ইসলাম অবমাননা করায় শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধভিক্ষুর জেল
শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে প্রভাবশালী বৌদ্ধভিক্ষু গালাগোদাত্তে জ্ঞানসারাকে চার বছরের কঠোর শ্রমের সাজা দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির। ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কলম্বো হাইকোর্ট বলেছে, গালাগোদাত্তে জ্ঞানসারা ২০১৬ সালের একটি সংবাদ সম্মেলনে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আঘাত করেছেন। আদালত বলেছে, বৌদ্ধভিক্ষুকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। সাজা শুরু করার জন্য তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ শ্রীলঙ্কায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে জ্ঞানসারার বিরুদ্ধে। দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ। সেখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম। মায়ানমারের চরমপন্থী বৌদ্ধভিক্ষু উইরাথুর সাথে গালাগোদাত্তে জ্ঞানসারার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। উইরাথুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যে মায়ানমারে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নকে সমর্থন করেছেন।
ব্রিটিশ সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি
এখন থেকে ব্রিটিশ সেনারা দাড়ি রাখতে পারবেন। দাড়ি রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ব্রিটেন। ফলে ব্রিটিশ সেনাসদস্য ও কর্মকর্তাদের এখন থেকে দাড়ি রাখতে আর বাধা নেই। তবে তাদের দাড়ি ও গোঁফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়মিত নজরদারিও করা হবে। এ অনুমতির পরও কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে সেনা এবং কর্মকর্তাদের শেভ করারও প্রয়োজন হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে তাদের শেভ করার নির্দেশ দেয়া হবে। ব্রিটিশ সেনারা আশা করছে, এর মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। ব্রিটেনের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীই সবার পরে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে। টানা কয়েক বছর বিষয়টি নিয়ে নীতি পর্যালোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র। নতুন এ নীতি ঘোষণার আগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী শিখ, মুসলিম এবং রাস্তাফারিয়ানদের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মের সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছিল। এপি।
সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ জ্ঞানবাপী মসজিদ কর্তৃপক্ষের আবেদন
এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল জ্ঞানবাপী মসজিদ কর্তৃপক্ষ। ‘তহখানা’য় হিন্দুদের পূজা, আরতি বন্ধ করতে অস্বীকার করল শীর্ষ আদালত। তবে মসজিদ চত্বরে হিন্দুপক্ষের ধর্মীয় আচার পালনের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ হিন্দুপক্ষের পূজা-আরতির পাশাপাশি মুসলিমরাও জ্ঞানবাপীতে নামাযের আয়োজন করতে পারবেন। স্বভাবতই এ নির্দেশে খুশি হিন্দুপক্ষ।
জ্ঞানবাপীর ‘তহখানা’য় পূজার অনুমতি নিয়ে বারাণসী জেলা আদালতের রায়ের পর এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিমপক্ষ। যদিও ‘তহখানা’য় পূজা চলবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এর পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ‘আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি’। যদিও পূজা বন্ধের আবেদন খারিজ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীতে মোট ৪টি তহখানা রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রার্থনা চলত। সেখানেই নতুন করে পূজা শুরু হয়েছে।
এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, চলতি বছরের ১৭ এবং ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশের পরে মুসলিম সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে নামায পড়ছেন। অন্যদিকে হিন্দুদের পূজার ব্যবস্থা তহখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। আপাতত এ স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হবে। উভয় সম্প্রদায় উপরোক্ত শর্ত মেনে উপাসনা করতে পারবে। যদিও আদালত জানিয়েছে, তহখানায় পূজার অনুমতির বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামী জুলাই মাসে। সিয়াসত ডেইলি।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান
এ পাতার অন্যান্য খবর
এ বিভাগ বা পাতায় আর কোন সংবাদ, কবিতা বা অন্যকোন ধরণের লেখা পাওয়া যায়নি।