সংবাদ শিরোনামঃ

গভীর সঙ্কটে দেশ ** হরতাল অবরোধে বিচ্ছিন্ন ঢাকা ** খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ** পঙ্গু হাসপাতালে চলছে বোবা কান্না ** আনোয়ার ইব্রাহিম সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ ** সরকার হত্যাকাণ্ড চালিয়ে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে : ছাত্রশিবির ** বিচারবহির্ভূত সকল হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক ** মমতা এলেন এবং গেলেন ‘পলিটিক্স’ করে ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** শিশুর প্রতিভা বিকাশে আনন্দময় পরিবেশ ** “ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র গণপ্রতারণা” ** যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ** ভাষার লড়াই ও বাংলা ভাষা সংস্কারের ইতিহাস **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪২১, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ভাষার লড়াই ও বাংলা ভাষা সংস্কারের ইতিহাস

॥ শরীফ আবদুল গোফরান॥
দীর্ঘ সাড়ে ৫শ বছরের মুসলিম শাসনের পর ক্রুসেডের পাতাকাধারী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বৈদেশিক সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনকামী ব্রাহ্মণ্যবাদীদের শত বছরের আঁতাত ও ষড়যন্ত্রের ফলরূপে প্রতিষ্ঠিত হলো ইংরেজ রাজত্ব। ইস্ট ব্রাহ্মণ্য শাসনে বাংলা ভাষার পৃষ্ঠপোষক মুসলমানদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সকল পথ রুদ্ধ হলো। তাদের সাংস্কৃতিক জীবন নিমজ্জিত হলো ঘোর অন্ধকারে। বিচার বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ ও সেনা বিভাগসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তারা বিতাড়িত হলো। সরকারি চাকরি কিংবা বেসরকারি কর্মক্ষেত্রের সকল দুয়ার তাদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হলো। ১৭৭২ সালের ‘ইজারা চুক্তি’ ও ১৭৯৩ সালের ‘চিরস্থায়ী বস্তোবস্তের’ ফলে মুসলমান জমিদারগণ রাতারাতি পথে বসলেন। লাখেরাজ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আইনে মুসলমানদের হাজার হাজার শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেল।

এ সময় মুসলমানদের পক্ষ থেকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও সামাজিক আন্দোলনের জন্ম হয়। মুসলমানরা চিহ্নিত হয় বিদ্রোহী প্রজা নামে। মুসলিম সমাজের বিপরীতে এ সময় ইংরেজ শাসনে লাভবান ও উল্লসিত বর্ণ হিন্দু সমাজ ইউরোপীয় ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির দ্বারা বিপুলভাবে প্রভাবিত হতে থাকে। ১৭৯৩ সালে উইলিয়াম কেরী নামের এক ইংরেজ কলকাতায় এসে হুগলীর শ্রীরামপুরে খ্রিস্টান মিশনে যোগ দেন। তাই উইলিয়ামের নামেই ১৮০০ সালে কলকাতায় স্থাপিত হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ। ১৮৩২ সালে গঠিত হয় কমিটি অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন। তারই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ‘সংস্কৃতি কলেজ’। ফোর্ট উইলিয়াম আর খ্রিস্টান মিশনের মাধ্যমে ফরেস্টার মার্শম্যান, উইলিয়াম কেরী প্রমুখ ইংরেজ রাজনীতিক একশ্রেণীর বর্ণ হিন্দু সহায়তায় বাংলা ভাষা সংস্কারের নামে দেশের সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা বাদ দিয়ে সংস্কৃতি নির্ভর এক তথাকথিত ‘বিশুদ্ধ বাংলা গদ্য’ সৃষ্টির চেষ্টায় মেতে ওঠেন।

সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, মায়ের ভাষা বইপুস্তক থেকে নির্বাসিত হলো। হরফ থাকলো বাংলা কিন্তু সেই বাংলা হরফের আদলে জনগণের উপর মৃত সংস্কৃতের লাশ চাপিয়ে দেয়া হলো। এভাবে ইঙ্গ-ব্রাহ্মণ্যবাদী ষড়যন্ত্র সফল হলো। হিন্দু পণ্ডিতেরা বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতের আওতায় নিয়ে এলেন। তারা এ ভাষাকে হিন্দু সভ্যতার বাহন করে তুললেন। মুসলমানরা বাংলা সাহিত্যের মূল নির্মাতা এবং তারাই বাংলা ভাষার প্রকৃত পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

এ সময় মুসলিম সমাজের লেখকগণ সাধারণ মানুষের মুখের ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টির একটি দুর্বল ধারা অব্যাহত রাখলেন। পলাশীর বিপর্যয় না হলে যে লোকজ ভাষা দেশের হিন্দু-মুসলমানের সাহিত্যের ভাষা হবার কথা ছিল, ইঙ্গ-ব্রাহ্মণ্য ষড়যন্ত্রের কারণে মুসলমান লেখকদের যে ভাষার রচনাগুলো আখ্যায়িত হলো ‘বটতলার পুথি’  নামে। এ সময় থেকেই বাংলা ভাষা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়লো।

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি : ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিধ্বস্ত ও পর্যুদস্ত হবার পর বাঙালি মুসলমানদের ইংরেজ বিরোধী আপোষহীন লড়াইয়ে ছেদ পড়ে। নতুন করে আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে মুসলিম নেতৃবৃন্দ ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রত্যাশী লড়াইয়ের পরিবর্তে নিজ সমাজের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই পর্যায়ে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানরা নতুনভাবে প্রবেশ করলেন। কিন্তু এতোদিনে প্রতিবেশী সমাজ অনেক পথ এগিয়ে গেছে। ফলে বাংলা ভাষা চর্চায় মুসলমানদের স্থান হলো পেছনের সারিতে। কেননা, বাংলা সাহিত্যের নতুন আসর হিন্দুদের তৈরি এবং এই পর্বে তারাই এর নায়ক।

এ অবস্থায় কিছুকালের জন্য হলেও সাহিত্য চর্চায় হিন্দুদের অনুসরণ ছাড়া তাদের আর পথ রইলো না। এ অবস্থা পরিবর্তনের প্রেরণা থেকেই কুড়ি শতকের প্রথমদিকে কলকাতায় ‘বঙ্গীয় মোসলেম সাহিত্য পরিষদ’-এর মতো প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়। তখন থেকেই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের পটভূমি তৈরি হয়। তখন সচেতন বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদগণ রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেছেন। এ সম্পর্কে দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। এ আন্দোলনের সাথে আমাদের আবেগ-অনুভূতি প্রবলভাবে জড়িয়ে আছে।

বাংলাভাষা বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা। এ ভাষা আমাদের জাতীয় ভাষা। এ কথা সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর পূর্বে কোনো অভিজাত মুসলমান তখন দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনিই উপমহাদেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাবক।

সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ১৯১১ সালে রংপুর মুসলিম প্রাদেশিক শিক্ষক সম্মেলনে তখনকার রক্ষণশীল পরিবেশেও বাংলা ভাষার পক্ষে বলিষ্ঠ বক্তব্য রাখেন। তিনি যুক্তিসহকারে বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম করার জোর সুপারিশ করেন। (তথ্য সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, ডক্টর আলি নওয়াজ অগ্রপথিক, ১২ মার্চ, ১৯৮৭)।

কুড়ি শতকের গোড়ার দিকে ভারত বর্ষের একটি সাধারণ ভাষার প্রশ্ন প্রবল হয়ে দেখা দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় নেতৃবৃন্দ ভারতের রাষ্ট্র ভাষা রূপে হিন্দির পক্ষে দাবি তোলেন। বাংলার বাইরের অন্যান্য প্রদেশের মুসলমানদের মধ্য থেকেই এ সময় বাংলার পক্ষে আওয়াজ ওঠে।

১৯১৮ সালে বিশ্ব ভারতীয়তে অনুষ্ঠিত এক সভায় ভারতের সাধারণ ভাষা হিসেবে রবীন্দ্রনাথের হিন্দি সম্পর্কিত প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এক প্রবন্ধের মাধ্যমে বাংলাভাষার দাবি পেশ করেন। সে সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সারা ভারতের ভাষাতত্ত্ববিদ ও পণ্ডিতগণ সে সভায় উপস্থিত হন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব ভারতীয় সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর প্রবন্ধটি পাঠ শেষ হলে সভাস্থলে মহা হই চই পড়ে যায়।

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর প্রবন্ধটি সমকালীন ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। (১ম বর্ষ, ১ম খণ্ড, বৈশাখ ১৩২৭/১৯২০ খ্রি.) (তথ্য : ভাষা আন্দোলনের ডায়েরী, মোস্তফা কামাল, পৃঃ ১৩)।

১৯২১ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য লিখিতভাবে দাবি উত্থাপন করে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। দাবিনামায় তিনি লিখেন ‘ভারতের রাষ্ট্রভাষা যাই হোক বাংলার রাষ্ট্রভাষা করতে হবে বাংলাকে।’

১৯৩৭ সালে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ দৈনিক আজাদে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলেন, ‘সাহিত্যের মধ্যে বাংলা সমস্ত প্রাদেশিক ভাষার মধ্যে শ্রেষ্ঠ। বাংলা ভাষার বিবিধ ভাব প্রকাশের উপযোগী শব্দের সংখ্যাই বেশি। অতএব, বাংলা সবদিক দিয়াই ভারতের রাষ্ট্রভাষা হইবার দাবি করিতে পারে। মহাত্মাগান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা করিবার প্রস্তাব করিয়াছে বটে, কিন্তু এ বিষয়ে বাংলাভাষার চেয়ে হিন্দির যোগ্যতা কোনো দিক দিয়াই বেশি নহে’।

[ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যিক প্রেক্ষাপটে আমাদের ভাষার লড়াই, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ভাষা আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি স্মারক]

পাকিস্তান আমলের ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি নির্মিত হয়েছে সাতচল্লিশের ভারত বাটোয়ারার ভিত্তিতে। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পৃথক দৃ’টি স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে সাতচল্লিশের আগস্ট মাসে পাকিস্তান ও ভারত রাষ্ট্রের জন্ম না হলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করার ক্ষেত্রই তৈরি হতো না।

কলকাতা কেন্দ্রীক পশ্চিমবাংলার বাঙালিরা ঊনিশ শতক ও কুড়ি শতকের প্রেক্ষাপটে বাংলাভাষা চর্চায় এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় রাষ্ট্র কাঠামোর অধীনে হিন্দির কাছে সমর্থিত হয়ে সাংস্কৃতিক আত্মবিলোপের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। তাদের চাইতে অনগ্রসর অর্থনৈতিকভাবে শোষিত ও বঞ্চিত কৃষিজীবী মুসলিম অধ্যুষিত অখণ্ড রাষ্ট্ররূপে স্বাধীন হলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যেমন উদ্ভব সম্ভব হতো না, তেমনি সম্ভব হতো না সংখ্যাগরিষ্ঠতার যুক্তিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলা। বরং অখণ্ড ভারতে পূর্ববাংলার বাঙালি মুসলমানদের অবস্থা কি হতো তা বুঝার জন্যে আজকের অধিকৃত কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের অবস্থার দিকে নজর দিলেই তা সহজেই বুঝা যায়।

ফলে ইংরেজ বর্ণ হিন্দুদের শঠতা প্রবঞ্চনা ও চক্রান্তমূলক বাটোয়ারা কৌশলের ফসল হিসেবেই পাকিস্তান আন্দোলনের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের মানসিক পর্ব শুরু হয়। বাঙালি মুসলমানগণ ঢাকায় বাংলাভাষার রাজধানী করার সংগ্রামও কোরবানীর পথে অগ্রসর হওয়ার গৌরব অর্জন করে। যার প্রতিফলন ঘটে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন এই ভাষার জন্য জীবন দেন তরুণ ছাত্রদের মধ্যে সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ আরো অনেকে। পৃথিবীর অনেক দেশে জাতিতে জাতিতে, দেশে দেশে সংগ্রামের ইতিহাস আছে। কিন্তু ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে এমন ইতিহাস আজ পর্যন্ত  রচিত হয়নি। এজন্যই তো বাংলা একটি দেশের মানুষের ভাষা হয়েও তা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। সেদিনের সংগ্রামী মানুষের স্লোগান ‘প্রাণ দেবো তবু ভাষা হারাবো না’ কথাটা সার্থক হয়েছে। তাইতো সারা পৃথিবী থেকে আজ একই কণ্ঠে বেজে ওঠেÑ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি।’

লেখক : কবি সাংবাদিক।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।