সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

কুড়িগ্রামে মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা

আমানুর রহমান খোকন, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম জেলার সর্বত্রই ইরি বোরো মওসুমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। চলতি মওসুমে রোগবালাই কম হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে ১৬ থেকে ১৭ মণ করে ধানের ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের মধ্যে ব্যবধান থাকায় কৃষকরা দারুনভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

কৃষকরা জানান, প্রতিবিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে তাদের ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে। এছাড়া জমি তৈরি, চারা রোপণ, সেচ, সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করতে অগুনিত টাকা গুনতে হয়েছে। অথচ বাজারে প্রতিমণ ধানের দাম ৪৫০ থেকে ৫শ টাকা। সব মিলে হিসাব করলে ধানের উৎপাদন খরচই উঠছে না। এ অবস্থায় আমরা সাধারণ কৃষকরা মরণদশায় পড়ে গেছি।

জেলার বড় হাট নাগেশ্বরী, যাত্রাপুর, দুর্গাপুর, রায়গঞ্জ ও ভিতরবন্দ হাট ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা ঠেলাগাড়ি, রিকসা ও ভ্যানগাড়ি বোঝাই করে ব্রি-২৮ জাতের ধান বিক্রী করতে নিয়ে এসে ক্রেতা না পেয়ে ফেরৎ নিয়ে যাচ্ছেন এবং অনেকে প্রয়োজন মেটাতে উপায়হীন হয়ে পানির দরে ৪৫০ থেকে ৫শ’ টাকা দরে বিক্রী করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে হাট বাজারগুলোতে ধান ব্যবসায়ীরা নিজে কেনাকাটা না করে ছোটছোট ফরিয়া ও পাইকারদের মাধ্যমে অল্প মূল্যে ধান কিনে গুদামজাত করছেন বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। 

ভিতরবন্দ এলাকার কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, যেখানে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ৭/৮ হাজার টাকা, সেখানে বাজারে প্রতিমণ ভেজা ধান বেচা কেনা হচ্ছে ৪৫০ টাকা ও শুকনো ধান বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ টাকা দরে। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে দেড় বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেছি। ধান কেটেছি শুনে ব্যাংকের লোক বাড়িতে এসে টাকা চাওয়ায় ৫ মণ ধান নিয়ে ভিতরবন্দ বাজারে এসে দেখি ধানের ক্রেতা নেই। তাই ফেরৎ নিয়ে যাচ্ছি।

নাগেশ্বরীর কৃষক মাহতাব উদ্দিন জানান, ৩০ বিঘা জমিতে ইরিবোরো ধান আবাদ করেছি। বীজতলা থেকে কাটামাড়াই পর্যন্ত প্রতি বিঘায় যে খরচ হয়েছে তা ধান বিক্রী করে পোষাচ্ছে না। কৃষক ধানের ন্যায্য মুল্য না পেলে ধান চাষ ছেড়ে দিতে পারে।

ভিতরবন্দ এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোকছেদ আলী জানান, ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বাজার দরের ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই।

নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাছুদুর রহমান জানান, টিভির সংবাদে শুনেছি সরকার প্রতি কেজি ধান  ২৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছেন। কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের জন্য এখনও উপজেলা ভিত্তিক বরাদ্দ পাইনি। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মকবুল হোসেন জানান, চলতি মওসুমে জেলায় ১ লাখ ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে  ১ লাখ ৯ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে ধানের দাম একটু কম হলেও সরকারিভাবে ক্রয় শুরু হলে ধানের দাম বৃদ্ধি পাবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।