রেজি:ডিএ ৫১৭, অনলইন ভার্সন,শুক্রবার ২৪ এপ্রিল, অনিবার্য কারণে প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ আছে

করোনা : মহামারির শেষ কবে

।। সাইদুর রহমান রুমী ।।

করোনা,প্রাণঘাতী এ ভাইরাস স্তব্ধ করে দিয়েছে বিশ্বকে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে আর সভ্যতার চরম উৎকর্ষতার পরিপূর্ন ইউরোপ আমেরিকা আজ হার মেনেছে এ ভাইরাসের কাছে। চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাসটি বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বাংলাদেশেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। তাই সবার শুধু একটাই প্রশ্ন- কবে যাবে এই করোনা। এ ভাইরাসের আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না। কবে এ আতঙ্ক মুক্তি মিলবে সবার। কবে মানুষ তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম শুরু করতে পারবে।

তবে এসবের মাঝে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো- যুক্তরাষ্ট্র বাদে বর্তমানে বিশ্বে করোনা মহামারি এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। ইতালি ও স্পেনকে কাঁদিয়ে সেখানেও আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বর্তমানে কমতে শুরু করেছে। ইরানে এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুহার কমেছে। ২১০টির বেশি দেশ করোনায় আক্রান্ত হলেও বহু দেশ লকডাউনের মতো বিভিন্ন ব্যবস্থায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা হাতেগোনা রাখতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এখন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ মরণ আঘাতটি হানছে এই করোনা। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করেছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে। জার্মানি দাবি করেছে, পরিস্থিতি অনেকটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশের সামনে দুঃসময়। করোনার সংক্রমণ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে আরও সময় লাগবে এবং কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলে বাংলাদেশ হতে করোনা বিতারণে অনেক সময় লেগে যেতে পারে।

বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি দেশেই দু-একজনের মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে বিস্তর ঘটিয়ে মহামারি আকার ধারণ করে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার পর আবার ধাপে ধাপে সংক্রমণ হ্রাস হয়েছে। তবে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, আমাদের পার্শ্ববর্তী নেপাল, ভুটানসহ যেসব দেশ সুন্দরভাবে কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন বা এ জাতীয় ব্যবস্থাপনা সাফল্যজনকভাবে সমাধান করতে পারায় সেখানে আক্রান্তের হার হাতেগোনা।

বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটতে দেখা গেছে। তবে এপ্রিলের শুরু থেকে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে এবং তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যদিও টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে বলে ধারণা করা হয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে করোনার বিস্তার, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সার্বিক ঘটনা এবং ভবিষ্যতে কী পরিস্থিতি হতে পারে, সে সম্পর্কে রোগতত্ত্ববিদ, ভাইরোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্য বিদস এবং সংশ্নিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, আগামী মে মাসের শেষে অথবা জুনের শুরুতে দেশে এ ভাইরাস বিস্তারের সর্বশেষ পিকটাইম হতে পারে। অর্থাৎ ভাইরাসটি যে হারে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে মে মাসের শেষ থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে এ পূর্বাভাসের অনেকটাই নির্ভর করছে কতটা সাফল্যজনকভাবে বাংলাদেশ করোনা কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকাতে পারে।

বাংলাদেশে করোনা কবে নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসবে, সে সম্পর্কে মেডিসিন সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের সিনিয়র অধ্যাপক ডা বিল্লাল আলম জানান, আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, অন্তত তিন মাস তা স্বাভাবিকভাবেই তার সংক্রমণ ঘটায়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে তা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। তাই বলা যায়, করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতে অন্তত মে মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু কমিউনিটি সংক্রণে সতর্ক না হলে তা ছয় মাসেও নিয়ন্ত্রণে আসবে কি না, সন্দেহ রয়েছে বলে তিনি জানান। তাই সাধারণ মানুষকে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব এবং ঘরে থাকাসহ সংক্রমণ ঠেকানোর নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, 'প্রথম কথা হলো, বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু সুনির্দিষ্টভাবে বলা অত্যন্ত কঠিন। কারণ বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং এ ভাইরাস সম্পর্কে আমরা এত সীমিত জানি, সরাসরি উত্তর দেওয়া কঠিন। আমরা যে পূর্বাভাস দিয়েছি, সেটি পরিবর্তন হতে পারে। প্রতিদিনই কিন্তু পূর্বাভাস পরিবর্তন হয়। ডা. ফ্লোরা বলেন, 'সংক্রমণের হার দেখলে একটি বিষয় পরিস্কার হয়, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রতগতিতে বাড়ছে, না ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে আমাদের ধারণা হয়, আগামী মে মাসের শেষ অথবা জুন মাসে এটি পিক হতে পারে। তবে এটিও শতভাগ নিশ্চিত নয়। তারপর এটি আস্তে আস্তে দুর্বল হতে পারে। তবে এ ভাইরাসের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো দেশের পূর্বাভাসই কিন্তু সঠিক হয়নি। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের পূর্বাভাস দিতে হয়।’

বিশিষ্ট শ্বাসতন্ত্র বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ অ্যাজমা এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বশীর আহাম্মদ বলেন, করোনার সংক্রমণ ও বিস্তারের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সংক্রমণ শুরুর ৪৫ দিন পর ইতালিতে, ৫০ দিন পর স্পেনে এবং ৫৫ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে এটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ৪৩ দিনের মাথায়ও সে রকম পরিস্থিতি হয়নি। কোন দেশে কীভাবে বিস্তার ঘটবে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। আর আমাদের বিবিধ সমস্যা রয়েছে; যেমন এখনো পর্যাপ্ত করোনা টেস্ট সেন্টার স্থাপন করা যায়নি। এছাড়া দেশে সরকারি অর্থে লকডাউন না করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো এখনো ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ এখানো মানুষ সচেতন না বা প্রশাসন এখনো মানুষকে ঘরে বন্দী রাখতে সামর্থ্য হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে কবে ভাইরাসটির পিক টাইম হবে এবং কবে সেটি নিয়ন্ত্রণে আসবে তা বলা মুশকিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ২০ এপ্রিলের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, শুধু এক দিনে সর্বোচ্চ আড়াই হাজারের মতো মানুষের করোনা পরীক্ষা করে ৪৯২ জন শনাক্ত করা গেছে। এত অল্প সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা করে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা এবং দেশে করোনার সঠিক পিক টাইম কোনোদিনই বোঝা যাবে না। ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেনের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতিদিন এসব দেশে হাজার হাজার মানুষ শনাক্ত হচ্ছেন। আমাদের দেশে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার পরীক্ষা করলেই বলা যাবে সত্যিকার আক্রান্তের সংখ্যা কত এবং কবে নাগাদ এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, পরীক্ষা কম হবার কারণে সংক্রমণের সঠিক চিত্র আসছে না। এখন পর্যন্ত যেটি দেখা যাচ্ছে, সেটি হচ্ছে সারা দেশের মধ্যে এখন রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে সংক্রমণ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ চারটি জেলায় কারফিউ জারি করে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এরপর সব জনবল নিযুক্ত করে এই এলাকাগুলোয় বসবাসকারী সব মানুষের পরীক্ষা করতে হবে। যাদের পজিটিভ শনাক্ত হবে, তাদের আইসোলেশনে নিয়ে যেতে হবে। এ ভাইরাস প্রতিরোধের মূল উপায়ই তো টেস্ট। এর মানে হলো- পরীক্ষা করে পজিটিভ কেসগুলোকে আইসোলেশনে নেওয়া এবং কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করে অন্যদের কোয়ারেন্টিন করা। এ কাজ যত দ্রুত করা যাবে, ততই এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ডিজিএম মার্কেটিং হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যদি মহামারির ইতিহাসগুলো দেখি তাহলে প্রতিটি মহামারী তখনই নিয়ন্ত্রণে এসেছে- যখন মানুষ জেনেছে এর প্রকৃত কারণ অথবা এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে কিনা। রোগটি নতুন হওয়ায় এবং তা ক্রমাগত তার সংক্রমণ ব্যবস্থা পরিবর্তন করায় বিজ্ঞানীদের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে অনেক কষ্ট করতে  à¦¹à¦šà§à¦›à§‡à¥¤ করোনা ভাইরাস মূলত এক ধরনের ফ্লু ভাইরাস। কিন্তু এর ভয়াবহতা মারাত্মক। তা অন্য ফ্লুর মতো নয়। এ ভাইরাস প্রথম আবিষ্কার হয় ১৯৩০ সালে। তা মূলত পশুপাখির ক্ষেত্রে দেখা যেত। মানবদেহে প্রথম সংক্রমণ দেখা যায় ২০০৩ সালে। তা সার্স করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। এটিও ছিল ভয়াবহ। মৃত্যুহার ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে কোভিড-১৯ ভাইরাসটি সার্সের মতোই একটা ভাইরাস। এটি একটি সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ডেড এমআরএনএ ভাইরাস। এখন যেহেতু চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে সেহেতু বিজ্ঞানীরা খুব দ্রুততম সময়েই এ ভাইরাসের জেনেটিক সিকুয়েন্স বের করে এর টিকা আবিষ্কারের দিকে একধাপ এগিয়ে গেছেন। এই মুহূর্তে ৫০টির মতো টিকা পরীক্ষাগারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে। কিন্তু এর কার্যকর টিকা হাতে পেতেও অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে কয়েক বছর। এর পাশাপাশি কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের গবেষণা চলছে। তা হয়তো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরীভাবে কাজ করতে পারবে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র প্রধান সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, 'সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসার এখনও বাকি! পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।'বিশ্ব করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দেশে এরই মধ্যে লকডাউন ও বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় তিনি এই সাবধান বানী উচ্চারন করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, 'আমাদের আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখার বাকি আছে। তাই এটা আমাদের আটকাতে হবে। এখনও অনেকে বুঝতে পারছেন না কতোটা সাংঘাতিক এই ভাইরাস।'

বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে লকডাউন আর নানা বিধিনিষেধের মধ্যেও ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। আর দিনকে দিন এর সংখ্যা অনেক দেশে বাড়ছেই। বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমন্বিত কৌশল নিতে হবে। এ নিয়ে পৃথিবীর দেশে দেশে তিনটি উপায়ের কথাই বলা হচ্ছে। সেগুলো হলো- টিকা দেয়া, বহু মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের ফলে তাদের মধ্যে এ নিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে অথবা স্থায়ীভাবে মানুষ এবং সমাজের আচার-আচরণে পরিবর্তন নিয়ে আসা।

এদিকে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস এপ্রিল মাসের শেষ দিকে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে আশার বাণী শুনিয়েছেন করোনা উৎপত্তির দেশ চীনের বিখ্যাত শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জুং নানশান। সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। জুং নানশান বলেন, করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের দেশগুলো যেভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে আমার মনে হচ্ছে এ মাসের শেষদিকে মহামারিটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মতে বলছে, যেহেতু সংক্রামক এই ভাইরাসটি সমগোত্রীয় অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি ছোঁয়াচে এবং শক্তিশালী। তাই এখন পর্যন্ত সামাজিক  প্রতিরোধই হলো আপাতত একমাত্র সমাধান। সেহেতু ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখা  আর কম্যুউনিটি সংক্রমন প্রতিরোধের নানা উপায় গুলোই করোনা দূরীভূত করার সর্বশেষ গ্রহনযোগ্য সমাধান।

এদিকে করোনার ভয়াবহতা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্ততি কতটুকু রয়েছে সে নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তর্ক বিতর্ক যাই থাকুক , অনতি বিলম্বে  প্রয়োজন কিছু জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ। যার মধ্যে চিকিৎসা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা পোষাক সরবরাহ, তাদের সাহস প্রদান, অধিক টেস্ট করার সক্ষমতা অর্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ। প্রয়োজনে দ্রুত টেস্ট পদ্বতি রেপিট ডট ব্লক সিস্টেমে যেতে পারে বাংলাদেশ। এ পদ্বতিতে কিছু টেস্ট সঠিক না হবার সম্ভাবনা না থাকলেও তা দ্রুত পদ্বতি হওয়ায় তা আমাদের মতো গরীব জনবহুল দেশে কার্যকর একটি সহজ পদ্ধতি হতে পারে। প্রয়োজনে যাদের সন্দেহ হবে তাদের পুনরায় পিসিআর পদ্ধতিতে টেস্ট করা যেতে পারে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা সমন্বিত হাসপাতাল প্রস্তত এবং সর্বোপুরি কম্যুউনিটি সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউন আরো নিরাপদ সময় পর্যন্ত মেনে চলা। এদিকে এখনও করোনার জন্য যে সব হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে সেগুলোতে ভুক্তভোগীরা ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়টিও সরকারের কঠোর নজরদারীতে আনা দরকার । 

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।