সংবাদ শিরোনামঃ

ভোট ডাকাতির আশঙ্কা ** বাংলা সাহিত্য বিশ্বে ছড়িয়ে দিন ** দেশের রাজনীতি এখন ছাই চাপা তুষের আগুন ** বিশ্ব হিজাব দিবস পালিত ** হারলেন ট্রাম্প, টিকলেন হিলারি ** মধ্যবর্তী নির্বাচনের চাপ ** বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন খালেদা জিয়া ** অন্তর্দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত জাতীয় পার্টি ** মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আজও পূর্ণাঙ্গ হয়নি ** শিশু নির্যাতন ও অপহরণ বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ** নিশ্চিত অনিশ্চয়তার মুখে দেশ ** নাজাত লাভের উপায় ** যেভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ** নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাস করছে ** করতোয়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হুমকিতে তীরবর্তী স্থাপনা **

ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪২২, ২৫ রবিউস সানি ১৪৩৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

॥ এম গজনবী ॥
অর্থনীতিতে মন্দাভাব, বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগে ভাটা, ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়াসহ নানাবিধ চাপে সরকার আগামী এক বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে। চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথম দিকে নির্বাচন করার টার্গেট সরকারের। সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এমন আভাস দিয়েছে।

সূত্রটি বলেছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় খোদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই চাপা ক্ষোভ আছে। যে কারণে নৈতিকভাবে দুর্বল তারা। এ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারের বৈধতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচনকে কোনো মহলই মেনে নিতে পারছে না। সরকারের দুই বছর সময় পার হলেও নৈতিকভাবে দুর্বল থাকায় তিন বছরের মাথায় নির্বাচন দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে চায়। সিটি এবং পৌরসভা নির্বাচন যে স্টাইলে করেছে জাতীয় নির্বাচনও সে স্টাইলে করতে পারবে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলের ধারণা।

জানা গেছে, মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অনেক আগে থেকেই আলোচনা চলে আসছে। এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। দমন নীতি চালিয়ে, নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অনেকটা কোণঠাসা। অনেক নেতা জেলে। অনেকে মামলার ভয়ে পলাতক রয়েছে। ফলে এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন দিলে ফের ক্ষমতায় আসতে সহজ হবে। এ সব চিন্তা মাথায় রেখে দল ও সরকারের নীতিনির্ধারক মহল নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে তিন বছরের মাথায় নির্বাচন করার ব্যাপারে মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে মহাজোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টি সরকারে থাকা না থাকা নিয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ভাল না। সরকারের ধমকে দলটির চেয়ারম্যান জেনারেল এরশাদ আপাতত থেমে গেলেও এ দিয়ে সরকার দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। দুশ্চিন্তার আরো কারণ হলো দলটির নয়া কো-চেয়ারম্যান এরশাদের ছোটভাই জিএম কাদের সম্প্রতি নতুন নির্বাচন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারটি আওয়ামী লীগের নেতারা বারবার নাকচ করে বলছেন, আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকারের ৫ বছর মেয়াদ পূর্তি শেষে অর্থাৎ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্ম্দ নাসিম একাধিকবার বলেছেন মেয়াদ পূর্তির একদিন আগেও নির্বাচন হবে না। সভা সমাবেশে সিনিয়র নেতারা এমন বক্তব্য দিলেও দলটির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে সিলেটে এক সমাবেশে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, আগামী মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ এবং দলের কাউন্সিল শেষ করে সরকার জাতীয় নির্বাচন করা ঘোষণা দেয়ার চিন্তা করছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করতে পারলে স্থানীয় পর্যায়ে অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি তাদের থাকবে। সেক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন করলে জিতে আসার ক্ষমতার ভিত শক্ত হবে।

অভ্যন্তরীণ চাপ প্রবল

একতরফা নির্বাচন করে সরকার গঠনের পর থেকে দল, জোট  ও সরকারের ভেতরে বাইরে নানামুখী চাপ থাকা সত্ত্বেও দুই বছর পার করেছে। সরকার তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে।  বিরোধী দলকে কোণঠাসা করে রাখায় রাজপথে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম নেই। এটা সরকারের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে এনেছে। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে একতরফাভাবে নির্বাচন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে যেয়ে বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগে ভাটা পড়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের ভাবমূর্তি ুণœ হওয়ায় সরকারের প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিদেশীরা অর্থ বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে না। বিদেশী বিনিয়োগকারিদের আকৃষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তাদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পুঁজি বিনিয়োগে সকল ধরনের সুযোগ দেয়া হবে। এর পরও বিদেশীরা আসছে না।

শুধু বিদেশী বিনিয়োগ নয় দেশীয় বিনিয়োগও কমে গেছে। দেশী বিনিয়োগকারীরা বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ করছে। এর ফলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনেকটা ধমকে গেছে। শিল্পের প্রসার ঘটছে না। শিল্পকলকারখার গড়ে না উঠলে মানুষের কর্মসংস্থান হবে না। যে কারণে সার্বিক অর্থনীতিতে এখন মন্দা পরিস্থিতি বিরাজমান। জানা গেছে, বিরোধী দলের রাজনীতিতে আপাতত ভাটার টান মনে হলেও দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী সরকারের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মাঠে নামলে সরকারের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যেতে পারে। এমন আতঙ্ক বা শঙ্কা থেকে দেশীয় বিনিয়োগকারিরা পুঁজি বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছে না। এ জন্য অর্থনৈতিক স্থবিরতা বিরাজ করছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, সরকার চালাতে যেয়ে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে তাতে দল ও সরকারের অবস্থা ক্রমান্বয়ে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য ভেতর থেকে নীতিনিধারকদের উপর চাপ বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে নতুন করে নির্বাচন দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প রাস্তা সামনে খোলা নেই। তবে এ নিয়ে দলের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। এক পক্ষ বলছে নির্বাচন দেয়া ঠিক হবে না। কারণ নির্বাচন দিলে বিরোধী দল মাঠে নেমে গেলে পরিস্থিতি সরকারের প্রতিকূলে চলে যাবে। তখন ফের ক্ষমতায় আসা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। সুতরাং ক্ষমতার মেয়াদকাল পূর্ণ করা হোক।

এ দিকে অন্যদের অভিমত হলো নির্বাচন না দিলে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে না। ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে যে দুর্নাম হয়েছে তাকে ঢাকা দিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে। পুলিশ বাহিনীর উপর ভরসা করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। জোর করে ক্ষমতায় থাকার পরিনাম শুভ হয় না। পক্ষে-বিপক্ষের দ্বন্দ্বের পরও সরকারের নীতিনির্ধারক মহল নির্বাচন করার ব্যাপারে অনেকটা একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দলীয় চাপ থেকেই নির্বাচনমুখী হতে চলেছে।

শরীক দলেও নির্বাচনী চাপ : আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ক্ষমতার অংশীদারিত্বে রয়েছে। এই দুই দলের বাইরে যারা তাদের লাভ লোকসান বলে কিছু নেই। ক্ষমতার ভাগ তারা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ। এজন্য তারা চাচ্ছে একটা পরিবর্তন হোক। এই পরিরবর্তন হলো নির্বাচন। এমন কথা বললেন ১৪ দলের নেতারা। এ প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে বামপন্থী একাধিক নেতা বলেন, আমরা সমর্থন করলেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এতে দেশের এবং ১৪ দলীয় জোটের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে হলে নতুন নির্বাচনের বিকল্প নেই। দেশের মানুষেরও দাবি সেটা।

এ প্রসঙ্গে তারা আরো বলেন, জোর করে জাতীয় পার্টিকে ধরে রাখা হয়েছে। এভাবে বেশি দিন তাদের ধরে রাখা যাবে বলে মনে হয় না। সংসদে নামমাত্র বিরোধী দল। জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে পারে না। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলবো অথচ সকল দলের গণতান্ত্রিক অধিকার দেবো না তা কি করে হয়। আর যাই হোক বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের লাঠিপেটা করে দমিয়ে রাখা হয়েছে। লাঠির গণতন্ত্র টিকে না বেশি দিন। যে এরশাদকে নিয়ে আজ সরকার গঠন করা হয়েছে সেই এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে তাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। এর চেয়ে চাক্ষুষ প্রমাণ আর কি হতে পারে। সুতরাং সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগে সকল দলের অংশ গ্রহণে নতুন করে নির্বাচন দিলে গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

এদিকে জাতীয় পার্টি তো নতুন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দলটির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের ভাগিদার আমরাও। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকলেও চেয়েছিলাম বিএনপিসহ সকল দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু আওয়ামী লীগের কূটকৌশলের ফলে বিএনপি জোট নির্বাচন থেকে দূরে সরে থাকে। ফলে নির্বাচন সত্যিকার অর্থে হয়নি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন যেমন একতরফা হয়েছে জাতীয় সংসদও এখন একতরফাভাবে চলছে। বিএনপির মতো এতো বড় একটি দল আজ সংসদে নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সুতরাং নির্বাচন হলে সকলের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

ফের বিদেশী চাপে অস্থিরতা

আমেরিকা ব্রিটেনসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ থেকে সরকারের উপর নতুন করে নির্বাচন দেয়ার চাপ আসছে। তারা সরকারকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে না এলে বিদেশীরা পুজি বিনিয়োগ করবে না। বিরোধী দলকে জোর করে কোণঠাসা করে রাখায় তারা ক্ষুব্ধ। জাতীয় সংসদে তারা সকল দলের প্রতিনিধিত্ব দেখতে চাচ্ছে। বিরোধী নেতাদের অযথা হয়রানি না করতে বলেছে। বিরোধী দলকে মাঠে ময়দানে তাদের সভা সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। পুলিশ দিয়ে তাদের পেটানো হচ্ছে। তারা বলেছে সকল দলের অংশগ্রহণে ফের নির্বাচন দিতে হবে এবং এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, অতি সম্প্রতি একটি বৃহৎ দেশের বাংলাদেশেস্থ কূটনীতিক সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন। ওই কূটনীতিক আরো বলেছেন তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায়। এখানে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, এটা তাদের কামনা। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, বিদেশীদের ইঙ্গিত পাওয়ার পর এরশাদ জোট ভাঙ্গার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের সঙ্গে  পেরে ওঠেননি। কড়া অবস্থানে থাকায় এরশাদ আপাতত চাপ করে করে আছেন। তবে শেষ পর্যান্ত জাপাকে ধরে রাখা যাবে বলে মনে হচ্ছে না।

জানা গেছে, মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর এ ব্যাপারে আলোচনা করে ফয়সালায় আসতে হবে।

জানা গেছে, বিভিন্নমুখী চাপের কারণে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শেষ করতে চায়। এর মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করতে গেলে পদ্মাসেতু নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সত্যিসত্যি নির্বাচন করার ঝুকি নেবে কিনা সে ব্যাপারে শীর্ষ নেতৃত্ব অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে মধ্যে আছেন বলে জানা গেছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।