সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

মোশাররফ হোসেন খান
ভাবতেও অবাক লাগে! যে কবি গোটা জাতিকে তাঁর কবিতা ও গান দিয়ে জাগিয়ে তুলেছিলেন, ঘুমন্তকে ঘুম ভাঙিয়েছিলেন সেই কবিই আবার লিখলেন অসাধারণ সব নাট্যগুচ্ছ! তাঁর নাটকের সংখ্যাও কি কম! 

১৯১০ খ্রিস্টাব্দে, কাজী নজরুল ইসলাম সেই কিশোর বয়স থেকে শুরু করে ১৯৪২ সালে অসুস্থ হয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত নাট্যকর্মের সাথে একান্তভাবে জড়িত ছিলেন। 

কারো কারো মতে তিনি শতাধিক নাট্য রচনার কৃতিত্ব অর্জনকারী এক ঐতিহাসিক নাট্যকার।

কাজী নজরুল ইসলামের নাটক বলে কথা! সে নাটক কেবল রাজবাড়ির আঙ্গিনায়, বা ছাদে, নিজস্ব কিছু বিদগ্ধ দর্শকের সামনে অভিনীত হয়নি। বরং তাঁর নাটক বাংলার পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে, জন সাধারণের সামনে বহুদিন এক নাগাড়ে অভিনীত হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। তাঁর নাটক, তৎকালীন নাট্যবোদ্ধা দর্শক, শিল্পী, অভিনেতা, নাট্য পরিচালক, সমালোচক কর্তৃক দারুণভাবে প্রশংসিতও হয়েছিল।

প্রখ্যাত নাট্য পরিচালক, অভিনেতা শ্রী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র কাজী নজরুল ইসলামের ‘মধুমালা’ নাটক সম্বন্ধে বলেছিলেন,

“বিদগ্ধ সমাজ কাজী সাহেবের এই গীতিনাট্য দেখে বিমুগ্ধ হয়ে আমাদের অবিমিশ্র প্রশংসা করে গেছেন এবং সে সময় সংগীত রসিক ও শিল্পবোধসম্পন্ন দর্শক মহল অজ¯à§à¦° অভিনন্দন দিয়েছিলেন আমাদের। মধুমালার কথা, পরীদের গান, সংলাপের ভাষা সব কিছু মিলিয়ে এক মোহনীয় স্বপ্নাবেশের সূচনা হত প্রেক্ষাগৃহে। কবির রচনা যে সার্থক হয়েছিল তা সকলেই স্বীকার করে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।”

এটাই ছিল নজরুল ইসলামের নাটক সম্বন্ধে সমসাময়িক নাট্যদর্শক ও বিদগ্ধ জনের সত্যিকারের মূল্যায়ন।

এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলামের রেকর্ড নাটিকাগুলির বিপুল কাটতি ও অসম্ভব জনপ্রিয়তা, নাট্যরচনার ক্ষেত্রে কবির অসামান্য সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করে।

নজরুল ইসলাম কবি হলেও নাটক দিয়েই তাঁর জীবন শুরু। সেই কৈশোরকালে লেটোর দলে পালা গান রচনার মধ্য দিয়েই তাঁর সাহিত্য জীবনের হাতে খড়ি। অল্প বয়সেই তাঁর কলমের সোনার কাঠির পরশে স্থূল গ্রাম্য রসের লেটো গান হয়ে উঠেছিল মার্জিত, গতিশীল এবং সর্বজনপ্রিয়। আপন প্রতিভা বলেই ১২-১৩ বছর বয়সেই তিনি লেটো দলের উস্তাদের পদ পেয়ে যান এবং সেই সময়ের শ্রেষ্ঠ পালাকারের সম্মানে ভূষিত হন। কী আশ্চর্যের বিষয়!

দুর্ভাগ্যবশত লেটোদলের জন্য লেখা সবগুলো পালাগান উদ্ধার করা যদিও সম্ভব হয়নি। যে কয়টা পাওয়া যায়, তার মধ্যে আছে : ১. আকবর বাদশা, ২. রাজপুত্রের সং, ৩. কবি কালিদাস, ৪. চাষার সং, ৫. ঠগপুরের সং, ৬. মেঘনাদ বধ, ৭. শকুনি বধ, ৮. দাতা কর্ণ, ৯. রাজা যুধিষ্ঠিরের সং, ১০. বিদ্যাভুতুম, ১১. বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রভৃতি পালাগানগুলি বিষয় বৈচিত্র্যে, লেখার চমৎকারিত্বে সেকালেই বাংলা সাহিত্যে একজন সফল নাট্যকারের আগমন সূচিত করেছিল।

১৯২৮ সালের দিকে কবি যখন গ্রামোফোন কোম্পানিতে যোগ দিলেন, তখন তাঁর নাট্যরচনার আর এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল। এ সময় তিনি গ্রামোফোন রেকর্ড উপযোগী বহু একাঙ্কিকা, যাকে রেকর্ডনাটক বলা যেতে পারে, সেই ধরনের নাটক রচনা করেছিলেন। যার মধ্যে শিশুদের জন্য লেখা নাটক ছিল অন্যতম।

কাজী নজরুল ইসলামই ছিলেন এই ধরনের রেকর্ড নাটক রচনার সার্থক পথিকৃত। কষ্টের বিষয় বটে, তাঁর সব কয়টি রেকর্ডনাটকের তালিকাও আজ আর পাওয়া যায়না। সেগুলি উদ্ধার করাও এপর্যন্ত সম্ভবপর হয়নি। যে কয়টি মাত্র উদ্ধার করা গেছে তার মধ্যে আছে : ১. ঈদুল ফিতর, ২. খুকী কাঠবিড়ালী, ৩. আল্লার রহম, ৪. কবির লড়াই, ৫. কলির কেষ্ট, ৬. কানামাছি ভোঁ ভোঁ, ৭. বনের বেদে, ৮. শ্রীমন্ত, ৯. কালোয়াতী কসরত, ১০. পুতুলের বিয়ে, ১১. পুরনো বলদ, ১২. নতুন বৌ, ১৩. বাঙালীর ঘরে হিন্দি গান, ১৪. বিলাতি ঘোড়ার বাচ্চা, ১৫. ছিনি মিনি খেলা, ১৬. জুজু বুড়ির ভয়, ১৭. পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার, ১৮. খাঁদু দাদু, ১৯. চার কালা, ২০. বিয়ে বাড়ী, ২১. ভ্যাবাকান্ত, ২২. প্ল্যানচেট, ২৩. বিদ্যাপতি, ২৪. জন্মাষ্টমী প্রভৃতি। কবি নজরুল ইসলামের এই সব রেকর্ডনাটক গ্রামোফোন রেকর্ডের চাহিদাকে বিস্তৃত করেছিল। নাটকগুলির বিষয়বস্তু ও সংলাপ তখন মানুষের মুখে মুখে শোনা যেত।

কবি নজরুল ইসলামের নাটকের সংখ্যা যে কত তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। কারণ তাঁর সবগুলো নাটক সংরক্ষিত করা হয়নি। অনেকের মতে তিনি ছোট-বড় মিলিয়ে একশোটিরও বেশি নাটক রচনা করেছিলেন। যার মধ্যে চল্লিশটি মাত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ‘আলেয়া’ ও ‘মধুমালা’ ছাড়াও কবির অন্যান্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘সেতুবন্ধ’ [১৩৩৭], ‘ঝিলিমিলি’ [১৩৩৭], ‘শিল্পী’ [১৩৩৭], ‘ভূতের ভয়’  দেশাত্মবোধক নাটক], ‘বিদ্যাপতি’ [১৩৭৭], ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’, ‘শ্রীমন্ত’, ‘সাপুড়ে’ প্রভৃতি নাটক।

মুসলমানের জাতীয় উৎসব ‘ঈদুল ফিতর’। এই মহোৎসব বাংলা সাহিত্যে, বিশেষ করে নাট্য সাহিত্যে একেবারেই অনুল্লেখ্য ছিল। মহান ঈদ উৎসব নিয়ে বাংলা সাহিত্যে যে দু’টি মাত্র নাটিকা রচিত হয়েছে, সে দু’টির রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম। এর আগে আর কেউ ঈদ নিয়ে নাটক লেখেননি। শিশুদের নিয়েও কবি অনেক উন্নতমানের নাটক রচনা করেছেন।

সাধারণত নাটকের গান নাট্যদৃশ্যের প্রয়োজনে রচিত হয় বলে, নাটকের বাইরে একক গান হিসাবে সেগুলো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়না। কবি নজরুল ইসলাম সেখানেও বিস্ময়করভাবে ব্যতিক্রমী ধারা সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অধিকাংশ গান নাটকের মধ্যে যেমন জনপ্রিয় হয়েছিল, তেমনি একইভাবে নাটকের বাইরেও সেই গানগুলো আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যেমনÑ

‘মোরা একবৃন্তে দু’টি ফুল’ [পুতুলের বিয়ে]। ‘বাসন্তিকা’ নাটকের গান,ёঅঞ্জলি লহ মোর’, ‘ভোরের স্বপনে কে তুমি; ‘এল বনান্তে পাগল বসন্ত’, ‘দোলা লাগিল দখিনার বনে বনে’।

‘হর প্রিয়া’ নাটকের গানёমেঘবিহীন খর বৈশাখে’, ‘ঝরঝর ঝরে শাওন ধারা’। ‘কাবেরী তীরে’ নাটকের গানёকাবেরী নদী জলে কে গো’, ‘নীলাম্বরী শাড়ী পরি’, ‘রহি রহি সেই মুখ’, ‘নিশি রাতে রিম ঝিম ঝিম’। গুলবাগিচা নাটকের গান ‘আধো আধো বোল’, ‘মোর প্রিয়া হবে এস রাণী’। ‘অতনুর দেশ’ নাটকের গানёকথা কও কও কথা’, ‘তুমি শুনিতে চেওনা’, ‘যারে হাত দিয়ে মালা’, ‘আমায় নহেগো ভালবাসা’। ‘বনের বেদে’ নাটকের গানёবাঁকা ছুরির মত’, ‘নিম ফুলের মৌ পিয়ে’। ঈদ’ নাটকের গানёনাই হল মা বসন’-ভূষণ এই ঈদে আমার’। ‘ঝিলি মিলি’ নাটকের গানёস্মরণ পারের ওগো প্রিয়’। ‘সেতুবন্ধ’ নাটকের গানёগরজে গম্ভীর গগনে কম্বু’ ‘আলেয়া’ নাটকের গানёপোহাল পোহাল নিশি’, ‘ভোরের হাওয়া এলে’, ‘আঁধার রাতে কে গো একেলা’, ‘এ নহে বিলাস বন্ধু’, ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’, ‘টলমল টলমল পদভারে’। প্রভৃতি গানগুলি নাটকের প্রয়োজনে রচিত হলেও এককগান হিসাবে আজও এগুলো সমান জনপ্রিয়।

কাজী নজরুল ইসলাম শুধু নিজেই গীতবহুল নাট্যরচনা করেননি, সমসাময়িক অনেক খ্যাতিমান নাট্যকারের নাটকের প্রয়োজনেও গান লিখে, সুর রচনা করে সে সব নাটকের গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছিলেন। যেমন, শ্রী শচীন্দ্র সেন গুপ্তের ‘রক্ত কমল’ নাটকের জন্য তিনি নয় খানা গান লিখে দেন ও সুর সংযোজনা করেন। এগুলির মধ্যে ‘আসে বসন্ত ফুল বনে’, ‘ফাগুন রাতে ফুলের নেশায়’, ‘কেউ ভোলেনা কেউ ভোলে’, ‘কেমনে রাখি আঁখি বারি চাপিয়া’, ‘মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর’, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

শ্রী শচীন্দ্র সেনগুপ্তের ‘সিরাজদ্দৌলা’, নাটকের জন্য তিনি সাত খানা গান লেখেন, যার মধ্যে ‘আমি আলোর শিখা’, ‘পথহারা পাখি’, ‘কেন প্রেম যমুনা আজি’, ‘এ কূল ভাঙ্গে ও কূল গড়ে’ গানগুলি আজও সমান জনপ্রিয়। তিনি এই নাট্যকারের ‘হর পার্বতী’ নাটকের জন্যও নজরুল এগারোটি গান রচনা করেন।

কবি নজরুল ইসলাম মন্মথ রায়ের ‘মহুয়া’ নাটকের জন্য পনেরটি গান, ‘কারাগার’ নাটকের জন্য আটটি গান, ‘সাবিত্রী’ নাটকের জন্য তেরটি গান’, ‘লায়লী মজনু’ নাটকে তেরটি গান, ‘সতী’ নাটকের জন্য দশটি গান, রেকর্ড নাটক ‘সুরথ উদ্ধার’-এর জন্য এগারোটি গান, রেকর্ড নাটক ‘কাফন চোরা’র জন্য পাঁচটি গান রচনা ও সুর সংযোজনা করেন।

এভাবেই তিনি যোগেশ চৌধুরীর ‘কৃষ্ণ সখা সুদামা’, অপরেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘চণ্ডীদাস’, সুধীন্দ্র রাহার ‘সর্বহারা’, ‘আলাদীন’, গিরিশ ঘোষের ‘বিশ্বমঙ্গল; মহেন্দ্র গুপ্তের ‘রু´à¦¿à¦¨à§€ মিলন’, ‘দেবীদূর্গা’, মণিলাল বন্ধ্যোপাধ্যায়ের ‘অন্নপূর্ণা’, আশুতোষ সান্যালের ‘বন্দিনী’, দেবেন্দ্র রাহার ‘অর্জুন বিজয়’, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘ব্ল্যক আউট’সহ অন্যের লেখা প্রায় ৫০টি নাটকের জন্য গান রচনা ও সুর সংযোজনা করেন। এসব নাট্যগীতি শুধু নাটকের কারণে নয়, নিজস্ব সঙ্গীত-গুণেও চির অমর হয়ে আছে।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বহু নাটকও প্রযোজনা করেছেন। তিনি একাধারে নাটক লিখেছেন, প্রযোজনা করেছেন, গান লিখেছেন, সুর করেছেন আবার কোনো কোনো নাটকে নিজে অভিনয়ও করেছেন।

কী বিস্ময়কর এক প্রতিভা!

যিনি কবিতা, গানে কিংবা গজলে অপ্রতিদ্বন্দ্বী, তিনিই আবার নাট্য ক্ষেত্রেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এমন সর্বকূল প্লাবিত প্রতিভা আজ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।

বলা যায় ধূমকেতুর মতো উদয় হয়েছিলেন মহান কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।