সংবাদ শিরোনামঃ

সড়কব্যবস্থা ধ্বংসে আ’লীগের বিশ্ব রেকর্ড ** ক্ষমা করো হে প্রভু! আমরা এখনো ঘুমিয়ে আছি! ** মানবরচিত কোনো মতবাদ দিয়ে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয় : মকবুল আহমাদ ** সরকার ব্যস্ত মামলা হামলার মাধ্যমে বিরোধী দল নির্মূলের কাজে ** জমজমাট ঈদ বাজার ভারতের দখলে ** সিরিয়ায় রক্তপাত থামছে না : বধিরের ভূমিকায় বাশার আল আসাদ ** আমরা কারো বিরুদ্ধে নই, জনগণের পক্ষে ** ভারতের সাথে কোনোরকম গোপন চুক্তি জনগণ মানবে না ** ফিরে দেখা ১৫ আগস্ট : ‘সুপথগামীদের’ ব্যাপারে কেন নীরবতা? ** ভারতীয় পানির চাপে যে কোনো মুহূর্তে সাতীরা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ** বাংলাদেশের রাজনীতি ঠিক উল্টো পথে চলছে ** আওয়ামী লীগ দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে : এটিএম আজহার ** সরকার কোরআন নাযিলের মাসে কোরআনের সৈনিকদের জেলখানায় বন্দি করে রেখেছে : তাসনীম আলম ** সাহিত্য েেত্র আমরা একটা গুণগত পার্থক্য সৃষ্টি করতে পেরেছি : আবদুল মান্নান তালিব **

ঢাকা শুক্রবার ৪ ভাদ্র ১৪১৮, ১৮ রমযান ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০১১

॥ খন্দকার মহীউদ্দীন আহমদ॥
সিরিয়ার পরিস্থিতি অবনতিশীল এবং ক্রমান্বয়ে জটিল আকার ধারণ করে চলেছে।  সরকারবিরোধী আন্দোলন গণবিস্ফোরণ ও  অভ্যুত্থানে পরিণত হলেও পাশাপাশি বাশার আল আসাদের  নির্যাতন দমন ও নিপীড়ন বেড়েই চলছে। সরকার বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট বাশার জনগণের সংঘবদ্ধ আন্দোলকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’ আখ্যা দিয়ে ‘অবিরাম যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অতিসম্প্রতি প্রথমবারের মতো সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর দমন পীড়নের নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই সহিংসতার জন্য যারা দায়ী তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো সিরিয়ার ঘটনা যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মত প্রস্তাবের পর সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী কিনটন বলেছেন,সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত দু’ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। এ মৃত্যুর জন্য বাশার আল আসাদ দায়ী। এর পূর্বেও আরেক বক্তব্যে হিলারী সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘সিরিয়া শাসনের বৈধতা হারিয়েছেন বাশার আল আসাদ। সরকারবিরোধীদের নির্বিচারে হত্যা ও সহিংসতার একযোগে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেলের সাথে আলাদা আলাদাভাবে টেলিফোনে দামেস্কের বিরুদ্ধে নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আলাপ করেছেন। বাশার আল আসাদকে পদত্যাগে বাধ্য করতে ওয়াশিংটনের সরাসরি আহ্বান জানানোর প্রস্তুতিপর্বে এই তিন নেতার ফোনালাপ হলো। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে আসাদ সরকারের অব্যাহত দমন পীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন এই নেতারা।  সিরিয়া সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে বিবৃতি দিয়েছে তাকে স্বাগত জানান তারা। একই সঙ্গে তারা আসাদ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং সিরিয়ার জনগণকে সহায়তা করতে বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য দিক হলো সিরিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। আল আরাবিয়া টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয় সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য দু’টি পথ খোলা রয়েছে সিরিয়া স্বেচ্ছায় যৌক্তিক পথ অবলম্বন করবে অথবা গভীর সঙ্কট ও পরাজয়ের পথে এগিয়ে যাবে’। সৌদি বাদশাহের বিবৃতির পর আরব লীগ ও ৬ জাতি গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) ও প্রথমবারের মতো সিরিয়ার কড়া নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা সৌদি আরবের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ চলমান আরব গণবিপ্লবের কোনো পর্যায়ে সৌদি সরকার কোনো বিবৃতি দেয়নি। সৌদি আরবকে এ ধরনের ভূমিকায় দেখা যায়নি। সৌদি আরবের পদক্ষেপে দামেস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রতি সৌদি বাদশাহের বিবৃতি একটি শক্তিশালী বার্তা। এদিকে সিরিয়ার ওপর অধিকতর আন্তর্জাতিক অবরোধের আহ্বান জানিয়েছেন হিলারী কিনটন। বৃহস্পতিবার সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে অন্য দেশগুলোর ক্ষমতা প্রয়োগ করা উচিত। হিলারী বলেন, বাশারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য সিরিয়ার তেল ও গ্যাস শিল্পে অবরোধ আরোপ দরকার। আমরাও চাই এ বিষয়ে ইউরোপ আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের সাথে চীন ও ভারত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। দেশ দু’টি সিরিয়ার জ্বালানি খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। একই সঙ্গে তিনি সিরিয়ায় অস্ত্র বিক্রি না করার জন্য রাশিয়ার প্রতিও আহ্বান জানান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে গত মার্চ মাস থেকে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার ১৫০ জন প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এরমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪০৬ জন সদস্যও রয়েছেন। সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে তুরস্কও পিছিয়ে নেই। রক্তপাত বন্ধের কঠিন বার্তা নিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাভূতোগলু ইতোমধ্যে দামেস্ক সফর করেছেন। তিনিও রক্তপাত বন্ধে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের একদিন পর ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিরাও সহিংসতা বন্ধে সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়েছেন। ত্রিদেশীয় প্রতিনিধিরাও সিরিয় সরকারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুলায়মের সাথে সাক্ষাৎ করে সহিংসতা বন্ধে চাপ দিয়েছেন। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আমর সিরিয়ায় অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, দেশটির পরিস্থিতি এমন দিকে ধাবিত হচ্ছে যেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব হবে না। রাশিয়াও রক্তপাত বন্ধে সিরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া লল্যান্ড ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাশার বধির হয়ে গেছেন। রক্তপাত বন্ধের জোর আন্তর্জাতিক আহ্বান তিনি যেন শুনতে পারছেন না।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা ও মানবতাবিরোধী দমন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। সভ্য দুনিয়ায় এর নজির কমই পাওয়া যাবে। সিরিয়ায় চলমান বিক্ষোভ দমনে তিনি এ পর্যন্ত ২ হাজার মানুষ হত্যা করেছেন। আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে নিজ জনগণের বিরুদ্ধেই সরাসরি অবস্থান নিলেন। অধিকার আদায় ও স্বাধীনতার জন্য যারা প্রাণ দেয় তারা সন্ত্রাসী নয় এ সত্যটুকু আসাদ বেমালুম ভুলেই গেছেন। নিজ জনগণের বিরুদ্ধে আসাদের অবস্থান থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তিনি দিগবিদিক হিতাহিত জ্ঞানশূন্য ও বধির হয়ে গেছেন। সিরিয়ার কোটি মানুষের প্রবল প্রতিবাদী আওয়াজ তিনি শুনতে পাচ্ছেন না। তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে নিজেই সবচেয়ে বড় অপরাধী বনে গেছেন। আরব বিশ্বের ঘনিষ্ঠতম সরকার প্রধান কিন্তু জঘন্যতম অপরাধে অপরাধী। ক্ষমতার মোহ ও মত্তে তিনি তার পিতা হাফেজ আল আসাদকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আরব বিশ্বে অত্যাচার নির্যাতনের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন বাশার আল আসাদ।

বাস্তবিকপক্ষে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান গণঅসন্তোষ থেকে কোনো শিক্ষাই নেননি। তিনি অবৈধভাবে এখনও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চান। অথচ তিনি গণতান্ত্রিক ও সর্বজনীন পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেননি। তিনি এসেছেন হাফেজ আল আসাদের উত্তরাধিকার হিসেবে। যেখানে যোগ্যতা বা জনমতের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি। বাথ পার্টির স্বৈরাচারী শাসনের ধারাবাহিকতায় তিনি ক্ষমতার মসনদে বসে রয়েছেন। তার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি সিরিয়ায় জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী নামিয়ে দিয়ে মানবতাবিরোধী ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছেন। জাতিসংঘের মাধ্যমে শিগগিরই কমিশন নিয়োগ করে তার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।

বিক্ষোভ দমনের সময় তার নিরাপত্তা বাহিনী কিছুটা ভুল করেছেন বলে তিনি সিরিয়ান জনগণ ও বিশ্ববাসীর সাথে ভয়ঙ্কর প্রতারণা করেছেন। দুই হাজার মানুষ হত্যা কিছুটা ভুল বলে মেনে নেয়া যায় না। সিরিয়ার গণআন্দোলন যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে তখন আবারও প্রতারণার আশ্রয় নিলেন বাশার আল আসাদ। তিনি চলতি বছরের শেষার্ধে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান, জনগণের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয় চূড়ান্তকরণ ও আগামী ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। বস্তুতপক্ষে তার এই ঘোষণা চাতুরতা ছাড়া আর কিছু নয়। সিরিয়ার রাজপথ যখন উত্তপ্ত, আন্দোলন যখন বেগবান হচ্ছে, জনগণের সংগ্রাম ও জীবনদান যখন রামযান মাসেও অব্যাহত রয়েছে তখন তিনি কৌশলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সঙ্কটকে বর্ধিত করার প্রয়াস পেলেন। সংবিধান সংশোধন ও অর্থনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে সংলাপ অব্যাহত রাখার ঘোষণা মূলত কালক্ষেপণ করার অপকৌশল মাত্র। সিরিয়ার সরকার আন্দোলনের মুখে বহুদলীয় সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিয়ে মূলত হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার তথা উজ্জ্বল করার চেষ্টা করেছে। প্রকৃতপক্ষে বাশার সরকার এতেও আন্তরিক নয়। সিরিয়ার সঙ্কট ভয়াবহ আকর ধারণ করে ফেলেছে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই। প্রকৃতপক্ষে বাশার আল আসাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রচেষ্টাই সিরিয়ার বর্তমান সঙ্কট দীর্ঘায়িত হওয়ার ও অস্থিতিশীলতার একমাত্র কারণ। সুতরাং বর্তমান বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা হওয়া উচিত বাশার আল আসাদের পদত্যাগে বাধ্য করে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা। রক্তপাত বন্ধ ও সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে আনতে কৌশল নির্ণয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আরব লীগ ও জিসিসি ও ওআইসির মতামত নেয়া যেতে পারে। এই মুহূর্তে সিরিয়ার সার্বজনীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কোনো বিকল্প নেই। বাশার আল আসাদকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে হবে। যেহেতু সিরিয়ার জনগণের অবস্থান এ ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট। তারা বাশারকে ক্ষমতায় দেখতে রাজি নয়। সুতরাং কালক্ষেপণ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ আরোপ সিরিয়ার রক্তপাত বন্ধে সক্ষম হয়নি। তাছাড়া অবরোধের কুফল সাধারণ জনগণকেই বহন করতে হয়। পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধের মাধ্যমে কোথাও আজ পর্যন্ত কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি। জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে মাত্র। অবরোধ আরোপের মাধ্যমে কোথাও কোনো সরকারের পতন ঘটেনি। সুতরাং বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কৌশল নির্ণয়ের সময় এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে আরব দেশগুলোর মতামত নিতে হবে। সিরিয়ার জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্বে অবহেলা মেনে নেয়া যায় না।

লেখক : কলামিস্ট, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।