সংবাদ শিরোনামঃ

অর্থ লুটের মহোৎসব ** ভোটে আগ্রহ নেই মানুষের ** সারাদেশে গুম হত্যা আতঙ্ক ** ড. মাসুদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের মিছিল ** প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে : খালেদা জিয়া ** পানির জন্য হাহাকার ** ক্ষমতার নিশ্চয়তা পেলেই আগাম নির্বাচন ** তিস্তা এখন ধু ধু বালুচর ** তেলের দাম কমানোর নামে প্রহসন ** সরকার দায় চাপানোর কৌশল নিয়েছে ** আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে ** ওনারা বললে দোষ হয় না! ** মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কি সুদূর পরাহত? ** পার্বতীপুরে পানির জন্য হাহাকার ** টাঙ্গাইলের ছয় উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই! ** কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ বৈশাখ ১৪২৩, ২১ রজব ১৪৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

॥ গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী॥
ইন্দোনেশিয়ার নিকটতম প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়া। বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সর্ববৃহত্তর মুসলিম দেশ হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বমানচিত্রের এ দেশটি ‘রিপাবলিক অফ ইন্দোনেশিয়া’ নামে পরিচিত। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী হচ্ছে জাকার্তা। জনসংখ্যা পচিশ কোটিরও বেশি। বহু ভাষাভাষি ধর্ম ও বর্ণের মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া, যার রাষ্ট্র ভাষার অফিশিয়াল নাম ‘ইন্দোনেশিয়ান’ যা প্রায় মালয় ভাষার মতোই উচ্চারিত। তবে ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ মানুষই মালয় ভাষায় কথা বলতে পারেন। ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার নাম ‘রুপি’। সরকারিভাবে স্বীকৃত ছয়টি ধর্মের লোক ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। তার মধ্যে ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিম, প্রোটেস্টিয়ান খ্রিস্টান, ক্যাথলিক খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও কনফুসিয়ান। মোট জনসংখ্যার ৮৭.২% মুসলিম, ৬.৯% প্রোটেস্টিয়ান খ্রিস্টান, ২.৯% ক্যাথলিক খ্রিস্টান, ১.৭% হিন্দু, ০.৭% বৌদ্ধ আর ০.০৫% কনফুসিয়ান।

ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম হলেও তাদের আচার আচরণ চলন বলন অনেকটা ভিন্ন ধর্মের প্রকৃতির মিশ্রণ আছে। ইসলাম আর মুসলিমের আচার আচরণে ধর্মীয় যে ভাবগাম্ভীর্য থাকার কথা তা তাদের অনেকেরই মধ্যে নেই বললেই চলে।  ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পূর্ব তিমুর ও অস্ট্রেলিয়া। 

হাজার হাজার দ্বীপ জঙ্গল পাহাড় টিলা নদ-নদী আর সাগর বেষ্টিত এই দ্বীপ দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় দেড়গুণেরও বেশি। ইন্দোনেশিয়ার মোট আয়তন প্রায় ২ মিলিয়ন স্কয়ার কিলোমিটার। কৃষি আর মৎস্য শিকারই তাদের প্রধান পেশা। ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে সেখানকার পর্যটন শিল্প। সারা পৃথিবীর পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ আর বিশ্বের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে বালি ও জাভা দ¦à§€à¦ª যা ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা আর বালি ও জাভা দ্বীপ ছাড়াও পর্যটক আকৃষ্ট করার মতো আরো অনেক দর্শনীয় দ্বীপ ও শহর আছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কালিনতান বা বর্ননিও, সুমাত্রা, সুরাবায়া, উবুদ, ইয়াওকারটা, বিনতান দ্বীপ, লোমবক আর ব্যানডাংগ অন্যতম। ছোট বড় দ্বীপ জঙ্গল আর নদ-নদী ও সাগর বেষ্টিত ইন্দোনেশিয়ার স্থল ভাগের চাইতে জলভাগের পরিমাণ অনেক বেশি। ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে হাতি আর বাঘ, নদীতে কুমির ও প্রচুর ড্রাগনের দেখা মেলে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে অধিকাংশই সাগর বা নদ-নদী থেকে মৎস শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

হাজারো সমস্যা আর সম্ভাবনার দেশ ইন্দোনেশিয়া। মোট জনসংখ্যার বিরাট একটা অংশ মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ আফ্রিকা আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাস জীবন যাপন করে। তার মধ্যে প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়াতেই বসবাস করে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ লাখ বা তার চাইতেও বেশি। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নারী-পুরুষ ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশার ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ প্রবাস জীবন যাপন করে মালয়েশিয়ায়।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ ভাষাগত কারণে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানির অফিস, ছোট বড় দোকান বা শো রুম, হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন পেশায় চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মালয় ভাষা জানার কারণে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। তাছাড়াও ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ ইংরেজি ভাষায়ও পারদর্শী। কারণ তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক। মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকদের মধ্যে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী, মসজিদের ঈমাম, মুয়াজ্জিন, মাদরাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও আছেন।

কুয়ালালামপুর প্রিমিয়ার কলেজের শিক্ষক ‘হাসিম জানি’। যিনি উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন মালয়েশিয়ায় আইআইইউএম থেকে। বর্তমানে তিনি শিক্ষকতা করছেন। তাকে প্রশ্ন করা হলো, ‘ইন্দোনেশিয়ায় প্রচুর স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে আপনি মালয়েশিয়ায় কেন এলেন?’ তার জবাব ছিল, ‘শিক্ষাসহ সার্বিকভাবে পরিবেশগত কারণেই মালয়েশিয়া এসেছি। পড়াশোনা শেষ করে কিছু একটা করতে হবে, সুযোগ পেলাম তাই সম্মানের পেশা হিসেবে শিক্ষকতাই বেছে নিলাম। এখানে প্রচুর স্বদেশী (ইন্দোনেশিয়ান) ছাত্র-ছাত্রী আছে তাদের প্রতিও একটু দায়িত্ববোধ কাজ করছে, তাই এখানেই থেকে গেলাম।’ 

ভাষাগত কারণ ছাড়াও মালয়েশিয়ার প্রতিবেশী দেশ হওয়াতে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাবও খাটাতে দেখা যায়। মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ ঐক্যবদ্ধও বটে যা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে মোটেও তা দেখা যায় না। প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ তাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সম্মিলিতি প্রচেষ্টা চালায়। তাছাড়াও যে কোনো প্রয়োজনে তাদের দেশের দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা ও পাওয়া যায়।

অপরদিকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের মালয় ভাষা বা ইংরেজি না জানার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাকরি প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। তবে কঠোর পরিশ্রমের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশী শ্রমিকদের কদর হচ্ছে নির্মাণ শ্রমিক বা কল-কারখানার শ্রমিক হিসেবে। বলা হয়ে থাকে যে, ‘মালয়েশিয়ায় এমন কোনো উঁচু ইমারত নেই যাতে বাংলাদেশী শ্রমিকের ঘাম নেই।’ তারপও বাংলাদেশী কোনো শ্রমিক কোথাও কোনো সমস্যায় পড়লে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কোনো কাজে আসেনি বলে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে আর প্রবাসীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার ঐক্যও গড়ে ওঠেনি।

মালয়েশিয়া সরকার তাদের দেশের অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার জন্য যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস তা যথাযথভাবেই সম্পন্ন করে যাচ্ছে। অতএব, কারণে ইন্দোনেশিয়ান প্রায় সকল অবৈধ শ্রমিকগণ বৈধতা পেতে তেমন কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া সরকারের অবৈধ শ্রমিক বৈধকরণের আওতায় ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, মায়ানমার, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ইন্ডিয়া, পাকিস্তানসহ প্রায় সকলদেশের নাগরিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশী অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার সহযোগিতার ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশী প্রবাসী অবৈধ শ্রমিকদের পাসপোর্ট পাওয়ার বিড়ম্বনার কথা সর্বজনবিদিত। ভুক্তভোগীদের এমনও অভিযোগ আছে যে, ৭ থেকে ৮ মাসেও তারা অনেকেই তাদের পাসপোর্টের দেখা পায়নি। একশত ১৬ রিংগিতের পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হয় কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন শত রিংগিত।

সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ আমপাং এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে স্থানীয় সময় ভোর রাত ৫টা থেকে পাসপোর্টের জন্য লাইন ধরতে দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের কাক্সিত পাসপোর্ট পাওয়ার পরিবর্তে অনেকেই বিকালে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হয়। ম্যানুয়াল পাসপোর্টের পরিবর্তে ডিজিটাল পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আর যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য জন্মনিবন্ধন, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট বা নাগরিকত্ত্ব সনদ অত্যাবশ্যক। তাছাড়াও আছে দালাল আর অতিরিক্ত লেনদেনসহ প্রতিনিয়ত নানান হয়রানি, যার শিকার হতে হচ্ছে বলে প্রবাসী ভুক্তভোগী শ্রমিকগণ অভিযোগ করেছেন। অথচ ইন্দোনেশিয়ান অবৈধ শ্রমিকদের পাসপোর্ট পেতে এহেন ঝামেলা মোটেও নেই আর তাদের পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে সর্ব্বোচ্চ ২ থেকে ৩ দিন। তাতে না আছে অবৈধ লেনদেন আর না আছে দালালের ঝামেলা।

ইন্দোনেশিয়ার প্রবাসী নাগরিক ‘আবদুন নূর’। বিয়ে করেছেন ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে। বিয়ের পর হানিমুনের জন্য জাহাজে চড়ে এসেছেন মালয়েশিয়ার বন্দর নগরী পেনাং। এখানে এসে তাদের কাছে পেনাং শহরটা খুবই ভালো লেগে যায়। শহরটা অপরিচিত হলেও এখানকার ভাষা ও মানুষগুলো যেন তাদের অনেক পরিচিত। তারা চিন্তা করল এখানে থেকে যাবে। এখানে থাকতে হলে তো কিছু একটা করতে হবে, তাই পরের দিন কাজের সন্ধানে বের হলেন।

ভাষা আর চেহারার মিল থাকার কারণে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ পেয়েও গেলেন। ইন্দোনেশিয়ান এই দুই নাগরিক সেই থেকে আসা আর মালয়েশিয়ায় থাকা। বর্তমানে তাদের দু‘টি সন্তানও আছে। মালয়েশিয়া সরকারের অবৈধ শ্রমিক বৈধ করার ঘোষণা দেয়ার পর তারা স্বপরিবারে বৈধতার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। তাদের ৪ জনের পাসপোর্ট পেতে সময় লেগেছে মাত্র ৩ দিন।

ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকগণ প্রতিদিনই বৈধ কি অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় আসছে। প্রতিবেশী দেশ হওয়ার কারণে অল্প খরচে আর অল্প সময়ে সাগর পথে বা বিমানে ইন্দোনেশিয়ান লোকেরা সহজেই মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করতে পারছে। জাকার্তায় অবস্থিত মালয়েশিয়ান দুতাবাস একদিনের জন্যও ইন্দোনেশিয়ানদের ভিসা দেয়া বন্ধ করেনি বা বন্ধ করতে পারেনি অথচ আজ দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান দুতাবাস বাংলাদেশী স্কিল শ্রমিকদের (প্রফেশনাল) ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে এ ব্যাপারে সরকারের কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না।

মালয়েশিয়া প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। ইন্দোনেশিয়ান নারী শ্রমিকগণ অনায়াশেই যে কোনো দেশের শ্রমিকদেরকে বিয়ে করে মালয়েশিয়াতে ঘর সংসার করছে। আবার ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ শ্রমিকগণও অনেকেই মালয় মহিলা বিয়ে করে এদেশের নাগরিকত্বসহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।

ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকদের অনেকেরই মধ্যে স্বদেশে যেমন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা নেই বললেই চলে, তেমনি প্রবাসেও তাদের চাল চলনে আচার আচরণে ধর্মানুভূতি বা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা নেই। তবে স্বদেশে কি বিদেশে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকদের সংখ্যাগুরু মুসলমানের মধ্যে খুবই অল্প সংখ্যক মুসলিম নাগরিক আছেন যারা যথাযথভাবেই ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করছেন।

মালয়েশিয়াতে বসবাস করছে এমন প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকদের অধিকাংশই অমুসলিমদের মতোই জীবন যাপন করছে। ইন্দোনেশিয়ান আর মালয়েশিয়ান নাগরিকদের মধ্যে ভাষা আর চেহারায় তেমন কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে। তবে আচার আচরণ আর চাল চলনে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। ফলে ক্ষেত্র বিশেষে স্থানীয় মালয়েশিয়ান লোকেরা তামিলদের মতো ইন্দোনেশিয়ান প্রবাসীদেরকেও এড়িয়ে চলতে দেখা যায়। কারণ স্থানীয় মালয়েশিয়ান লোকেরা সাধারণত: শান্ত প্রকৃতির ও ধর্মভীরু আর প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ানগণ অনেকটা ইন্ডিয়ান তামিলদের মতো উগ্র ও উচ্ছৃঙ্খল। প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ানদের নিজেদের মধ্যে কখনো ঝগড়া বাধতে দেখা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো বিদেশীর সাথে কোনো কারণে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরলে বা ঝগড়া বাঁধলে তারা সকলে মিলে এক সাথে ছুটে আসে। সাধারণত প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করলেও বিদেশীদের সাথে কখনোই ঝগড়া করতে দেখা যায় না। প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ সহজেই যে কোনো দেশের নাগরিকদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারে। সংক্ষেপে বলা যায় মালয়েশিয়াতে প্রবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকগণ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।