রাজনৈতিক ভাষ্যকার : বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও স্থানের উচ্ছ্বাসভরা নির্বাচনী খবরাখবর পড়তে হয় ভারাক্রান্ত মনে। কারণটা সবারই জানা। রজব তৈয়ব এরদোগানের অনেক ভক্ত আছেন বাংলাদেশে। ফলে তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে তার দলের পরাজয়ে অনেকের মন খারাপ হবে।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রজব তৈয়ব এরদোগান বেশ কষ্ট করেই জিতেছিলেন। দ্বিতীয় দফা পর্যন্ত সেই ভোট গড়িয়েছিল। এখন স্থানীয় নির্বাচনে তার দল হেরে যাওয়ায় স্পষ্ট হলো কেবল নিজের ইমেজ দিয়ে এরদোগান আর দলকে জিতিয়ে আনতে পারছেন না।
অর্থনৈতিক দুর্দশায় জনগণের মনোভাব জোরেশোরে পাল্টাচ্ছে। ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিরোধী জুমহুরিয়াত হাল্ক পার্টিসির কাছে এরদোগানের একে-পি হেরেছে। কিন্তু তারপরও তুরস্কের এ নেতাকে ইতিহাস অনেক এগিয়ে রাখবে। কারণ পরাজয় ঠেকাতে কোনো জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছেন না এরদোগান। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ক্ষত-বিক্ষত করে নিজের দলের রাজত্ব টিকিয়ে রাখছেন না এ নেতা।
এরদোগান তুরস্কে গণতন্ত্রকে হত্যা করেননি। মুসলমানপ্রধান বিশ্বে এরকম রাজনীতিবিদের সংখ্যা বাড়া জরুরি। গণতন্ত্রের চলতি বৈশ্বিক দুর্দশার কালে এটা নজির হিসেবে অনন্য।
নিজের দল হারলেও ‘এরদোগান’ নিজের দেশকে জিতিয়ে রাখলেন। জনগণকে ট্রমায় ফেলে দেননি। যেমনটি ঘটে চলেছে মুসলমানপ্রধান অনেক দেশের নির্বাচনে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- নিরাপত্তা সংকটের আশঙ্কা
- রাজনৈতিক দল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই দেশে কল্যাণকর পরিবর্তন আসবে আশা করা যায়
- বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে বৃহত্তর ঐক্যের সুবাতাস
- রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতায় আওয়ামী লীগও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে
- ভারতীয় পণ্যে সয়লাব ঈদবাজার
- বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে সাধারণ ছাত্রসমাজ
- খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা আমীরে জামায়াতের
- মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য : ওবায়দুল কাদের
- স্মরণীয় সাংবাদিক মুহাম্মদ কামারুজ্জামান
- অরুণাচলের ৩০ স্থানের নতুন চীনা নাম
- ইমরান খানের সাজা বাতিল করলো ইসলামাবাদ হাইকোর্ট