সংবাদ শিরোনামঃ

অবশেষে সরকার ও আ’লীগের পরাজয় ** তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানুন নয় তো বিদায় নিন ** আওয়ামী লীগাররা বিস্মিত হতবাক! ধস আর ঠেকানো যাচ্ছে না! ** উন্নয়নের রাজনীতি উপহার দিন না হলে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে দেয়া হবে ** আ’লীগের ফ্যাসিবাদী চেহারা ** প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গ-তামাশা বনাম খালেদা জিয়ার আলটিমেটাম ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ঢাকার মহাসমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা ** ৪২টি ট্রেন চলাচলের জংশন স্টেশন পার্বতীপুরে যাত্রী ভোগান্তির শেষ নেই **

ঢাকা শুক্রবার ২ চৈত্র ১৪১৮, ২২ রবিউস সানি ১৪৩৩, ১৬ মার্চ ২০১২

গণগ্রেফতার, তল্লাশি, গাড়ি রিক্যুইজেশান, হুমকি

ঢাকার মহাসমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা

ঢাকা চলো কর্মসূচী ও মহাসমাবেশের গাড়ি বহরে পুলিশি বাধা ও রাস্তায় ব্যারিকেডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

বরিশাল

বরিশাল থেকে সংবাদদাতা : ঢাকার সথে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ ও সড়ক যোগাযোগ তিনদিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ১১ মার্চ রোববার সকাল থেকে বাস টার্মিনালে আন্তঃজেলা যাত্রীদের কোনো কোলাহল পরিলক্ষিত হয়নি। বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এখন অনেকটা নীরব হয়ে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ১০ মার্চ শনিবার রাত থেকে বন্ধ রাখা হয় রাজধানী থেকে বরিশাল রুটের সকল ফেরি। তার সাথে তাল মিলিয়ে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন বরিশাল স্টেশন ছেড়ে যায়নি। ১১ মার্চ সকালে আন্ত জেলা বাস সার্ভিসও প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। যা ১২ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়। এতে বেড়ে যায় জনদুর্ভোগ। মানুষ পড়ে চরম ভোগান্তিতে। বরিশাল জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঢাকার সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এখানেও একই সিদ্ধান্ত। সব ফেরি বন্ধ আছে ঢাকা যাওয়ার কোনো ওয়ে নেই। তাই আমরা বাস ছাড়ছি না। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে। শনিবার মধ্যরাত থেকে এ অবস্থা বিরাজ করে।

এদিকে গত ১০ মার্চ শনিবার বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্ত ১১ মার্চ লঞ্চ না ছাড়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অলিখিত নির্দেশ থাকায় কোনো লঞ্চ ঢাকায় যাবে না বলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সরেজমিনে বরিশাল দ্বিতল লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকাগামী হাজার-হাজার যাত্রীর ভিড়। টার্মিনালের পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় সাধারণ যাত্রীরা এসে ভিড় করে। লঞ্চ ছাড়বে না শুনে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা পরিলক্ষিত হয়। কেউ কেউ করছে বিরূপ মন্তব্য।

আপরদিকে আরিচা ঘাট সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের নির্দেশে আরিচা ঘাটের ৭টি ফেরির সবগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পাটুরিয়া ঘাট থেকে দূরপাল্লার সব বাসের যাতায়াত বন্ধ থাকে। এখান থেকে বিআরটিসিসহ কোনো ধরনের বাস ছেড়ে যায়নি। ঢাকাগামী ও দূর-দূরান্তের শত শত যাত্রী রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছে। পাটুরিয়ার রাস্তা-ঘাটে হরতালের পরিবেশ বিরাজ করে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক যানবাহন তল্লাশি করে পুলিশ। রিক্যুইজিশন করে যানবাহন। এসব অভিযানে যাত্রীবাহী যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয় বেশি। দেয়া হয় মামলা। তাছাড়া ১৩ মার্চ পর্যন্ত গাড়ি রাস্তায় চলাচল করলে ফিটনেস ও রুট পার্মিট বাতিলেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসচালক ও মালিকরা।

কালিয়াকৈর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যানবাহন চালক-মালিকরা রিক্যুইজিশন, তল্লাশি, হুমকিসহ বিভিন্ন রকম পুলিশি হয়রানিতে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে বলে জানালেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতা মিনারউদ্দিন। শুধু কালিয়াকৈরেই নয় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গেও ১১৭টি রোটের যানচলও বিঘিœà¦¤ হচ্ছে তল্লাশির কারণে।

যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো বন্ধ থাকার ফলে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহায়। রিকশা, ভ্যান, টেম্পোযোগে বেশি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান, চন্দ্রাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এদিকে গাজীপুরে বিএনপি ও জামায়াতের ১২৮ নেতাকর্মীকে পুলিশ গত ৩ দিনে আটক করেছে। তার মধ্যে ১৬ জন কালিয়াকৈরের। তাদের মিথ্যা পেন্ডিং মামলা অথবা ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে জেলে পুরে দেয়া হয়।

ঢাকা-খুলনা, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ রোড

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : বিএনপির ১২ মার্চের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-মাওয়া রুটে বাস চলাচল ১১ মার্চ সকাল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে বন্ধ রাখতে বলা হয় মাওয়া ঘাটের সকল হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।

দিনে-রাতে অভিযান চালিয়ে টঙ্গীবাড়ি ছাড়া সকল থানায়ই গণগ্রেফতার করা হয়। থানার অফিসার্স ইনচার্জ থেকে জানা যায়, টঙ্গিবাড়ি ছাড়া শ্রীনগর-৩, মুন্সীগঞ্জ-৩, গজারিয়া-১২, লৌহজং-৩, সিরাজদিখান-১৮ মোট ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

৯ মার্চ শনিবার দুপুরের পর থেকে একে এক বন্ধ হতে থাকে ঢাকা-মাওয়া রুটে চলাচলরত বাসগুলো। অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ-বালিগাও রুটের বাস চলাচল রোববার থেকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে প্রত্যেক কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে কাউন্টারে তালা ঝুলছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে কাউন্টারগুলো দখল করে রেখেছে। মাওয়া-গুলিস্তান ও মাওয়া যাত্রাবাড়ি রুটের আনন্দ, গ্রেট বিক্রমপুর (ভিআইপি), প্রচেষ্টা, গুনগুন ও ইলিশসহ বড় বড় পরিবহনগুলো তাদের বাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়।

দীর্ঘ সময় বাস না পেয়ে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়। বিকল্পভাবে অনেককেই স্কুটারে করে ঢাকায় যেতে দেখা গেছে। মাওয়া ঘাট বাসমালিক কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইলিশ পরিবহনের মালিক গোলাম গাউস জানান, ঢাকায় বাস ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কিছু লোকজন ঢাকায় চালকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, বাস নিয়ে ১২ তারিখের আগে ঢাকায় প্রবেশ করলে ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে। তাছাড়া পথে পথে পুলিশের চেকপোস্টেও বাসগুলোকে নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়। তাই নিজেদের জান-মাল রক্ষায় কর্তৃপক্ষ এ রুটে শনিবার দুপুরের পর থেকে বাস চলাচল সীমিত করে এক প্রকার বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে মুন্সিগঞ্জ শহর-শহরতলী, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের পথে পথে বাধা দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে জেলার লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় এবং কেরানীগঞ্জের কাছে পৃথক দু’টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে নেতাকর্মীদের ঢাকায় যেতে বাধা দেয়া হয়। এছাড়া মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে টহল দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর মহাসড়কের সামনে যাত্রীদের নামিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করার অভিযোগ করা হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলা থেকে ৪৮ ঘণ্টায় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করার অভিযোগও করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল হাই বলেন, ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ মহাসমাবেশ কর্মসূচিকে সামনে রেখে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত ৩ শতাধিক ব্যানার-ফেস্টুন সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা খুলে নিয়ে যায় ও ছিঁড়ে ফেলে। মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশি তল্লাশির নামে হয়রানি, ভয়-ভীতি ও শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেন তিনি।

অপরদিকে ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। গত ১০ ও ১১ তারিখে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে থানা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফরহাদ হোসেন, কেয়াইন ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. সেলিম, লতব্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাসেল মুন্সি, রাজানগর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. শফিক, সাবেক মালখানগর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আ. হাই বাবু, মালখানগর ইউনিয়নের যুবদল নেতা মো. মিলনসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে লাথি মেরে দরজা জানালা ভেঙে ফেলে। গজারিয়ায়ও বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ প্রশাসন।

রায়পুর

লক্ষ্মীপুর থেকে সংবাদদাতা : চলো চলো ঢাকা চলো স্লোগানে মহাসমাবেশে যেতে বিধি নিষেধ এবং সরকারি দল ও পুলিশি বাধায় যেতে না পেরে হতাশা ব্যক্ত করে অসংখ্য নেতাকর্মী। গত ১০ মার্চ শনিবার রাত থেকে দূর পাল্লার গাড়ি ছেড়ে অঘোষিত নিষেধ করে পুলিশ। এদিকে নদী পথে লঞ্চে যাওয়ার পথ ও বন্ধ করা হয়েছে।

বিভিন্ন বিধি নিষেধ ও কড়াকড়ির কারণে রায়পুর উপজেলা থেকে অসংখ্য নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যেতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেই সাথে সাধারণ মানুষ রোগীসহ বিদেশি যাত্রীরা রাজধানীতে যেতে না পেরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।