সংবাদ শিরোনামঃ

বিএনপি জামায়াতকে আগামী নির্বাচনে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র ** ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশাল জনসভায় জনগণের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া ** নতুন নির্বাচন দিতে সরকারের উপর বিজেপির চাপ ** আন্দোলনের ঢেউ সামাল দিতে পারবে না সরকার ** মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল ** নিজের স্বার্থে আফগানিস্তানে শান্তি চায় না যুক্তরাষ্ট্র : কারজাই ** গণতন্ত্রকে হাইজ্যাক করছে আওয়ামী লীগ ** প্রতিরোধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে ** প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গ-তামাশা এবং বিশিষ্টজনেরা ** কে বলে আজ তুমি নেই ** ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা ** মাওলানা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সারাদেশে জামায়াতের স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪২১, ৩০ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে

মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর থেকে : প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশের সরবরাহ না থাকায় দেশে রেল ইঞ্জিনের ভারী মেরামতের একমাত্র প্রতিষ্ঠান পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)’র উৎপাদন প্রায় অর্ধেকের নেমে এসেছে। পূর্বের অর্থ বছরে এ কারখানা থেকে সর্বোচ্চ ২৭টি রেল ইঞ্জিন বের হলেও সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে যন্ত্রাংশের অভাবে ১৭টির বেশি রেল ইঞ্জিনের ভারী মেরামত করা সম্ভব হয়নি। টেন্ডার আহ্বান, বাছাই ও চূড়ান্তকরণে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘ সূত্রিতা ও সময় মতো যন্ত্রাংশ আমদানি প্রধান বাঁধা বলে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে। যে কোনো সময় আবারও লোকোমোটিভ ইঞ্জিনগুলো বিকল হতে পারে।

পার্বতীপুর রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাস্প চালিত রেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হয়। এ সময় থেকে দেশে ডিজেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ সময় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পার্বতীপুর, পূর্বঞ্চলের পাহাড়তলী ও ঢাকায় স্থাপিত ছোট আকারের (পকেট সাইজ) এ তিন ডিজেল কারখানার ত্রুটিপূর্ণ ডিজেল চালিত রেল ইঞ্জিন মেরামত করা হতো। কিন্তু এতে চাহিদা মতো ভারী মেরামত সম্ভব না হওয়ায় ১৯৯২ সালে সৌদি উন্নয়ন তহবিলের সহযোগিতায় ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১১ একর জায়গার উপরে পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা) প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৯৪ সাল থেকে এখানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ব্যবহৃত সকল ডিজেল চালিত রেল ইঞ্জিনের প্রতি ৬ বছর পরপর ভারী মেরামত করা হয়। প্রায় ২২ হাজার যন্ত্রাংশে প্রস্তুত প্রতিটি রেল ইঞ্জিনের ভারী মেরামতের সময় এর প্রতিটি যন্ত্রাংশ আলাদা করে পরিস্কার করা হয়। ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ মেরামতযোগ্য হলে মেরামত করে অথবা না হলে বাদ দিয়ে নতুন যন্ত্রাংশ লাগানো হয়। এ ভাবে পুনঃসংযোজিত ইঞ্জিনটি নতুনের মতো কর্মম হয়ে উঠে। এসব কাজে ব্যবহৃত শতকরা ৯৫ ভাগ যন্ত্রাংশ দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। অবশিষ্ট ৫ ভাগ যন্ত্রাংশ দেশীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। এ কারণে এই কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ল্যমাত্রা অর্জন বহুলাংশে নির্ভর করে চাহিদা মতো খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও বার্ষিক বাজেট বরাদ্দের উপর।

কেলোকার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (Infastructure)’র নেতৃত্বে ৭ সদস্যের ক্রয় কমিটি টেন্ডারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের নিকট থেকে এসব যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে থাকে। ক্রয় কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ইঞ্জিন)।

সংশিষ্ট কর্তৃপ সুত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানায় রেলইঞ্জিনের ভারী মেরামতের জন্য কমপে ৬ হাজার ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানি করার দরকার ছিল। কিন্তু গত ৬ বছরে ৬০ টির বেশি যন্ত্রাংশ আমদানি করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১০ জুন মাত্র ৮৪৮ ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে তালিকাভুক্ত ২৬-২৭টি বিদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্র খোলা হয় একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু দরপত্র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে না পারায় ২১-১১-২০১২ তারিখ প্রথম দফা, ১৯-০২-২০১৩ তারিখ দ্বিতীয় দফা ও গত ১৫-০৭-২০১৩ তারিখ তৃতীয় দফা দরপত্রের মেয়াদ কাল বাড়ানো হয়।

কেলোকা কর্তৃপ জানিয়েছেন-বর্তমান ক্রয় পদ্ধতি একটি জটিল প্রক্রিয়া। পূর্বে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মূল ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানই (OEM- ORGINAL EQUIPMENT MANUFACTURER) খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতো। এজন্য প্রতি বছর তারা পরিবহন খরচসহ খুচরা যন্ত্রাংশের মুল্য তালিকা পাঠাতো। বাংলাদেশ রেলওয়ের মুখ্য সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিসিএস) কোনো টেন্ডার ছাড়াই প্রত্য ক্রয় পদ্ধতিতে যেকোন মুহূর্তে চাহিদা মতো যন্ত্রাংশ কিনতে পারতো। দাতা সংস্থা কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি-(CIDA) ১৯৯৬-৯৮ সালে বিকল্প সরবরাহকারীদের নিকট থেকে প্রতিযোগিতামূলক দামে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের সুপারিশ করে এবং রেল কর্তৃপও তা গ্রহণ করেন। তখন থেকে তালিকাভূক্ত ঠিকাদারদের নিকট থেকে দরপত্রের মাধ্যমে যন্ত্রাংশ ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেলোকা কর্তৃপরে অভিযোগ-এর ফলে খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে ও ক্রয়কৃত মালামালের গুণগত মানও পড়ে যায়।

কেলোকার প্রধান নির্বাহী মৃণাল কান্তি বনিক বলেন, খুচরা যন্ত্রাংশের আভাবে পুরাতন লোকোমোটিভ ইঞ্জিন থেকে পুরাতন যন্ত্রাংশ নিয়ে গত অর্থবছরে ১৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে। এ সব লোকোমোটিভ ইঞ্জিন চলাচলে পুরো নিশ্চিত নয়। যে কোনো সময় আবারও বিকল হতে পারে বলে জানান তিনি।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।