দাগনভূঞায় গায়েবানা জানাজা থেকে জামায়াত শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী আটক

ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা শহরে গত ১২ এপ্রিল রোববার বিকেলে আশ্রাফুল উলুম মাদরাসা মাঠে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ কামারুজ্জামানের গায়েবানা জানাজা পড়ার জন্য জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ আহবায়ক দিদারুল কবির রতনের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দলীয়সূত্র দাবি করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের নিরীহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম দুলাল, ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি মোজাম্মেল হোসেন ও পৌর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর হাফেজ কামরুল আহসান রয়েছেন। জানা গেছে, দিদারের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জামায়াত-শিবির ছাড়া মসজিদে আসর নামাজ পড়তে আসা সাধারণ মুসল্লীদের মারধর করে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাগনভূঞাতে জামায়াতে ইসলামী আশ্রাফুল উলুম মাদরাসা মাঠে গায়েবানা জানাজায় দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। পুলিশ অতর্কিতে এসে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতদের মধ্যে অপরাপর নেতাকর্মীরা হলেন, জামায়াতকর্মী নজরুল ইসলাম, দাউদুল ইসলাম, আমির হোসেন, আক্কাস উদ্দিন, জাকির হোসেন, ইমাম হোসাইন, মাস্টার মোশারফ হোসেন, আবু ছাইদ, তানভীর মাহমুদ, মনোয়ার হোসেন, ওমর ফারুকসহ জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতা-কর্মী রয়েছেন।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক আবু ইউসুফ ও দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর এ এস এম নুর নবী দুলাল ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি জাহিদ হোসাইন। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে আটককৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।