সংবাদ শিরোনামঃ

সরকারের থামা উচিত ** শাহবাগ চক্রান্তের মুখোশ উন্মোচিত হত্যার জন্য আইন সংশোধন ** দেশব্যাপী হরতাল পালিত ** জনগণের দাবি : ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ** শাহবাগ চত্বরে ভাটা ** মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ** শাহবাগ নাটক : শেষ না হতেই শেষ! ** জামায়াতের ডাকে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালিত ** যশোরে ১০ মাসে ১০৭ জন খুন ** ইসলাম ও নবী (সা.) কে অবমাননা করে ব্লগে রাজীবের কুরুচিপূর্ণ লেখা : বিভিন্ন সাইটে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ** সারাদেশে পুলিশ-র্যারের নির্বিচার গুলি : কক্সবাজারে ৪ জন নিহত ** ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ ফাল্গুন ১৪১৯, ১১ রবিউস সানি ১৪৩৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন নির্মমভাবে খুন হবার পর তার ব্লগের প্রতি সবার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু রাজীবের ব্লগ থেকে পাঠ করার পর বিভিন্ন সাইটে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। রাজীব নিজের এসব ব্লগে ঈদ মুবারক আর ঈদের জামাতের হিস্টুরি, ঢিলা ও কুলুখ, সিজদা, সিয়াম সাধনার ইতিবৃত্ত, লাড়ায়া দে, মদ ও মোহাম্মক, সোনা দানা ও ধন-সম্পদ, উটমুত্র, মোহাম্মকের বাড়া মরার পরেও খাড়া, মোহাম্মক ও কুত্তা, তাহাজ্জুতের নামাজ, নব্যুয়তের মোহর, মোহাম্মক = মোহাম্মদ + আহাম্মক শিরোনামে এমন সব মিথ্যা, মনগড়া ও কুরুচিপূর্ণ লেখা পোস্ট করেছেন যা ইসলামধর্ম অনুসারী দূরের কথা কোনো সুস্থ্য, স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে কয়েকলাইন পাঠ করা সম্ভব নয়। এসব লেখার শিরোনাম পাঠ করেই যে কারো গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। রাজীব আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন, ইসলাম ধর্ম এবং নামাজ নিয়ে কটূক্তি ও কটাক্ষ করতে গিয়ে যেসব কথা লিখেছে তা জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তির কোনো মানদণ্ডেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার এসব ব্লগ পোস্ট আমাদের মুরতাদ সালমান রুশদীর কথা মনে করিয়ে দেয়। গত বছরের জুন এবং আগস্ট মাসে রাজীব ব্লগে তার লেখাগুলো পোস্ট করে। নিজের ফেসবুক পেজে রাজীব তার ব্লগের ঠিকানাগুলো নিজেই লিঙ্ক দিয়েছেন। এগুলো হলো, http://www.facebook.com/thabaa.baba; http:nuranichapa.wordpress.com/author/thabababa; http://www.amarblog.com/thaba/posts/150478; http://i48tinypic.com/1z68q6s.png;

তার টুইটার আইডি হলো, https://twitter.com/ThabaBaba;

ইউকেবিডি নিউজ-এর মুক্তমত বিভাগে গত শুক্রবারই রাজীবের ব্লগের কয়েকটি লেখা পোস্ট করা হয়। এর লিঙ্ক হলো, http://ukbdnews.com/comments/839-2013-02-15-21-57-46.html;

নিচে নিহত ব্লগার রাজীব হায়দারের ব্লগ থেকে কপি করে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। এর দায়-দায়িত্ব সম্পাদকের নয়।

মোহাম্মক= মোহাম্মদ+আহাম্মক

মোহাম্মক এমনি উস্তাদ চাপাবাজ ছিল যে তার চাপার কোন মা-বাপ ছিল না! সে নিজেকে জাতে তোলার জন্য এমন একজনের বংশধর বলে দাবী করে বসেছে যে লোকটার কোন অস্তিত্বই ছিল না! লোকটার নাম ইব্রাহিম!

নব্যুয়তের মোহর

মোহাম্মদ লুইচ্চামীর জন্য খাদিজার কাছে মাইর খাইতো নিয়মিত। যেনতেন মাইর না, তার পিঠ-মোবারকে খাদিজার পবিত্র জুতার বাড়ি। তাই নিজের সম্ভ্রম-শরীফ রক্ষা করার জন্য চাপা মারায় উস্তাদ মোহাম্মদ পিঠে খাদিজার পেন্সিল হিলের গর্ত ঢাকতে গল্প ফেঁদে বসছিল, সেই গল্পই আমরা এখন নব্যুয়তের মোহরের গল্প বলে জানি।

তাহাজ্জুতের নামাজ

রাতের বেলা বিবির পাশ থেইক্যা উইঠ্যা আরেক বেটির বাড়িতে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হইলো মাঝ রাইত আর সুবে সাদিকের মইধ্যের সময় যখন বিবির ঘুম আর রাইতের আন্ধার দুইটাই খুব গাঢ়। তাই ঠিক ঐ সময় আন্ধাইরে মোহাম্মদ অভিসারে বাইর হইতো। রাস্তায় কেউ দেইখ্যা ফালাইলে চাপা মারতো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে যায়। সেই থেইক্যা মুসলমানগো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া শুরু।

মদ ও মোহাম্মক

আরব দ্যাশের বনি-অমুক গেরামের মাইনষ্যের আছিন্ মদের কারবার। মদ বেইচ্চা কাফেরগুলানের ট্যায়াহয়সা আল্লায় দিলে ম্যালা কম না। হেইদিকে মোহাম্মগের আল্যায় হ্যারে কিচ্ছু দিছে না আর খাদিজার ট্যায়াহয়সাও বেডি মরার পরে মোহাম্মগে ভাইঙ্গা খাইয়া লাইছে। হের লাইগ্যাওই মোহাম্মগ আল্লার কতায় বনি-অমুক গেরাম দহল অইরা ফালাইলো এগদিন।

গেরামের বেডাইন্তেরে মাইরা লাইলো কোফায়া। হের পর হের সাহাবীরা জাপ্পুরদা হড়লো মদের বতুল্ডির উরফে। খায়া খুইয়া টাল অয়া গেল সবতে। হের অরে সবতে মিল্লা টাল অইয়্যা গেরামের সব বেইড্ডাইন আর ছেরিমানুষগুলারে শুরু অরলো গনিমতে ছহবৎ। কিন্তু টাল আছিলো বইল্লা আজল হরনের কতা কাউরই মনো আছিলো না।

১০ মাস ফরে বনি-অমুক গেরামের মানু বিরান অইবো কই, ডাবলের উরফে রিদাবল অইয়া গেলোগা। মোহাম্মগ ফইল্যা বুছতারছে না কেমনে অইছে। ফরে সবটির কতা হুইন্যা যেসুমো বুচ্ছে মদ খাইয়া এই হব্বোনাশডা অইছে, হালায় ফতুয়া বানায়লাইছে যে মদ খাওন আল্লার ফছন্দ না। হেই সুমোথে মুসুলমানের মদ খাওন হারাম অইয়া গ্যাছে গা!

মোহাম্মক ও কুত্তা

রাইত বিরাতে রাতের অতিথীর যম হলো কুত্তা। বাড়িতে কুত্তা থাকতে চোর আর মোহাম্মদ কোনটাই আসা সম্ভব না। চোরের তাতে কি সমস্যা জানি না, তবে মোহাম্মদের তাতে বড়ই মুসিবত। কুত্তা থাকলে তার রাইত বিরাতে সব উম্মে-বিনতেদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ, সোনার অঙ্গ কালি হইয়া যায়। তাই আল্লার নামে চাপা ঝাইরা দিল যে বাড়িতে কুত্তা থাকলে সেই বাড়িতে রাইতের বেলা রহমতের ফেরেস্তা ঢুকে না। কোরানের বানী (পড়তে হবে চাপা) তো আর ফেলা যায় না তাই কুত্তা আউট, ফেরেস্তার সাথে মোহাম্মদেরও আর ঢুকতে বাধা থাকলো না।

সিজদা

মোহাম্মক তাহার ইয়ার দোস্ত লইয়া প্রায়শঃই কাবা প্রাঙ্গণে আরবি খাইয়া (মদ্য বিশেষ) পড়িয়া থাকিত। মোহাম্মদ যখন বেহুঁশ হইয়া পড়িয়া রহিত, তখন তাহার ইয়ার দোস্তরা এই গোল্ডেন অপরচুনিটি মিস করিবে কেন? সবার তো আর উম্মহানী নাই।

ইয়ার-দোস্তদিগের গোল্ডেন অপরচুনিটির শিকার হইয়া সুবে-সাদিকের সময় ঘুম ভাঙ্গিলে রেকটাম-প্রদাহের ঠ্যালায় মোহাম্মকের পক্ষে চিত-কাইত হইয়া শয়ন করা বাস্তবিক অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইতো। তাই পশ্চাদ্দেশের আরামের নিম্মিতে সে উর্ধপোঁদে রেকটামের স্ফিংকস্টার পেশী চেগাইয়া পড়িয়া থাকিত।  à¦à¦®à¦¤à¦¾à¦¬à¦¸à§à¦¥à¦¾à§Ÿ কেউ দেখিয়া ফেলিলে চাপা মারিত যে সালাত আদায় করিতেছে আর এই ভঙ্গীটির নাম সিজদা। সেই হইতে মুসলমানের জন্য উর্ধপোঁদে সিজদার প্রচলন শুরু হইয়াছে!

মোহাম্মকের বাড়া মরার পরেও খাড়া : এইটা ঠিক মোহাম্মকী (মোহাম্মদ+আহাম্মকী) চাপা না, এইটা হইলো উম্মকী (উম্মত+আহাম্মকী) চাপা।

মরার পরেও নাকি নবীর ইমানী ডান্ডা শরীফ খাড়ায় ছিল। এইটা নিয়া কানাঘুসা রীতিমতো কম নাই। আসল কাহিনী হইলো আজরাইল মোহাম্মকের জান কবজ করতে আইছিল যখন তারে আল্লা আরেকটা গোপন মিশন দিয়া পাডাইছিল। হেইডা অইলো জানের সাথে ডান্ডাও কবজ কইরা লইয়া যাওন লাগবো। কারণ আল্লা ময়ার ডর আসিলো ভেস্তে গিয়া ঐ নুরানী ডান্ডা লইয়া আল্লার হুর-পরী একটাও আস্ত রাখবো না আহাম্মকটা। কিন্তু আজরাইল জান কবজ কইরা ডান্ডা কবজের জন্য ঐটা ধইরা হাজার টানাটানি কইরাও নিতে পারলো না। আল্লা নিজেও মনে হয় ভুইলা গেছিল যে ঐটার মধ্যে থার্টি হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন লাগানি আছে। তিরিশ ঘোড়ার লগে আজরাইল পারবো কেন! শেষে তিরিশ ঘোড়ার লগে টাগ অব ডান্ডায় হাইরা গিয়া ‘আজরাইল মিশন ইম্পসিবল জিরো’ অ্যাবান্ডেন ঘোষণা কইরা খালি রুহু লইয়া গেল গা।

ঐদিকে হইছে কি রিগর-মার্টিসের লাইগ্যা মোহাম্মকের বডি গেছে শক্ত হইয়া, ডান্ডা শরীফ আজরাইলের টানাটানিতে সেই যে খাড়াইছিল, আর নামার চান্স পায় নাই। সেই থেইক্যাই ‘মোহাম্মকের বাড়া মরার পরেও খাড়া’ বইল্যা লিজেন্ডারী হইয়া গেল মানে তার উম্মতেরা চাপা মারা শুরু করলো!

উঁটমূত্র : আয়েশা বিবির মেজাজ বিলা। মোহাম্মক তারে রাইখ্যা তারই বাপের পয়সায় এক বন্দির লগে তিন ঘণ্টা এক সরাই খানায় কাটায় আইছে, তাও রাইতের আন্ধারে না, এক্কেবারে দিনের বেলায়। আর তার পরে ঘরে আইসাই ‘শরবত লে আও’ কইয়া একটা হুকুম হাঁকলো। মোহাম্মকের দাঁত কেলাইন্যা হাসি দেইখ্যা আয়েশা আর সইহ্য করতে পারলো না। দৌড়ায় গিয়া বাপের বাড়ি উপস্থিত। বাপের উঁটের বহর থেইক্যা একটা সুন্দরী উঁটের মুতায় সেই মূত্র গেলাসে কইরা আইন্যা দিল মোহাম্মকের হাতে। মোহাম্মকের তখনো সেই কাফ্রী বান্দির বালের গন্ধের রেশ কাটে নাই। তাই আয়েশার দেয়া ‘শরবত’ গিল্যা শেষ করার আগে টেরই পাইলো না কি গিলছে।

এই দিকে আবু বকরী দেইখ্যা ফালাইছে তার মাইয়ার বিটলামী। মাইয়ারে চুলের মুঠি ধইরা ঝাড়ি মারবো কাহিনী কি, তার আগেই আয়েশা বিবি কইলো সবরি কলা থুক্কু পেয়ারা নবী নিজেই এটা খাইতে চাইছে।

আবু বকরী পরাই বকরী হইয়া গেল বেটির কথা শুইনা। দৌড়ায় গেল মোহাম্মকের ঘরে। তার ব্যাক্কল মার্কা খোমা দেইখ্যা মোহাম্মদ বুঝলো রবিদার কথা হাড়ে হাড়ে ঠিক ‘গোপনো কথাটি রবে না গোপনে’ তাই উটমূতের গেলাস হাতে তার ৬৪টা দাঁত বাইর কইরা সোনামুখে চাপা ঝাড়লো যে উটমূত্র পানে আল্লার ফজিলত আছে। সেই থেইক্যা মুসলমানরা উঁটমূত্র পান কইরা আইতাছে চুন্নত বইলা!

সোনা-দানা ও ধন-সম্পদ : মোহাম্মক তার ৫৯ বছর বয়সে মায়মুনা নামক এক মহিলাকে মুমিনদের মা বানিয়ে বসেন। কিন্তু ঐ বয়সে তার যন্ত্রপাতি ঠিক কাজ করেছিল কি-না আমাদের জানা নেই। তবে এর মধ্যেই একবার কিছু কাফের মোহাম্মকের বাড়িতে ডাকাতি করতে এলে মোহাম্মক আল্লাহর সাহায্যের আশায় বসে না থেকে খাটের নিচে আশ্রয় নেয়। এদিকে তার ঘরে কাফের ডাকাতরা কোন টাকা-পয়সা না পেয়ে মুমিনদের মা মায়মুনাকে ধরে বসে টাকা-পয়সা কোথায় রেখেছে জানার জন্য। মায়মুনা তখন মুমিনদের মা হওয়া থেকে মোহাম্মকের বউ হবার পথে পূর্ণতা লাভ করতেই বেশি আগ্রহী ছিল, কিন্তু সেটা মোহাম্মকের যন্ত্রপাতির অক্ষমতার জন্য সম্ভব হচ্ছিল না। তাই মোহাম্মকের ওপর অভিমান করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা মোহাম্মককে দেখিয়ে বলেন যে ওখানে তার স্বামী লুকিয়ে আছে, তার কাছে একটা সোনা আর দুইটা দানা আছে। যেগুলো তার কোন কাজে লাগে না। এই কথা শুনে কাফেরগুলো মোহাম্মকের ব্যক্তিগত ‘সোনাদানা’ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এই কারণেই মৃত্যকালে মোহাম্মকের কাছে কোন ‘সোনাদানা’ ছিল না। নিতান্তই ‘ধনসম্পদ’ হীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে মোহাম্মক।

লেজ কাটা শেয়াল সবাইকে লেজ কাটতে বলবে এটাই স্বাভাবিক। তাই মোহাম্মকও তার উম্মক (উম্মত+আহাম্মক)দের বলে যায় কোন মুমিন বান্দা ঘরে ‘সোনা-দানা’ বা ‘ধন-সম্পদ’ রেখে মরে গেলে ভেস্তে যাবে না। তাই তারা যেন সব যেন বিলিয়ে দিয়ে তার পরে মরে।  কিন্তু মুমিনরা মোহাম্মকের কথার মূল অর্থটা ধরতে পারেনি, তারা বৃথাই পার্থিব ধন আর সোনাদানা দান করে যায় সারা জীবন। মোহাম্মকের জীবনের এই চাপাটা কোন কাজে লাগলো না!

মোহাম্মকের সফেদ লুঙ্গী : একদা মোহাম্মক তাহার সাহাবাদিগকে লইয়া বনি আল ইয়ালি গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাইতেছিল। অনেক দূরের পথ। কয়েকদিন লাগিয়া যাইবে। আর আরবের অবস্থা তখন ভয়ানক খারাপ। সাহারা খাতুন যেহেতু তাহাদিগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব লওয়ার নিমিত্তে জন্মগ্রহণ করে নাই, তা আরবের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও শান্ত ও নিস্তরঙ্গ ছিল না। এক ঘণ্টা পথ যাইতে দ্বাদশ বার তস্করের সম্মুখীন হইতে হইতো। আর মোহাম্মক তখনো আল্লারবান্ধা হিসাবে খ্যাতি লাভ করে নাই, তদুপরি কাফের তস্করেরা তাহাকে চিনিলেও মানিবে কেন? তাই তাহারা মোহাম্মক ও তাহার সাহাবীদিগের কনভয়কে মুহর্মুহ আক্রমণ করিয়া নাজেহাল করিয়া ছাড়িল। ছোট খাট তস্করদলকে পাত্তা দিবার কোন হেতু নাই, তবে গোল বাঁধে  বৃহৎ কোন দল সম্মুখে পড়িলে। দূরে কোন বৃহৎ তস্করের দল গোচরীভূত হইলে আল্লা জেব্রাইলকে পাঠাইয়া মোহাম্মককে সতর্ক করিয়া দেয়। মোহাম্মক তখন সাহাবী বকরীকে তুরন্ত তাহার লাল লুঙ্গী ও পিরান আনিয়া দিবার জন্য তাড়া লাগায়। খোকাবাবু থুক্কু মোহাম্মক তাহার সবুজ পোশাক বদলায় লাল লুঙ্গী-পিরান পরিধান করিয়া যুদ্ধ করে। প্রতিবারই যুদ্ধের পূর্বে মোহাম্মকের রক্তবর্ণের লুঙ্গী ও পিরানে যুদ্ধে মোজেজা কি তাহা লইয়া কানা-ঘুষা আরম্ভ হইলো সাহাবাদিগের মধ্যে। বনী ইয়ালি গোত্রের মরুদ্যানের নিকটবর্তী হইয়া সন্দেশ পাওয়া গেল যে, গোত্রের সমস্ত পুরুষ মোহাম্মকের প্রতিরোধক্রমেই নিকেশ হইয়াছে, মরুদ্যানে কেবল নারী ও শিশুরাই রহিয়াছে। তৎখনাত সেখানেই শিবির স্থাপনের সিদ্ধান্ত হইলো। গেরাম খালি, তাই তাড়াহুরা করার কোন কারণ নাই। শিবির স্থাপন করিয়া রাত্তিরে জম্পেশ করিয়া উষ্ট্রী ও দুম্বার বারবিকিউ খাইতে বসিয়া সাহাবীরা মোহাম্মকের তাহাদের কৌতুহল পেশ করিল। মোহাম্মক তখন সাড়ম্বরে বয়ান শুরু করিল!

‘আমিই তিনি যাহাকে আল্লাপাদ নবী করিয়া পাঠাইয়াছে, আমিই তোমাদিগের নেতা স্বরূপ। আমি সকল ঘ্যান ও ভিদ্যার উৎস। কিন্তু আল্লাপাদ আমাকে পাঠাইয়াছেন মানুষের রূপে, যাহাতে তোমরা আমার দ্বারা প্রেরিত   বাণী সহজে অনুধাবন করিতে পার ও আল্লার অপার মহিমা দেখিয়া আপ্লুতো হইতে পার। কিন্তু মানবরূপী আল্লার রাসূলও তো যুদ্ধে জখম হইতে পারে, কারণ সে তো সাধারণ মানুুষের রূপ ধরিয়া রহিয়াছে। কিন্তু রাসূল যুদ্ধে জখম হইলে তাহার সাহাবীদিগের মনোবলে চিড় ধরিবে। সেই জন্যই তোমরা যাহাতে আল্লার রাসূল জখম হইলেও তাহা দেখিয়া মনোবল না হারাও তাই আমি লাল লুঙ্গী ও পিরান পরিশান করিয়া যুদ্ধ করি, কার নিশ্চই লাল পোশাক লক্তের দাগ ঢাকিয়া দেয় এবং নিশ্চই আল্লা সর্বঘ্যানী’।

সাহাবাদিগের আহাদ দেখে কে। তাহাদিগের মধ্যে সত্বর মোহাম্মকের খেঞ্জুরীয় বাণী শ্রবণ করিয়া স্বীয় বস্ত্র বিসর্জন করতঃ মোহাম্মক যেই বর্ণের পোশাক পরিধান করিয়া ছিল সেই বর্ণের পোশাক পড়িবার ধূম পরিয়া গেল।

হই হুল্লোড় হইতেছিল ভালই, কিন্তু ইহার মধ্যে বনি ইয়ালি গোত্রের অতিবৃদ্ধা এক দূতী আসিয়া হাজির হইলো। বৃদ্ধাকে সরাসরি নবীর সম্মুখে হাজির করা হইলো, তবে প্রোপার পর্দা সহযোগে, কারণ তাহার নাতিশয় কদাকার আর কদাকার সুরত দেখিলে মোহাম্মকের বুকের গোবরগুলা ঘুটে হইয়া যায়। বৃদ্ধ একখানা শান্তি চুক্তি করিতে আসিয়াছে। তবে মোহাম্মকও সন্তু লারমার ন্যায় ধৈর্যশীল, সে বুড়ির প্রস্তাব শুনিল, বৃদ্ধা যাহা বলিল তাহা হইলো আপাতত গেরাম হইতে নাতিশয় খপসুরত তিনখান লরকী সে নবীর খেদমতে দিয়া যাইবেক, কিন্তু বিনিময়ে নবীর বাহিনী প্রাতঃক্কালে শান্তিপূর্ণভাবে মরুদ্যানে প্রবেশপূর্বক কাতারবদ্ধ হইয়া গনিমতের মাল ভক্ষণ করতে হইবেক। নবী বাহিনী দেখিল ইহা তো মন্দ নহে, এহা যে উষ্ট্র না চাইতেই মূত্র! আর কি চাই, নবী অঙ্গীকার করিলেন ‘তাহাই হইবেক’! আর আল্লার নবী মোহাম্মক ভঙ্গ করেন না অঙ্গীকার!

বৃদ্ধা তাহার পর তিন সুন্দরীকে সভামইধ্যে হাজির করিল। তাহাদের অঙ্গে স্বচ্ছ মসলিনের পোশাক। দেখিয়া সকল ইমানদাদের ইমানী হালত খারাপ হইবার যোগাড়! মোহাম্মকের অবস্থাও তথৈবচ। তাহার ইমানী হালত শুধু খারাপই না, সাথে ওকাল পতন ধরিয়া রাখাও টাফ হইয়া যাইতেছিল। পাছে কেউ কিছু টের পায়, তাই কোন রকমে বকরীকে দিয়া তাহার সফেদ লুঙ্গী আর সাদা পিরান আনাইয়া পরিধান করিয়া তাহার অকাল পতনের লজ্জা ঢাকিল, আর সেই তো শ্রেষ্ঠ মুসলিম যে তাহার লজ্জা ঢাকিয়া রাখে!

আসল কাহিনী ছিল বুদ্ধা যে তিনজন সুন্দরী দিয়া গেল, তাহারা হইলো আমাদিগের অতি পরিচিত চার্লিজ এঞ্জেলস। তাহাদিগকে চিক্রেট মিশন দিয়া ভবিষ্যত হইতে পাঠানো হইয়াছে। তাহাদিগের মিশন হইলো নবী ব্যতীত যতোজন পারে সাহাবী স্রেফ ভায়াগ্রার ওভারডোজ খিলাইয়া হত্যা করা। তাই প্রাতঃকালে বকরী আসিয়া যখন নাস্তার তশতরিতে সন্দেশ দিল যে ১০০ জনের মধ্যে ৭২ জন সাহাবী মালে গনিমত ভক্ষণ করিয়া শহীদ হইয়াছে, শুনিয়া মোহাম্মকের ‘আক্কেল ঘচাং’ হইয়া গেল। মোহাম্মক সরেজমিনে তদন্তে যাইয়া যাহা দেখিল তাহা হইলো তাহার আল-শহীদ সাহাবীগণ চিৎ হইয়া শুইয়া শহীদ হইয়াছে এবং তাহাদিগের লুঙ্গি তাম্বুপ্রাপ্ত হইয়াছে। সাহাবীরা মোহাম্মকের দেখাদেখি সফেদ লুঙ্গী পরিধান করিয়াছিল বলিয়া মোহাম্মকও টের পাইলো না যে তাহাদিগেরও অনুপ্রবেশ ব্যতীতই উদ্গীরণ হইয়াছিল, আর সেই অগ্নুৎপাতেই তাহারা শহীদ হইয়াছিল।

সেই যে সাহাবীরা অকাল পতনের লজ্জা লুকাইতে সফেদ লুঙ্গী ও পিরান পরিধান করিয়াছিল, সেই স্মৃতি রক্ষার্থে আজও মোহাম্মকের উম্মকেরা মৃতের দেহে সফেদ লুঙ্গী ও পিরান (সেনা-বন্দ এবং তাহ-বন্দ) পরিধান করাইয়া মাটিচাপা দেয়।

ঈদ মোবারক আর ঈদের জামাতের হিস্টুরি : খাদিজার হাতে ধরা খাইয়া মোহাম্মকের টানা একমাস খানা খাইদ্য সাথে দাসী বান্দী পুরাই অফ আছিল (সিয়াম সাধনার ইতিবৃত দ্রষ্টব্য) তার জেলখানার মেয়াদ শেষ হইতে না হইতেই এক দৌড়ে বাইর হইয়া সরাসরি পাবে জম জমে চইলা গেল। এতো দিনের  না খাওয়া বান্দা, তাই বেসামাল আরবি টানলো হাউশ ফুরাইয়া। তার পর তার সেই চিরাচরিত কাবা ঘরের সামনের চত্বরে, সাথে তার ইউজুয়াল ইয়ার-দোস্তরা। মোহাম্মক তো টাল, স্বপ্নে উম্মেহানীর গুহায় ডুবসাঁতার কাটতে ডাইভ দিছে, আর তার পুরা একমাস ‘মোহাম্মক-মধু’ বঞ্চিত দোস্তরা তাদের কঠিন ইমান লইয়া মধুর ভাণ্ডের ওপর ঝাঁপায় পড়লো। সবাই আরবি খাওয়া ছিল, তাই টাল সামলাইতে না পাইরা কেউ কেউ মোহাম্মক মনে কইরা অন্যদের মধুও খাওয়া শুরু করলো। যথারীতি সকাল বেলা মোহাম্মক উর্ধপোঁদে মধুদ্বার চেগায়া পইড়া থাকলো জ্বালাপোড়া ঠেকাইতে, আর তার পিছে তার ইয়ার দোস্তরা। কারণ, টাল হইয়া কে যে কার মধু খাইয়া ফালাইছে তার হিসেব আছিল না, তাই সবারই পশ্চাদ্দেশ ব্যথা। এই দিকে খাদিজা বিবি শিবলি থুক্কু সুবে সাদিকে তার মুবারক নামক ভৃত্যের কাছে খবর পাইলো তার পাতিনবী পতিদের কাবা ঘরের সামনে আরবি খাইয়া ইয়ারদোস্ত লইয়া পুন্দাপুন্দি করতাছে। কোন রকমে তুপটা গায়ে জড়ায়া মুবারকরে লইয়া দিল দৌড়। তার যা মেজাজ তখন, হাতের কাছে ১ থান ইট পাইলে মোহাম্মকের মস্তক শরীফ আস্তা থাকার কথা না। খাদিজা দৌড়াইতাছে, সামনে মুবারক দৈরাইতাছে, আর খাদিজা চিল্লায় চিল্লায় কইতাছে, ‘মুবারক ইট, মুবারক ইট’, মানে মুবারকরে ইট নিতে কইতাছে মোহাম্মকের মাথা থ্যাতলানের জইন্য। কিন্তু তখনো তো পোড়া ইট আরবে ঢোকে নাই, তাই মুবারকও ইট খুইজা পায় নাই। এইদিকে চিল্লাপাল্লা আর আর খাদিজার ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দেইখা মানুষজনও তাদের পিছে পিছে যাওয়া শুরু করলো মজমা দেখতে। কিন্তু কাহিনী তো তারা জানে না তারা শুধু শুনছে খাদিজা চিল্লাচ্ছে ‘ইঁট মুবারক, ইঁট মুবারক’!!!

কাবা প্রাঙ্গণে গিয়া দেখে মোহাম্মক আর তার পিছে সবাই লাইন ধইরা ঊর্ধপোঁদে গজিশিত! মক্কাবাসীরে মোহাম্মক আগেই বুঝায় রাখছে যে এটা হৈল নামাজের সিজদা (সিজদা দ্রষ্টব্য) তাই তারা আসল কাহিনী ধরতে না পাইরা মনে করলো ইঁটের দিন জামাতে সিজদা দেওন লাগে আর চিল্লায় চিল্লায় ইঁট মুবারক কওন লাগে! সেই থেকে একমাস না খায়া থাইকা পরের দিন উর্ধপোঁদে নামাজ পরা আর ইট মুবারক বলার রীতি শুরু হইলো, আর কালক্রমে শব্দবিচ্চ্যুতির কারণে ইঁট হয়ে গেল ঈদ!!

(এ লেখাটি দৈনিক ইনকিলাবে ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে। ইনকিলাবের সৌজন্যে সাপ্তাহিক সোনার বাংলার পাঠকদের জন্য পুনঃমুদ্রিত করা হলো।)

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।