সংবাদ শিরোনামঃ

এ কোন রাজনীতির আগুন? ** গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য দরকার ** গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করুন : প্রধানমন্ত্রী ** অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ** গণতান্ত্রিক শক্তির আন্দোলনেই জাতীয় মুক্তি ত্বরান্বিত হবে ** চীনের নেতৃত্বে বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ** শ্রমিক আন্দোলনকে গণমুখী করতে হবে-আ ন ম শামসুল ইসলাম **

রেজি: ডিএ ৫১৭।। ৫৯ বর্ষ : ৩২তম সংখ্যা ॥ ঢাকা শুক্রবার ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ ॥ ৪ রবি. সানি. ১৪৪২ : Friday 20 November 2020

একেএম রফিকুন্নবী

বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
বিদেশ ভ্রমণের আগে আসুন, আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে জানি। বাংলাদেশের সাবেক ১৭টি জেলা বর্তমানে ৬৪টি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। মোট আয়তন ৫৬ হাজার বর্গমাইল। যদিও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মতো আরেকটা বাংলাদেশের জন্ম হচ্ছে বলে ভূতত্ত্ববিদরা মনে করেন।
ভোলা একটি দ্বীপপুঞ্জের জেলা, দ্বীপসদৃশ ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলা। বাংলাদেশ হওয়ার ৫০ বছর পেরিয়ে গেল। ভোলাকে আমরা দ্বীপপুঞ্জ হিসেবেই জানি।
চলতি মাসের প্রথমদিকে হঠাৎ করেই ভোলার একটি উপজেলা লালমোহন থেকে একটি ছোট দাওয়াত এলো। কিন্তু দাওয়াতটি ইসলামী জিন্দেগীতে বড়। অর্থাৎ ছেলেমেয়ে জন্মের পর অর্থবহ একটি নাম রাখা এবং আকিকা করা বাবা-মায়ের বড় কাজ।
আকিকা উপলক্ষেই গত ১৩ নভেম্বর ছিল লালমোহন উপজেলায় আমার ভায়রা ভাইয়ের মেয়ের ঘরের ছেলের আকিকা অনুষ্ঠান।
আমার একমাত্র ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার খালার মাধ্যমে দাওয়াত পেয়েই ভ্রমণপিপাসু ছেলে দলবলে ঢাকাস্থ আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিয়ে লঞ্চযোগে লালমোহন যাওয়ার পরিকল্পনা করলো। জেনে রাখা ভালো, লালমোহনে লঞ্চ ছাড়া যাতায়াতের কোনো সহজ ব্যবস্থা নেই। ইচ্ছা করলেই সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় না। গোটা ফ্যামিলি ঢাকা থেকে যাওয়ার কথা থাকলেও লঞ্চঘাট পর্যন্ত একমাত্র আমরাই ছেলে-বউ, নাতিসহ এ যাত্রায় শরিক হতে পারলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
যারা ভ্রমণে ইচ্ছুক, তাদের অনুরোধ à¦•à¦°à¦¬à§‹Ñ à¦¯à§‡ এলাকায় সফরে যাবেন, সেই এলাকার কোনো পরিচিত বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে পরিকল্পনা করবেন। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে ঐ এলাকার দর্শনীয় জায়গা গুগলে সার্চ দিয়ে খুঁজে নিতে পারেন। লঞ্চের টিকিট পূর্বেই বুকিং দিয়ে রাখলে ভালো হয়। বর্তমানে দূরদূরান্তে যাতায়াতকারী লঞ্চগুলোর সুযোগ-সুবিধা ভালো। আপনি যেমন এসি কেবিন পাবেন, ওয়াইফাই, টিভি সংযোগ পাবেন। ভাত, মাছ, গোশত, নাশতা, চা, কফি সবই প্রয়োজনমতো চাইলেই পাবেন। দাম আয়ত্তের মধ্যেই। নামাজের ব্যবস্থাও আছে। জামায়াতে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা হবে না। সন্ধ্যায় রওনা করে সারারাত ঘুমিয়ে ফজরের সময় নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছা খুবই আরামদায়ক জার্নি। সাধারণ মানুষের জন্য মাত্র দুইশত টাকায় ভ্রমণের সুযোগ আছে।
আমরাও যথাসময়ে সকালবেলা লালমোহন লঞ্চঘাটে পৌঁছে গেলাম। অপেক্ষমাণ আত্মীয়দেরও পেয়ে গেলাম। এরকমই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ও উপজেলা শহরগুলোয় লঞ্চে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।
দুপুর বেলার আকিকা অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়া, আত্মীয়দের সাথে আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় করার কাজ সেরে দর্শনীয় কিছু স্থান পরিদর্শনে বাসযোগে চরফ্যাশন উপজেলা শহরের উদ্দেশে রওনা দিলাম। রাস্তাঘাট সরু প্রয়োজনের তুলনায়। তবে আরামদায়ক। বাস চরফ্যাশন শহরে না গিয়ে ২-৩ কিলোমিটার পূর্বেই আমাদের সব যাত্রীকে নামিয়ে দিল। একটু অপ্রস্তুত হলেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে শহরে গেলাম এবং ভালো একটি হোটেলের সন্ধান করে নিলাম। এখানে বলে রাখা ভালো, আমার বাড়ি উত্তরবঙ্গের দুটি উপজেলার পাশাপাশি, কিন্তু এই মানের হোটেল জেলা শহর ছাড়া পরিলক্ষিত হয় না।
চরফ্যাশন একটি চর এলাকার উপজেলা শহর বলে আমার ধারণা ছিল। কিন্তু ফজরের নামাজের পর ছেলেসহ আমরা দু’জন রাতের ঐ অটো রিকশাওয়ালা এসে হোটেল থেকে আমাদের ইলিশ মাছের বাজার দেখানোর জন্য নিয়ে যেতে চাইলো। কিছুদূর এগোতেই মাছের বাজারের দূরত্ব বিবেচনা করে সেদিকে না গিয়ে অটোরিকশাওয়ালা চরফ্যাশনের থানা, উপজেলা অফিস, স্কুল-কলেজ, জ্যাকব টাওয়ারসহ উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেখালো।
চরফ্যাশন চরের মধ্যে একটি ছোট শহর হবে বলে আমার যে ধারণা ছিল, তা পাল্টে গেল। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, সরকারি অফিস সবকিছুই সাজানো-গোছানো ইট, বালু, সিমেন্টের সুউচ্চ দালান আমার চোখে পড়লো।
জ্যাকব টাওয়ার নামে ১৮ তলার একটি সুউচ্চ দর্শনধারী লিফটওয়ালা স্থাপনা বানিয়েছেন ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের আদলে। পর্যটকরা প্রতিজন ১০০ টাকার বিনিময়ে ১৮ তলা পরিদর্শন করতে পারেন। আশপাশ যতদূর চোখে পড়ে সবুজ আর সবুজ ঘেরা বাগান আর বাগান। শুধু কী তাই! ১৮ তলায় চা, নাশতা, কফি খাওয়ার সুব্যবস্থা আছে। দাম আওতার মধ্যে। টাওয়ারে উঠতেই দেখা যাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এই স্থাপনা উদ্বোধন করেছেন। জ্যাকব সাহেব এবং রাষ্ট্রপতির ছবি পাশাপাশি টানানো আছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথেও সংসদ সদস্য জ্যাকব সাহেবের ছবি টানানো আছে। চরফ্যাশনেরই কাছাকাছি চর কুকরি-মুকরিতে সংসদ সদস্যের সাথে রাষ্ট্রপতি খোলা রিকশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তার ছবিও টাওয়ারে সংযোজিত আছে।
ওখানেই জানতে পারলাম, এলাকার সংসদ সদস্য সাহেব তার গ্রামের বাড়ির এলাকায় শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি দর্শনীয় খামারবাড়ি তৈরি করেছেন। সাথেই ছিলেন আমার পরিচিত একটি ওষুধ কোম্পানির স্থানীয় ম্যানেজার। তিনি একটি মাইক্রোবাস জোগাড় করে আমাকে ঐ খামারবাড়ি দেখানোর প্রস্তাব করলেন। হাতে সময়ও ছিল। তাই সময়ের সদ্ব্যবহার করলাম। প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই দর্শনীয় ঐ খামারবাড়িতে পৌঁছলাম। ২০ টাকা প্রতিজনের প্রবেশ ফি। ঢুকেই ডানে-বাঁয়ে পুকুর আর পুকুর। কিছুদূর এগোলেই একটি জলাশয়ের মধ্যে বেশ বড় একটি স্থাপনা, দুই তলার নির্মাণকাজ প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। ঐ স্থাপনায় যাওয়ার জন্য ঝুলন্ত সিঁড়ির মতো সিঁড়ি করছে। জানা গেল, দালানটিতে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট করা হবে। নতুনত্বই মনে হলো। রাস্তার দুই পাশে দেশের জঙ্গলের বড় বড় জীবজন্তুর প্রতিকৃতি সাজানো রয়েছে। আশপাশে লেখা আছে ঐ জীবজন্তু ধরা বা ছোঁয়া যাবে না। আর কিছুদূর এগোলেই প্রায় ২০-২৫ ফুট উঁচু একটি টাওয়ারের মতো স্থান। সিঁড়ি বেয়ে উঠলে আশপাশের সবকিছু দেখা যায়। আবার বসে বিশ্রাম করার সুযোগ আছে। কিছুদূর এগোলেই হোটেলের মতো কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন ঘর তৈরি করছে। ভবিষ্যতে পর্যটকরা সেখানে থাকতে পারবেন। রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে পারবেন। সাময়িক হলেও চরাঞ্চলের এই এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত থাকা-খাওয়া উপভোগ করতে পারবে। আমার মনে হয়েছে, শুধু টাকা থাকলেই হয় না। মনের খোরাক আহরণের মানসিকতাও থাকতে হয়। আমার আরো মনে হয়েছে, বাংলাদেশের ৩০০টি আসনের সংসদ সদস্যগণ যদি নিজ নিজ এলাকায় উপযোগী স্থাপনা করে দেশের মানুষসহ বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন, তাহলে আমাদের দেশকে সোনার বাংলা বলে পরিচিতির সার্থকতা তুলে ধরা সম্ভব হতো। জ্যাকব টাওয়ারের সাথেই একটি বড় ধরনের মসজিদের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। যদিও টাওয়ারঘেঁষা একটি ছোট মসজিদ রয়েছে। সেখানেই আমরা জোহরের নামাজ জামায়াতে আদায় করলাম। পাশেই শিশুপার্ক ও পানির বড় ফোয়ারা রয়েছে। ফোয়ারার তিন পাশেই সজ্জিত মার্কেট রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
চরফ্যাশন যেহেতু চরের সমাহার। তাই ছোট খাল হোক বড় খাল-নদী সমুদ্রঘেরা এই শহর। শহরের পূর্ব দিকে একটি বড় খালের ওপর বড় একটি ব্রিজ রয়েছে। নাম মায়া ব্রিজ। ব্রিজটির মাঝে দাঁড়িয়ে দুই দিকে তাকালে খালের দূরত্ব বোঝা যায়। ব্রিজের নিচে দুই পাশে বড়-ছোট ট্রলার বা মাছ ধরার নৌকা দেখলাম। নৌকাগুলোর সামনে-পেছনের দিক বেশ উঁচু। হয়তো সমুদ্রের ঢেউ থেকে রক্ষার জন্যই এভাবে নৌকাগুলো তৈরি করা। নৌকাগুলো ৬০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা হয়। জেলেরা গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ ১০-১৫ দিনের খাবার, মাছ রাখার জন্য বরফ, আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মাছ ধরে সংরক্ষণ করে আবার মাছের আড়তে চলে আসে।
এবার আবার ঢাকা ফেরার পালা। পূর্বেই ওষুধ কোম্পানির ম্যানেজার বড় লঞ্চ কর্ণফুলী-১৩তে দুটি কেবিন বুক করে রেখেছিলেন। সেটা আমার হোটেল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বেতুয়া লঞ্চঘাট। আবার অটোরিকশাতেই যথাসময়ে লঞ্চঘাটে এলাম। এখানে উল্লেখ করার মতো বড় বড় মাছের বস্তা, গোলপাতা দিয়ে বানানো বরফ দেয়া নিচে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর à¦¬à¦¸à¦¾à¦¨à§‹Ñ à¦¯à¦¾à¦¤à§‡ করে বরফের পানি লঞ্চে না পড়ে। অভিনব কায়দায় বেশ কয়েকজন লোক ঐ বস্তাগুলো লঞ্চের নিচতলায় গুদামজাত করে ঢাকায় নিয়ে à¦†à¦¸à§‡Ñ à¦¯à¦¾ আমরা বিভিন্ন বাজার থেকে কিনে থাকি। পানের প্রধান মশলা এ অঞ্চলে প্রচুর উৎপাদন হয়। সুপারিও বস্তা বস্তা লঞ্চের মাধ্যমেই প্রতিদিন ঢাকায় আসে। এভাবেই দ্বীপাঞ্চলের সাথে আমাদের সেতুবন্ধন তৈরি করছে লঞ্চগুলো। এতে লঞ্চের মালিকগণ যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনই ঐ উপকূলবাসী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার দ্বার উন্মোচন করেছেন। তাই তারা অবশ্যই ধন্যবাদ এবং দোয়া পাওয়ার যোগ্য।
আসুন, আমরা বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে আমাদের এই সোনার বাংলার উত্তরে পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রামসাগর, ফুলবাড়ী, স্বপ্নপুরী, মহাস্থান গড়, বগুড়া, দক্ষিণাঞ্চলে ভোলার ৭টি উপজেলা, খুলনার সুন্দরবন, সাতক্ষীরার মৎস্য চাষ কেন্দ্র। পূর্বাঞ্চল সিলেটের পাহাড়, পর্বত, শাহমখদুমের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত রাজশাহী জাফলংসহ বিভিন্ন এলাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলের পাবনা মানসিক হাসপাতাল, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ঈশ্বরদীর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ঐতিহাসিক স্থানগুলো এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করি। যার যার এলাকায় সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করি। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে শরিক হই। দেশের লাভ, নিজের লাভ, দুনিয়ার লাভ, আখিরাতের লাভ সন্ধান করি। সমাজকে কলুষমুক্ত করি। দেশের সেবা করে আল্লাহর রহমত নিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে কাজ করি এবং বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করি।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

rnabi1954@gmail.com

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।