অচিরেই শুরু হবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি

অবশেষে রাজশাহী-রহনপুর রেলের সংস্কার কাজ শুরু

মোঃ শহিদুল ইসলাম, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : অবশেষে শুরু হয়েছে রাজশাহী-রহনপুর রেলপথ সংস্কারের কাজ। এ প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলেই রেল যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে। ফলে আশার আলো জেগেছে এ অঞ্চলের রেলনির্ভর ব্যবসায়ী ও ভ্রমণ পিপাসু যাত্রীদের মাঝে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেলেও দরপত্র জটিলতার কারণে তিন বছর ধরে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। পশ্চিমাঞ্চল রেল ব্যবস্থায় লাভজনক এ রুটে দীর্ঘ ২৬ বছরেরর বেশী সময় ধরে তেমন কোন সংস্কার না হওয়ায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছিল রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর রেলপথ। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন। রেল লাইনের অধিকাংশ বেজমেন্ট সিস্নপার নষ্ট, পর্যাপ্ত পাথর না থাকা ও বিভিন্ন স্থানে নাট বল্টু চুরি হয়ে যাওয়ায় এই রুটে গত ১১ বছরে অন্তত অর্ধশতাধিকবার ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। রেলপথের বেহাল দশার কারণে ভারত থেকে পণ্য আমদানী আগের চেয়ে কমে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের রহনপুর রেল বন্দরের একমাত্র ইন্টারচেঞ্জ শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম। প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর-রাজশাহী রুটে ৮৫ কিলোমিটার প্রধান লাইন ও ৭ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ, রাজশাহী কোর্ট, শীতলাই, কাকনহাট, আমনুরা ও রহনপুর স্টেশন ভবণ সংস্কার ও গোলাবাড়ী ও নেজামপুর স্টেশনের নতুন ভবন নির্মাণ, ৭টি স্টেশনের প­vটফর্ম সংস্কার, ৬টি স্টেশনের সংযুক্ত সড়ক নির্মাণ, ৭টি সেতু নির্মাণ, ২৫টি সেতু সংস্কার এবং ১৯টি লেভেলক্রসিং গেট নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও আমনুরায় একটি বাইপাস রেলপথ নির্মাণ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশন ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার মুশফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,  রাজশাহী-রহনপুর রেল ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৫৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প চায়না-বাংলাদেশী কোম্পানীর যৌথ মলিকানাধীন ’’ম্যাক্স অটোমোবাইল প্রডাক্ট লিমিটেড’’ দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলেই আন্তঃনগর ট্রেন চালুর পাশাপাশি রেল যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।