সংবাদ শিরোনামঃ

অর্থ লুটের মহোৎসব ** ভোটে আগ্রহ নেই মানুষের ** সারাদেশে গুম হত্যা আতঙ্ক ** ড. মাসুদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের মিছিল ** প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে : খালেদা জিয়া ** পানির জন্য হাহাকার ** ক্ষমতার নিশ্চয়তা পেলেই আগাম নির্বাচন ** তিস্তা এখন ধু ধু বালুচর ** তেলের দাম কমানোর নামে প্রহসন ** সরকার দায় চাপানোর কৌশল নিয়েছে ** আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে ** ওনারা বললে দোষ হয় না! ** মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কি সুদূর পরাহত? ** পার্বতীপুরে পানির জন্য হাহাকার ** টাঙ্গাইলের ছয় উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই! ** কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ বৈশাখ ১৪২৩, ২১ রজব ১৪৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

॥ কামরুল হাসান॥
বর্তমানে প্রতিনিয়ত হত্যাকাণ্ডের কারণে মানুষের ভেতরে বিচ্ছিন্নতার প্রবণতা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, চোখের সামনে এই ধরনের ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও কেউই প্রতিবাদ করতে পারছেনা, বিষয়টা এমন হয়ে গেছে যে, ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’।

গত ২৫ এপ্রিল সোমবার একাত্তর টেলিভিশনের ‘একাত্তর জার্নাল’ অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফেরদৌস হোসেন এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমার কাছে এই ঘটনা একটা সতর্কতার বিষয় মনে হচ্ছে। কারণ জুলহাজ মান্নানকে যখন তার বাড়িতে গিয়ে খুন করা হয় তখন ঘটনাস্থলে চিৎকার করা সত্ত্বেও তেমন কোনো লোক এগিয়ে আসেনি। এই খুনটা দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে জনগণের মধ্যে দুইটা বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত, মানুষের মধ্যে একটা ভয়ের সঞ্চার হয়েছে, যার কারণে মানুষ এগিয়ে আসেনি। যা আমার কাছে একটা সতর্কতার বিষয় বলে মনে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, জনগণ এমন ভীত-সন্ত্রস্ত যে এই ধরনের ঘটনা প্রতিহত করতেও সাহস পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এখন এই হত্যার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যদি বারবার বলা হয় যে, ‘এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি ঘটেনি।’ কিন্তু বাস্তবে এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে যার কারণে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় এবং আতঙ্কে আছে।

অধ্যাপক ফেরদৌস হোসেন বলেন, বর্তমানে সন্ধ্যার পর ঢাকাকে দেখবেন প্রায় জনশূন্য। তাতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কটা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে আতঙ্ক বোধ করছে। একজন শিক্ষক, একজন নারী কর্মী, একজন সাংবাদিকসহ সমাজের সবাই একটা আতঙ্কের মধ্যে আছে। এখন এই আতঙ্ক যদি রাষ্ট্র বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দূর না করতে পারে এবং এই বিষয়টা যদি ক্রমাগত চলতে থাকে তাহলে আমি মনে করি রাষ্ট্রকে একটা চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কাজেই কারও ওপরে দায় চাপিয়ে দেয়া বা দায় মুক্ত হওয়ার যে সংস্কৃতি বা প্রবণতা, এটাও কিন্তু আরেকটা শঙ্কার কারণ। তিনি বলেন, আমি মনে করি যার যার যে দায়িত্ব আছে সেটা ঠিকভাবে পালন করতে হবে এবং সরকারকে এই সকল দায়িত্ব নিয়ে জনগণকে চিন্তা মুক্ত করতে হবে। এবং প্রমাণ করতে হবে যে, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এটা না করে শুধু রাজনৈতিক শ্লোগান দিতে থাকব যে, অমুক এই করেছে তমুক এই করেছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য, এটা খুবই হতাশার বিষয়।

অধ্যাপক ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমার কথা হলো, যারা তদন্তের দায়িত্বে বা যারা গোয়েন্দা হিসেবে কর্মরত তাদেরকেতো এই বিষয়টা বের করার কথা যে, ঘটনাটার পিছনে কারা আছে, ঘটনাটা কেনো ঘটানো হয়েছে, কি কারণে ঘটেছে ইত্যাদি বিষয় তো তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এবং সেটা করতে হবে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে। কিন্তু তদন্ত হওয়ার আগেই আপনি দায় চাপিয়ে দিবেন এটাতো হতে পারে না। এই ধরনের দায় চাপিয়ে দেয়া আমার মনে হয় নিজের দায় থেকে মুক্ত থাকা। যেটা আমার কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, আমি মনে করি সরকারের উচিত হবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিক নির্দেশনা দেয়া এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হবে তাদের দায়িত্ব দায়িত্বের সাথে পালন করে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করা এবং অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা কম বেশি ঘটে থাকে। এখন আমি যদি বাইরের দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য উল্লেখ করে আমাদের দেশের কর্মকাণ্ডকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করি সেটা আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয় না। বিশ্বে এমনও দেশ আছে যেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা একেবারে শূন্যের কাছাকাছি। সেই সকল দেশের উদাহরণ কেন দেয়া হচ্ছে না? আসলে এইগুলো হচ্ছে নিজের ব্যর্থতাকে চাপা দেয়ার জন্যে উদাহরণ খুঁজে খুঁজে বের করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রে যদি এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে তাহলে কিন্তু মানুষের মধ্যে যে উদ্দীপনা, মানুষের যে কর্মক্ষমতার ব্যাপকতা তার ক্ষতি হবে। এবং আমরা যতই উন্নয়নের কথা বলি, সেই উন্নয়নকে যদি শক্ত করতে চাই মানুষের মধ্যে যদি বিশ্বাস আনতে চাই তাহলে একটা সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই দায়িত্বটা সরকারের। আর সরকার যদি এই দায়িত্ব পালন না করতে পারে তাহলে রাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

দিন দিন আস্থার জায়গাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে

দিন দিন আমাদের আস্থার জায়গাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোন বিষয় সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্ত পাওয়া যায় না এবং বিচারও পাওয়া যায় না। এখন শোনা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টেও টাকা পয়সার লেনদেন হয়। তাহলে বিশ্বাসের জায়গাটা কোথায়। এখন গণমাধ্যমের কর্মীদের রাজনীতির বাইরে থাকা উচিত কারণ তাদের কাছে অনেক তথ্য আসে যা কোন রাজনৈতিক নেতার কাছে আসে না। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আফসান চৌধুরি গত ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

আফসান চৌধুরি বলেন, শফিক রেহমান সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করতে হলে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমরা অনেকেই না জেনে তার সম্বন্ধে মন্তব্য করছি। পুলিশ রিমান্ডের পরে কি তথ্য দেয় সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। শফিক রেহমানকে তো কোন সংবাদ প্রকাশের অপরাধে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাহলেই জানা যাবে তিনি সত্যি অপরাধী না অন্য কোন কারণে তাকে আটক করা হয়েছে।

বিচার না পেলে মানুষ আগ্রাসী হয়ে ওঠে

বাংলাদেশের উন্নয়ন ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের দায়িত্ব সরকারের। আর এটার কোনো বিকল্প নেই। কারণ মানুষ বিচার না পেলে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে। বিশ্বের যে ৩০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগের পর্যায়ে রয়েছে বলে যুক্তরাজ্য মনে করছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে এই চিত্র দেখা যায়। এ েেত্র দুই প্রধান রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বন্দ্ব অবসান না ঘটার কথা উল্লেখ করা হয়।

গত ২২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টকশো ‘পূর্বাপর’-এ ২০১৫ সাল নিয়ে যুক্তরাজ্যের তৈরি বাংলাদেশের মানবাধিকারের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মানবাধিকারকর্মী ও ‘নিজেরা করি’ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক খুশী কবির এসব কথা বলেন। সাংবাদিক নাসরিন নাজনিন দোলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক মোহাম্মদ নূর খান।

খুশী কবির বলেন, দুই বড় দলের রাজনৈতিক বিরোধ থেকে ২০১৫ সালের শুরুর চার মাসের সহিংসতা, বিএনপির লাগাতার অবরোধ আহ্বান এবং দলটির নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়গুলো উল্লেখ করে ব্রিটিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, এর প্রভাবে জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। গত বছরের শেষে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ভোটের সংঘাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও আসছে বিভিন্ন সময়।

নূর খান বলেন, ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে হওয়ার ওপর জোর দিয়ে সব দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের আগে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম, ব্লগার হত্যা, সংবাদপত্র ও অনলাইনে মত প্রকাশের েেত্র কড়াকড়ি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সমস্যা হিসেবে অসাম্প্রদায়িক ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, স্বাধীন মত প্রকাশে বাধার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর দমন-পীড়ন ও গুম নিয়ে বাংলাদেশের এনজিওগুলোর বারবার বলা কথাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিচার পেতে দেরি হওয়ায় মানুষের মধ্যে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতার দিকটিও ইঙ্গিত করেছে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সংস্কারে যুক্তরাজ্যের ৩৭ লাখ পাউন্ড ও পুলিশ সংস্কার কর্মসূচিতে ১২ লাখ পাউন্ড সহায়তা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। মৃত্যুদণ্ড বিরোধী ইউরোপের দেশটি বাংলাদেশে ২০১৫ সালে অন্তত পাঁচজনের সর্বোচ্চ দণ্ড কার্যকরের বিষয়টি প্রতিবেদনে নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে তিনজন জামায়াত নেতা। বাংলাদেশে কর্মেেত্র নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও সমাজে এখনো নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে যুক্তরাজ্যের পর্যবেণ। নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহকে এ েেত্র অন্তরায় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ল্য ঠিক করা বাংলাদেশের সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে সহযোগিতার কথাও বলেছে যুক্তরাজ্য।

চুরির খবর পড়শীর ঘর থেকে শুনেছি

আমাদের ঘরে চুরি হয়েছে, সে খবর পড়শীর ঘর থেকে শুনেছি। আমরা তার খবর রাখিনি। রিজার্ভ চুরির পর রাখঢাক করার ব্যাপারটা আমার পছন্দ হয়নি। কোনও কিছু ছিনতাই ডাকাতি হলে আমরা চিৎকার করবো অব্যশই। কিন্তু না বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হওয়া কোন শব্দ হলো না। তখন যদি এটা নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরব হতো তাহলে তদন্তে আরও অগ্রগতি আসতো।

এটিএন নিউজের নিউজ আওয়ার এক্সট্রায় গত ২১ এপ্রিল ‘রিজার্ভ উদ্ধারে আশার আলো’ বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের সম্পাদক আবু সাঈদ খান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন আইটি বিশেষজ্ঞ জব্বার হোসেন।

আবু সাঈদ খান বলেন, এখন আমরা দেখছি এই রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে আমার দেশ থেকে ফিলিপাইনের সরকার বেশি তৎপর। আমরা মনে হয় ততখানি তৎপর হতে পারি নাই। ওরা অ্যাক্ট করছে আমরা রিঅ্যাক্ট করছি। আমরা সব কিছু যেন একটু গোপন করে করছি। সংবাদে শুনলাম তদন্ত কমিটির একজন সদস্য বলেছে এখনি প্রতিবেদন প্রকাশ না করা হোক। তাতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। কিন্তু না আমার ঘরে চোর থাকলে তার বিচারের মধ্যেই দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা ঢেকে রাখা বা গোপন রাখা কোন যৌক্তিক বিষয় না। আমরা জনগণই দেশের মালিক অতএব জনগণকে বিষয়টি জানাতে হবে। এটা সময়ের ব্যাপার, তাতে সম্মান হারাবার কিছু হয় নাই। চুরি হয়েছে এতে আমাদের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে তাতে আমরা শুধরাতে পারছি। জব্বার হোসেন বলেন, চুরি যাওয়া সম্পদ দেশের। তাই সেটি কোথায় গেল, কিভাবে গেল, কার দ্বারা গেল, কার কার গাফিলতি ছিলো, কে কে দায়ী ছিলো, কোন দেশের কতজন ছিলো তা কিন্তু বিদেশীদের কাছ থেকে জানতে পারছি। এখানে এই ঘটনায় দেশের কতজন ছিলো জড়িত সে কথা চিন্তাভাবনা না করার কোন কারণ আমি পাই না। আমার কাছে স্পষ্ট বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সার্ভার সুইফট কোড ডিল করে সেই সার্ভারে ম্যালওয়ার ঢুকেছে ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কোন অ্যাকশনে যায়নি। এটা আমার মাথায় আসে না। যেটি দেশের সর্বোচ্চ ব্যাংক, বিলিয়নস ডলার বিদেশে আছে, যার সাথে সুইফট কোডের সম্পর্ক আছে সেখানে কেমন করে দীর্ঘ সময় চুপ থাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ?

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর যতটা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন ছিল তা আজও হয়নি : ‘বিশ্বে কোনো একক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যার বিচারে শুধু নয়, শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে উদাসীনতা ও লোভের বিচারেও রানা প্লাজা ধস ছিল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। সেদিন শ্রমিকরা কারখানায় ঢুকতে চায়নি। কিন্তু ভবনের মালিক ও ভেতরে অবস্থিত চারটি কারখানার মালিকদের কাছে দ্রুত অর্ডারের সাপ্লাই নিশ্চিত করাই ছিল প্রধান বিষয়। এতে মুনাফা নিশ্চিত হলেও শ্রমিকদের যে ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া হলো, তা নিয়ে তাঁদের কোনো চিন্তা ছিল না। সমগ্র বিশ্বকে আজ একটি সিগন্যাল দেওয়া প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে, প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা উপার্জন চলবে না। তবে কেউ কেউ বলতে পারেন, এই শিল্প বাংলাদেশের ৪৪ লাখ শ্রমিকের চাকরির নিশ্চয়তা দিচ্ছে, ২৪ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় সৃষ্টি করছে। বিশ্বে তুলা উৎপাদনকারী দেশ না হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। সামনে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা।’ গত ২৪ এপ্রিল রোববার রাতে সাংবাদিক রাহুল রাহার সঞ্চালনায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টকশো ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির ও টিআইবির কর্মকর্তা নুরুল হাসান। ওয়াজেদুল ইসলাম খান আরো বলেন, “বাংলাদেশের বিদ্যমান পোশাকশিল্পের ইতিহাস কমবেশি ৩০ কি ৩৫ বছরের। এই সময়ে একটি শিল্পের এ রকম উল্কাসদৃশ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে সস্তা শ্রমসহ কতগুলো বিশেষ সুবিধা ও নিয়ন্ত্রণহীন বিকাশের সুযোগ থাকার কারণে। যেমন ধরুন, ভাড়া করা বাসাবাড়িতে ছোট্ট একটি মেশিন বসিয়ে একটি পোশাকশিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে, শিল্পের স্ট্যান্ডার্ড আইনে তা কখনো অনুমোদনযোগ্য ছিল না। পরবর্তী ধাপে এটা ‘শেয়ারড’ বিল্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে। রানা প্লাজায়ও একইভাবে চার-চারটি ফ্যাক্টরি একই বিল্ডিংয়ে ভাড়া নিয়ে চালু ছিল। এভাবে এই দুর্ঘটনার পর যতটা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন ছিল তা আজও হয়নি।”

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।