সংবাদ শিরোনামঃ

সমুদ্রে এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ ** পরবর্তীতে বলবৎ আইন দিয়ে পূর্বে সংঘটিত অপরাধের বিচার করা যায় না ** সরকার জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে ** উপদেষ্টারা সরকার ও দলসহ দেশকে ডুবাতে বসলেও হাসিনার বোধোদয় হচ্ছে না ** বাংলাদেশের ১৭শ’ একর জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ** ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ ** ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে...’ ** মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা চলছে লুটপাট ** সীতাকুণ্ডে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড করতে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে উপকূলীয় গাছ সাবাড় করার অভিযোগ ** সরকার বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী মতবাদ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ** চবি সভাপতিসহ ৮ নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী শিবিরের বিক্ষোভ ** দেশ সন্ত্রাস রাজনীতি ** ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিংশিবির **

ঢাকা শুক্রবার ৯ চৈত্র ১৪১৮, ২৯ রবিউস সানি ১৪৩৩, ২৩ মার্চ ২০১২

ডেট লাইন : ১২ ও ১৪ মার্চ

সত্য ও মিথ্যার লড়াই চলছে

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত॥
গত ১২ মার্চ সরকারের শত বাধার মধ্যেও রাজধানীর নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে চারদলীয় জোট ও সমমনা দলের মহাসমাবেশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন, চারদলীয় জোট সফল হয়েছে। তাদের অর্জনের পাল্লা ভারি হয়েছে। এর মাত্র দু’দিন পর সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে ১৪ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট বন্ধ করে অনুষ্ঠিত হলো ১৪ মাইনাস জাতীয় পার্টি=১৩ দলের সমাবেশ। দু’টি সমাবেশের মধ্যে শেষেরটি ছিল ছোট। তবে পুলিশের গ্রেফতার, নির্যাতন, সরকারি দলের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীর তল্লাশি, ব্যারিকেড, সরকারের নির্দেশে বাস, ট্রাক, লঞ্চ, ট্রেন মহাসমাবেশের তিনদিন আগে থেকে বন্ধ থাকার পরও ৪ দলের মহাসমাবেশে জনতার যে ঢল নেমেছিল তাতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সরকারের আতঙ্ক বেড়েছে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা নবউদ্দীপনায় উজ্জীবিত হয়েছেন।

১২ মার্চের মহাসমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি নয় তো সরকারের পদত্যাগ এবং দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতা, সাধারণ জনগণ ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল কায়েমের অপচেষ্টা, শেয়ারবাজারের মাধ্যমে জনগণের অর্থলুট, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সীমাহীন ব্যর্থতা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, সীমান্ত হত্যা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে বক্তৃতা করেছেন  বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। জোটের শরিক দলের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়গুলো উল্লেখ করাসহ যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপি ও আবদুল আলিমের মুক্তি দাবি করেন। সমাবেশে আগত হাজার হাজার তরুণের হাতে ছিল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে ব্যানার ও প্লেকার্ড। আকাশে উড়েছে মুক্তির দাবি সম্বলিত বেলুন।

গাণিতিক পরিসংখ্যান

গাণিতিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, চারদলের মহাসমাবেশে চারদলীয় জোটের শরিকরা ছাড়া আরো সমমনা ১৪টি দল যোগ দিয়েছিল অর্থাৎ ৪+১৪=১৮ দল সমবেত হয়েছিল। অপরদিকে ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশে হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি যোগ দেয়নি, ১৪-১= ১৩ দল সমবেত হয়েছিল। সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে চারদলীয় জোটের সমাবেশের উত্তাপ ঢাকা ছাড়িয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু ১৪ দলের সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীবাসী যানবাহন সঙ্কট ও রাস্তা বন্ধ থাকায় যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন, রাজনৈতিক গতানুগতিক কর্মসূচির ভোগান্তিতে অস্বস্তিবোধ করেছেন, কিন্তু উদ্দীপনার উত্তাপ তাদের স্পর্শ করেনি।

সমাবেশের বক্তব্য এবং দেশের বাস্তবচিত্র

১৪ দলের সমাবেশ যখন চলছিল তখন মেঘনার পাড়ে লঞ্চডুবিতে স্বজনহারা হাজার হাজার মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কোনো বক্তার বক্তৃতায় তাদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করা হয়নি। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের পাঠক মন্তব্য কলামে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দুর্ঘটনায় একসাথে এতলোকের প্রাণহানি হলে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হতো। প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে ১৪ দলীয় জোট সরকার আমলের উন্নয়নের যে চিত্র তুলে ধরেছেন তার সাথেও সাধারণ পাঠক ও রাজনীতি বিশ্লেষকগণ দ্বিমত করেছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, তিনি জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছেন, দেশে সন্ত্রাস নেই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এই সময়। তার এ বক্তব্যে সাথে, দ্বিমত প্রকাশ করে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একজন পাঠক লিখেছেন,  ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, দেশে গত ৩ বছরে সন্ত্রাস, গুলি, বোমাবাজি হয়নি। জঙ্গিবাদ নেই। তাহলে বিরোধী দল কিছু করলেই কেন বলেন, জঙ্গি হামলা হবে, এরা জঙ্গি ওরা জঙ্গি। জঙ্গি জঙ্গি করেন আবার বলেন জঙ্গি নাই, কিন্তু ছাত্রলীগ যে পরিমাণে গোলাগুলি,  বোমাবাজি, সন্ত্রাস করেছে শুধু তার হিসাব দিলে প্রধানমন্ত্রীর ৫০ মিনিটের চেয়ে বড় ভাষণ হবে, আওয়ামী লীগ আর যুবলীগের কথা না হয় বাদই দিলাম। ...’

রাজনীতি বিশ্লেষকদের অভিমত, চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের অপবাদ ছড়ানো, দেশকে অস্থিতিশীল করা, ইসলামপন্থী রাজনৈতিকদলকে জঙ্গিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করে বিদেশি শক্তিকে আমন্ত্রণ জানাতে ভারতের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ এদেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছে। যুবলীগ নেতা মির্জা আযমের ভগ্নিপতি শায়খ আবদুর রহমানকে তারা এ কাজে লাগিয়েছিল। যায়যায়দিন ২২ নভেম্বর ২০০৫ সূত্রে প্রকাশ, জেএমবির বিস্ফোরকের সাথে পাওয়া গেছে ইন্ডিয়ান বীণাদিদির চিঠি। অতএব জঙ্গিবাদ আওয়ামী লীগের প্রয়োজন ছাড়া মাথাচাড়া দিবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে সন্ত্রাসকে যদি জঙ্গিবাদ বলেন, তাহলে অন্য কোনো সময়ের চেয়ে তা গত তিন বছরে অনেক অনেকগুণ বেড়েছে।

তিনি যখন আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের শান্তির বাণী শুনাচ্ছিলেন, তখন নিজদলের সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হয়ে সাভারের একটি হাসপাতালে জীবন্মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কাতরাচ্ছিলেন রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ. আজিজ, যার মৃত্যু সংবাদ দেশবাসী জানতে পারেন পর দিনের পত্রিকার পাতায়। সমাবেশের আগের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। সংর্ঘষের আশঙ্কায় তাদের সমাবেশে নিষিদ্ধ করা হয়। ১২ মার্চের চারদলীয় জোটের সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ওপর রমনা এলাকায় চড়াও হয়েছিল এ সন্ত্রাসী গ্র“প।

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কারণে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে অস্থিরতা। ছাত্রলীগের বেপরোয়া ভর্তিবাণিজ্য, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলসহ চলছে নানা অপকর্ম। গত তিন বছরে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মেডিকেল কলেজে অন্তত ৩০০ বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এতে মারা গেছে ১৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচজন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে একজন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে একজন, ঢাকা পলিটেকনিক কলেজে একজন, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন, রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে একজন, পাবনা টেক্সটাইল কলেজে একজন ও সিলেট এমসি কলেজে একজন। এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় হাজারো নেতাকর্মী। বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়ছে একাডেমিক সেশনজট।

গত ৮ ফেব্র“য়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাণয়ে ছাত্রলীগের হামলায় দুই শিবিরকর্মী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদ ও ইংরেজি শেষ বর্ষের ছাত্র মাসুদ নিহত হন। এর আগে ২০১০ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ২০১০ সালের ২৮ মার্চ রাতে শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র হারুন অর রশীদ কায়সারকে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। একই বছরের ১৫ এপ্রিল চবি ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আসাদুজ্জামান নিহত হন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই সর্বাধিক ছাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রলীগের হাতে তিন বছরে ৩ ছাত্র নিহত হয়েছেন। ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে নিহত হয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ-শিবির-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত হয় ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন। ফারুক হত্যাকাণ্ডের পরপরই চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় রাজশাহী কলেজের ছাত্র হাফিজুর রহমান শাহীন। একই বছর ১৫ আগস্ট শোক দিবসের চাঁদা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শাহ মখদুম হলের দোতলার ছাদ থেকে ছাত্রলীগ কর্মী নাসিমকে ফেলে দেয় ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। ৯ দিন মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৩ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ-পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নির্মমভাবে খুন হন নিরীহ ও মেধাবী ছাত্র আবু বকর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ গত ৮ জানুয়ারি তাদের দলীয় কর্মী ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদকে হত্যা করে। সেদিন দুপুরে জুবায়ের পরীক্ষা শেষে হলে ফেরার পথে ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে তাকে ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ৯ জানুয়ারি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবায়ের মারা যায়।

২০০৯ সালের ৩১ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন ওই কলেজের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজীব।

২০১০ সালের ১২ জুলাই সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের কর্মী পলাশ খুন হন।

২০১১ সালের ২০ অক্টোবর ছাত্রলীগের নির্যাতনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রদল নেতা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবিদুর রহমান নিহত হন।

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউিটে ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি রেজানুল ইসলাম চৌধুরীকে খুন করে ছাত্রলীগ।

গত ২১ জানুয়ারি পাবনা টেক্সটাইল কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফা কামাল শান্তকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে যুবলীগ।

তেজগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আহত হয়ে দীর্ঘ ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গত ২০ সেপ্টেম্বর নিহত হন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাইসুল ইসলাম রাহিদ।

সর্বশেষ ২০১২ সালের ১২ মার্চ প্রতিপক্ষের হামলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চাঁদার টাকা ভাগাভাগির ঘটনায় নিজ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলায় আ. আজিজ খান গুরুতর আহত হন। ১৫ মার্চ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

১৪ দলের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের আমলে, মিডিয়ার স্বাধীনতা, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, বেকার সমস্যার সমাধান, চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্যেও চিত্র তুলে ধরেন। কিন্তু এরমাত্র দুইদিন আগে ১২ মার্চ বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়, তার নির্দেশে। আগে জনগণ জাতীয় সংসদ থেকে আওয়াজ পেয়েছেন, ‘আমার বিদ্যুৎ গেল কই’। এ আওয়াজ বিরোধীদল নয় সরকার দলের সদস্যরাই দিয়েছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন কিন্তু বিরোধীদেলের নেতৃবৃন্দের জামিনের আবেদন বারবার ফিরে আসে, আদালত জামিন দিলেও আবার জেলগেট থেকে তাদের আটক করা হচ্ছে, মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় জড়ানো হচ্ছে। শেয়ারবাজারে সর্বস্ব হারিয়ে দারিদ্র্যের কষাঘাতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে নিরীহ মানুষ, চাকরি হারিয়ে রাজপথে মানববন্ধনের সারি লম্বা হচ্ছে। তারপরও ভাষণে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ, মানতেই হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।