॥ এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী॥
আমরা জানি, আত্মহত্যা শুধু একটি পাপই নয়, একটি অপরাধও বটে। ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা মহাপাপ। বাংলাদেশের আইনেও আত্মহত্যার চেষ্টা করা অপরাধ। আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু কেবল একটি প্রাণের মৃত্যু নয়, একটি পরিবারের স্বপ্নের মৃত্যু। একজন ব্যক্তি বা একজন শিক্ষার্থী একেকটি পরিবারের স্বপ্ন ও আশার প্রতিনিধিত্ব করে। তাকে ঘিরে একটি পরিবারের স্বপ্ন ও আশা তৈরি হয়। ফলে এমন মৃত্যু দুনিয়ার জীবনে তার পরিবারকে যেমন পঙ্গু করে দেয়, তেমনি চিরকালের জন্য পরকালকেও বিনষ্ট করে দেয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশকিছু আত্মহত্যার ঘটনা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সচেতন সমাজকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
সাম্প্রতিক আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিছু সুইসাইড কেস-
* ফেসবুকে আত্মহননে বাধ্য করার জন্য তারই এক সহপাঠী ও এক শিক্ষককে দায়ী করে সুইসাইড নোট পোস্ট করে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
‘এটা সুইসাইড না, এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার।’ এ কথাগুলো ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের এ শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। সুইসাইড নোটে তিনি তার এক সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টরকে দায়ী করেন মৃত্যুর জন্য।
* একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাস আত্মহত্যা করে। তখনো প্রশ্ন এসেছিল- এটা সুইসাইড নাকি মার্ডার। অংকন ছিল তুখোড় বিতার্কিক ও নৃত্যশিল্পী। প্রায় ১৪ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অংকন মারা যাওয়ার পর তার সহপাঠীরা অংকনের প্রেমিক শাকিলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।
* ২০২৩-এর মে মাসে পরপর দুদিন রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটে) এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবরটিও সচেতন মহলকে খুবই বিপর্যস্ত করেছে।
* ২০২৩-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ আবাসিক হল থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের মাথায় নিজেই পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন মহসিন খান নামে এক ব্যবসায়ী।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুক লাইভে গুছিয়ে শান্ত গলায় ১৬ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথা বলেছিলেন তিনি। ‘সেখানে তিনি তুলে ধরেছিলেন, তার পরিবারের কথা, ব্যবসায় কীভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সেটা।’
* এরপর ওই বছরেই ৪ জুলাই প্রেস ক্লাবের সামনের খোলা চত্বরে এক ব্যক্তি হঠাৎ করেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় তার। [বিবিসি বাংলা]
* গত ১৩ মার্চ সুপরিচিত গায়ক সাদী মহম্মদের আত্মহত্যা মানুষকে আলোড়িত করেছে। গত ১৩ মার্চ ভারতীয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের পথ ধরে একই কায়দায় চলে গেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট এ সংগীতশিল্পী।
ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো বেডরুম থেকে গত ১৩ মার্চ বুধবার রাতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে শিল্পী সাদি মহম্মদের। পরিবারের মতে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন।
বিশেষ করে গত বছর তার মা ও বোনের মৃত্যুতে তিনি মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না। মা হারানোর বেদনা সম্ভবত তিনি নিতে পারেননি। এছাড়া সঙ্গীতাঙ্গনে তার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পাননি বলেও অভিমান ছিল সাদি মহম্মদের। এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, যিনি সংগীত সাধনাকেই জীবনসঙ্গী বানিয়ে নিয়েছিলেন। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয়তার অধিকারী একজন শিল্পী। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সঙ্গীতজগতে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সম্মাননায়ও ভূষিত হয়েছিলেন।
আফসোস! দুনিয়ার জীবনে সাফল্যের এত শীর্ষ চূড়ায় অবস্থান করেও অপ্রাপ্তি, অশান্তি আর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। যার ফলে তার এ করুণ পরিণতি। তিনি সংগীতের সুর মূর্ছনায় হাজারো দর্শকদের মন ভরিয়ে তুললেও নিজের মনকে প্রশান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
কেন এত হতাশা?
বাংলাদেশে সব মিলিয়ে বছরে কত মানুষ আত্মহত্যা করে, তার পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। তবে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৫১৩ শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। [বিবিসি বাংলা]
কেন এত আত্মহত্যা (১ মে ২০২৩, প্রথম আলো), ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রের আত্মহত্যা (৪ এপ্রিল ২০২৩, জবি প্রতিনিধি) ও আত্মহত্যা মহামারি হয়ে উঠছে কেন? (১২ এপ্রিল ২০২২, প্রথম আলো)।
আরও ভয়ানক তথ্য হচ্ছে গত তিন বছরে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর হার ভয়ানকভাবে বাড়ছে। আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০২০ সালে ৭৯ শিক্ষার্থী, ২০২১ সালে ১০১ শিক্ষার্থী ও ২০২২ সালে ৪৪৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এ আত্মহত্যার হার ৫ দশমিক ৫ গুণ বেড়েছে।
আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু প্রায় নিয়মিতভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ঘটছে। এসব অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর পেছনে যেসব কারণ থাকে, অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো পুরোপুরি জানাও সম্ভব হয় না। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৫৩২ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ৪৪৬ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৬ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ৪৫ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। নিঃসন্দেহে এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ মানসিক চাপ। এ মানসিক চাপ আবার তৈরি হয় বিভিন্ন সামাজিক কারণে।
সমাজ, পারিপার্শ্বিক বিরূপ পরিবেশ, প্রশাসন, শিক্ষক ও বন্ধুমহলের অসহযোগিতা, নেতিবাচক আচরণ, মানসিক চাপ, আর্থসামাজিক সমস্যা, পারিবারিক সংকট, প্রেম-বিরহ, বখাটের অত্যাচার ইত্যাদি কারণে মানসিক চাপ থেকে বিষণ্নতা, ভবিষ্যৎ জীবনের অনিশ্চয়তা, হতাশা, একাকিত্ব, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল না হওয়া, মূল্যায়নে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করাÑ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও আত্মহত্যার হার এক ভয়ানক ঊর্ধ্বগতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন মনোবিজ্ঞানী, উন্নয়নকর্মী ও সচেতন মহল।
প্রেম, বিয়ে, শারীরিক সম্পর্ক- এসব কারণেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি হয়। ঘনিষ্ঠ ছবি, ভিডিও ইত্যাদি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির কারণে কিংবা ছড়িয়ে দেওয়ার পর অনেকে আত্মহত্যা করেন। নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর নিজের প্রতি ঘৃণাবোধ থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করেন। কোনো কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী ভালো ফল করার চাপ নিতে না পেরে হতাশায় পড়েন। অনেকে পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়ে কিংবা অন্য কোনোভাবে শিক্ষকদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহত্যা করেন। মাদকে আসক্ত হয়েও কিছু শিক্ষার্থী মানসিক শক্তি হারান এবং কোনো একপর্যায়ে আত্মহত্যার কথা ভাবতে শুরু করেন।
অনেক শিক্ষার্থীর জানাও থাকে না, বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা আছে। কোনো কোনো শিক্ষার্থী জেনেও কাউন্সেলিং নিতে সংকোচবোধ করেন। যেসব শিক্ষক এ ধরনের কাউন্সেলিং দিয়ে থাকেন, তারা লক্ষ করেছেন, মানসিক চাপে থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার ও নিকটজনের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা গোপন রাখেন। প্রথম দিকে এসব শিক্ষার্থী তাদের কোনো সহপাঠী বা প্রিয়জনের কাছে সমস্যার কিছু কিছু হয়তো প্রকাশ করেন, কিন্তু পরে কাউকেই আর কিছু জানান না।
প্রতিরোধে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়
কেউ যখন হতাশা কিংবা বিষণ্নতায় ভোগেন, তখন তাকে কাউন্সেলিং ও মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া প্রয়োজন। মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকের দ্বারা অতি গোপনে এবং অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। আশপাশে কাছের মানুষ যদি ভিকটিমের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এ ধরনের আত্মহননের পথ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কাউন্সেলিং ও মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করাও দায়িত্ব।
আজ দেশে ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া শিক্ষার্থীদের অপমৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে সব অভিভাবক, শিক্ষক ও সহপাঠীদের মনমানসিকতার পরিবর্তন ও সচেতন হওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। তা না হলে এ দায়ভার আমাদের সকলের ওপরই বর্তাবে। আত্মহত্যা বিষয়ে বিষণ্নতায় আক্রান্ত কারও সঙ্গে খোলামনে কথা বলা ভীষণ উপকারী। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কথা বলার ধরনে যদি কটূক্তি, অশ্রদ্ধা/অসম্মান, অযাচিত উপদেশ ইত্যাদির একটিও বিদ্যমান থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির আত্মহত্যার ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে।
আত্মহত্যার চেষ্টা সম্পর্কে আইন কী বলছে?
আইন বলেছে, কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বা আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে স্বীয় শরীরের ওপর কোনো ধরনের আঘাত করলে তাকে পেনাল কোড ৩০৯ ধারা অনুসারে ১ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা বলছেন, আত্মহত্যার চেষ্টা করাটাই একটা ফৌজদারি অপরাধ। ‘আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তার।’
আত্মহত্যার ক্রমেই এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমিয়ে আনার জন্য প্রথমত, পারিবারিক সুশিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চার গুরুত্ব আমরা কেউই এখন অস্বীকার করতে পারি না। মানুষ যখন সকল দিক থেকে অন্ধকার দেখে, হতাশ হয়ে যায়, জীবনের সব আশা হারিয়ে ফেলে, তখনই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। সেক্ষেত্রে স্রষ্টার প্রতি গভীর বিশ্বাস ও নির্ভরতা তাকে আশান্বিত করে, পরকালীন প্রাপ্তির কথা স্মরণ করে সে দুনিয়ার সকল ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে, দুনিয়ার সকলে মুখ ফিরিয়ে নিলেও সে স্রষ্টার কাছে তার প্রতি ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে।
হতাশায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং নেওয়ার সুযোগকে সহজ করে দিতে হবে। দক্ষ মনোবিদের সহায়তায় একজন শিক্ষার্থী চাপ-ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখতে পারেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শরীরচর্চা, খেলাধুলা ও নির্মল ও গঠনমূলক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড সেবামূলক কাজ পরিচালনার সুযোগ বাড়াতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জনউন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে হবে। তাদের পজটিভ কাজে এক্টিভ রাখতে হবে। পারিবারিক বন্ধনকে মজবুত করতে হবে।
সমাজ পরিচালনার প্রধান কনস্টিটিউশান- আল কুরআনের সাথে এটাচমেন্ট বাড়াতে হবে। আল কুরআনের সে আয়াতটিকেই বেশি বেশি স্মরণ করতে হবে, যেখানে মহান রব বলেছেন, ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই শুধু চিত্ত প্রশান্ত হয়।’ (সূরা রাদ : ২৮)।
আমাদেরকে সেই মহান রবের নৈকট্য ও সান্নিধ্যের মাঝেই মনের প্রশান্তি খুঁজে নিতে হবে। জীবনের সকল প্রতিকূলতার মাঝে কেবল মাত্র স্রষ্টার স্মরণেই মনকে প্রশান্ত করে, প্রটেক্টিভ পাওয়ার তৈরি করে, জীবনী শক্তি দান করে।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, মানবাধিকার ও আইনী সুরক্ষা কেন্দ্র।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’ ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে
- ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’র বহুল প্রচার উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি
- আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি
- সাংবাদিকতার সর্বজনীনতা ও সংবাদমাধ্যমের প্রভাব
- আত্মার বোধ ও বিশ্বাস
- সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর সাংবাদিক জীবন
- অনুভূতি
- কেউ ভালো নেই
- ফজলুল হক তুহিন-এর দুটি কবিতা
- কবি আল মাহমুদের সাংবাদিক জীবন
- সাপ্তাহিক সোনার বাংলার ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : আগামী দিনের করণীয়
- সাংবাদিক কবি কাজী নজরুল ইসলাম
- অপরাধ দমনে সংবাদমাধ্যম
- ইসলামী ধারার রাজনীতির বিকাশ ও সোনার বাংলার ভূমিকা
- প্রচার, অপপ্রচার ও সংবাদমাধ্যম