সংবাদ শিরোনামঃ

তুরস্কে জনতার বিজয় ** এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কের জনগণ রুখে দিল সেনা অভ্যুত্থান ** সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ** ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ** তুর্কী গণপ্রতিরোধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ** রফতানি বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ : রাজনৈতিক অস্থিরতা ** মানবতাবাদী বিশ্ব ও সন্ত্রাসবাদী বিশ্বের মাঝখানে মুসলমানদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ** সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্য : নজরুল ইসলাম খান ** তুর্কী জনগণকে অভিনন্দন ** জাতীয় স্বার্থ বনাম হুকুম তামিল করার দৌড়ঝাঁপ ** এ শিক্ষা আমাদের কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ** দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও হরিলুটের অভিযোগ ** দুর্ভোগের আরেক নাম পাইকগাছার কপিলমুনি শহর ** কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট : সেবা কার্যক্রম ব্যাহত ** কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ** ইসলামী সংস্কৃতির আলোকেই হোক ঈদ আনন্দ ** বাংলা ভাগের জন্য মুসলমানরা নন হিন্দুরাই দায়ী ** কবির বিশ্বাস ** সানজিদা তাহসিনা বেঁচে থাকবে সবার মাঝে ** জাতির নিকট রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ শ্রাবণ ১৪২৩, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৭, ২২ জুলাই ২০১৬

মান্দায় কর্মসংস্থান কর্মসূচির ইজিপিপি

দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও হরিলুটের অভিযোগ

মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর মান্দা উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির ইজিপিপি দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও ব্যাপক হরিলুট অনিয়ম দুর্নীতি এবং আত্মসাতের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম মাত্র ৮-১০টি প্রকল্পে লোক দেখানো কাজ করে আর বাদ বাকি সব প্রকল্পে কোনো কাজ না করেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তাগণ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা, প্রকল্প সভাপতিগণ, ইউপি সচিব এবং সরকার দলীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তায় ভুয়া মাস্টার রোল জমা দিয়ে সমুদয় অর্থ লুটপাতের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে সচেতন অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রতি বছর দু’বার অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির অধীনে ৪০ দিনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে একজন শ্রমিক প্রতিদিন ২০০ টাকা করে মজুরি পান। এর মধ্যে ২৫ টাকা শ্রমিকদের  হিসাবে জমা থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে ৮০ দিনের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তাগণ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যানগণ এবং প্রকল্প সভাপতিগণ, ইউপি সচিব, প্রভাবশালীদের যোগসাজশে হরিলুটের মাধ্যমে আগেই শেষ হয়েছে। এদিকে প্রথম পর্যায়ের মতো ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ৪০ দিনের কাজও শেষ হয়েছে। এতে ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ৪৩টি প্রকল্পের আওতায় ১৮০৯ জন শ্রমিকের বিপরীতে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হলেও কুশুম্বা ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ৪টি প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু কিছু ইউনিয়ন ছাড়া বেশিরভাগ ইউনিয়নে কোনো কাজ ছাড়াই সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের কাজে সাইন বোর্ড তৈরির জন্য সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। এতে শ্রমিক সংখ্যা, অর্থ বরাদ্দের পরিমাণসহ সার্বিক তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড টানানোর নিয়ম থাকলেও কোনো প্রকল্পের কাজেই সাইন বোর্ড টানানো হয়নি। সাইন বোর্ড না টানিয়ে তার অর্থ ও আত্মসাৎ করা হয়েছে।  ভোটের মধ্যে কাজ হওয়ায় অজ্ঞাত কারণে তা দেখার জন্য কেউ আগ্রহী ছিলেন না। বিভিন্ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ইউপি নির্বাচনের ব্যস্ততা দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তাগণ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা এবং প্রকল্প সভাপতিগণ, ইউপি সচিবরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় টাকা উত্তোলন পূর্বক তছরুপ করেছেন।

সরেজমিনে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দেখা যায়, কুশুম্বা, ভালাইন, পরানপুর, গনেশপুর, কাশোপাড়া বিষ্ণুপরসহ ৬টি ইউনিয়নের ১৯ প্রকল্পে কাজ করা হয়েছে। অপর দিকে ভারশোঁ, মান্দা, মৈনম, প্রসাদপুর, তেঁতুলিয়া, নুরুল্যাবাদ, কালিকাপুর এবং কশব ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের ২৪টি প্রকল্পের কোনো কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। তবে প্রসাদপুর ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত ৩টি প্রকল্পের আওতায় ১১৭ জন শ্রমিকের বিপরীতে ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ১নং প্রকল্পে গাড়িক্ষেত্র আদর্শ ক্লাব হতে শহরতলা (স্বরতলা) পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার এবং খুদিয়াডাঙ্গা ইসমাইল মেম্বারের বাড়ি হতে জোয়ার্দ্দার পাড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজ কিছু শ্রমিক নিয়ে দৈনিক মজুরির মাধ্যমে সামান্য করা হয়েছে। প্রকল্প সভাপতি ছিলেন ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল হোসেন। অনেক সভাপতি জানান, তারা চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালীদের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে ভালোভাবে কাজ করতে পারেন না। ২নং প্রকল্পে ইনাতপুর কছিম উদ্দিনের বাড়ির নিকট হতে চকরাজাপুর আবদুস সামাদের বাড়ি পর্যন্ত এবং সাজেদুরের বাড়ি হতে কলেজ মোড় দিয়ে রাস্তা সংস্কার এবং ৩নং প্রকল্পে ইনাতপুর হিন্দুপাড়া (সাবেক চেয়ারম্যান পরিমলের বাড়ির নিকট) পাকা রাস্তা মোড় হতে পারইনাতপুর আছের খতিবের বাড়ির নিকট মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। প্রকল্প সভাপতি সংরক্ষিত সদস্য আলেয়া বিবি। সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করার কথা থাকলেও প্রসাদপুর ইউনিয়নে গিয়ে কোনো কাজ চোখে পড়েনি। তবে পরে চলে আসার পর ঐসব প্রকল্পে সামান্য লোক দেখানো কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম অত্র উপজেলায় যোগদান করেই নিজেকে নিজ এলাকার একটি জাতীয় দৈনিকের (প্রথম আলোর) একজন সাবেক প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের মনোযোগ আর্কষণ করার চেষ্টা করেন। তবে কতিপয় হলুদ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মণ্ডল, জিল্লর রহমান, পলাশ চন্দ্র, মাসুদ রানা, জসিম উদ্দিন, এম এম রেজাউল ইসলাম, শাহজাহান আলী, হোসেন আলী, কাজী কামাল হোসেন, আবদুল মজিদ সম্রাট, সেতুকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে চলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কারণ তাদের রাজশাহী ও বগুড়াতে প্রায় ১২-১৩টি পত্রিকার প্রতিনিধি কাজ করেন। এতে সিন্ডিকেট করে ঐসব পত্রিকায় খবর প্রকাশ বন্ধ করা হয় বলেও সচেতন মহল দাবি করেন।

ব্যাপক অনিয়ম হরিলুটের ব্যাপারে তথ্য নিতে গেলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ কোন তথ্য দিতে গড়িমসি ও অস্বীকার করে ব্যস্ততা দেখিয়ে প্রকল্প দেখতে যাবেন বলে এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে তথ্য নিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমের অফিসে গেলে তিনি শুধু মোট প্রকল্পের সংখ্যা, মোট শ্রমিক সংখ্যা ও মোট বরাদ্দকৃত অর্থের তথ্য দিলেও ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রকল্পের তালিকা ও সম্পূর্ণ তথ্য দিতে গড়িমসি ও টালবাহানা করে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ইউপি সচিবদের ফোন দিয়ে যোগাযোগ করে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সংগ্রহ করেন। সেখানে আছে। আপনার কাছে সব প্রকল্পের ফাইল নেই বারবার জিজ্ঞেস করলে জানান, আছে। লুটপাতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ধুরন্ধর এই কর্মকর্তা স্থানীয় প্রভাবশালীদের কথা বলে এড়িয়ে গিয়ে মুঠোফোনে তাদেরকে জানিয়ে দেন। যাতে খবর প্রকাশ বন্ধ থাকে। তবে তিনি নিজে ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ এবং সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তারা প্রকল্প পরিদর্শন করে কোনো অনিয়ম পাননি বলে আবার জোর গলায় দাবি করেন। অভিযোগ পেলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।