সচিবকে সোহেল তাজের চিঠি

পদত্যাগের পরও বেতন ভাতা কেন?

বার্তা ২৪ ডটনেট : পদত্যাগ করার পরও কেন বেতন-ভাতা তার অ্যাকাউন্টে দেয়া হচ্ছে এবং এখনো পদত্যাগের গেজেট নোটিফিকেশন কেন হয়নি, তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে দু’টি চিঠি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়া আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল তাজ। গত মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তার এক বাহক মারফত এ চিঠি দুটি পাঠান তিনি।  প্রথম চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদির বিষয় উল্লেখ করেন সোহেল তাজ। আর দ্বিতীয় চিঠিতে পদত্যাগের পরেও কেন এখন পর্যন্ত গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়নি সেই বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। তবে দুটি চিঠিতেই কিভাবে বেতনভাতা তার অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে, তা উল্লেখ করেন সোহেল তাজ।

প্রথম চিঠিতে বলা হয়, ‘‘আমি ৩১ মে ২০০৯ সালে প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করি। এরপরও ন্যাশনাল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় আমার নামে টাকা জমা হচ্ছে।’’ কেন টাকা জমা হচ্ছে তা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠির মারফত জানাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘সংবিধানের ৫৮ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৩১ মে ২৯৯০ আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পদত্যাগ পত্র দেই। অথচ এত দিনেও পদত্যাগের বিষয়টি গেজেট নোটিফিকেশন হিসেবে জারি করা হয়নি।’’ ২০০৯ সালে পদত্যাগের পরও টাকা জমা হচ্ছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘‘এই টাকার জন্য সরকার, প্রধানমন্ত্রী এবং আমার ভাবমূর্তি ুণœ হচ্ছে।’’ চিঠিতে আরো বলা হয়, মন্ত্রী থাকাকালে প্রতিমন্ত্রী নিজে বেতনভাতার বিলে স্বার করতেন। পদত্যাগের পর কিভাবে বেতনভাতা তার অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠির মাধ্যমে এর উত্তর দেয়ার জন্যও বলা হয়।     

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসেইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তিনি এখনো দফতরবিহীন মন্ত্রী। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে।’’

সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিতে পদত্যাগ পত্র জমা দেন ২০০৯ সালের ৩১ মে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েই তিনি চলে যান দেশের বাইরে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দেশে ফিরে এসে তিনি প্রতিমন্ত্রীর প্রটোকল নেননি। এর পরে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতিমন্ত্রীর বেতনভাতা পাঠানো হলেও তিনি তা উঠাননি।

সর্বশেষ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে বেতনভাতা কোনো পাঠানো হচ্ছে এবং সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তার বাহক মারফত চিঠি পাঠান সোহেল তাজ।