সংবাদ শিরোনামঃ

আইনের ব্যাপকতা ও বাধ্যবাধকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ** সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় ** আওয়ামী লীগে প্রবল সাংগঠনিক বিপর্যয়; শীর্ষ নেতৃত্বে বিভাজন অত্যাসন্ন ** ঢাবি জাবি রাবি চবি’র চার ভিসি অবৈধ! ** নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ** জাসদই তাহলে মুজিব হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল! ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ৮০০ রাইস মিলের চালের দুনিয়া এখন খাজানগর গ্রাম ** আইনের শাসন পরিপন্থী অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** আদর্শ জননীরূপে একজন নারী **

ঢাকা শুক্রবার ৩০ চৈত্র ১৪১৮, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০১২

এমএলএম ব্যবসা সম্পর্কে শীর্ষ আলেমদের ফতোয়া

ডেসটিনির মাল্টিলেভেল মার্কেটিং ব্যবসা শরীয়তে নিষিদ্ধ

॥ মিয়া হোসেন ॥

ইসলাম কর্তৃক নিষিদ্ধ কিছু বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি থাকায় আলোচিত ডেসটিনিসহ সকল প্রকার মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা শরীয়তে নিষিদ্ধ বলে ফতোয়া দিয়েছেন দেশের শীর্ষ মুফতীগণ। ফতোয়ায় তারা বলেছেন, ডেসটিনি তথা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতির ব্যবসার মধ্যে সুদের দৃঢ়সন্দেহ ও সাদৃশ্য রয়েছে, চুক্তির মধ্যে রয়েছে অনিশ্চয়তা, রয়েছে শ্রমবিহীন বিনিময় এবং বিনিময়বিহীন শ্রম, এছাড়াও রয়েছে পরিবেশক হওয়ার জন্য পণ্য ক্রয়ের শর্ত। যা ইসলামে নিষিদ্ধ।  কওমী মাদরাসাসমূহের বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার তত্ত্বাবধানে ১৯ জন মুফতীর সমন্বয়ে গঠিত মুফতি বোর্ড দীর্ঘ গবেষণার পর এ ফতোয়া জারি করেন। মুফতী বোর্ডের নেতৃত্বে ছিলেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জাব্বার। এ ফতোয়া ঘোষণার পর তা সমর্থন করে স্বাক্ষর করেছেন ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমীর মুফতী ফজলুল হক আমিনীসহ সারাদেশের প্রখ্যাত মুফতীগণ।

মুফতী বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কারণে এমএলএম ব্যবসাকে শরীয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো.শুবহাতুর রিবা বা সুদের সন্দেহ ও সাদৃশ্য। ফতোয়ার প্রতিবেদনে বলা হয় ‘শুবহাতুর রিবা’ অর্থাৎ, ‘সুদের সন্দেহ’ এবং ‘সাদৃশ্য’ কারবার বর্জন করার সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে শরীয়তে। হযরত উমর রা. বলেন, তোমরা সুদ বর্জন কর এবং এমন জিনিসও বর্জন কর যাতে সুদের সন্দেহ রয়েছে। Ñমুসনাদে ইমাম আহমাদ : ১/৩৬, ৫০, হাদিস ২৪৬, ৩৫০; সুনানে ইবনে মাজাহ : ২/৭৬৪, হাদিস ২২৭৪। এই উক্তি এবং শরীয়তের অন্যান্য দলিলের আলোকে ফুকাহায়ে কেরাম এমন বহু কারবারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, যেগুলোতে সুদের সন্দেহ ও সাদৃশ্য রয়েছে। 

মুফতী বোর্ড পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছে, আলোচিত মাল্টিলেভেল বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিতেও শরীয়তে নিষিদ্ধ ‘সুদের সন্দেহ ও সাদৃশ্য’ পরিষ্কারভাবে বিদ্যমান, যার দরুন এ সকল কারবার নাজায়েয ও বর্জনীয়।

বিষয়টি আরো ভালোভাবে বুঝানোর জন্য তারা একটি উদাহরণ দিয়েছেন। উদাহরণে বলা হয়েছে, মনে করি জাকির নামের এক ব্যক্তি ডেসটিনি- ২০০০ লিমিটেডকে ১০,০০০/- টাকা প্রদান করে একটি পণ্য নিল (যার পয়েন্ট ৫০০) এবং নিয়ম অনুযায়ী সে ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পেল এবং সে আরো দু’জন ক্রেতা জোগাড় করার মাধ্যমে কমিশন পেল ৬০০/- টাকা। এরপর এ দু’জনের বানানো চার ব্যক্তির কারণে আরো পেল ১২০০/-টাকা (এরপর তো কমিশন ও বোনাস চালু থাকছেই)।

বলাবাহুল্য, এ সকল সুবিধাই জাকিরকে উদ্বুদ্ধ করেছে এ কোম্পানির পণ্য কিনতে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ১০,০০০/- টাকা শুধু ঐ পণ্যটির জন্য দেয়নি; বরং তা দেয়ার পেছনে তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ঐ কমিশন বা বোনাসগুলো পাওয়া। আর স্বভাবতই তা (পণ্য ও কমিশন) লোকটির দেয়া টাকা থেকে বেশি, যা পরিষ্কারভাবেই সুদের সন্দেহের সৃষ্টি করে।

তাছাড়া এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতি এবং বক্তব্যও বিষয়টিকে পরিষ্কার করে তোলে। কোনো একটি কোম্পানির পণ্য তালিকা হাতে নিলেই দেখা যাবে তাতে পণ্যের নাম ও মূল্যের পাশাপাশি আরেকটি সংখ্যাও উল্লেখ রয়েছে, যার নাম দেয়া হয়েছে পয়েন্ট। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি নির্ধারিত মূল্য প্রদান করলে সে শুধু পণ্যই পাচ্ছে না, পাচ্ছে নির্ধারিত সংখ্যার পয়েন্টও, যা তাকে পরবর্তীতে কমিশন পেতে সাহায্য করবে এবং তার উপরের লেভেলের ব্যক্তিদের প্রদান করবে নির্ধারিত কমিশন।

এখন যদি কেউ নেট চলার কারণে কমিশন পায়, তাহলে বোঝা যাবে নির্ধারিত টাকার মোকাবিলায় নেয়া পণ্যের সাথে যে পরিবেশক স্বত্বটি সে পেয়েছে, এটির ফলেই তা (কমিশন) সে পাচ্ছে, যা সুস্পষ্টই সুদের সদৃশ। অন্য দিকে যদি কারো নেট একেবারেই অগ্রসর না হয়, তবে সে ক্ষেত্রেও সুদের সন্দেহ থাকছেই। কারণ সে তো টাকা দিয়েছিল দু’টি উদ্দেশ্যে। ১. পণ্যের জন্য এবং ২. পরিবেশক হয়ে কমিশন পাওয়ার জন্য। অথচ দ্বিতীয়টির কোনো সুবিধাই সে পায়নি। অর্থাৎ কিছু টাকা বিনিময়ের অতিরিক্ত থেকেই যাচ্ছে, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে সন্দেহমূলক সুদ-এর আওতাভুক্ত হয়ে অবশ্যই নাজায়েয ও বর্জনীয়।

ফতোয়ায় বলা হয়, ডেসটিনি তথা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতির ব্যবসায় চুক্তির মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যাকে আরবিতে বলা হয় আল গারার। হাদিসে ‘আল-গারার’(যে কারবারের চুক্তির মধ্যে অনিশ্চয়তা )- কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডেসটিনি তথা এমএলএম  বা নেটওয়ার্ক পদ্ধতির প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিমালায় নজর দিলেই সুস্পষ্ট হবে যে, এতে নিষিদ্ধ আল-গারার রয়েছে। কারণ একজন ডিস্ট্রিবিউটর (পরিবেশক) যে চুক্তিতে কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো, লোকটি তার ডাউন লেভেল থেকে কমিশন লাভ করতে থাকবে। অথচ তার নিজের বানানো দু’জন ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের বিষয়টি সম্পূর্ণই অনিশ্চিত এবং অন্যের কাজের ওপর নির্ভরশীল। কারণ তার নিচের নেটগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অগ্রসর না করলে লোকটি কমিশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে; যে কমিশনকে কেন্দ্র করেই সে মূলত এমএলএম কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়েছে।

ফতোয়ায় আরো বলা হয়, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতি নাজায়েজ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, এতে হাদিসে নিষিদ্ধ ‘সাফাকাতাইনি ফী সাফাকাতিন’ (একই কারবারে আরেকটি আক্দ শর্ত করা) পাওয়া যায়। এ কারবারে পণ্য ক্রয়ের শর্তেই শুধু পরিবেশক হওয়া যায়। অর্থাৎ, কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয় ছাড়া পরিবেশক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এখানে পণ্য ক্রয়কে (আকদুল বাইয়ি) পরিবেশক (আকদুল ইজারাহ) হওয়ার জন্য শর্ত করা হচ্ছে, যা হাদিসে নিষিদ্ধ।

মুফতীগণ ফতোয়ায় বলেছেন, আলোচিত মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতি নাজায়েজ হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো, এতে আল-আমালু বিলা উজরাতিন ওয়াল উজরাতু বিলা আমালিন (বিনিময়বিহীন শ্রম এবং শ্রমবিহীন বিনিময়) বিদ্যমান। অর্থাৎ এ কোম্পানিগুলোর নীতিমালা এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে বিনিময়বিহীন শ্রম এবং শ্রমবিহীন বিনিময় উভয়টি পাওয়া যায়; অথচ শরীয়তে তা নিষিদ্ধ।  এমএলএম পদ্ধতির কারবারে কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণ পণ্য খরিদান্তে পরিবেশক হওয়ার পর যদি সে দু’জন ক্রেতা কোম্পানির জন্য নিয়ে আসে এবং তারা প্রত্যেকে আরো দু’জনকে এবং সে চারজন আরো আটজনকে কোম্পানির সাথে যুক্ত করে, তবে প্রথম ব্যক্তি এবং ২য় লেভেলের ২ ব্যক্তি নিম্ন লেভেলের ৮ ব্যক্তি ক্রেতা-পরিবেশকের সুবাদেও কোম্পানি থেকে কমিশন পেয়ে থাকে। অথচ এ আটজনের কাউকেই তারা (প্রথম ব্যক্তি এবং ২য় স্তরের দু’জন) কোম্পানির সাথে যুক্ত করেনি; বরং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর আইন অনুযায়ী এরা কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়েছে তাদের সরাসরি উপরের ব্যক্তির রেফারেন্সে এবং এর জন্য ঐ ব্যক্তি নির্ধারিত হারে কমিশনও পাচ্ছে। বোঝা গেল যে, কারবারটিতে শ্রমবিহীন বিনিময়’-এর উপাদান সুস্পষ্টভাবেই বিদ্যমান।

এমনিভাবে ‘বিনিময়বিহীন শ্রম’ও এ কারবারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য, যা বোঝার জন্য এর নীতিমালায় নজর দিলেই চলবে। কারণ এ কোম্পানিগুলোতে একজন পরিবেশকের ডান ও বাম উভয় দিকের নেট না চললে কমিশন পায় না। অর্থাৎ কেউ যদি নির্ধারিত পয়েন্টের একজন ক্রেতা সংগ্রহ করে কিন্তু‘ আরেকজন সংগ্রহ করতে অক্ষম হয়, তবে লোকটি সামান্য পরিমাণ কমিশনও পাবে না। এমনিভাবে কেউ যদি দু’জন ক্রেতাও কোম্পানিকে এনে দেয়, কিন্তু তারা কোম্পানির নির্ধারিত পয়েন্ট থেকে কম পয়েন্টের মালামাল খরিদ করে, তবে এর জন্যও ঐ ব্যক্তি কমিশন পায় না। যেমন ডেসটিনি ২০০০-লিমিটেড এবং সেপ বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেডের নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে তার ডান এবং বাম উভয় পাশে দু’জনের নিকট ন্যূনতম ৫০০ করে ১০০০ পয়েন্টের পণ্যের ক্রেতা আনতে হয়। যদি কেউ একজন ক্রেতার নিকট ৫০০ পয়েন্টের পণ্য বিক্রি করাল; কিন্তু অন্যজন আনতে ব্যর্থ হলো, তবে এর জন্য লোকটি কোনো কমিশন পাবে না। এমনিভাবে যদি কোনো ক্রেতা-পরিবেশক উভয় পাশে ১০০ পয়েন্ট করে ২০০ পয়েন্ট পরিমাণ পণ্যের ২ জন ক্রেতা কোম্পানিকে এনে দেয়, তবে ঐ ২০০ পয়েন্ট বিক্রির জন্য লোকটি কোম্পানি থেকে কমিশন পাবে না। কিন্তু‘ ঐ দু’জন কোম্পানির (অন্ত—র্বর্তীকালীন) পরিবেশক হিসেবে যুক্ত হয়ে তাদের নেট অগ্রসর করার সুযোগ পেয়ে যায়।

মোটকথা, এ পদ্ধতির কারবারে ‘বিনিময়বিহীন শ্রম’ এবং ‘শ্রমবিহীন বিনিময়’ উভয়টিই সুস্পষ্টভাবে উপস্থিত রয়েছে। অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে তা ‘আল-আকলু বিল বাতিল’ (বাতিল পন্থার উপার্জন)-এর অন্ত—র্ভুক্ত হয়ে পরিষ্কারভাবে নিষিদ্ধ। কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন : “তোমরা বাতিল পন্থ’ায় একে অন্যের সম্পদ খেয়ো না।” Ñসূরা বাকারা : ১৮৮, সূরা নিসা : ২৯। রঈসুল মুফাসসিরীন বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এবং প্রখ্যাত তাবেঈ হযরত হাসান বসরী রহ. এর তাফসীরে বলেন : “বিনিময়ের শর্তযুক্ত আকদে বিনিময়হীন উপার্জনই হলো বাতিল পন্থার উপার্জন।” Ñআহকামুল কুরআন,

ফতোয়ায় এমএলএম ব্যবসা সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, এ ব্যবসায় অঢেল অর্থ উপার্জনের লোভ দেখানো হয়। অনেকেই কোম্পানির সেমিনার দেখে বা কোনো বাকপটু ডিস্ট্রিবিউটরের কথায় গলে গিয়ে নিজ ভবিষ্যত না বুঝেই প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও পণ্য কিনে পরিবেশক হয়ে থাকে। অথচ দেখা যায় সে কোনোক্রমেই আর ক্রেতা সংগ্রহ করতে সক্ষম  হয় না।

এ ব্যবসায় বিনা প্রয়োজনে পণ্য অন্যকে গছিয়ে দেয়া হয়। কোনো কোনো পরিবেশক তার নেট অগ্রসর করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তখন সে তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে তাদের কোম্পানির সরবরাহকৃত বিভিন্ন পণ্য খরিদ করতে জোর আবদার করে। অনেক সময় নিজ থেকে বাকিও দিয়ে আসে। এভাবে অনেক লোক তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় হওয়া সত্ত্বেও শুধু আবদার রক্ষার জন্য পণ্য নিয়ে থাকে।

মূল পেশায় দায়িত্বশীলতা হ্রাস পাওয়া : এমএলএম কোম্পানিগুলোতে বহু তৎপর ডিস্ট্রিবিউটর এমনও রয়েছেন, যারা বিভিন্ন পেশায় (যেমন শিক্ষকতা, চাকরি ইত্যাদিতে) নিয়োজিত। এখন লোকটি যদি তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পর দীর্ঘ সময় ক্রেতার খোঁজে ব্যয় করেন এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রাম না করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পরের দিন মূল পেশাগত কর্মে তার আগের উদ্যম ও কর্মতৎপরতায় ভাটা পড়তে পারে, যা কোনো সময় জাতীয় বিপর্যয়ও ডেকে আনতে পারে। সুতরাং যে সকল প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে বর্ণিত শরয়ী ত্র“টিসমূহ অর্থাৎ ‘সাফাকাতাইনি ফী সাফাকাতিন’, ‘আল-গারার’, ‘শুবহাতুর রিবা’ এবং ‘আল-উজরা বিলা আমালিন ওয়াল আমালু বিলা উজরাতিন’ বা তার কোনটি পাওয়া যাবে, সেটি ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েজ হিসেবে গণ্য হবে।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।