সংবাদ শিরোনামঃ

সাঁড়াশি অভিযানের আড়ালে প্রতিপক্ষ দলন ** ঈদের পরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দল ** বাজেট বৈষম্যমূলক-অসহনীয়, ব্যবসাবান্ধব নয় ** সিয়ামের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণ ও বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** বিরোধী রাজনীতিকদের চাপে রাখার কৌশল ** নিরপরাধ নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে নির্মম তামাশা মেনে নেয়া যায় না : ছাত্রশিবির ** দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জে ** নেপথ্য খলনায়কদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার! ** সমাজে বিভক্তির কারণেই মৃত্যুর পরেও সম্মান পাননি মনিরুজ্জামান মিঞা : ড. এমাজউদ্দিন ** ‘অভিযান ছিল লোক দেখানো, বাণিজ্য হয়েছে পুলিশের’ ** ক্রসফায়ার : একটি ধারাবাহিক গল্প ** ক্রসফায়ার নয়, আদালতের মাধ্যমেই দোষীদের শাস্তি দিতে হবে ** টাকার ‘সাগর’ এবং অর্থমন্ত্রী ** রোজার তাৎপর্য ** একটি পারিবারিক বৈঠকের কিছু কথা ** ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার বুটিকস কারিগররা ** ‘বিশেষ’ অভিযান শেষ হলেও বন্ধ হয়নি গণগ্রেফতার ** সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ আষাঢ় ১৪২৩, ১৮ রমজান ১৪৩৭, ২৪ জুন২০১৬

মতিউর রহমান আকন্দ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

বোখারী ও মুসলিম শরীফে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবী আওফা (রা.) থেকে রেওয়ায়েত করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কাফের বাহিনীর জন্যে এই বলে বদদোয়া করলেন, পরওয়ারদেগার! তুমিই কিতাব অবতরণকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী, কাফের বাহিনীকে পরাস্ত কর এবং তাদেরকে কম্পমান করে দাও।

ইবনে সা’দ ইবনে জুবায়র (রা.) থেকে রেওয়ায়েত করেন, খন্দক যুদ্ধের দিন জিবরাঈল ঝঞ্ঝা বায়ু নিয়ে আগমন করলেন। নবী করীম (সা.) জিবরাঈলকে দেখে তিনবার বললেন, সুসংবাদ, আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উপর ঝঞ্ঝা বায়ু চাপিয়ে দিয়েছেন। এই বায়ু তাদের তাঁবুসমূহকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, তাদের হাঁড়িপাতিল উল্টে দিয়েছে, উটের গদি ভূলুণ্ঠিত করেছে এবং তাঁবুর পেরেক ভেঙ্গে দিয়েছে। ফলে তারা কেউ কারও দিকে ভ্রƒà¦•à§à¦·à§‡à¦ª না করে ঊর্ধ্বশ্বাসে পলায়ন করেছে। আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করলেন, স্মরণ কর যখন তোমাদের দিকে বিপুল সংখ্যক সৈন্য ধেয়ে এল, অতঃপর আমি তাদের উপর ঝঞ্ঝা বায়ু নাজিল করলাম এবং এমন বাহিনী প্রেরণ করলাম, যাদেরকে তোমরা চোখে দেখতে না।

ইবনে সা’দ হজরত ইবনে মুসাইয়্যেব থেকে রেওয়ায়েত করেন, রাসূলে আকরাম (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম খন্দক যুদ্ধে পনের দিন পর্যন্ত অবরুদ্ধ থেকে অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে হুজুর (সা.) দোয়া করলেন যে, পরওয়ারদেগার, আমি তোমাকে তোমার অঙ্গীকার-ওয়াদার কসম দিচ্ছি, কাফেররা যে পরিকল্পনা নিয়ে সমবেত হয়েছে, যদি তাই বাস্তবায়িত হয়, তবে তোমার এবাদত করার মতো কেউ থাকবে না। ইবনে সা’দ হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে রেওয়ায়েত করেন, রাসূলে করীম (সা.) মসজিদে আহযাবে সোম, মঙ্গল ও বুধবারে দোয়া করলেন, বুধবারে জোহর ও আছরের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কবুল হল। আমরা তাঁর পবিত্র মুখমণ্ডলে সুসংবাদের প্রতিক্রিয়া প্রত্যক্ষ করলাম। হজরত জাবের বর্ণনা করেন, আমি কোনো দুঃখজনক বিষয়ের সম্মুখীন হইনি; কিন্তু আমি সময় তালাশ করে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলাম। দোয়া কবুল হওয়া কি, তা আমি জানি।

ইবনে সা’দ ওয়াকেদী রেওয়ায়েত করেন, কাফের সরদার আমর ইবনে আবদে বুদ খন্দকের দিন ঘোষণা করতে লাগল আমার সাথে মোকাবেলা করতে কেউ আসবে কি? হজরত আলী (রা.) গর্জে উঠে বললেন, আমি যাচ্ছি তার মোকাবেলায়। নবী করীম (সা.) হজরত আলীকে নিজে তরবারি দান করলেন। অতঃপর তাঁর মাথায় পাগড়ী বেঁধে বললেন পরওয়ারদেগার! তাকে সাহায্য দ্বারা ভূষিত কর। অতঃপর হজরত আলী (রা.) অগ্রসর হলেন। দুজনই পরস্পরে কাছাকাছি এল এবং উভয়ের মধ্যে ধুলা উত্থিত হলো। হজরত আলী (রা.) তরবারির এক আঘাতে প্রতিপক্ষকে হত্যা করলেন। তার সঙ্গীরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালিয়ে গেল।

ইমাম তাহাভী রেওয়ায়েত করেন, একদিন নবী করীম (সা.) খন্দক যুদ্ধের সময় ব্যস্ততার কারণে যথাসময়ে আছরের নামাজ আদায় করতে ব্যর্থ হন। ফলে সূর্য ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলো। আল্লাহ তায়ালা সূর্যকে থামিয়ে দিলেন এবং আছরের মাত্রায় ফিরিয়ে দিলেন। হুজুর (সা.) আছরের নামাজ পড়ে নিলেন।

মোনাফেকদের ভূমিকা

খন্দক খননকালে কিছুসংখ্যক মুনাফিক রাসূলুল্লাহ (সা.) ও মুসলমানদের থেকে দূরে থাকেন। তারা নানা রকমের ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে কাজে ফাঁকি দিতে ও রাসূলুল্লাহর (সা.) অজ্ঞাতসারে ও বিনা অনুমতিতে চুপিসারে বাড়ি চলে যেতে থাকে। পক্ষান্তরে মুসলমানদের মধ্যে কারো যদি মারাত্মক অসুবিধাও দেখা দিত এবং অনিবার্য প্রয়োজনে নিজ পরিবার-পরিজনের কাছে যাওয়ার দরকার পড়ত তা হলেও সে রাসূলুল্লাহকে (সা.) যথারীতি জানিয়ে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যেতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) অনুমতি দিতে কুণ্ঠিত হতেন না। প্রয়োজন পূরণের সাথে সাথেই তারা এসে অবশিষ্ট কাজে শরীক হত। এভাবে তারা পুণ্যকর্মে আগ্রহ ও আন্তরিকতার প্রমাণ দিত। আল্লাহ তায়ালা এসব মুমিনের প্রসঙ্গে সূরা নূরের এ আয়াত কয়টি নাজিল করেনঃ

“মু’মিন à¦¤à¦¾à¦°à¦¾à¦‡Ñ à¦¯à¦¾à¦°à¦¾ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে আর রাসূলের (সা.) সাথে মিলিত হয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে রত থাকলেও তাঁর অনুমতি না নিয়ে কোথাও যায় না। যারা তোমার কাছে অনুমতি চায় তারাই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান পোষণ করে। হে নবী, তারা (মুমিনরা) তোমার কাছে তাদের কোনো ব্যাপারে অনুমতি চাইলে তুমি তাদেরকে ইচ্ছা হলে অনুমতি দিও এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।”

মুসলমানদের মধ্যে যারা নিষ্ঠাবান, সৎকর্মের প্রতি আগ্রহী এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি অনুগত, তাদেরকে লক্ষ্য করেই এই আয়াত কয়টি নাজিল হয়।

যেসব মুনাফিক নবীর (সা.) অনুমতি না নিয়েই চুপে চুপে চলে যেত তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ আরো বলেন, “তোমাদের প্রতি রাসূলের আহ্বানকে তোমাদের পরস্পরকে আহ্বান করার মতো মনে করো না। আল্লাহ তোমাদের এইসব লোককে ভালোভাবেই জানেন যারা আড়ালে আবডালে চুপে চুপে সরে পড়ে। রাসূলের হুকুম অমান্যকারীদের এ ব্যাপারে সাবধান হওয়া উচিত যে, তাদের ওপর যে কোনো মুহূর্তে মুসিবত কিংবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আপতিত হতে পারে। মনে রেখো, আসমান ও জমিনের সবকিছুই আল্লাহর। তোমরা কে সত্যের অনুসারী আর কে মিথ্যার অনুসারী তা তিনি ভালোভাবেই অবহিত। আর যেদিন তাঁর কাছে তারা ফিরে যাবে সেদিন তিনি তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জানিয়ে দেবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ সর্বজ্ঞ।” (সূরা নূর : ৬৪)

এই আয়াত কয়টিতে রাসূলের অনুমতি না নিয়ে তাঁর নির্দেশিত কাজ থেকে গোপনে সরে পড়া মুনাফিকদের বিবরণ দেয়া হয়েছে।

ইহুদিদের চুক্তি ভঙ্গ

রাসূলুল্লাহ (সা.) পরিখা খনন সম্পন্ন করতেই কুরাইশরা কিনানা গোত্র, তিহামার অধিবাসী ও তাদের বিভিন্ন গোত্রের লোকজন সমন্বয়ে সম্মিলিত শত্রুবাহিনী মদীনার উপকণ্ঠে এসে পৌঁছল। তারা রুমা নামক স্থানে জুরুফ ও জুগাবার মধ্যবর্তী মুজতামাউল আসইয়ালে শিবির স্থাপন করল। গাতফান গোত্রের লোকেরাও তাদের নাজদবাসী মিত্রদের নিয়ে হাজির হলো। তারা ওহুদের পার্শবর্তী ‘জান্ব নাকমা’ নামক স্থানে শিবির স্থাপন করল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন হাজার মুসলিম সৈন্য নিয়ে ‘সালা’ নামক পাহাড়কে পেছনে রেখে মুসলিম বাহিনীকে মোতায়েন করলেন। তাঁর ও শত্রুদের মাঝে থাকল পরিখা। শিশু ও নারীদেরকে তিনি আগে ভাগেই দুর্গের মধ্যে রেখে আসার ব্যবস্থা করেন।

কাফেররা স্থির করল যে, ইহুদি গোত্র বনু কুরায়যাকে রাসূল (সা.) এর সাথে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং তারা ভেতর থেকে হামলা চালাবে। আল্লাহর দুশমন বনু নাযীর গোত্রের হুয়াই ইবনে আখতাব বনু কুরাইযার কা’ব ইবনে আসাদের কাছে গেল। বনু কুরাইযার সাথে রাসূলুল্লাহর আপোষ ও অনাগ্রাসন চুক্তির সংগঠক ছিল এই কা’ব ইবনে আসাদ। সে বনু কুরাইযার পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহকে (সা.) শান্তির অঙ্গীকার দেয় ও চুক্তি সম্পাদন করে। কা’ব ভেতরে বসেই হুয়াইয়ের আগমন টের পেয়ে তার মুখের ওপর দুর্গের দরজা বন্ধ করে দেয়। হুয়াই দরজা খুলতে বললে সে দরজা খুলতে অস্বীকার করে। হুয়াই পুনরায় দরজা খুলতে অনুরোধ করলে কা’ব বললো, “ধিক তোমাকে হুয়াই, তুমি একটা অলক্ষুণে লোক। আমি মুহাম্মদের সাথে চুক্তিবদ্ধ এবং সে চুক্তি আমি ভঙ্গ করবো না। আমি মুহাম্মদের আচরণে প্রতিশ্রুতির প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার পরিচয়ই পেয়েছি।”

হুয়াই বললো, “কি হলো! দরজাটা একটু খোল না। আমি তোমার সাথে কিছু আলাপ করবো।” কা’ব বললো, “আমি দরজা খুলতে পারবো না।” হুয়াই বললো, “তোমার খাদ্য গ্রহণ করবো মনে করেই তুমি দরজা বন্ধ করেছো।” এ কথায় কা’ব অপ্রস্তুত হ’য়ে গেল এবং দরজা খুলে দিল। অতঃপর সে বললো, “আমি তোমার জন্য এ যুগের শ্রেষ্ঠ গৌরব এবং উত্তাল তরঙ্গময় সমুদ্র এনে হাজির করেছি। নেতা ও সরদারসহ সমস্ত কুরাইশ বাহিনীকে আমি জড়ো করেছি এবং তাদেরকে রুমা অঞ্চলের মুজতামাউল আসইয়ালে এনে হাজির করেছি। অপরদিকে গোটা গাতফান গোত্রকেও তাদের নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ওহুদের পার্শ্ববর্তী ‘জাম্বনাক্মা’য় এনে দাঁড় করিয়েছি। তারা সবাই আমার সাথে এ মর্মে অঙ্গীকার ও চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে যে, মুহাম্মদ ও তাঁর সঙ্গিদেরকে নিশ্চিহ্ন না করে ক্ষান্ত হবে না।” কা’ব বললো, “তুমি বরং আমার মুখে চুনকালি মাখানোর আয়োজনই করেছো। তুমি এমন মেঘমালা সমবেত করছো যা বৃষ্টি বর্ষণ করে পানি শূন্য হয়েছে। এখন তার শুধু তর্জন গর্জন সার। তার দেয়ার মতো কিছুই নেই। অতএব, হে হুয়াই, ধিক তোমাকে! আমাকে উত্ত্যক্ত করোনা। যেমন আছি থাকতে দাও। মুহাম্মদ আমার সাথে কোন খারাপ আচরণ করেনি। সে শুধু সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি পরায়ণতারই পরিচয় দিয়েছে।” তথাপি হুয়াই নাছোড়বান্দা হয়ে কা’বের সাথে লেগে রইল। সে তার ঘাড়ের ওপর হাত রেখে নাড়তে থাকল এবং অবশেষে বুঝিয়ে সুজিয়ে তাকে রাজি করাতে সক্ষম হলো। সে তার নিকট থেকে অঙ্গীকার আদায় করতে সক্ষম হলো। সে বলল যে, কুরাইশ ও গাতফান যদি মুহাম্মদকে হত্যা না করেই ফিরে যায় তাহলে সে কা’বের সাথে তার দুর্গে অবস্থান করবে এবং উভয়ে পরস্পরের সুখ দুঃখের সম অংশীদার হবে। এভাবে কা’ব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কৃত অঙ্গীকার ও চুক্তি ভঙ্গ করল।  (চলবে)

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।