সংবাদ শিরোনামঃ

সমুদ্রে এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ ** পরবর্তীতে বলবৎ আইন দিয়ে পূর্বে সংঘটিত অপরাধের বিচার করা যায় না ** সরকার জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে ** উপদেষ্টারা সরকার ও দলসহ দেশকে ডুবাতে বসলেও হাসিনার বোধোদয় হচ্ছে না ** বাংলাদেশের ১৭শ’ একর জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ** ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ ** ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে...’ ** মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা চলছে লুটপাট ** সীতাকুণ্ডে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড করতে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে উপকূলীয় গাছ সাবাড় করার অভিযোগ ** সরকার বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী মতবাদ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ** চবি সভাপতিসহ ৮ নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী শিবিরের বিক্ষোভ ** দেশ সন্ত্রাস রাজনীতি ** ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিংশিবির **

ঢাকা শুক্রবার ৯ চৈত্র ১৪১৮, ২৯ রবিউস সানি ১৪৩৩, ২৩ মার্চ ২০১২

॥ মুনতাসির রহমান॥
উপদেষ্টাদের ভারে ভারাক্রান্ত এখন আওয়ামী লীগ নামের মহাজোট সরকার। দলের মধ্য থেকে অভিযোগ উঠেছে ভারওয়ালা উপদেষ্টারা সরকারকে ডুবিয়েছে। তাদের ক্ষমতা এবং কার্যপরিধি এতই সীমাহীন যে, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা সরকারি আমলারাই শুধু নয়, দলের নেতাকর্মীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কেউ তাদের নাম পর্যন্ত শুনতে পারেন না। কিন্তু সিনিয়র নেতারা ছাড়া অন্য কেউ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পান না। উপদেষ্টাদের গুরুত্ব যতটা নয় তার চেয়ে ভারত্ব অনেক বেশি। তাদের গুরুত্বটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবচেয়ে বেশি। বেশি হওয়ার কারণ হলো তারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া তাদের প্রধান কাজ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের গুরুত্বটা এতই বেশি যে, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তাদের খবরদারি কায়েম হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবের ভূমিকায় চলে গেছে। অনেকে রসিকতা করে বলছেন, উপদেষ্টাদের দাপটে মন্ত্রীরা এখন ওএসডি হয়ে আছেন। অর্থাৎ মন্ত্রীদের কোনো কাজ নেই, তাদের দায়িত্ব পালন করছেন উপদেষ্টারা। লোক নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সকল কাজই তারা করছেন। হাতে গোনা দুই চারটা মন্ত্রণালয় ছাড়া বাকি সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অনেকটা বেকার অবস্থায় পড়ে আছেন। সরকারের গত তিন বছরে শুধু এ কারণে কোনো গতি আসেনি অনেক মন্ত্রণালয়ে। সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলেছে মন্ত্রী এবং উপদেষ্টাদের দ্বন্দ্বের কারণে প্রশাসন অচল হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন সচিবরা। মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচিবরা মন্ত্রীদের অধীন। তারা মন্ত্রীদের নির্দেশে প্রশাসনিক কাজকর্ম করবেন। এটাই প্রচলিত বিধান। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো সচিবরা উপদেষ্টাদের অধীন হয়ে গেছেন। এসব কারণে প্রশাসনে জগাখিচুড়ি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কাজকর্মে কোনো গতি নেই। সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। সরাসরি বাদ প্রতিবাদও হচ্ছে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আলাউদ্দিন আহমদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের। মৃদু বাদ প্রতিবাদ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তকরণসহ বেশ কয়েক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বিবেচনায় ৭ জনকে তার উপদেষ্টা বানিয়েছেন। এরা হলো জনপ্রশাসনে এইচটি ইমাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ড. গওহর রিজভী, অর্থনৈতিক  বিষয়ে ড. মসিউর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং সমাজকল্যাণে ডা. মোদাচ্ছের আলী, শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনীতি ড. আলাউদ্দীন আহমেদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং তারিক আহমেদ (অব. মে. জে.) প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা। যদ্দূর জানা যায়, এরা সকলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়-স্বজন। উপদেষ্টা নিয়োগের বিধান সংবিধানে নেই। তারপরও অতীতে বিভিন্ন সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে। কিন্তু এবারই বিপুলসংখ্যক উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরা কেউই সংসদ সদস্য নন বা সরাসরি দলীয় রাজনীতিতে জড়িত নয়। দলের জন্য তাদের কোনো ত্যাগ নেই। আন্দোলন সংগ্রাম করতে এরা কেউ রাজপথে নামেননি। অর্থাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের কোনো অবদান নেই। স্রেফ প্রধানমন্ত্রীর অতি কাছের স্বজন হওয়ায় উল্লিখিত ৭ ব্যক্তিকে তিনি তার উপদেষ্টা বানিয়েছেন। যেহেতু তাদের উপদেষ্টা নিয়োগে সংবিধানিক ভিত্তি নেই সেহেতু তাদের কোনো দায়বদ্ধতাও নেই। এই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নির্বাচিতদের ওপর খবরদারি কতটুকু আইন ও বিধিসম্মত তা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই অনির্বাচিত উপদেষ্টারা সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।  কিন্তু সেটা তারা করে যাচ্ছেন অহরহ। আর এজন্য দ্বন্দ্ব-বিবাদ দল ও সরকারের মধ্যে দেখা দিয়েছে।

সংঘাত শুরু

শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪৭। আর তার উপদেষ্টার সংখ্যা ৭ সর্বমোট ৫৪ জনের বিশাল বহর নিয়ে তিনি সরকার চালাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে ক্ষমতার বহর নিয়ে। বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ৭ উপদেষ্টার কর্মকাণ্ড নিয়ে। সরকারের যাত্রা শুরুতেই দল এবং সরকারের মন্ত্রীরা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের মেনে নিতে পারেননি। তাদের কাজের গণ্ডির মধ্যে তারা সীমাবদ্ধ থাকলে তাদের নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। যদ্দূর জানা যায়, অতীতে উপদেষ্টাদের নিয়ে এত সমালোচনা যেমন হয়নি তেমনি তারা অযাচিত হস্তক্ষেপ করেনি কখনো। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ছিলেন ডা. এম এ মালেক। সভা সেমিনারে প্রধান অতিথি হলে ভাষণ দেয়া ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না। যদিও তাকে আত্মীয়তার সূত্রে উপদেষ্টা করা হয়। কিন্তু এবার সব নৈতিকতাকে হার মানিয়েছেন উপদেষ্টারা।

তাদের কর্মকাণ্ড এতটা বেপরোয়া যে, মহাজোট তো দূরের কথা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা অতিষ্ঠ হয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ৯ মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের  উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা করতে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোলায় একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। কিন্তু সরকারের তিন বছর পার হয়ে গেছে। এখনো কাজ শুরু হয়নি। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় কে চালায়? ৪৭ জন মন্ত্রী আছেন। আরো আছেন উপদেষ্টা। সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নেই। উপদেষ্টাকে তো কৈফিয়ত দিতে হয় না। অথচ তার কথার বাইরে কিছুই হয় না। ওই দিন অধিবেশনে খোদ সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা  ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎ খাতে প্রতিবছর ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে অথচ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এরও আগে শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল করীম সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকবে না তখন উপদেষ্টাদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

১৪ দলের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ড. গহর রিজভী ও ড. মশিউর রহমানকে লক্ষ্য করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয় না তারা শেখ হাসিনার উপদেষ্টা। মনে হয় তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। একই কথা বলেছেন, মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল এরশাদও। তিনি বলেন, সরকারের উপদেষ্টারা ভারতের হয়ে কথা বলছেন। ১৪ দলের আরেক শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার ও প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা এবং মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের বাক-চপলতা নিয়ে মানুষ হতাশ। মন্ত্রীরা বলেন এক রকম আর উপদেষ্টারা বলেন অন্যরকম কথা। এ যে দোতলা বাস। এক তলায় মন্ত্রীরা, দোতলায় উপদেষ্টারা। দোতলা বাস ধীরে চলে। আর ছোট বাস দ্রুত চলে।

উপদেষ্টা বনাম উপদেষ্টা

বিপুল সংখ্যক উপদেষ্টা নিয়োগের পেছনে গূঢ় রহস্যের কথা শোনা গেছে। আর সে গূঢ় রহস্যটি হলো শেখ হাসিনা তার দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর বিপরীতে ৭ জনকে উপদেষ্টা নিয়োগ দেন জেদের বশবর্তী হয়ে। ওয়ান /ইলেভেনে দলের যেসব প্রবীণ নেতা সংস্কারপন্থী হিসেবে আলোচিত ছিলেন তাদের দলের কাউন্সিলে উপদেষ্টা করেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপদেষ্টাদের কোনো কাজ নেই মাঝে মধ্যে উপদেশ, বুদ্ধি-পরামর্শ দেয়া ছাড়া। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আবদুল জলিলের মতো প্রভাবশালী নেতাদের উপদেষ্টা করে শায়েস্তা করেন। তিনি এই উপদেষ্টাদের আরো শায়েস্তা করতে তাদের মতো প্রবীণদের তার উপদেষ্টা করেন। শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন তার মনোনীত আত্মীয় চুল পাকা উপদেষ্টারা সরকার পরিচালনায় বিরাট সাফল্য দেখাতে পারবেন। আর এ জন্যই তিনি অযোগ্য অনভিজ্ঞদের মন্ত্রী করেন। নাম প্রকাশ করতে চাননি আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা এ প্রতিনিধিকে বলেন, শেখ হাসিনা আমু, তোফায়েল, জলিলদের শায়েস্তা করতে গিয়ে নিজেই শায়েস্তা হয়ে গেছেন। এইচটি ইমাম, ড আলাউদ্দীন, ডা. মোদাচ্ছের, গওহরদের চুল পেকে গেলেও রাজনীতি বা সরকার পরিচালনায় তারা অপরিপক্ব। শৃগাল নিয়ে বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে গেলে যা হয় নেত্রী সেটাই পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী আর  সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীকে এক দাঁড়িপাল্লায় মাপাটা ঠিক হয়নি। এটা করত গিয়ে নিজেই ধরা খেয়ে গেলেন।

জানা গেছে, দলের মধ্যে যেসব দ্বন্দ্ব রয়েছে তার মধ্যে উপদেষ্টাদের নিয়ে দ্বন্দ্ব বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে। যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অবহেলিত তারা ধীরে ধীরে সোচ্চার হয়ে উঠছেন। সংসদে তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, জেনারেল এরশাদ, মেনন-ইনুর উপদেষ্টাদের নিয়ে সরাসরি বক্তব্য দেয়ায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা জেগে উঠতে শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, তার উপদেষ্টাদের নিয়ে সমালোচনাকে তিনি সহ্য করতে পারছেন না।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।