সংবাদ শিরোনামঃ

অবশেষে সরকার ও আ’লীগের পরাজয় ** তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানুন নয় তো বিদায় নিন ** আওয়ামী লীগাররা বিস্মিত হতবাক! ধস আর ঠেকানো যাচ্ছে না! ** উন্নয়নের রাজনীতি উপহার দিন না হলে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে দেয়া হবে ** আ’লীগের ফ্যাসিবাদী চেহারা ** প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গ-তামাশা বনাম খালেদা জিয়ার আলটিমেটাম ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ঢাকার মহাসমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা ** ৪২টি ট্রেন চলাচলের জংশন স্টেশন পার্বতীপুরে যাত্রী ভোগান্তির শেষ নেই **

ঢাকা শুক্রবার ২ চৈত্র ১৪১৮, ২২ রবিউস সানি ১৪৩৩, ১৬ মার্চ ২০১২

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
বৃটিশ নির্মিত পার্বতীপুর রেল জংশন স্টেশনটি ১৩৮ বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি উন্নয়নের ছিঁটে ফোঁটা পড়েনি। বরং কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন একই পদে একইস্থানে চাকরি করায় দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এ রেল স্টেশনটির ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। জানা গেছে, ১৮৭৪ থেকে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে সেই সময় দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার মধ্যে স্থাপিত হয় পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনটি। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ রেলওয়ে জংশন স্টেশন, লোকোমোটিভ কারখানা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিপো, বড়পুকুরিয়া, কয়লাখনি, তাপ বিদ্যুৎ ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি। এ ধরনের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই পার্বতীপুর রেলস্টেশনটি। এখান থেকে মিটার গেজ, ব্রডগেজ রেলপথে চর্তুমুখী যাতায়াত করা যায়। বৃটিশ আমলে ব্রডগেজ পথে ভারতের কলকাতা থেকে বেনাপোল হয়ে পার্বতীপুরের উপর দিয়ে চিলাহাটী হয়ে পশ্চিম বঙ্গের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও আসামের গৌহাটি পর্যন্ত যাওয়া যেত। মিটার গেজ রেলপথে মোঘলহাট, লালমনিরহাট, পার্বতীপুর, বিরল, রাদিকাপুর, ত্রিপুরা ও আগরতলা পর্যন্ত সরাসরি রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু ছিল। বর্তমানে বেনাপোল বিরল হয়ে ভারত ও নেপাল থেকে পার্বতীপুর হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে শুধুমাত্র ভোগপণ্য পরিবহন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। পার্বতীপুরের পশ্চিমে দিনাজপুর হয়ে বিরল পঞ্চগড়, পূর্বে লালমনিরহাট, বুড়িমারী-গাইবান্ধা হয়ে বোনারপাড়া, বগুড়া, সান্তাহার, ঢাকা, উত্তরে সৈয়দপুর হয়ে নীলফামারী, চিলাহাটী, দক্ষিণে জয়পুরহাট, সান্তাহার, ঈশ্বরদী, রাজশাহী, খুলনা, ঈশ্বরদী (বাইপাস) হয়ে যমুনা সেতু দিয়ে টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, ঢাকা যাওয়া যায়। প্রতিদিন পার্বতীপুর থেকে ৪টি রুটে ৪২টি ট্রেন চলাচল করায় সরকারের বিপুল অংকের রাজস্ব আয় হয়। কিন্তু সরকারের ঘরে পুরো রাজস্ব আয় পৌঁছে না। বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রীর আগমন ঘটে এই পার্বতীপুর স্টেশনে। তথাপি রেল স্টেশনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কারণে স্টেশন যাত্রী সেবার মান ক্রমশই কমে আসছে। স্টেশনটিতে ৫টি প্লাটফর্ম প্রতিটি দৈর্ঘ্য ১ হাজার ফুট। যাত্রী ছাউনিগুলো আধুনিকায়ন না হওয়ায় যাত্রী সেবার মান অনুন্নত ও হতাশাব্যাঞ্জক। রেল স্টেশনের পুরো লাইনে স্লিপার ও পাথর না থাকায় মাঝে মধ্যেই স্টেশনে ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। স্টেশনটি বৃটিশ আমলে নির্মিত এসব যাত্রী ছাউনি অধিকাংশের অবস্থা জরাজীর্ণ। পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় ছাউনির অভাবে কী রোদ, কী বৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্টেশনটির চারদিক অরক্ষিত উন্মুক্ত জনপদ। স্টেশন এলাকার বাউন্ডারি বেড়া না থাকায় ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রীদের যাতায়াত যেমন আটকানো সম্ভব নয়। তেমনি উন্মুক্ত স্টেশনটিতে গবাদি পশু ও শুকরের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। পুরো স্টেশনটি এখন অগাছালো ও দুর্গন্ধময় স্টেশনে সৃষ্টি হয়েছে। ৪নং প্লাটফর্ম যাত্রী ছাউনি বৃদ্ধি করায় যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩নং প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬শ’ ফুট এবং ১নং প্লাটফর্মের ৪শ’ ফুট যাত্রী ছাউনি রয়েছে। এর মধ্যেই বৃটিশ আমলের তৈরি অন্যতম এ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যাত্রীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত আসন, নেই আধুনিক সুযোগ সুবিধা। যাত্রী পারাপারের ওভার ব্রিজটি নির্মাণের ৮১ বছর পার হওয়ায় এখন ভাঙতে বসেছে। ৪নং প্লাটফর্মের উত্তর দিকের ওভার ব্রিজের সিঁড়ির নিচ থেকে ১৬নং সেডটি ভেঙে গেছে এবং ওভার ব্রিজটির পশ্চিম দিকে নামার সময় সেডগুলো নড়বড় করছে। এছাড়া রোদ বৃষ্টিতে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না, ব্রিজটির উপরে কোনো ছাউনি না থাকায়। সাধারণ যাত্রীদের কাউন্টারে টিকিট পাওয়া দুর্লভ বস্তুর শামিল। কখনই মিলে না চাহিদা মাফিক টিকিট। কতিপয় অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে বেশি টাকায় স্টেশনের বাহিরে পার্কের মুষ্টিমেয় দোকান থেকে টিকিট পাওয়া যায় হরহামেশাই। দূর-দূরান্তের যাত্রী নিরুপায়, সিট ছাড়াই তাদের গন্তব্যে স্থানে যেতে হয়। এ বৃহৎ জংশন রেলওয়ে পার্বতীপুর অবহেলা আর অযতেœ হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য। পর্যাপ্ত আলো নিরাপত্তা বেষ্টনি ও নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় রাত নামলেই প্লাটফর্মসহ স্টেশন এলাকায় ভিন্নরূপ ফুটে উঠে। মাদকদ্রব্য বিক্রেতার দল ব্রিজের নিচে এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নারী পুরুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। স্টেশনে এলাকায় ফেনসিডিল গাঁজা ভারতীয় নেশাজাত ট্যাবলেট সিরাপসহ মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।