ও অধিকার ফিরে পাবে, দরিদ্র আর দরিদ্র থাকবে না। বেকার আর বেকার থাকবে না, কেউ ভাসমান আশ্রয়হীন থাকবে না, দেশের প্রতিটি নাগরিক পরিপূর্ণ অধিকার পাবে, সুখশান্তি ও কল্যাণ ফিরে আসবে। মহান আল্লাহ আমাদের জন্য জল স্থল আলো-বাতাস ও ভূগর্ভে অবস্থিত সব কল্যাণ বরকত ও সম্পদের দরজা খুলে দেবে না। তখন চারদিকে ধ্বনিত হবে সালামুন সালামুন।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।