সংবাদ শিরোনামঃ

সাঁড়াশি অভিযানের আড়ালে প্রতিপক্ষ দলন ** ঈদের পরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দল ** বাজেট বৈষম্যমূলক-অসহনীয়, ব্যবসাবান্ধব নয় ** সিয়ামের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণ ও বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** বিরোধী রাজনীতিকদের চাপে রাখার কৌশল ** নিরপরাধ নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে নির্মম তামাশা মেনে নেয়া যায় না : ছাত্রশিবির ** দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জে ** নেপথ্য খলনায়কদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার! ** সমাজে বিভক্তির কারণেই মৃত্যুর পরেও সম্মান পাননি মনিরুজ্জামান মিঞা : ড. এমাজউদ্দিন ** ‘অভিযান ছিল লোক দেখানো, বাণিজ্য হয়েছে পুলিশের’ ** ক্রসফায়ার : একটি ধারাবাহিক গল্প ** ক্রসফায়ার নয়, আদালতের মাধ্যমেই দোষীদের শাস্তি দিতে হবে ** টাকার ‘সাগর’ এবং অর্থমন্ত্রী ** রোজার তাৎপর্য ** একটি পারিবারিক বৈঠকের কিছু কথা ** ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার বুটিকস কারিগররা ** ‘বিশেষ’ অভিযান শেষ হলেও বন্ধ হয়নি গণগ্রেফতার ** সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ আষাঢ় ১৪২৩, ১৮ রমজান ১৪৩৭, ২৪ জুন২০১৬

দলীয় প্রতীকে রক্তাক্ত ইউপি নির্বাচন

দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জে

॥ গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী॥
বাংলাদেশে এই প্রথম দলীয় প্রতীকে চার হাজার ৮৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নবম নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হলো ৪ জুন শনিবার। দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জে, পাড়ায় মহল্লায় ও ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরেছে দ্বন্দ্বের আগুন। খুন যখম কেন্দ্র দখল ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই ইউএনও ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকতা কর্মচারীদের নির্যাতনের মধ্যদিয়ে রক্ত¯œà¦¾à¦¤ প্রাণঘাতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। দলীয় প্রতীকে ছয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে খুন হয়েছে দেড়শতাধিক মানুষ। পঙ্গু হয়েছে তিন শহস্রাধিক আর আহত হয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি। ঘর-বাড়ি হারিয়েছে শতাধিক পরিবার। ভীত সন্ত্রস্ত আছে লাখো মানুষ।

খুন হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী বা সমর্থক ৪৪ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী বা সমর্থক ১৫ জন, বিএনপির ২ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি’র ১ জন, জনসংহতি সমিতির ১ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বা সমর্থক ২ জন, মেম্বার প্রার্থীর কর্মী বা সমর্থক ৩১ জন আর অবশিষ্ট সবই সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক অনেকেই বলছেন দলীয় প্রার্থিতার কারণেই অধিক সংখ্যক খুনের ঘটনা ঘটেছে। দলীয় প্রতীকে ছয় ধাপে চার হাজার ৮৯টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এমনই খুনাখুনির মাধ্যমে। এর মধ্যে গত ২২ মার্চ ৭১৪টি, ৩১ মার্চ ৬৩৯টি, ২৩ এপ্রিল ৬১৫টি, ৭ মে ৭০৪টি, ২৮ মে ৭১৭টি এবং ৪ জুন ৭০০টি ইউপিতে ভোট হয়েছে।

গ্রাম গঞ্জের নির্বাচন : গ্রামের একজন প্রবীণের কাছে প্রশ্ন ছিল কেমন হলো এবারের দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন? তিনি অনেকটা বিরক্তির সাথেই বললেন; আমরা গাও গেরামের মানুষ। আমাদেরকে নির্বাচনের কথা বলে আর দুঃখ দেবেন না। আমাদেরকে আর মারবেন না। দেশ ভাগের পর ভোটার হয়েছি। ১৯৫৪ সালের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচন দেখেছি। ভোটার ছিলাম, ভোট দিতে পারিনি। তাই বলে মার খাইনি বা কাউকে মরতেও দেখিনি। ১৯৭০ এর নির্বাচনেও ভোট দিতে পারিনি। তখনও দুঃখ করিনি। কারণ ১৯৭০ এর নির্বাচন ছিল সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। জিতেও ছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলো। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো। তখনও ভোট দিতে হয়নি। সে সময়েও আওয়ামী লীগ জিতেছিল। পরের কথা আর বললাম না। এখন নির্বাচনের নামে একি হচ্ছে? নিজ চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছি না; একি নির্বাচন! নির্বাচনের কথা বলে আমাদেরকে আর ভয় দেখাবেন না আর মারবেন না। আমরা ভীত সন্ত্রস্ত। আমরা ভোট দিতে চাই না, শান্তিতে বাঁচতে চাই। আওয়ামী লীগের আমলে আর নির্বাচনের কথা বলবেন না। মনে হচ্ছিল বয়স্ক মানুষ; বয়স তাঁর নব্বইয়ের কোঠায়, তাই একটু বেশি কথা বলছেন। কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার একজন প্রবীণ জনপ্রিয় গ্রাম ডাক্তার। তিনি অবশ্য নিজেও দীর্ঘদিন তাঁর ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির দায়িত্বও পালন করেছেন বলেও জানালেন। তিনি আক্ষেপ করেই বললেন, জীবনেও এমন ভোট নির্বাচন আর গণতন্ত্র দেখিনি।

সেই গ্রাম ডাক্তারের কথার সূত্র ধরে ছোট্র একটি পরিসংখ্যান, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী ৩৭.৪% ভোট পেয়ে ১৪৬টি আসনে জিতেছিল, আর বিএনপি ৩৩.৭% ভোট পেয়ে ১১৬টি আসনে জয় পেয়ে ছিল। ২০০৮ এর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪৯.০% ভোট পেয়ে ২৩০ টি আসনে জিতেছিল। তবে কোথাও কোথাও শতভাগেরও বেশি ভোট পরেছিল! ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি; তাও ৩৯% ভোট পরেছে ! ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর ১৪৬ জন বিনা ভোটে জিতেছে! যদিও এই নির্বাচন দেশে বিদেশে কারো কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পায়নি। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়! দলীয় প্রতীকে নবম ইউপি নির্বাচনে ৯২% চেয়াম্যানের পদ দখলে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা।

সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়রগণ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে এখন বরখাস্ত। তাছাড়াও সরকারি দলের বাইরে অধিকাংশ পৌরসভার মেয়রগণও মামলার কারণে বরখাস্ত হয়ে আছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই আছেন জেলে। এরই মধ্যে ছয় ধাপে হয়ে গেল দেশের চার হাজার ৮৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আওয়ামী লীগ জিতে নিয়েছে ৯২% ইউপির চেয়ারম্যানের পদ। নির্বাচনের বলি হয়েছে দেড়শতাধিক মানুষ। পঙ্গু হয়েছে তিন শহা¯à§à¦°à¦¾à¦§à¦¿à¦• আর আহত হয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি। ঘর-বাড়ি হারিয়েছে শতাধিক পরিবার। ভীত সন্ত্রস্ত আছে লাখো মানুষ। এই হলো নির্বাচন, নির্বাচনের পরেও শান্তিতে নেই কেউ।

কেমন হলো ইউপি নির্বাচন : নজিরবিহীন সহিংসতা ও রেকর্ড সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে শেষ হলো নবম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দেশে এই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ছয় ধাপে স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তরের এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় গত ২২ মার্চ। ৪ জুন শনিবার ছিল শেষ ধাপে ৬৯৮টি ইউপিতে ভোট। আরো কিছু ইউপির নির্বাচন বাকি রয়েছে, যেগুলোতে পরবর্তীতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইসির হিসাবে প্রথম ধাপে ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৭৬ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৭৭ শতাংশ ও পঞ্চম ধাপে ৭৬.৮ শতাংশ আর ষষ্ঠ ধাপে ভোট পড়েছে ৭৮ শতাংশ। 

ব্যাপক সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী অনিয়মের কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবচেয়ে মন্দ নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছেন সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক)। গত ২৬ মে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে কাজ করা সুজন জানায়, ইউপি নির্বাচনে ১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮৩ ও ১৯৯২-এ প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ১৯৮৮ সালে ৮০ জন, ১৯৯৭ সালে ৩১ জন, ২০০৩ সালে ২৩ জন এবং ২০১১ সালে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

অতীতের নির্বাচনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ১৯৮৮ সালে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ নির্বাচনের রেকর্ড। প্রাণহানির ক্ষেত্রেও অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে দলীয় প্রতীকে ছয় পর্বে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং তা চলেছে প্রায় তিন মাস ধরে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড : চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অতীতের যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সে অনুযায়ী ১৯৮৮ সালে ১০০ জন,  ১৯৯২ সালে ৪ জন, ১৯৯৭ সালে ৩৭ জন এবং ২০০৩ সালে ৩৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে অতীতের সকল রেকর্ড ম্লান হয়ে গিয়েছে এবারের নির্বাচনে; যার সংখ্যা ২২০। প্রথম ধাপে ৫৪ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩৪ জন, তৃতীয় ধাপে ২৯ জন, চতুর্থ ধাপে ৩৪ জন, পঞ্চম ধাপে ৪৪ জন এবং ষষ্ঠ ধাপে ২৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আর এরা সকলেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

প্রতিক্রিয়া : আপনারা এটাকে কি নির্বাচন বলবেন ? আমরা তো স্বৈরাচার ছিলাম। স্বৈরাচার ছিলাম এজন্য মানুষ মারি নাই, স্বৈরাচার ছিলাম এজন্য মানুষ গুম করি নাই। এখন মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার অভাব।’ গত ৪ জুন চট্টগ্রামে কথাগুলো বলছিলেন সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। গত ১৬ জুন সুজন আয়োজিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, এবারের ইউপি নির্বাচনে জীবিতরা ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি, কিন্তুু মৃতরা ভোট দিয়েছে! সুজনের সমম্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের সর্বত্র ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অথবা তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের দ¦à¦¾à¦°à¦¾ সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্যাতিত হয়েছে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেন ও শাখাওয়াত হোসেন প্রত্যাশা করছেন, এমন নির্বাচন যেন আর না আসে।

 

গত ৪ জুন শনিবার ব্যাংকার্স এলাইন্স অব বাংলাদেশ (বিএবি) ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর চিটাগাং ইনন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে এক সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এজন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, এই ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে তা বুঝতে আমাদের সময় লাগবে।

সংখ্যালঘু নির্যাতন : ষষ্ঠ ধাপে নির্বাচনে হেরে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। শনিবার রাতে উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ধনকুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

গত ১৬ জুন সুজন আয়োজিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে  সুজনের সমম্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের সর্বত্র ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অথবা তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের দ¦à¦¾à¦°à¦¾ সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্যাতিত হয়েছে।

 à¦‡à¦‰à¦ªà¦¿ নির্বাচন চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশ হয়ে পরেছে অসহায়। ফলে বাধ্য হয়েই চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) রশীদুল হাসান গত ১৪ জুন সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ ও বদরগঞ্জ বাজারে পৃথক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করে জনগণের হাতে বাঁশের লাঠি ও বাঁশি তুলে দিয়েছেন।

নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের কারণে মাগুরার চার উপজেলার সাতটি মন্দির এলাকায় সভা করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাতে বাঁশের লাঠি ও বাঁশি তুলে দেয় মাগুরা জেলা পুলিশ। গত ১৩ জুন সোমবার বিকেলে মাগুরা সদরের সাতদোহা ল্যাংটা বাবার আশ্রম ও শ্মশানে পুলিশ সভা করে বাঁশে লাঠি ও বাঁশি তুলে দেয়। সভায় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ কে এম এহসান উল্লাহ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মো. তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এসপি বলেন, মানুষের মনোবল বাড়ানোর জন্য বাঁশের লাঠি ও বাাঁশি দেওয়া হচ্ছে, মারামারি করার জন্য নয়। পুলিশ ও জনগণ এক হয়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করবে।

গত ১২ জুন রোববার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গাংনালিয়া, সদরের গোপিনাথপুর, কৃঞ্চবিলা মন্দিরে, ১৩ জুন সোমবার শ্রীপুরের রামনগর, শালিখার তালখড়ি, গঙ্গারামপুর এবং ল্যাংটা বাবার শ্মশানে সন্ত্রাসবিরোধী সভা করে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম উক্ত সভাদ্বয়ে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মূলত গুপ্তহত্যা, জঙ্গি হামলা, সন্ত্রাস দমন, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে অরক্ষিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বৃদ্ধি ও মনোবল বাড়াতে বাঁশের লাঠি ও বাঁশির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

উত্তরণের পথ : রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে দ্বন্দ্ব সংঘাত আর প্রাণহানি রোধ করা যাবে না। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দলীয়করণের অবসান হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ। তারা আরো বলেন, এসব দলীয়করণ আর দ্বন্দ্ব সন্ত্রাস এড়ানো না গেলে ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু করা সম্ভব হবে না। বিরোধী দলকে সুযোগ দিতে হবে, আমলে নিতে হবে জনগণের মতামত ও ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।