সংবাদ শিরোনামঃ

অনিশ্চিত তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি ** স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরেকটি বিজয় অর্জনের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ** সিআইএ’র বর্বর নির্যাতন সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিয়েছে ** শেখ মুজিব বাংলাদেশের অন্যতম রাজাকার : তারেক ** নির্বাচনের চতুর্মুখী চাপে সরকার ** শাহাদাতের প্রেরণায় দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের আহ্বান ** বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ মানেই রাজনীতি, অর্থনীতি এবং ব্যবসা ** জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই ** মুসলিম ব্রাদারহুড কি ব্যর্থ? ** দেশব্যাপী আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল এতিম ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ** রায়ের জন্য বিচারকদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে ** আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪২১, ২৫ সফর ১৪৩৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

নওগাঁর আত্রাইয়ে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন

গ্রাম বাংলা ডেস্ক : হাড়কাঁপানো শীত আর কুয়াশায় সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

দিনাজপুর সংবাদদাতা মাহবুবুল হক খান জানান, দিনাজপুরে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্য প্রবাহের ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে কনকনে শীতে বেড়েছে দরিদ্র-অসহায় মানুষের দুর্ভোগ। শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে হাসপাতালে রোগীদের ভীড়ও বাড়ছে।

গত দু’দিন ধরে দিনাজপুরে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধসহ দরিদ্র এবং খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দেখা দিয়েছে শীতজনিত নানান রোগের প্রকোপ। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সন্ধ্যার পর থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে সবচেয়ে বেশি। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

দিনাজপুর জেলার প্রায় ৫ লাখ হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো শীতবস্ত্র পাওয়া যায়নি এবং বেসরকারিভাবেও কেউ শীতবস্ত্র বিতরণ করেনি। তবে জেলা ত্রাণ অফিস জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ৬০ লাখ শীতবস্ত্রের চাহিদা দেখিয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ফ্যাক্স পাঠানো হয়েছে। 

শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন দিনমুজুর, শ্রমজীবী মানুষ। প্রচণ্ড শীতে তারা কর্মবিমুখ হয়ে পড়েছেন। অসহায় এসব মানুষের এমনিতেই তিন বেলা খাবার জোটে না তার পর শীতে গরম কাপর কেনা তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য।

এদিকে পুরাতন শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী জানান, শীত মওসুমে গরম কাপড়ের ব্যবসা করে বছরের বাকী সময়গুলো এই আয় দিয়ে চলতে হয়। শীত বেশি হলে ব্যবসা ভালো হয় আর শীত হালকা হলে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় কম্বলের তৈরি পুরাতন জ্যাকেট, কম্বল, গেনজি, কোট, সোয়েটার, ইত্যাদি পুরাতন কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

আত্রাই (নওগাঁ) সংবাদদাতা নাজমুল হক নাহিদ জানান, নওগাঁর আত্রাইয়ে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে কয়েক দিন ধরে কমেছে দিনের তাপমাত্রা, বেড়েছে রাতের  ঘন কুয়াশা। সেই সাথে হাড়কাঁপানো শীতে ছড়িয়ে পড়েছে নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ।

গত কয়েক দিনে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। ঘন কুয়াশা শীতকালীন সবজি ও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন উপজেলার পশ্চিম এলাকার কৃষকরা। প্রতিনিয়ত শীতের তীব্রতা বাড়ায় আত্রাই নদীর অববাহিকার হত দরিদ্র মানুষ হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। শীতবস্ত্রের অভাবে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র শিশু, বৃদ্ধ, খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। পাশাপাশি গবাদি পশুর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে নানা শীতজনিত রোগ। এভাবে শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকলে বীজতলা ও শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে কৃষকরা জানান। উপজেলার পারকাসুন্দা গ্রামের দিনমুজুর হাতেম আলী জানান, শীতে তাদের কাজ নেই, তাই জীবন-ধারণও হয়ে পয়েছে কষ্টসাধ্য। এসব মানুষ তাকিয়ে আছে এক টুকরা গরম কাপড়ের আশায়। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গরম কাপড় বিতরণের কোনো উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি।

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা আব্দুল হাই ইদ্রিছী জানান, মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে বনাঞ্চল ও চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা। শীতের আগমনী বার্তায় শিশুরা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, পেটের পীড়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ও বাড়তে শুরূ করেছে। চা বাগান ও বনাঞ্চল অধ্যুষিত কমলগঞ্জ উপজেলা মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সারাদিন সূর্যের আলো দেখা যায়নি। এদিন শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

চিকিৎসক ও চা বাগানের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বস্তি ও চা বাগানসমূহে সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা বাগান হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রসমূহে এসব রোগীর ভিড় বাড়ছে। তবে বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। ওই চা বাগানে ডায়রিয়ায় আরও কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে।

শমশেরনগর চা বাগানের ইউপি সদস্য সীতারাম বিন বলেন, চা বাগানে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ক্যামেলিয়া হাসপাতালে এসব রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রাইভেট চিকিৎসক নূরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মধ্যে ডায়রিয়া রোগী পাওয়া গেলেও ঠাণ্ডাজনিত  সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, পেঠের পীড়ার রোগী অধিক সংখ্যক।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী শিশুদের মধ্যে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে শিশু রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমন মওসুম থাকায় হাসপাতালে বয়স্কদের উপস্থিতি কম রয়েছে। দেওরাছড়া চা বাগানসহ বিভিন্ন চা বাগানে কিছু কিছু ডায়রিয়া আক্রান্ত হলেও তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি তাদের নজরদারিতে রয়েছে বলে তিনি জানান।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।