সংবাদ শিরোনামঃ

বিএনপি জামায়াতকে আগামী নির্বাচনে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র ** ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশাল জনসভায় জনগণের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া ** নতুন নির্বাচন দিতে সরকারের উপর বিজেপির চাপ ** আন্দোলনের ঢেউ সামাল দিতে পারবে না সরকার ** মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল ** নিজের স্বার্থে আফগানিস্তানে শান্তি চায় না যুক্তরাষ্ট্র : কারজাই ** গণতন্ত্রকে হাইজ্যাক করছে আওয়ামী লীগ ** প্রতিরোধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে ** প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গ-তামাশা এবং বিশিষ্টজনেরা ** কে বলে আজ তুমি নেই ** ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা ** মাওলানা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সারাদেশে জামায়াতের স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪২১, ৩০ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সাতক্ষীরা তালায় আটক জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মফিদুল ইসলাম, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা কবিরুল ইসলাম ও নগরঘাটা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মেহেদী

পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য আটক শতাধিক
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গত তিনদিনে শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এপর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অনেকেই নিরীহ জনসাধারণ। গ্রেফতার করে আসামিদের চালান না দিয়ে থানায় আটকে রেখে পুলিশ অবৈধ অর্থ লেন-দেন করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভোররাতে আটকের পর তালা পুলিশ আটক জামায়াত নেতাদের কোর্টে চালান দেয় ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে। এসময় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আটককৃত পরিবারের কাছ থেকে ব্যাপক অর্থবাণিজ্য করা হয়েছে বলে আটককৃত পরিবারের সদস্যরা জানান। তালা থানার ওসি অর্থবাণিজ্যের কথা অস্বীকার করে বলেন, ছুটির দিন হওয়াতে শনিবার আসামিদের কোর্টে চালান দেয়া হয়।

 à§§à§¯ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ২০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত পুলিশের অভিযানে ৩২ জন জামায়াত নেতাকর্মী আটক হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তাদের মধ্যে সাতীরা সদর উপজেলার ৬ জন, শ্যামনগর উপজেলার ৯ জন, কালিগঞ্জের ৬ জন, তালার ৩, কলারোয়া ৩, দেবহাটার ২ জন ও পাটকেলঘাটার ২ জন রয়েছে।

সাতক্ষীরা সদরে আটককৃত জামায়াত কর্মীরা হলেন- খানপুর গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে মাসুম বিল্লাহ, উমরাপড়া গ্রামের একব্বর আলীর ছেলে মুনসুর আলী, পদ্মশাখরা গ্রামের ওহেদ বক্সের ছেলে অসিউর রহমান, রওয়ারিয়া গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে সামিউল্লাহ, গড়ের ডাংগা গ্রামের মৃত জামাত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও পারকুখরালী গ্রামের যুথে কারিগরের ছেলে আব্দুল বারি। দেবহাটা উপজেলার নাংলা গ্রামের আব্দুল হামিদ, নওয়াপাড়ার ইউপি মেম্বার বাবলুর রহমান, কালিগঞ্জের খান আবুল হাসান, রহিমপুর গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে আকবার আলী, রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আ. রশিদ বিশ্বাস, ভাদ্রখালি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন ও মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম। শ্যামনগর উপজেলার চকবারা গ্রামের হাজের উদ্দিনের ছেলে মোল্লা শহীদুল ইসলাম, ডুমুরিয়া এলাকার শহর আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালীনি জামায়াতের সেক্রেটারি আবু বকর গাজী, কদমতলা গ্রামের সাইফুল ইসলাসহ ৫ জন। কলারোয়া উপজেলার আটককৃতরা হলো- উপজেলার দণি সোনাবাড়ীয়া গ্রামের মোতালেব মোল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ও মানিকনগর গ্রামের মানিক সরদারের ছেলে ইসমাইল সরদার (৫০)। এছাড়া পাটকেলঘাটার নগরঘাটার জামায়াত নেতা মাওলানা মেহেদী হাসান সহ ২ জন জামায়াতকর্মী আটক হয়েছেন।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোদাচ্ছের আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব জামায়াত কর্মীদের আটক করা হয়েছে। এঘটনায় সাতীরা জেলা জামায়াতের প থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক প্রতিবাদ বার্তায় সাতীরা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্য মাওলানা আব্দুল খালেক, নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা রবিউল বাশার, সেক্রেটারি নুরুল হুদা, প্রচার সেক্রেটারি আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা জামায়াতের সভাপতি সেক্রেটারি আটককৃত নেতাদের মুক্তির দাবি জানান। বার্তায় বলা হয়, সাতীরায় নিরীহ সাধারণ মানুষদের গ্রেফতার করে পুলিশ অর্থ বাণিজ্য করছে। যাদের নামে মামলা নেই তাদেরকে ধরে এনে ৫ থেকে ৭টি মামলা দিচ্ছে। সাতক্ষীরা সদরে আটককৃত জামায়াত কর্মী খানপুর গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে মাসুম বিল্লালকে ধরে এনে পাঁচটি মামলা দিয়ে কোটে চালান দিয়েছে পুলিশ। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ সাতীরাকে উত্তপ্ত করতে এ ধরনের গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গ্রেফতার করে ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। তাই অবিলম্বে দেশের সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে মতা থেকে সরে দাঁড়ান। নইলে দেশের মানুষ একদিন আপনাদের বয়কট করবে।

গোদাগাড়ী জামায়াতের চার নেতাকর্মী গ্রেফতার
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতা : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদকসহ চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৃথক অভিযানে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে ও শুক্রবার সকালে তাদের গ্রেফতার করে ওই দিনই দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর কুমরপুর গ্রাম থেকে গোগ্রাম ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজমল হোসেন লিটু (৩৫) ও জামায়াত সমর্থক বিজয়নগর গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৩৭) এবং মাফিকুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার রাজাবাড়িহাট থেকে উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আনোয়ার জাহিদকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল খালেক। তারা বলেন, জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এবং জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার নেতা কর্মীদের উপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে ।

গৌরনদীতে পাঁচ জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী গ্রেফতার
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা : গৌরনদী থানা পুলিশ গত বুধবার রাতে পাঁচ জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের নাম ইলিয়াস মৃধা, সজিব সরদার, রুবেল হাওলাদার, শামীম সরদার ও ছালাম সরদারকে আটক করে। তাদেরকে আধুনা গ্রামে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঝিকরগাছায় জামায়াতের আটকর্মী গ্রেফতার
ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : জামায়াতের নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতা বিরোধী রায়কে কেন্দ্র করে ঝিকরগাছা উপজেলার জামায়াতের ৮ কর্মীকে কোনো ওয়ারেন্ট ও মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন ঝিকরগাছা ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন, গদখালী ইউনিয়নের ডা. আলতাফ হোসেন, নির্বাখোলা ইউনিয়নের মো. সামিউল ইসলাম বাবুল, মাগুরা ইউনিয়নের আবু জাফর ও আল-আমীন, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের আবদার আলী ও নূরে আলম এবং কাগমারী গ্রামের মনির হোসেন। এসব নিরপরাধ জামায়াত কর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঝিকরগাছা চৌগাছার সাবেক সংসদ সদস্য যশোর জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস আবু সাঈদ ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ঝিকরগাছা উপজেলা আমীর মাওলানা আরশাদুল আলম।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।