সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

মতিউর রহমান আকন্দ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ওহুদ যুদ্ধের পর্যালোচনা

যুদ্ধ হচ্ছে কঠোর শৃঙ্খলা, কৌশল, দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা ও নেতৃত্বের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ওহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে সরাসরি পর্যালোচনা করেছেন। মুসলমানদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে তাদেরকে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দ্বীন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পরিচালিত সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে জটিল পরিস্থিতিতে আন্দোলনের কর্মীদের ভুল-ত্রুটি পর্যালোচনা করে দুর্বলতাসমূহ চিহ্নিত করা ও তার প্রতিকার করা আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অপরিহার্য দায়িত্ব। এ ধরনের পর্যালোচনা ব্যতীত দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করা ও সঠিক পন্থা নিরুপণ করা কখনো সম্ভব নয়।

যে যুদ্ধে শৃঙ্খলা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় না, নেতার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় না কিংবা মোকাবেলায় দৃঢ়তার ঘাটতি থাকে সে যুদ্ধে বিপর্যয় অনিবার্য। যুদ্ধের নেতৃত্ব যিনি দেন তার প্রাণ সবচেয়ে মূল্যবান। নেতার প্রাণ রক্ষার জন্য কর্মীদের অকাতরে জীবন দান যুদ্ধ জয়ের অন্যতম শর্ত। ওহুদ যুদ্ধের প্রতিটি দিক সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন।

ইবনে ইসহাক বলেন, “ওহুদ যুদ্ধ ছিল চরম পরীক্ষা ও মুসিবতের দিন। এটা দিয়ে আল্লাহ মু’মিনদের পরীক্ষা ও মুনাফিকদের যাচাই বাছাই করেন। যারা মুখে ঈমানের দাবি করত কিন্তু মনে মনে গোপনে কুফরী ধ্যান-ধারণা পোষণ করত এই দিন তারা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল। আর আল্লাহ তাঁর যেসব প্রিয় বান্দাকে শাহাদাতের সম্মানে ভূষিত করতে চেয়েছিলেন এ দিন তাদেরকে শাহাদাত দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন।”

ওহুদ যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেন, ‘শত্রু সম্প্রদায়ের সন্ধানে তোমরা হতোদ্যম হয়ো না। যদি তোমরা যন্ত্রণা পাও তবে তারাও তোমাদের মতো যন্ত্রণা পায় এবং আল্লাহর কাছে তোমরা যা আশা করো তারা তা আশা করে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা নিসা, আয়াত- ১০৪)

এই আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন কষ্ট দেয়া এবং কষ্ট অনুভব করার ক্ষেত্রে এক বাহিনীকে অন্য বাহিনীর সাথে তুলনা করেছেন।

পরবর্তী সময়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে এই যুদ্ধের প্রতিটি দিকের ওপর আলোকপাত করা হয়। পর্যালোচনা করে এমন সব কারণ চিহ্নিত করা হয় যেসব কারণে মুসলমানদের এতো বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কুরআনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে, এই অভিযানে ঈমানদার এবং সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মতদের কি কি দুর্বলতা ছিল।

পবিত্র কুরআন মোনাফেকদের ভূমিকা উল্লেখ করে তাদের অবস্থা খোলাখুলি প্রকাশ করেছে। তাদের অন্তকরণে আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে লুকিয়ে থাকা শত্রুতার প্রকাশ করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে। সহজ সরল মুসলমানদের মধ্যে মোনাফেক এবং তাদের সাথী ইহুদিরা যেসব প্রচারণা চালিয়েছে তাও তুলে ধরা হয়েছে। এরপর এই যুদ্ধের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই যুদ্ধ সম্পর্কে সূরা আলে ইমরানের ৫০টি আয়াত নাজিল হয়েছে। সর্বাগ্রে যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ পাক বলেন, ‘স্মরণ করো যখন তুমি তোমার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্য মোমেনদেরকে ঘাঁটি স্থাপন করছিলে এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত- ১২১)

এই অভিযানের ফলাফল এবং হেকমত সম্পর্কে সুবিন্যস্তভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘অসৎকে সৎ হতে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় রয়েছ, আল্লাহ পাক মোমেনদের সেই অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না। অদৃশ্য সম্পর্কে আল্লাহ তোমাদেরকে অবহিত করবার নন, তবে আল্লাহ তাঁর রসূলদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন। ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলদের ওপর ঈমান আন। তোমরা ঈমান আনলে ও তাকওয়া অবলম্বন করে চললে তোমাদের জন্য মহাপুরস্কার রয়েছে।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত- ১৭৯)

ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের যে সঙ্কট ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এর মধ্যে আল্লাহ পাকের হেকমত লুকায়িত ছিল। যেমন, মুসলমানদের তাদের কাজের মন্দ পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া। তীরন্দাজদের নিজেদের অবস্থানস্থলে অবিচল থাকার যে নির্দেশ আল্লাহর রাসূল দিয়েছিলেন তারা সেই নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে। এ কারণেই তাদেরকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এছাড়া পয়গম্বরের নিকট সেই সুন্নতের কথা প্রকাশ করাও উদ্দেশ্য যে, প্রথমে তারা পরীক্ষার সম্মুখীন হন এরপর সফলতা লাভ করেন। যদি মুসলমানরা সব সময় জয়লাভ করতে থাকে তাহলে ঈমানদারদের মধ্যে এমন লোকও প্রবেশ করবে যারা প্রকৃত ঈমানদার নয়। এর ফলে সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদীর মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব হবে না। এদিকে যদি সব সময় পরাজয়ের সম্মুখীন তারা হয় তাহলে আল্লাহর নবীর আবির্ভাবের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাবে। এ কারণে আল্লাহ পাকের হেকমতের কারণেই উভয় রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাতে করে সত্য মিথ্যার পার্থক্য নিরূপিত হতে পারে। কেননা মোনাফেকদের নেফাক মুসলমানদের মধ্যে লুকায়িত রয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর এবং কথা ও কাজের মাধ্যমে মোনাফেকদের পরিচয় পাওয়ার পর মুসলমানরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাদের ঘরের ভিতরেই শত্রু রয়েছে। এর ফলে মুসলমানরা তাদের ব্যাপারে সতর্ক হন এবং মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন চান যে, তাঁর দুশমনরা ধ্বংস হোক, এ কারণে তাদের জন্য ধ্বংসের উপকরণও সৃষ্টি করেছেন। কুফরী, জুলুম অত্যাচার এবং আউলিয়ায়ে কেরামকে কষ্ট দেয়ার ক্ষেত্রে তারা সীমাহীন ঔদ্ধত্য এবং বাড়াবাড়ির পরিচয় দিয়েছে। তাদের এসব আমলের পরিণামে ঈমানদারদের ধৈর্য সহিষ্ণুতায় খুশী হয়ে আল্লাহ পাক ঈমানদারদের পাকছাফ করে দিয়েছেন এবং কাফেরদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। (ফতহুল বারী)

ওহুদ যুদ্ধ ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য শিক্ষণীয় ঘটনা বলে বিবেচিত হবে।

এই যুদ্ধের পর্যালোচনা করতে গিয়ে কুরআন মুসলমানদের মধ্যে তখনো বিদ্যমান ভুলত্রুটি ও দুর্বলতার কঠোর সমালোচনা করে। তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দেয়। (আল ইমরান-১২৫)

ধন-সম্পদের যে বাছবিচারহীন লালসা সুদী লেনদেনের প্ররোচনা দিয়ে থাকে এবং যুদ্ধের ময়দানে গনীমত লাভের জন্য অস্থিরতার সৃষ্টি করে থাকে, সেই লোভ লালসা পরিহার করার নির্দেশ দেয়। তাদেরকে পরোক্ষভাবে বুঝায় যে, সুদখোরী ও লোভাতুর মানসিকতা নিয়ে ধৈর্য ধারণ, শৃঙ্খলা রক্ষা এবং কোন উচ্চতর লক্ষ্য অর্জনের জন্য ঐতিহাসিক লড়াই করা যায় না। এই মানসিক প্রেক্ষাপটের সুযোগ নিয়ে সুদ সম্পূর্ণরূপে হারাম করা হয়। (আল-ইমরান-১৩০)

তাদেরকে বলা হয় যে, ইসলামী বিপ্লবের ঝাণ্ডা তারাই বহন করতে পারে, যারা সুদ ও ধন সম্পদের মোহে অন্ধ না হয়ে বরঞ্চ ধন সম্পদ মহত উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং ভাবাবেগে প্রবাহিত না হয়ে ভাবাবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। (আল ইমরান-১৩৪)

এ কথাও জানিয়ে দেয়া হয় যে, যে ব্যক্তি দুনিয়াবী স্বার্থ অর্জনের জন্য কাজ করবে, সে দুনিয়ায় যা কিছু পাবে, তা-ই হবে তার চূড়ান্ত প্রাপ্তি। আখেরাতে তার কিছুই প্রাপ্য থাকবেনা। আর যে ব্যক্তি নিজের পার্থিব স্বার্থের ক্ষতি করে আখেরাতের কল্যাণ অর্জন করতে চাইবে, তার কাজের উপযুক্ত মূল্য দেয়া হবে। (আল ইমরান- ১৪৫)

তাদেরকে এ কথাও বুঝানো হয় যে, একটা আঘাত খেয়েই তোমরা মর্মাহত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে বসে থেকনা। আজ যদি তোমরা আঘাত খেয়ে থাক, তবে কাল শত্রুরাও তোমাদের হাতে আঘাত খেয়েছে। যে কোন সংঘাত সংঘর্ষে চড়াই-উৎরাই বা জয় পরাজয় তো থাকবেই। কিন্তু নিশ্চিত থাক যে, চূড়ান্ত বিজয় তোমাদেরই হবে। (আল ইমরান- ১৩৯-১৪০)

এরপর তাদেরকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সতর্ক করা হয় যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত কোন সস্তা পণ্য নয়। এ সৌভাগ্য কেবল তারাই লাভ করতে পারে, যারা আল্লাহর পথে জান ও মাল উৎসর্গ করতে পারে এবং ধৈর্য ও দৃঢ়তার পরিচয় দিতে পারে। ছাঁটাই বাছাই করে সাচ্চা ঈমানদার ও সত্যের সাক্ষ্য দানের যোগ্য লোক নির্ধারণ কেবল এই সব কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। (আল-ইমরান: ১৪০-১৪২)

ওহুদের ময়দানে রাসূল (সা.) এর শাহাদাতের গুজবের ফলে সৃষ্ট চরম হাতাশাব্যঞ্জক প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে, মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহ নন, তিনি একজন রাসূল মাত্র। অতীতের নবী রাসূলগণ যেমন মারা গেছেন, তেমনি মুহাম্মাদকেও (সা.) একদিন না একদিন তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবেই। সুতরাং তাঁর তীরোধানে তোমরা ইসলামী আন্দোলন সংগ্রামের সমস্ত কর্মসূচি সিঁকেয় তুলে রাখবে এবং হাত পা গুটিয়ে বসে à¦¥à¦¾à¦•à¦¬à§‡Ñ à¦à¦Ÿà¦¾ কিভাবে বৈধ হতে পারে। (আল-ইমরান: ১৪৪)

বস্তুত রাসূল (সা.) এর প্রতি একনিষ্ঠ ভালোবাসার কারণেই অমন হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল। আরো বলা হয়েছে যে, পূর্বতন নবীগণের সাথে জেহাদ করে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে এবং বাতিলের সামনে মাথা নোয়াতে প্রস্তুতি হয়নি, তাদের আদর্শের অনুসারী হয়ে তোমাদের গড়ে ওঠা উচিত। কেননা আল্লাহ ঐ ধরনের ধৈর্যশীলদেরকেই ভালোবাসেন। (আল-ইমরান: ১৪৬)

এই মৌলিক শিক্ষাগুলো দেয়ার পর মুসলিম বাহিনীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে যে মর্মান্তিক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল, কুরআন তার ছবি তুলে ধরেছে ঃ

“আল্লাহ সাহায্যের যে প্রতিশ্রুতি তোমাদের দিয়েছিলেন, তা তিনি পূর্ণ করেছেন। প্রথমে আল্লাহর হুকুমে তোমরাই তাদের হত্যা করছিলে। কিন্তু পরে যখন তোমরা দুর্বলতা দেখালে এবং পরস্পর দ্বিমত পোষণ করলে, তখন আল্লাহ তোমাদের লোভনীয় জিনিস তোমাদের দেখানো মাত্রই তোমরা নিজেদের নেতার হুকুম অমান্য করে বসলে। কেননা তোমাদের কিছু লোক দুনিয়ার জন্য লালায়িত ছিল এবং কিছু লোক আখেরাতের অভিলাষী ছিল। তখন আল্লাহ তোমাদেরকে কাফেরদের মোকাবেলায় পিছু হটিয়ে দিলেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে। তারপরও আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দিলেন। কেননা মোমেনদের ওপর আল্লাহ খুবই অনুকম্পাশীল।

(চলবে)

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।