জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

টানা বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও যমুনা নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতির ফলে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা : টানা বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও  à¦¯à¦®à§à¦¨à¦¾ নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দ্রুতগতিতে বাড়ছে  à¦¯à¦®à§à¦¨à¦¾ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি । ফলে যমুনা নদীর জগন্নাথগঞ্জঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮১.২৩ সে.মি. উপরে পানি প্রবাহ হচ্ছে। বন্যার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ায় বীজতলাসহ তলিয়ে যাওয়া ফসলি জমি নিয়ে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে । ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে পড়েছে, কয়েক কিলোমিটার কাঁচা পাকা সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে বেড়িবাঁধসহ পাকা ও কাঁচা সড়ক এতে বিভিন্ন জেলা উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। । প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মানুষ। চাহিদার তুলনায় ত্রাণ নেই বললেই চলে।যমুনা নদীর জগন্নাথগঞ্জঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮১.২৩ সে.মি. উপরে পানি প্রবাহ হওয়ায় উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নলসন্ধা, মীরকুটিয়া, ডাকাতিয়ামেন্দা, বাশুরিয়া ও বালিয়াবান্দা, পোগলদিঘা ইউনিয়নের গোবিন্দপটল, গাছ বয়ড়া, টাকুরিয়া, বিন্নাফৈর, দামোদরপুর, মানিকপটল ও মালিপাড়া,  à¦†à¦“না ইউনিয়নের আওনা, গইঞ্চার চর ও রসপাল, সাতপোয়া ইউনিয়নের ঝালুপাড়া, চর সরিষাবাড়ী, বাঘমারা, চরশিশুয়া, ছাতারিয়া, চর আদ্রা, চর জামিরা, চর রৌহা ও চর নান্দিনা, ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া, কাওয়াখালী, কৃষ্টপুর, সৈয়দপুর, ফুলবাড়িয়া, কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর, চর হেলেঞ্চাবাড়ি, পাঁচ বাড়ি ডিগ্রি, বড়বাড়িয়া, কয়ড়া, কান্দারপাড়া ও ধারাবর্ষা, ডোয়াইল ইউনিয়নের পূর্বচর কুলারপাড়, হাটবাড়ি, রাজিবদিয়ার ও চর বালিয়া গ্রামের প্রায় ৩০ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব এলাকায় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। সরকারি ত্রাণ হিসেবে মাত্র ২৫ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। বীজতলাসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে বিভিন্ন পুকুরের মাছ। বন্যা কবলিত এলাকায় কাঁচা ও পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  à¦¬à¦¨à§à¦¯à¦¾à¦° পানি প্রবেশ করায় প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতে সরিষাবাড়িÑজামালপুর পাকা সড়কের ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া এলাকায় পাশাপাশি দু’টি স্থানে ভেঙ্গে গেছে।ফলে সরিষাবাড়ী-জামালপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শনিবার সকালে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)  à¦®à¦¿à¦œà¦¾à¦¨à§à¦° রহমান তা পরিদর্শন করেছেন। এসআই সফিকুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া মহাদান ও পোগলদিঘা ইউনিয়নের  à¦¬à§‡à§œà¦¿à¦¬à¦¾à¦à¦§ ভেঙ্গে অনেক নতুন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষ পাশের উঁচু রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে বা ডুবন্ত ঘড়ের চালে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এ এলাকার অধিকাংশ নলকূপ পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কবুলীবাড়ী, পশ্চিম নলসন্ধা, বালিয়াবান্দা, দক্ষিণ নলসন্ধা, পশ্চিম মীরকুটিয়া, মানিক পটল, গোবিন্দ পোটল, ডাকাতিয়ামেন্দা, চর জামিরা, চর নান্দিনা, আওনা, চর হরিপুর দক্ষিনপাড়া, চর আদ্রা, ঘুইঞ্চা রাবেয়া কাজেম, দক্ষিণ মালিপাড়া, নিউগীর টেংগর, টাকুরিয়া, চর হরিপুর, পূর্ব রৌহা এসআর, কামরাবাদ, চর সরিষাবাড়ী ও চেঁচিয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চর জামিরা দাখিল মাদরাসা ও যমুনা উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে।এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান জানান, মাত্রাতিরিক্তভাবে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রশাসন সর্বক্ষণ মাঠ পর্যায়ে নজরদারি করছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ২৫ মে.টন (চাল) ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।