রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৪র্থ সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ॥ ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী ॥ ১৯ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ অনেক দেশেই

গৃহস্থালির গ্যাস পাইপলাইনে

বাংলাদেশে বাড়ছে সিলিন্ডার, ঘটছে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানি
॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
দেশে ২০১০ সাল থেকে বাসাবাড়িতে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের জন্য পাইনলাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রেখেছে সরকার। উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাতে তখন নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছরে নতুন নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি হলেও তারা গ্যাস সংযোগ পায়নি। সরকার উৎপাদন বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে নতুন গ্যাসকূপ অনুসন্ধান ও খননে সিরিয়াস হলে এতদিনে সংকট থাকতো না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা। যখন দেশের বাসাবাড়িতে প্রায় দেড় দশক ধরে পাইপ লাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে, তখন উন্নত অনেক দেশেই গৃহস্থালিতে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেরই গৃহস্থালিতে শতভাগ পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশেও বাসাবাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহার করছেন নাগরিকরা। উন্নত অনেক দেশের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোয়ও এ ব্যবহারের আওতায় আনার কাজ করছে সেসব দেশের সরকার।
বহু বছর ধরেই গৃহস্থালিতে রান্নার কাজে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারে অভ্যস্ত শহরবাসী। বিশেষ করে ঢাকার প্রতিটি বাসায়ই ছিল পাইপলাইনের গ্যাস। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করার দিকে মনোযোগ দেয়। ক্ষমতায় আসার দ্বিতীয় বছর ২০১০ সালে উৎপাদন কম এমন অজুহাতে বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। তখন গ্রাহককে বোঝানো হয়েছিল উৎপাদন বাড়লে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু গত ১৪ বছরেও সরকার সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারিভাবে যারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করেন, সরকার তাদের খপ্পরে পড়েছে। এসব প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সরকারের কেউ কেউ বিশেষ সুবিধা নিয়ে বাসায় সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখছে দীর্ঘদিন- এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ফলে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা এখন রমরমা, যাতে এ রমরমা অবস্থা আরও চাঙা হয়, সে কারণে নতুন গ্যাসকূপ অনুসন্ধান-খননে সিরিয়াস হচ্ছে না সরকারের ভেতরে থাকা এ চক্রটি। ফলে সংকট কখন কাটবে- এ কথা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রীও সঠিক করে বলতে পারছেন না।
অথচ উন্নত অনেক দেশেই বাসায় রান্নার কাজে পাইনলাইনে গ্যাস ব্যবহার করছেন নাগরিকরা। কোনো কোনো দেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় সংযোগ আওতার মধ্যে না থাকায় সেখানে সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে, তবে সেই ব্যবহারবিধি বাংলাদেশের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে বিস্ফোরণের কোনো শঙ্কা নেই। বাংলাদেশের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীরা নিজেদের রান্নাঘরেই গ্যাস সিলিন্ডার রাখেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই হয়। কোনো কোনো বাসাবাড়িতে নিচতলায় সারিবদ্ধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হচ্ছে, যেটি আরও অনিরাপদ। কারণ একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটলে অন্যগুলোও নিশ্চিতভাবে বিস্ফোরিত হবে, অর্থাৎ পাইপলাইনের গ্যাস সংযোগ না থাকা ঢাকার হাজার হাজার নতুন ভবনের বাসিন্দারা বসবাস করছেন এক মৃত্যুপুরীতে। আর এ কারণেই রাজধানী বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় ৪৬ জনসহ গাজীপুরে আরও ১০ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে দৈনিক গড়ে দুটিরও বেশি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাচ্ছে মানবদেহ।
যুক্তরাজ্যের গৃহস্থালির কাজে শতভাগ পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করছেন সে দেশের নাগরিকরা। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ শফিকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানিয়েছিলেন সব বাসাবাড়িতেই পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ রয়েছেÑ যাতে নাগরিকরা গৃহস্থালির কাজ করতে পারেন। সেখানে সিলিন্ডার গ্যাসের কোনো কারবার নেই বলেও জানান তিনি। দেশের সাংবাদিকতা করার সময় ইউটিলিটি বিষয়ে রিপোর্টিং করা এ সাংবাদিক টিআইবির জরিপ এর তথ্য উল্লেখ করে জানান, শুধু ওয়াসা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারলে নতুন সব ফ্ল্যাটে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব। গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাহিদা অর্ধেকে নেমে আসবে। রাজধানীতে এখন গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাপ নেই, অনেক এলাকায় দিনে রাতে গ্যাস থাকে না। রাতে এক-দুই ঘণ্টার জন্য গ্যাস পাওয়া গেলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ পরিস্থিতির জন্য দুটি বিষয়কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক. নতুন কূপ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সিরিয়াস না হওয়া, দুই. ওয়াসাকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে বাধ্য করতে না পারা। রাজধানীবাসী ওয়াসার পানি বিশুদ্ধ করতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেন। ফলে অহেতুক চাহিদা বাড়ে। বাসায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে অতিরিক্ত মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস ক্রয়ে বাধ্য হতেন না ভোক্তারা, অন্য দিনে অনাকাক্সিক্ষত বিস্ফোরণ ও প্রাণহানি এড়ানো যেত।
যুক্তরাষ্ট্রেও গৃহস্থালিতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহার করেন সে দেশের বাসিন্দারা। সে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে সিলিন্ডারের ব্যবহার থাকলেও তা শতভাগ নিরাপদ। কারণে সেখানে কোনো গ্যাস সিলিন্ডার বাসাবাড়িতে রাখা হয় না। বাড়ির বাইরে নিরাপদ এলাকায় রাখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী সাংবাদিক মো. শাহীন এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, ফ্রান্স ও জার্মানিতেও বাসাবাড়িতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। তবে এসব দেশের কিছু এলাকায় সিলিন্ডারের ব্যবহার থাকলেও তা শতভাগ নিরাপদ ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে।
এক যুগের বেশি জাপানে থাকা প্রবাসী সাংবাদিক মাহাবুব মাসুমের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের তিনি জানান, জাপানে গৃহস্থালিতে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি সিলিন্ডারের ব্যবহারও রয়েছে, কিন্তু সেখানে গত এক যুগে তিনি কোনো বিস্ফোরণের ঘটনা শুনেননি, প্রাণহানি দূরে থাক। সেখানে কেন এত নিরাপদ- এমন প্রশ্নের জবাবে এ প্রবাসী বলেন, কোনো ফ্ল্যাটে গ্যাস সিলিন্ডার নেই সেখানে, এমনকি ভবনের নিচেও এমন গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয় না, ভবনের বাইরে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়। সেক্ষেত্রে অনাকাক্সিক্ষত বিস্ফোরণ ঘটলেও ভবন বা তার বাসিন্দাদের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের গ্যাস সংযোগ নেই এমন ভবনগুলোর প্রতিটি ফ্ল্যাটেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে, যা যেকোনো সময় বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
কীভাবে গ্রাহককে সিলিন্ডারনির্ভর করা হলো তার পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে এলপিজি বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ব্যবহারকারী ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার, বর্তমানে তা ৪০ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর এ এলপিজির ৮৪ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে রান্নার কাজে, ১২ শতাংশ শিল্পে এবং ৪ শতাংশ গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে। অর্থাৎ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলপিজির ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ১৮ গুণ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন নাগরিকরা। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলছে, ২০০৯ সালে দেশে এলপিজির চাহিদা ছিল ৬৫ হাজার টন। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ টন। অর্থাৎ বর্তমানে চাহিদা বেড়েছে ২১ গুণেরও বেশি। এসব পরিসংখ্যান কাগজে-কলমে, বাস্তবে এর চিত্র আরও অনেক বেশি হবে বলে মনে করছেন জ¦ালানি বিশেষজ্ঞরা।
২০০৯ সালে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর এলপিজির ওপর নির্ভরতা বিদ্যুতের গতিতে বাড়তে থাকে। তথ্যসূত্র বলছে, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩০টি কোম্পানির অন্তত দুই কোটি সিলিন্ডার বাজারে রয়েছে। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত এক বছরে এলপিজি সিলিন্ডার আমদানি করা হয়েছে ছয় লাখের বেশি। এলপিজি ছাড়া অন্যান্য সিলিন্ডার আমদানি করা হয়েছে তিন লাখের বেশি। পাশাপাশি দেশেও সিলিন্ডার নির্মাণের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করেছে দেশে নির্মিত সিলিন্ডার। কিন্তু এসব সিলিন্ডারের মান পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত কোনো পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। এসব কারণে প্রতিদিনই বিস্ফোরণের খবর চোখে পড়ে। এদিকে সরকারের ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্য বলছে, গত বছর ২০২৩ সালে চুলার (ইলেকট্রিক, গ্যাস ও মাটি) মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৮ হাজার ১৭৫টি। বিস্ফোরণের (সিলিন্ডার ও বয়লার) ঘটনা ঘটেছে ১২৫টি। এছাড়া অজ্ঞাত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪ হাজার ৭৯৬টি। বিশ্লেষকরা সরকারি এ তথ্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্রের অনেক ফারাক রয়েছে বলে মনে করেন।
দেশে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। পেট্রোবাংলার পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ, শিল্প, সার গৃহস্থালি, সিএনজিসহ সাতটি সেক্টরে মোট চাহিদা দাঁড়াবে ৩,৭১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। পেট্রোবাংলার হিসেবেই বর্তমানে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাসের ঘাটতি আছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্যাসের ঘাটতি আরো বেশি যা দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ না থাকা এবং আমদানি নির্ভরতা বৃদ্ধির কারণেই সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচের সক্ষমতা কত শতাংশ মানুষের আছে? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কলামিস্ট ও বিশ্লেষক আমীন আল রশীদ মনে করেন, নীতিনির্ধারকরা যদি নিজেদের আর্থিক সক্ষমতার সঙ্গে তুলনা করে কথা বলেন, সেটা দুঃখজনক। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যারা গ্যাস পাচ্ছেন না বা চাপ স্বল্পতায় ভুগছেন, বিকল্প হিসেবে তাদের এলপিজি তথা সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহারে পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (১৩ মার্চ)। ওইদিনই গাজীপুরে সিলিন্ডারের গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৩২ জন যাদের মধ্যে ১৫ জন ছিল আশঙ্কাজনক (ইতোমধ্যে ১০ জন মারা গেছেন)। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে কিচেনের গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রেস্টুরেন্ট-অধ্যুষিত একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জন মানুষের প্রাণ গেছে। গ্যাস নিয়ে সমালোচনার মুখে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পাইপলাইনের বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি এ কথা বলেননি যে, গ্যাস পাওয়া যাক বা না যাক, দুই চুলার গ্যাসের বিল বাবদ প্রতি মাসে গ্রাহককে যে এক হাজার ৮০ টাকা দিতে হয়, তার কী হবে? অর্থাৎ একদিকে প্রতি মাসে তিতাসকে এক হাজার ৮০ টাকা বিল দিতে হবে, আবার দেড় হাজার টাকা দিয়ে সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে হবে? পাইপলাইনের গ্যাস বাবদ যে টাকাটা দিতে হয়, গ্যাস দিতে না পারলে ওই টাকাটা কি সরকার মওকুফ করবে? তা নিশ্চয়ই করবে না। তাহলে জ্বালানির জন্য যে বাড়তি পয়সা খরচ করতে হবে, সেই টাকাটা নাগরিককে কে দেবে? প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যটি কি সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের পক্ষে যাবে না? রাষ্ট্র কি কোনো নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী গ্রুপের পক্ষে কথা বলবে নাকি সাধারণ মানুষের? প্রশ্ন রাখেন এ বিশ্লেষক।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য সহনশীল রাখতে হবে। তবে তার আগে প্রয়োজন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের নিশ্চয়তা। এটি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। তিনি বলেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ। আমাদের এফডিআইয়ের আকার-প্রবৃদ্ধি সাধারণ মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয়। চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনামে এফডিআই বেড়েছে। অথচ বাংলাদেশে এটি কমেছে। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলছেন দিনে দিনে আমাদের উৎপাদন কমে আসছে। উৎপাদন বাড়ানোর একটা চেষ্টা হয়েছিল, তাতে কিছু জায়গায় উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু অন্য জায়গায় কমে গিয়ে নেট উৎপাদন কমে গেছে। আমদানির ক্ষেত্রেও আমরা দেখতে পাচ্ছি একটা স্থবিরতা আছে। এ মুহূর্তে কোনো স্বল্পকালীন সমাধান নেই। এ জ্বালানি সংকট যেটা সেটা ডলারের সংকট না কাটলে স্বল্পকালীন কোনো সমাধান নেই। অধ্যাপক ম. তামিম বলছেন, বর্তমানে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করতেই সরকার হিমশিম খাচ্ছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী জ্বালানি আমদানি ব্যয় মেটানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।