সংবাদ শিরোনামঃ

অবশেষে সরকার ও আ’লীগের পরাজয় ** তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানুন নয় তো বিদায় নিন ** আওয়ামী লীগাররা বিস্মিত হতবাক! ধস আর ঠেকানো যাচ্ছে না! ** উন্নয়নের রাজনীতি উপহার দিন না হলে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে দেয়া হবে ** আ’লীগের ফ্যাসিবাদী চেহারা ** প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গ-তামাশা বনাম খালেদা জিয়ার আলটিমেটাম ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ঢাকার মহাসমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা ** ৪২টি ট্রেন চলাচলের জংশন স্টেশন পার্বতীপুরে যাত্রী ভোগান্তির শেষ নেই **

ঢাকা শুক্রবার ২ চৈত্র ১৪১৮, ২২ রবিউস সানি ১৪৩৩, ১৬ মার্চ ২০১২

কুষ্টিয়া থেকে সংবাদদাতা : সেচ পাম্প-মালিকদের বিদ্যুৎ বিলে সরকারের দেয়া ২০ শতাংশ ভর্তুকির সুবিধা কুষ্টিয়ার কৃষকরা পাচ্ছেন না। এ টাকার পুরোটাই চলে যাচ্ছে গভীর ও অগভীর নলকূপের মালিকদের পকেটে। কৃষকদের অভিযোগ, ভর্তুকির সুবিধা তারা পান না। উপরন্তু সেচ দিতে বেশি টাকা এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলও দিতে হয় সেচযন্ত্রের মালিকদের। কৃষকরা বলেন, জমিতে সেচ দিতে নলকূপ-মালিকদের ইউনিটপ্রতি পাঁচ-ছয় টাকা করে দিতে হয়। অথচ পল্লীবিদ্যুতের বিল ইউনিট প্রতি তিন টাকা ১৯ পয়সা। ওই বিলের পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে ধান আবাদের জন্য মালিককে দুই মণ বা ৭০ কেজি ধান দিতে হয়। ফলে কৃষকরা নলকূপ-মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

দৌলতপুর উপজেলার মৌবাড়িয়া গ্রামের কৃষক কাজী শফিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, শ্যালো ইঞ্জিনের নলকূপে সেচ দিতে ঘণ্টায় ২০-২২ টাকা দিতে হয়। এক ঘণ্টা সেচযন্ত্র ইঞ্জিন চললে সর্বোচ্চ তিন ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর গভীর নলকূপের মালিকদের দিতে হয় ঘণ্টায় ৪০-৪২ টাকা। বিদ্যুৎ খরচ হয় আট ইউনিট। দৌলতপুর উপজেলার গোয়ালগ্রাম, কামালপুর, বড়গাংদিয়া, চকঘোগা, বোয়ালিয়া, সিলিমপুর, শ্যামপুর, পিপুলবাড়িয়াসহ আরও কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা একই অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি শ্যালো ইঞ্জিনের মালিক বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড় পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘কৃষকদের এ টাকা দেয়া হয় না, সবাই (মালিকরা) নেয়, তাই আমরাও নিই। কুষ্টিয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২৩৫টি গভীর ও তিন হাজার ৭৭০টি অগভীর নলকূপ আছে। বিদ্যুৎচালিত এসব নলকূপের মাসিক মোট বিলের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৪১৩ টাকা, ডিসেম্বর মাসে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৫৫৮ টাকা ও এ বছরের জানুয়ারি মাসে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ১১২ টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মুখলেছ গণি বলেন, বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের সুবিধা কৃষক পাচ্ছেন কি না, সেটা কৃষি মন্ত্রণালয় দেখবে। কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা জানি কৃষকরা ভর্তুকি পান। তৃণমূলের কৃষকরা এ ভর্তুকি পাচ্ছেন কি না, সেটা দেখার কোনো নির্দেশ নেই। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষি কার্যালয়ে জনবল কম। সে হিসেবে নজরদারি করা সম্ভব নয়।’ কুষ্টিয়া বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সরকারিভাবে জেলায় ২০টি গভীর নলকূপ আছে। এগুলোতে সেচ দিতে ঘণ্টাপ্রতি শুধু ৯০ টাকা নেয়া হয়। কোনো ফসল নেয়া হয় না। তবে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ জমির সেচ ব্যক্তিমালিকানার সেচপাম্পের মাধ্যমে দেয়া হয়। তৃণমূলের কৃষকরা ভর্তুকির টাকা না পাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন, এত বৃহৎ কাজ নজরদারি করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে কৃষকরা জোট বেঁধে বিষয়টি সুরাহা করতে পারেন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।