কক্সবাজার সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. শাহজাহান বলেছেন, জনআকাক্সক্ষার বিপরীতে গঠিত সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশকে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়ে সরকারদলীয় লোকজন ফায়দা হাসিল করছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে সংস্কারের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চরমভাবে উপেক্ষা করে জাতিকে ধীরে ধীরে ধর্মবিমুখ করছে। শিক্ষা নিয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যদি দেশবাসী সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে একদিন সবাইকে এর জন্য চরম মাশুল দিতে হবে। পবিত্র মাহে রমযান প্রতি বছর আমাদের কুরআনিক মডেলের আলোকে সমাজ বিনির্মাণের ডাক দিয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর এ দুর্দিনে এবারের রমযান ভিন্ন বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। ফিলিস্তিন, মিয়ানমার, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে মজলুম অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। গত ১৬ মার্চ শহরের একটি মিলনায়তনে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরা অধিবেশনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
জেলা সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরা অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর মুফতি মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার শহর আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সদর আমীর অধ্যাপক খোরশেদ আলম আনসারী, রামু উপজেলা আমীর ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, ঈদগাঁও উপজেলা আমীর মাওলানা সলিমুল্লাহ জিহাদী, চকরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল বাশার, চকরিয়া পৌরসভা আমীর আরিফুল কবির, মাতামুহরী উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম, পেকুয়া উপজেলা আমীর মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, কুতুবদিয়া উপজেলা আমীর আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী, মহেশখালী উপজেলা উত্তর আমীর মাস্টার নজরুল ইসলাম, মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণ আমীর মাস্টার শামীম ইকবাল, উখিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল ফজল, টেকনাফ উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ নুরুল হোছাইন সিদ্দিকী প্রমুখ।
মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ স্বার্থের আলোকে পলিসি নির্ধারণ করে বিশ্বকে বিভক্তি ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। গাজার ক্ষুধার্ত বনি আদমের চিৎকার আজ বিশ্ববাসীর চোখে অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের প্রায় ১৫ লাখ মুসলিম জনগোষ্ঠী ভিটেবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়ে দাতা দেশের করুণার ওপর তাদের জীবন নির্ভরশীল করে রেখেছে। ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনের নামে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিতাড়নের ষড়যন্ত্র চলছে। মুসলিমরা এক উম্মাহর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিপরীতে ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের কাছে নিজেদের বন্দি রেখে বিচ্ছিন্নভাবে জীবনযাপন করার কারণে বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো শাসনের নামে শোষণ চালানোর সুযোগ পেয়েছে। এহেন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে কুরআনিক মডেলে সমাজ বিনির্মাণে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র মাহে রমযান আমাদের সেই কাক্সিক্ষত সমাজ বিনির্মাণের জন্য প্রতি বছরই তাগাদা দিয়ে যায়। মহাগ্রন্থ আল কুরআনই মানবতার মুক্তির একমাত্র পাথেয়।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- মান্দার খরস্রোতা আত্রাই নদ যেন মরা খাল
- মাওলানা আব্দুল খালেকের পরিবারের সাথে জামায়াত আমীরের ইফতার
- রমযানের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জন -মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন
- সংগঠন সংবাদ
- ঘোড়াঘাটে লিচু চাষ বাড়ছে
- বরিশালের বানারীপাড়ায় আলী হোসেনের বাড়িতে কান্নার রোল
- চাকসুর সাবেক জিএস আব্দুল গাফফারের দাফন