সংবাদ শিরোনামঃ

অভিযুক্ত কেউই ক্ষমতায় ছিলেন না, যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেননি ** সাজ-গোছ ও মহড়া চলছে, শিগগিরই আসছে আরেক জজ মিয়া ** ইসরাইলি কূটচালে যুক্তরাষ্ট্র আর এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে ** ভরাডুবির দিকে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি ** অভাব অনটনে জর্জরিত প্রতিবন্ধী পরিবারগুলো ** আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার ** প্রধানমন্ত্রীর তামাশা এবং একজন সম্ভাব্য ‘মধ্যমণি’ ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** পিলখানার হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত ** শিশু-কিশোর ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা ** দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত **

ঢাকা শুক্রবার ১৯ ফাল্গুন ১৪১৮, ৮ রবিউস সানি ১৪৩৩, ২ মার্চ ২০১২

দেশের পরিবহন অবকাঠামো ট্রানজিটের উপযোগী নয় : সরকারি কোর কমিটি

প্রতিবেশী দেশগুলোকে ট্রানজিট দেয়া ঠিক হবে না

সোনার বাংলা রিপোর্ট
বাংলাদেশে পরিবহনের জন্য বর্তমানে যে অবকাঠামো রয়েছে, তাতে আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে পুরোপুরিভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ট্রানজিট দেয়া ঠিক হবে না। এ ছাড়াও বর্তমানে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক রয়েছে, সেগুলোও পুরোপুরি ট্রানজিটের জন্য উপযোগী নয়। পাশাপাশি বেশকিছু আইনগত বিষয় ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে ট্রানজিট দেয়ার জন্য স্থল, রেল ও নৌপথকে উপযোগী করতে বিনিয়োগের জন্য বর্তমানে প্রায় ৫২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট সম্পর্কিত ‘কোর কমিটি’ চূড়ান্ত রিপোর্টে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রানজিট বিষয়ক কোর কমিটি  সম্প্রতি সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

২০১০ সালে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মুজিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি ট্রানজিট বিষয়ক কোর কমিটি গঠন করা হয়। এর পাশাপাশি ৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ট্রানজিটের ধারণা, নীতি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ইস্যুগুলো পর্যালোচনা করে। এর পাশাপাশি নৌ, বন্দর, সড়ক, রেল ও রেলের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপ-কমিটির সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করে। বৈঠকে বিদ্যমান ভারত-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-নেপালসহ বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি ছাড়া বিভিন্ন বিষয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়। এরই ভিত্তিতে সম্প্রতি কোর কমিটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।

রিপোর্টে কমিটি ১৪টির বেশি সুপারিশ করেছে। এ সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারের এখন চিন্তা-ভাবনা রয়েছে ট্রানজিট সুবিধায় বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে। সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বল্পপরিসরে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হলেও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা ছাড়া পুরোপুরি ট্রানজিট দেয়া ঠিক হবে না। ট্রানজিট দিতে হলে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে আরও আধুনিকায়ন ও উন্নত করতে হবে। এর পাশাপাশি বিদ্যমান কাস্টম আইনকেও সংশোধন করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে ট্রানজিটের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বিদ্যমান যে চুক্তি রয়েছে তা আরও যুগোপযোগী করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করতে হবে।

জানা গেছে, বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মতো বিভিন্ন চুক্তিকে যুগোপযোগী করার সুপারিশ রেখেছে কোর কমিটি। প্রয়োজনে একটি ‘জাতীয় ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা যেতে পারে। যে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ট্রানজিটের পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ এবং সময় সময় পর্যালোচনা ও মনিটরিং করা হবে। ট্রানজিটের বিষয়টি সাময়িক নয়, যে কারণে ট্রানজিটের বিভিন্ন সুবিধা যাতে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপাল পেতে পারে তার জন্য একটি আঞ্চলিক পরিপূর্ণ চুক্তির প্রয়োজন রয়েছে।

কমিটি ৬২ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ২৫টি বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রানজিটের রুট চিহ্নিত করা, বিনিয়োগের স্থানগুলো চিহ্নিত করা, আঞ্চলিক ট্রানজিট চুক্তি করা, ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করা, ট্রানজিটের অর্থনৈতিক সফলতা ও ঝুঁকি, পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক বিষয়, অভ্যন্তরীণ দায়দায়িত্ব ইত্যাদি।

কমিটি সড়কপথে ট্রানজিটের রুটগুলো মানচিত্রসহ চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে এসব রুটে কি ধরনের যানবাহন চলবে ও তার ফি কত হবে, সে ব্যাপারেও সুপারিশ করেছে। এর পাশাপাশি রেলপথ ও নৌপথের রুটগুলো ফিসহ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর, স্থলবন্দরের বিদ্যমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে কোথায় কি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটি ট্রানজিটের সঙ্গে আগামী দিনের পদ্মা বহুমুখী সেতুকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

কমিটি অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়নের বিষয়গুলো তুলে ধরে একটি পর্যবেক্ষণ অবস্থান তুলে ধরেছে তাদের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, দু’-তিন বছরের মধ্যে পুরোপুরি ট্রানজিট দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ বিদ্যমান অবকাঠামোর অবস্থা খুবই নাজুক। তবে কমিটির কয়েকজন পর্যবেক্ষক এ ট্রানজিট সম্পর্কে তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন। কেউ স্বল্প পরিসরে ট্রানজিট চালু করার কথা বলেছেন। আবার কেউ অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া ট্রানজিট চালু করার বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

কমিটি ট্রানজিট ফি যেভাবে নির্ধারণ করেছে তাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টানা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি মোটরযান চলাচলের ওপরে কি ধরনের ফি হওয়া উচিত, সে বিষয়টি কমিটির প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভিত্তি তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিশেষ করে ট্রানজিটের ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ কিভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান হতে পারে তার একটি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে এতে। বিশেষ করে যে পরিমাণ বিনেয়োগ প্রয়োজন, ট্রানজিটের ফলে সে বিনিয়োগের সুফল কত দিনে কীভাবে পাওয়া যেতে পারে তারও একটি সারমর্ম তুলে ধরা হয়েছে কমিটির প্রতিবেদনে। ফি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফি উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে কাস্টম সার্ভিস চার্জ, বিদেশি মোটরযান প্রবেশ ফি, রাস্তা মেরামত ফি, নিরাপত্তা ফি, বায়ুদূষণ ফি ও শব্দদূষণ ফি কত হতে পারে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।কমিটির প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত যদি ট্রানজিটের ফলে লাভবান হয় তাহলে বাংলাদেশকেও এর অংশীদার করতে হবে। এ ছাড়াও কমিটির বিভিন্ন প্রটোকলের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় সমঝোতার স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।