সংবাদ শিরোনামঃ

অভিযুক্ত কেউই ক্ষমতায় ছিলেন না, যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেননি ** সাজ-গোছ ও মহড়া চলছে, শিগগিরই আসছে আরেক জজ মিয়া ** ইসরাইলি কূটচালে যুক্তরাষ্ট্র আর এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে ** ভরাডুবির দিকে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি ** অভাব অনটনে জর্জরিত প্রতিবন্ধী পরিবারগুলো ** আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার ** প্রধানমন্ত্রীর তামাশা এবং একজন সম্ভাব্য ‘মধ্যমণি’ ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** পিলখানার হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত ** শিশু-কিশোর ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা ** দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত **

ঢাকা শুক্রবার ১৯ ফাল্গুন ১৪১৮, ৮ রবিউস সানি ১৪৩৩, ২ মার্চ ২০১২

কংশ নদীতে কৃষকদের দেয়া বাঁধ

পূর্বধলা (নেত্রকোণা) থেকে সংবাদদাতা
নেত্রকোণার পূর্বধলা ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলাকে পৃথককারী কংশ নদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দুই উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের কৃষক বোরো ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছে। নদের পানি দিন দিন শুকিয়ে যাওয়ায় উভয় পাড়ের প্রায় তিন শতাধিক এল.এল.পি (ল লিফ পাম্প) স্যালো মেশিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে দুই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর আবাদি বোরো ফসল হুমকির মধ্যে পড়েছে। ফসল বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে কৃষকরা সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর থেকে নেমে আসা সুমেশ্বরী নদীর কংশ নদের মিলন স্থলে জারিয়া অংশে ভাটীর দিকে স্বেচ্ছাশ্রমে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে কংশ নদের পানি উজান দিকে সরবরাহ করছে। 

সরেজমিন দেখা গেছে, শুকিয়ে যাওয়া কংশ নদের জারিয়া অংশে যেখানে দুর্গাপুরের সুমেশ্বরী নদী মিলিত হয়েছে তার ভাটীর দিকে দুই উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের শতাধিক কৃষক পালাক্রমে বালির বস্তা ও বাঁশের খুঁটির সাহায্যে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে। এতে পানি বাঁধাগ্রস্ত হয়ে শুকিয়ে যাওয়া কংশ নদের উজানে পূর্বধলা উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের মহেষপট্টি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত হয়ে পড়ছে। ফলে পূর্বধলা উপজেলার পাটরা, দামপাড়া, ঘাগড়া, কাপাশিয়া, সোনাইকান্দা, নাটেরকোণা, লেটিরকান্দা, খাটুয়ারী, চরপাড়া, মহেষপট্টি ও ধোবাউড়া উপজেলার টাঙ্গাটি, রঘুরামপুর, আঠাম, ঘুঙ্গিয়াজুড়ি, কাঠালকুশি, কালীপুর, পোড়াকান্দুলিয়া, ইশ্বরখোলা, ধোবাউড়া শংকরপুর গ্রামের শত শত কৃষকের বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম এই নদ থেকে পানি উত্তোলনকারী তিন শতাধিক স্যালো ও মোটর সচল রাখতে পারছে। এতে দুই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল সেচ সঙ্কট থেকে রক্ষা পাবে।

এ সময় রঘুরামপুর গ্রামের কৃষক আ. সাত্তার, সায়েদুল ফকির বলেন, এই নদে পলি জমে চর সৃষ্টি হওয়ায় শুকনা মওসুমে নদ শুকিয়ে যায়। তাই নদটি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করে দিলে সারাবছর নদে পানি থাকত এবং সেচ কাজে সুবিধা হতো। দামপাড়া গ্রামের কৃষক আ. রউফ, আ. মান্নান, ঘাগড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, কংশ নদের জারিয়া অংশে সরকারি উদ্যোগে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণের মাধ্যমে শুকনো মওসুমের নদের পানি উজানে সরবরাহ করা হলে দুই উপজেলার ২০ গ্রামের কৃষক উপকৃত হতো।

এ ব্যাপারে পূর্বধলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার সাহা বলেন, বাঁধটি নির্মাণ করা হলে দুই উপজেলার ২০টি গ্রামের কৃষক সেচ কাজে উপকৃত হবে। অস্থায়ী বাঁধের জায়গায় একটি রাবারড্যাম নির্মাণ হলে নদের দুই পাড়ের কৃষকরা প্রতিবছরই বোরো মওসুমে সেচ কাজে সুবিধা পাবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।