সংবাদ শিরোনামঃ

‘কেষ্টা বেটাই চোর’ ** ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রসার ছাড়া অবক্ষয় রোধ সম্ভব নয় ** হুমকির মুখে আবাসন শিল্প ** ৫ শ’ প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় হাসিনা, নিজামী, সাঈদী ও ইউনূস ** রিভিউ পিটিশন করবেন মুজাহিদ : প্রস্তুতির নির্দেশ ** সিরিয়া সঙ্কটের আশু সমাধান হচ্ছে কি? ** দলীয় সন্ত্রাসে বেসামাল সরকার ** প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে দেশে তদন্তকারী সংস্থা ও কোনো তদন্তের প্রয়োজন নেই : বিএনপি ** খুন, গুম ও গণধর্ষণ সামাজিক বিপর্যয়ে দেশ ** দেশে রাজনীতির পরিবর্তে চলছে রাজচালাকি ** বৃহত্তর স্বার্থেই দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন ** অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি : টেকসই গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত ** মানবদেহে বায়ু ও রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থার আবিষ্কারক বিজ্ঞানী ইবনুন নাফিস ** আদর্শ স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য ** শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক সরে গিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে ** রংপুরে জাপানি নাগরিককে গুলি করে হত্যা ** মহাজোট সরকারের এমপির গুলিতে আহত শিশু সৌরভ **

ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ আশ্বিন ১৪২২, ২৪ জিলহজ ১৪৩৬, ৯ অক্টোবর ২০১৫

॥ শাহ্ আব্দুল হান্নান॥
মানবাধিকার প্রশ্নটি এখন বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান আলোচনার বিষয়। কিন্তু নানা কারণে এ নিয়ে ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রয়াস ল করা যায়। এ কারণে এ নিয়ে ইসলামের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা সবার সামনে পরিষ্কার হওয়া উচিত।

মানবাধিকার মানবজাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের মধ্যে অন্যতম। মানবাধিকার মানুষের স্বভাবগত। অর্থাৎ মানুষের যে স্বভাব, তার মধ্যেই মানবাধিকারের দাবিটি রয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কুল্লু মাউলুদিন আলাল ফিতরা।’ এর অর্থ হলো ‘প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৃষ্টি করা হয়েছে একটি স্বভাবের ওপর।’ সে স্বভাবের মধ্যে রয়েছে স্বাধীনতা। হজরত ওমর রা:-এর একটি অত্যন্ত বিখ্যাত বক্তব্য আছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সবাইকে স্বাধীন করে সৃষ্টি করেছিলেন, কে তোমাদেরকে গোলাম করল?’ এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য।

আমরা মানবাধিকারের ইতিহাস পর্যালোচনায় গেলে দেখব, মদীনার সনদ যাকে বলা হচ্ছে ‘মিসাক আল মদীনা’ বা ‘মদীনার চুক্তি’। মদিনার রাষ্ট্র গঠনের সময় ইহুদিদের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.) যে চুক্তি করেছিলেন, তার বিভিন্ন দিক রয়েছে। এটি হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান। তার আগে কোনো লিখিত সংবিধান কোনো রাষ্ট্রের ছিল কি না, তা ইতিহাস থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যায় না। এ সংবিধানে বিভিন্ন দিকের কথা বলা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে রাষ্ট্র কেমন হবে, এর শাসক কে হবেন। একই সাথে এ সনদে বিভিন্ন গোষ্ঠীর কী অধিকার হবে, তাও বলে দেয়া হয়েছিল। কাজেই এটি শুধু একটি সাংবিধানিক ডকুমেন্টই নয়, এটি মানবাধিকার ডকুমেন্টও। বিশ্বের ইতিহাসে মানবাধিকারের ডকুমেন্টের মধ্যে মদীনার সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। যদিও আগেই বলেছি মানুষের স্বভাবের মধ্যে এটি আছে; কিন্তু দলিল হিসেবে যদি আমরা দেখতে চাই, তাহলে মদীনার সনদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বোঝা যায়।

মানবাধিকার নিয়ে এরপর অনেক কাজ হয়েছে। সেখানে ফ্রিডম, লিবার্টি, ডেমোক্র্যাসির কথা বলা হয়েছে। এটি ইউরোপসহ বিশ্বের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাতেও মানুষের অধিকারের কথা আলোচিত হয়েছে। এভাবে একটি ঐতিহাসিক ডেভেলপমেন্ট আমরা মানবাধিকারের ইতিহাসে দেখতে পাই। কিন্তু তারপরও কোনো একটি ডকুমেন্টে সব মানবাধিকার আনার কাজটি আগে হয়নি। এ কাজটি হয়েছে ১৯৪৮ সালে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার সনদ United Nations Declaration of Human Rights-এর মাধ্যমে। মানব ইতিহাসে বিভিন্ন ঘোষণায়, দলিলে বা বিভিন্ন লেখকের লেখায় এর আগে যেগুলোকে মানবাধিকার বলে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তা একত্র করে জাতিসঙ্ঘের সব রাষ্ট্র একমত হয়ে এ ডকুমেন্ট প্রণয়ন করেছিল। এ দিক থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, এতে মানবজাতির সব রাষ্ট্রের স্বাধীন ইচ্ছার একটি প্রতিফলন ঘটেছে। এটি অস্বীকার করা না গেলেও যেহেতু এ প্রশ্নটি ছিল এবং আছে যে, ইসলাম মানবাধিকার দিয়েছে কি না, দিলে কতটুকু দিয়েছে, তার আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ইসলাম মূলত একটি নৈতিক শক্তি, সে জন্য এর মানবাধিকারসংক্রান্ত একটি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এ কারণে ওআইসি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এর নেতৃবৃন্দ উপলব্ধি করলেন যে, একটি মানবাধিকার দলিলও তৈরি করা দরকার। সে কাজটি শুরু হয় আশির দশকের প্রথম দিকে। দশ বছর ধরে কাজ হয়েছে। এর জন্য সব ইসলামী চিন্তাবিদ, আইনজ্ঞ, ফিকাহবিদকে একসাথে যুক্ত করে ওআইসির ফিকাহ একাডেমি এ ডকুমেন্ট তৈরি করে। নানা পদ্ধতি, ঘাত, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯০ সালে কায়রোতে ডকুমেন্টটি পাস করা হয়। এটি একটি ঐতিহাসিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এখানে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

Article 1: (a) All Human beings form one family whose members are united by submission to God and descent from Adam. All men are equal in terms of basic Human dignity and basic obligations and responsibilities. Without any discrimination on the grounds of race, colour, language, sex, religious belief, political affiliation, social status or other considerations. True faith is the guarantee for enhancing such dignity along the path to human perfection.

(b) All human beings are GodÕs subjects, and the most loved by Him are those who are most useful to the rest of His subjects and no one has superiority over another except on the basis of piety and good deeds.

অনুবাদ : ধারা-১ (ক) আদম থেকে উদ্ভূত এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ, সমগ্র মানবজাতি এক পরিবারের সদস্য। জাতি, গোত্র, বর্ণ, ভাষা, নারী-পুরুষ, ধর্ম বিশ্বাস, রাজনৈতিক মতবাদ, সামাজিক অবস্থান বা অন্য যেকোনো বিবেচনা নির্বিশেষে মূল মানবিক মর্যাদা এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যের দিক থেকে সব মানুষ সমান। খাঁটি ঈমান ব্যক্তির মধ্যে মানবিক পূর্ণতা এনে দিয়ে এ মর্যাদা বৃদ্ধির গ্যারান্টি দেয়।

(খ) প্রতিটি মানুষ আল্লাহর অধীন। সেসব ব্যক্তিকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, যারা তার সমগ্র সৃষ্টি জগতের কল্যাণে নিয়োজিত এবং শুধু আল্লাহভীতি (তাকওয়া) ও সৎকর্মের ভিত্তিতেই একজন মানুষ অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে।

এ ধারাতে মানবজাতি বা সব মানুষের মৌলিক সমতা ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ লিঙ্গ, জাতি, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভেদাভেদ না করে মতবাদ নির্বিশেষে সবাই যে আল্লাহ তায়ালার অধীনস্থ বান্দা এবং তারা মানুষ হিসেবে à¦¸à¦®à¦¾à¦¨Ñ à¦ কথাটিই তাতে বলা হয়েছে।

এ সনদের Article 2-তে মানুষের জীবনকে রার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে; (ক) জীবন হলো আল্লাহপ্রদত্ত একটি উপহার এবং প্রত্যেক ব্যক্তিরই জীবনধারণের সুনিশ্চিত অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্তব্য এ অধিকারকে যেকোনো প্রকার অবমাননা থেকে রা করা। শরীয়াহ নির্দেশিত কোনো কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করা হারাম বা নিষিদ্ধ। (খ) এমন কোনো কাজ করা বা উপায় অবলম্বন করা নিষিদ্ধ যা মানবজাতির ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। (গ) স্রষ্টাকর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে (Term of time willed by Allah) কারো জীবন রা করা শরীয়াহ নির্দেশিত একটি কর্তব্য। (ঘ) শারীরিক তি বা নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার জন্যই সুরতি। একে নিশ্চয়তা দান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং শরীয়াহ নির্দেশিত কোনো কারণ ছাড়া এ অধিকার লঙ্ঘন করা নিষিদ্ধ।

Article-3-এ বলা হয়েছে, মানুষের বিরোধ মীমাংসার জন্য কোনো রকম সশস্ত্র সঙ্ঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এ ধারায়ও বলা হয়েছে, যুদ্ধ যদি শুরু হয়েই যায় তাহলে যারা যুদ্ধরত নয়, তাদের হত্যা করা যাবে না। বৃদ্ধ, মহিলা, শিশুদের হত্যা করা যাবে না। আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। যুদ্ধবন্দীদেরকে খাওয়ানো, আশ্রয় দেয়াসহ সব কিছু করতে হবে। মৃতদেহের অবমাননা করা যাবে না। যুদ্ধবন্দী বিনিময় করতে হবে। বন্দী অবস্থায় তাদেরকে দেখতে দিতে হবে। ফসল নষ্ট করা যাবে না। গাছ কাটা যাবে না। সাধারণ জনগণের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না।

মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে Article 5-এ আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরিবার হলো সমাজের ভিত্তি। পরিবারকে বিয়ের মাধ্যমে গঠন করা হবে। এ ধারার মাধ্যমে লেসবিয়ানিজম, সমকামিতা, ছেলে-ছেলে, মেয়ে-মেয়ে বিয়ে অস্বীকার করা হয়েছে। এ ধারায় আরো বলা হয়েছে সমাজ, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে বিবাহের পথে যত প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করা এবং তাকে সহজ করে দেয়া। এগুলোতে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে। পরিবারকে এর সুরা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। ধারাটি হলো :

Artical 5 (a) The Family is the foundation of society and marriage is the basic of this formation. Men and women have the right to marriage and no restrictions stemming from race, colour of nationality shall prevent them from enjoying this right.

(b) Society and the state shall remove all obstacles to marriage and shall facilitate marital procedure They shall ensure family protection and welfare.

নারীর অধিকার সম্পর্কে Article 6-এও সুন্দর করে বলা হয়েছে। ধারাটিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে :

(ক) মর্যাদা এবং তা ভোগ করার অধিকারের পাশাপাশি কর্তব্য পালনের দিক থেকেও নারী-পুরুষ সমান। নারীর রয়েছে স্বতন্ত্র সামাজিক সত্তা বা পরিচয় ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং তার নিজের নাম ও বংশ পরিচয় বজায় রাখার অধিকার। (খ) পরিবারের ভরণপোষণ ও সার্বিক কল্যাণের দায়দায়িত্ব স্বামীর ওপর বর্তাবে।

অন্য ধারা Article 7-এ পিতা-মাতা, শিশুদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের শিক্ষার অধিকারের কথা Article 7-এ বলা হয়েছে।

অনুবাদ : ধারা ৯ (ক) জ্ঞানার্জন বাধ্যতামূলক এবং শিক্ষার সুব্যবস্থা করা সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্তব্য। রাষ্ট্র শিক্ষা অর্জনের সব পদ্ধতিকে সহজলভ্য করবে এবং সমাজের স্বার্থে শিক্ষাকে বহুমুখী করার প্রতিশ্রুতি দেবে, যেন তা মানবজাতির কল্যাণে মানুষকে ইসলাম ধর্ম ও সমগ্র বিশ্বের প্রকৃত অবস্থার সাথে পরিচিত করে তোলে।

(খ) বিভিন্ন শিক্ষা ও পথ নির্দেশনামূলক প্রতিষ্ঠান, যেমন পরিবার, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রচারমাধ্যম ইত্যাদি থেকে ধর্মীয় এবং পার্থিব শিক্ষা লাভের অধিকার প্রতিটি মানুষের রয়েছে। তার এ শিক্ষা লাভের অধিকার এমন যে, তা ভারসাম্য ও সমগ্রতা পায় তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে। স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস (ঈমান) দৃঢ়করণে, তার অধিকার ও কর্তব্য বা বাধ্যবাধকতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং এর সুরার ব্যাপারে এ শিক্ষা তার ভেতরে এনে দেয় উৎকর্ষ।

এ সনদের Article 11-এ বলা হয়েছে, প্রতিটি মানুষ স্বাধীন সত্তা হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। কাউকে দাস করা যাবে না, গোলাম করা যাবে না, সব ধরনের ঔপনিবেশবাদ নিষিদ্ধ। তেমনিভাবে, অন্যান্য ধারায় মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। সবারই কাজ করার অধিকার থাকার কথা বলা হয়েছে। সুদ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। আইনসম্মতভাবে যে সম্পত্তির মালিকানা থাকবে, তা ভোগের অধিকারের কথা Artcle 15-এ বলা হয়েছে। Artcle 17-এ নিরাপত্তার সাথে বাস করার অধিকারের কথা আছে। Artcle 20-এ অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কাউকে জিম্মি বা পণবন্দী না করার ব্যাপারে Artcle 21-এ উল্লেখ করা হয়েছে। তেমনিভাবে এখানে বলা হয়েছে, সবার নিজ নিজ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে যদি তা শরীয়তের নীতিমালার বিরোধী না হয়।

Article-22-এ বলা হয়েছে, দায়িত্ব বা মতা আমানত মাত্র। Article-22-এ বলা হয়েছে, এ সনদের আলোকে যা কিছু দেয়া হয়েছে এগুলো ইসলামী শরীয়তের আওতায় হবে। All the rights and freedoms stipulated in this Declaration are subject to the Islamic Shariah। যদি কোনো কিছুর ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি ইসলামী শরীয়াহ থেকে নিতে হবে। এ কথা সর্বশেষ Article 25-এ বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, The Islamic Shariah is the only source or reference for the explanation or clarification of any of the articles of this Declaration.

মুসলিম বিশ্বের জন্য এ ডকুমেন্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখের সাথে বলতে হয়, এ দলিলটি যতটা প্রচার হওয়ার দরকার ছিল আমাদের লেখকদের ব্যর্থতার জন্য এটি সেভাবে ছড়ায়নি। আশা করি, ভবিষ্যতে এটি ব্যাপকভাবে ছড়াবে। ইসলামের আলোকে সর্বসম্মত মানবাধিকার ঘোষণার এ অত্যন্ত মূল্যবান দলিলের মাধ্যমে আমাদের জাতি ও সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।

লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।