হাদিসের ঘটনা
সত্যবাদিতার গুরুত্ব
হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে হাদিসের বর্ণনা আছে। তিনি বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, নবীদের মধ্যে কোনো একজন জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা করলেন। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, ‘যে নতুন বিয়ে করেছে এবং তার সঙ্গে বাসর করার বাসনা রাখা সত্ত্বেও যে এ পর্যন্ত তা করেনি, তেমন লোক যেন আমার সঙ্গে না যায়। এমন লোকও যেন না যায়, যে ঘর তুলেছে, কিন্তু এখনো ছাদ ঢালেনি। তেমন লোকও নয়, যে গর্ভবতী ভেড়া-ছাগল বা মাদি উট কিনে সেগুলোর বাচ্চা হওয়ার অপেক্ষায় আছে।’
এরপর সে নবী জিহাদের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি আসরের নামাযের সময় বা তার কাছাকাছি সময়ে ওই গ্রামে (যেখানে জিহাদ করবেন) পৌঁছালেন। তারপর তিনি সূর্যকে (সম্বোধন করে) বললেন, ‘তুমিও (আল্লাহর) আজ্ঞাবহ এবং আমিও (তাঁর) আজ্ঞাবহ। হে আল্লাহ! একে তুমি আটকে দাও (অর্থাৎ যুদ্ধের ফলাফল বের না হওয়া পর্যন্ত সূর্য যেন না ডোবে)।’ সূর্যকে আটকে দেওয়া হলো। এমনকি আল্লাহ তায়ালা (ওই জনপদটিকে) তাদের হাতে জয় করালেন।
এরপর তিনি গণিমতের মাল জমা করলেন। তারপর তা গ্রাস করার জন্য (আসমান থেকে) আগুন এলো, কিন্তু সে তা খেল না (ভস্ম করল না)। (এ দেখে) তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে খিয়ানত আছে (অর্থাৎ তোমাদের কেউ গণিমতের মাল আত্মসাৎ করেছে)। সুতরাং প্রত্যেক গোত্রের মধ্য থেকে একজন আমার হাতে বাইয়াত করুক।’
তারপর (বাইয়াত করতে করতে) একজনের হাত তাঁর হাতের সঙ্গে লেগে গেল। তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে খিয়ানত রয়েছে। তাই তোমার গোত্রের লোক আমার হাতে ....বিস্তারিত
মিষ্টি পাওয়া যায়
॥ আহসান হাবিব বুলবুল ॥
জিবরানের বয়স তখন দেড় কী দুই বছর। কেবল হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে। বাবা নামায পড়তে দাঁড়ালে ‘ও’ পাশে জায়নামাজে গিয়ে দাঁড়ায়। বাবার সাথে রুকু-সিজদা করে। কখনো রুকুর আগেই সিজদা দিয়ে বসে। কখনো গায়ে জামাকাপড় কিছুই থাকে না। দিব্যি নামাযে দাঁড়িয়ে যায়। ওর নামায পড়ার এ দৃশ্য দেখে অন্যরা সবাই হেসে কুটিকুটি হয়। তবে কেউ কোনো শব্দ করে না। যাতে ওর ছন্দপতন না ঘটে।
জিবরান বেড়ে ওঠে। এখন শিশুশেণিতে পড়ে। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে অনেক কিছু জানতে চায়। ওর যেন জিজ্ঞাসার শেষ নেই। একদিন ‘ও’ মাকে জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা আম্মু নামায পড়লে কী হয়? মা আগে পিছে কিছু না ভেবেই বলে বসেন, ‘মিষ্টি পাওয়া যায়’। জিবরান বলে, তাহলে আমি এখন থেকে নিয়মিত নামায পড়ব।
মা ভাবেন, বলে তো ফেললাম, এখন কী হবে। নামায পড়ে জিবরান যদি মিষ্টি না পায়, তবে তো ‘ও’ হতাশ হবে। আমিও মিথ্যাবাদী হয়ে যাবো। আল্লাহ রাসূলের (সা.) প্রতিও ওর ভালোবাসা কমে যাবে।
মা করলেন কী, প্রতি ওয়াক্ত নামাযের আগে জায়নামাজের নিচে বাতাসা (চিনির এক প্রকার শুকনো সাদা মিষ্টি) রেখে আসতেন। জিবরান নামায শেষে বাতাসা পেয়ে খুব খুশি হতো। মজা করে খেতো আর বলতো, এগুলো বুঝি ফেরেশতারা দিয়ে যায়। মা বলতেন, হয়তো।
বাবা-মা একদিন জিবরানকে সাথে নিয়ে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গেলেন। সেটা ছিল জিবরানের খালার বাড়ি। খালাতো বোনকে নামায পড়তে দেখে ওর আগ্রহের শেষ নেই। ধীরে ধীরে কাছে গিয়ে বলে, মিষ্টি ....বিস্তারিত
প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে!
ঘটনা-১
ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর ভারী গলায় বললেন, বাহ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না! ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছো! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে! এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও! তারপর তোমার নিয়োগ হবে! ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না! গ্রামের সহজ-সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন! তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেল!
ঘটনা-২
আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন! বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে! তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন! ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার “হ্যাপি বার্থডে মাই সান” বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন! বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বলল, আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা!
ঘটনা-৩
বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক! হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা সবকিছু থেমে গেল! বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো। হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন, আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না। খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে। ....বিস্তারিত
কোন প্রাণী কতক্ষণ ঘুমায়
একবার ঘুমালে হয়তো ৯-১০ ঘণ্টার আগে আপনার ঘুমই ভাঙে না। তাই ঘুমকাতুরে হিসেবে আপনার বেশ সুনাম রয়েছে বন্ধুদের কাছে। তবে অনেক প্রাণী রয়েছে, যাদের ঘুমানোর সময় জানলে আপনি চমকে যেতে পারেন। ভালুকের মতো দেখতে কোয়ালা দিনে ঘুমায় ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা। মানে মাত্র ৪ থেকে ৯ ঘণ্টা জেগে থাকে। পাইথন সাপ দিনে ১৮ ঘণ্টা ঘুমায়। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমায় ঘোড়া। শুধু ঘুমের সময়ই নয়, ঘুমানোর ধরনেও বেশ বৈচিত্র্য রয়েছে প্রাণীদের মধ্যে। শুয়ে, বসে বা গাছে হেলান দিয়ে ঘুমাতে পারে বিভিন্ন প্রাণী। প্রাণীদের ঘুমের ধরন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকÑ
ডলফিন
ডলফিন প্রায় পুরো জীবন পানিতে কাটায়। যদিও স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে তাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন গ্রহণ করতে শ্বাস নিতে হয়। ঘুমানোর সময় ডলফিনের মস্তিষ্কের অর্ধেক অংশ বিশ্রাম নেয়, বাকি অর্ধেক অংশ সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সচল থাকে। ডলফিন ঘুমানোর সময় সাধারণত এক চোখ খোলা রেখে পানিতে কাঠের টুকরার মতো ভেসে থাকে। বেশ পরিশ্রমী হলেও টানা পাঁচ দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে ডলফিন।
তিমি
ডলফিনের মতো তিমিও ঘুমের সময় মস্তিষ্কের অর্ধেক অংশ নিষ্ক্রিয় করে ফেলে এবং এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। স্পার্ম প্রজাতির তিমি ঘুমানোর সময় মাথা ওপরে রেখে খাড়াভাবে ঘুমায়। তবে হাম্পব্যাক প্রজাতির তিমি ঘুমায় পানিতে স্থির হয়ে। তিমির বিভিন্ন প্রজাতি মাত্র ৩০ মিনিট ঘুমায়। কারণ ....বিস্তারিত
ছড়া কবিতা
সবচেয়ে ভালো চুপ
মুহা. খোরশেদ আলী মণ্ডল
খলসে পুঁটির খলবলিতে
তামাম পানি ঘোলা,
শোল ডেকে কয় গজার ভাইরে
একী হলো জ¦ালা?
তুইও মলি অন্ধকারে
আমিও তো তাই,
চল না দু’জন এদেশ ছেড়ে
অন্য কোথাও যাই
গজার বলে শোল ভাই তুই
আস্তে কথা বল।
উপরেতে বসে আছে
চ্যাঙ টাকিদের দল।
খলসে পুঁটির চেয়েও ওরা
অনেক বড় পাজি
ভালো কাজের কেউ না ওরা
অসৎ কাজের কাজী।
ওরা বাবার পাতে
ভাত দেয় না-
মার ঘরে দেয় ধুপ,
ওদের থেকে বাঁচতে হলে
সবচেয়ে ভালো চুপ।
গ্রীষ্মের ফলে
আমিনুল ইসলাম কাইয়ুম
ঘাম পড়ে ফোঁট ফোঁট,
গরমের চোটে
তবু বালক-বালিকা ঐ
পুকুরে ছোটে।
বিল দেখে শুকনা
পুকুরে জল কম
গৃহিণী ঘেমে ওযে
বাড়োয় রোদে গম॥
টুপ করে দেও ডুব
আঁধো কাদা জলে॥
এ রকম অবস্থা হয়
‘গ্রীষ্মের ফলে।’
তাল গুড়ে খাবে সর্বে
বড় বড় রুটি॥
ছোটদের হয়েছে যে
ঐ গ্রীষ্মের ছুটি॥
কুশো আম ডালা ভরে
খুশিতে সে খোটে॥
কচি আমের কশ লেগে
ঘা দেখ ঠোঁটে॥
ঐ গৃহিণী বসে বসে
কুচি কুচি কোটে॥
গুড়ে মেখে দেয় বলে
মুখে হাসি ফোটে॥
সময়ের গতি
মোস্তাহিদুর রহমান
রাতের পিছে ছুটে আসে দিন
শান্ত নহে ....বিস্তারিত