॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্মের সময় জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি। বর্তমানে প্রায় ১৮ কোটি। দেশের মাটি, পানি, ফসল উৎপাদনে উপযোগী। জলবায়ু না গরম না ঠাণ্ডা। বলা যায়, নাতিশীতোষ্ণ। বসবাস এবং চলাচলের জন্য সড়ক, নদী ও আকাশপথে সহজেই একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে যাওয়া যায়। বর্তমানে সড়কপথের উন্নয়নের কারণে রাজধানী থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তে ৪-৫ ঘণ্টায় সহজেই পৌঁছা যায়। পণ্যসামগ্রী পরিবহন করা যায়, দেশ থেকে দেশান্তরে আমদানি-রফতানিযোগ্য পণ্য সহজেই বহন করা যায়। সড়ক, পানি, রেলপথ; এমনকি প্রয়োজনে আকাশপথেও।
তাই আমাদের আলোচ্য বিষয় দেশের কল্যাণে দেশের পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার অপরিহার্য। আমরা যদি আমাদের উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ব্যবহার করে চলতে চাই, তবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে খাদ্যদ্রব্য, পোশাক-পরিচ্ছদ, শিক্ষা উপকরণ, সেবা উপকরণ, ভোজ্যতেল, ফলফলাদি, কসমেটিক্সসহ নানা ব্যবহারযোগ্য পণ্য।
প্রথমেই আসি খাদ্যদ্রব্য অর্থাৎ চাল, ডাল, গম, যব, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচসহ মসলাসামগ্রী। গোটা দেশ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রংপুর, দিনাজপুর, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেটের হাওর অঞ্চলসহ খাদ্যভাণ্ডার অঞ্চলে আমাদের কৃষি বিভাগ তৎপর হয়ে যেখানে যে ফসল ভালো হয়, আরো ভালো করার জন্য সময়োপযোগী পরামর্শ, সারের সরবরাহসহ সব কাজের ভালো-মন্দের খবর আগ থেকেই সমাবেশ করে, প্রচারপত্র ছেড়ে, প্রচারযন্ত্র ব্যবহার করে, দেশের রেডিও-টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে উৎপাদনকারীদের পরামর্শ দিতে হবে, যাতে করে উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকরণ হয়। পণ্য উৎপাদনের ক্ষতিকারক বিষয়গুলো কৃষকদের জানাতে হবে ক্ষতি হওয়ার পূর্বেই। ফসলের উৎপাদন যাতে বাড়ে এবং এক জমিতে সাথী ফসল হিসেবে বছরে কমপক্ষে ৩টি ফসল উৎপাদন করা যায়, তার পরামর্শ দিতে হবে। আমার অভিজ্ঞতায় বলে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব কৃষিমন্ত্রী থাকাকালে কৃষি বিভাগের লোকজনসহ মাঠে সরেজমিন কৃষকদের সাথে আলোচনায় আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় সরেজমিন জমিতে গিয়ে কৃষক ও পরামর্শকদের কাজ তদারকি করেছেন। আমার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছে। আমাদের সব মন্ত্রণালয় যদি তাদের কাজ সঙ্গী-সাথীদের সমন্বয়ে দেশের জন্য উপকারী পদক্ষেপ নেয়, তবে দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণ বয়ে আনবে।
যেহেতু আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান এবং মাটি, পানি কৃষি উপযোগী। তাই কৃষি মন্ত্রণালয় এবং তাদের জনগোষ্ঠী যদি কৃষকদের নিয়ে মোটিভেশন করে কাজ করে, তবে কৃষি উৎপাদন, বিপণন এবং রফতানি উপযোগী পণ্য উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
এক্ষেত্রে দেশের ওষুধ শিল্পের সাথে জড়িত মন্ত্রণালয়, শিল্প উদ্যোক্তাসহ সব জনশক্তির প্রশংসা করা যায়। বর্তমানে আমাদের দেশের ১৮ কোটি মানুষের ওষুধের চাহিদা পূরণ করে প্রচুর ওষুধ বিদেশে রফতানি হচ্ছে। সততা, যোগ্যতা এবং জবাবদিহির মানসিকতা নিয়ে দেশের কল্যাণ সামনে রেখে কাজ করলে দেশের লাভ হবে, দুনিয়া ও আখিরাতে আমরা এর ভালো ফল পাব, ইনশাআল্লাহ। ওষুধ শিল্পের এ অভিজ্ঞতা এবং প্রশংসনীয় কাজের জন্য মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ সাহেবসহ যারাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেশের পণ্য উৎপাদন ও রফতানির যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই।
আমাদের দেশের ফল উৎপাদনকেও যদি সাপোর্ট দেয়া যায়, বুদ্ধি দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় উৎপাদনসামগ্রী দিয়ে তাহলে ফলের উৎপাদনও আমাদের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানির সুযোগ আছে। ইতোমধ্যেই ভালো জাতের আম, কাঁঠাল, বরই, তরিতরকারি, মাছসহ অনেক জিনিস দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে সফরের সময় মাছ, তরকারি, বিস্কুটসহ অনেক পণ্য সেখানে লক্ষ করেছি এবং প্রশংসাও শুনেছি। কাজ করলে ফল পাওয়া যায়। কোনো সন্দেহ নেই। প্রয়োজন দেশের প্রতি দরদভরা মন ও কার্যপদ্ধতি অবলম্বন, জবাবদিহির মানসিকতা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ করে রফতানির দ্বার উন্মোচন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
এবার আসি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসেবা। বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য যত ক্লিনিক, হাসপাতাল দেশের শহর থেকে গ্রামে গড়ে উঠেছে ডাক্তার-নার্সসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়ে, তা প্রশংসার দাবিদার। আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়মিত সরকারি দফতর যদি নিয়মিত সেবার মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে তবে দেশেই ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। আমি যেহেতু একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘ ৪৪ বছর জড়িত। তাই আল্লাহর ওপর ভরসা করে বলতে পারি, দেশের স্বাস্থ্যসেবা দেশেই সম্ভব। বিশেষ কিছু প্রয়োজনীয় সেবা ছাড়া। এক্ষেত্রে বলতে চাই, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের গেটে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ব্যানার টানানো আছে যে, ‘আমি যদি অসুস্থ হই, তবে আমার চিকিৎসা যেন দেশেই করা হয়।’ ভালো চিন্তা। আমাদের বড় কর্তাব্যক্তিরা যদি দেশের চিকিৎসায় ভালো হতে পারেন এবং সেই সেবা যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারি, তবে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হবে না আবার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। দেশের জন্য ভালো উদাহরণ হবে।
দেশের মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, আদা ছাড়াও আলুসহ তরিতরকারির উৎপাদন ভালো। সাধারণ কৃষক ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান কৃষিপণ্যসহ হাঁস-মুরগি, গরুর গোশত উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ একটু উদ্যোগী হলে এবং সরেজমিন তদারকি বাড়ালে এসব পণ্য দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি সম্ভব। আমি নিজে যেহেতু গরুর দুধের রাজধানীর এলাকার লোক এবং পেঁয়াজ, লিচুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মরিচ, পটোল, উস্তা, শিম, মিষ্টিকুমড়াসহ সব ধরনের ফল আমাদের পাবনার বেড়া, বাঘাবাড়ী, সাঁথিয়া, পাবনা সদর, ঈশ^রদীতে প্রচুর জন্মে। আমাদের চাহিদা পূরণ করে দেশের প্রায় সব জায়গায় এসব পণ্য বাজারজাত করা হয় ট্রাকে ট্রাকে। বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার। কারণ উৎপাদকরা সরাসরি সরবরাহের সাথে জড়িত না থাকতে পেরে মধ্যস্বত্বভোগী লোকেরা খুবই কম দামে পণ্য কিনে অনেক বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে। কয়েক দিন পূর্বে দেখলাম, দিনাজপুরের এক হাটে শসা বিক্রি হচ্ছে এক-দেড় টাকা কেজিদরে, যা আমরা ঢাকায় কিনছি ৪৫/৫০ টাকা কেজিদরে। এর বিহিত হতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে বাজারজাতকরণ সহজ করতে হবে। এ উদ্যোগ নিতে পারলে একদিকে যেমন উৎপাদকরা তাদের পণ্যের দাম পাবে; অন্যদিকে দেশের অন্যান্য এলাকায়ও সঠিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাবে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে।
দেশের বড় এক খাত হলো মানুষের পরনের কাপড় ও ঘরের বিছানার চাদরসহ ছেলেমেয়েদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভূষণ সরবরাহ করা। ছোট বাচ্চাদেরসহ ছেলেমেয়েদের পরনের কাপড় বিদেশনির্ভর না হয়ে দেশেই উৎপাদন বাড়াতে হবে। ইতোমধ্যেই দেশে গার্মেন্টস শিল্পের প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এক্ষেত্রে মৌসুম এবং উৎসবভেদে প্রয়োজনীয় কাপড়; যেমন ঈদের সময় পাঞ্জাবি-পায়জামা, কোর্তা, মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, শাড়িসহ বাচ্চাদের রং-বেঙয়ের বাহারি কাপড়চোপড় বানানোর দিকে নজর দিতে হবে। দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করার মানসিকতা প্রদর্শন করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও মডেলের জিনিসপত্র উদ্ভাবন করতে হবে। দেশ ও বিদেশের পছন্দ ও প্রয়োজন সামনে রেখে শালীনতার দিকে নজর রেখে পোশাক-পরিচ্ছদ বানাতে হবে। সর্বক্ষেত্রেই আমাদের দেশদরদ ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করেই জিনিসপত্র তৈরি ও বিপণন করতে হবে। কয়েকদিন পূর্বে ওয়ালটনের একটি বিজ্ঞাপনের প্রতি মানুষের খারাপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ফলে তারা মাফ চেয়েছে এবং বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে- এ দেশের শতকরা ৯২ জন লোক এক আল্লাহ-এ বিশ্বাসী। তাই তাদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে কোনো কাজ করা যাবে না।
দেশের শিক্ষা খাত একটি বড় খাত। এখানের বই-খাতা লেখার উপকরণ, শিক্ষা উপকরণ সবই দেশে উৎপাদন করতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের শিক্ষা বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। শিক্ষার জন্য বিশেষ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার মান সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা গ্রাম থেকে এসে ঢাকা কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ে অনেকেই দেশের বড় বড় দায়িত্ব পালন করছি। দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ভালো ভালো স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। একদিকে শিক্ষার মান বাড়াতে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না; অন্যদিকে বিদেশপ্রিয়তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষ করে টেকনিক্যাল ও উচ্চশিক্ষা ছাড়া ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াশোনার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করা যাবে না। সর্বক্ষেত্রেই আমার-আপনার চিন্তা থাকবে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং দেশের মেধাবিকাশে সব ধরনের দ্বার খোলা রাখতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত ব্যাংক, বীমা, পণ্য রফতানির সুযোগ-সুবিধার প্রতি আমাদের সাশ্রয়ী পন্থা অবলম্বন করতে হবে। দেশের টাকা দেশে বিনিয়োগ করার মানসিকতা পোষণ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে দেশের টাকা দেশের শিল্পে বিনিয়োগ প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখতে হবে। দেশের উৎপাদনে দেশের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমরা যাতে সাধারণ নাগরিকরা চলতে-ফিরতে, কাজেকর্মে আমাদের পণ্য ব্যবহারের প্রতি নজর রাখি, তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের উৎপাদিত পণ্যের মান বাড়াতে পারলে দেশপ্রেমিক জনগণ বৈদেশিক পণ্য ব্যবহার করবে না। বিদেশের তৈরি ১ লাখ টাকার পাঞ্জাবী পড়ার মধ্যে কোনো দেশপ্রেমের আভিজাত্য নেই। দেশে ভালো ভালো পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট তৈরি হচ্ছে। তাই আসুন দেশকে ভালোবেসে দেশের প্রতি দরদভরা মন নিয়ে দেশের উৎপাদিত পণ্য নিজে ব্যবহার করি, অন্যকেও উৎসাহিত করি। দেশের ওপরতলার নেতা-কর্মীদের এ ব্যাপারে উদাহরণ সৃষ্টি করতে জোর আবেদন করছি। কিছুদিন পূর্বে বেগম সাহেবাসহ এক অভিজাত শাড়ির দোকানে গেলাম। তারা বলল, আমাদের এখানে সব আইটেম বিদেশি। তাদের আড় চোখে বলে এলাম দেশের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে দোকান সাজান, দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখেন। নিজে ভালো থাকেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হন। এভাবেই যদি আমরা সচেতন নাগরিকরা উদ্যোগী হই তবে দেশের কল্যাণ হবে। দেশকে আমরা উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারব, ইনশাআল্লাহ। বিদেশপ্রীতির লোকের সংখ্যা খুব বেশি নেই আমাদের দেশে। তবে দেশপ্রেমিক লোকদের দেশি পণ্য ব্যবহারের উদ্যোগে হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে। নিজেকে আদর্শমানে উন্নীত করতে হবে।
শেষ করতে চাই এভাবে যে, আসুন মহান আল্লাহ আমাদের এ সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা নদীমাতৃক বাংলাদেশে জন্ম দিয়েছেন, তার শুকরিয়া আদায় করি। এ দেশের আলো-বাতাস ভোগ করে আমরা বড় হয়েছি, তাই দেশের প্রতিও আমাদের দরদ থাকতে হবে। দেশে সব প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদন করব। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করব। সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করতে হবে দেশদরদী নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের। আমরা দেশের হলে দেশও আমাদের হবে। মহান আল্লাহর সাহায্য আসবে অফুরন্ত, ইনশাআল্লাহ।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম : আধুনিকায়ন ও স্বাধীনতা
- আল্লামা ইকবাল পুনর্পাঠ
- আল্লাহর বিশেষ দুটি নিয়ামত
- হাসিও না পুষ্পের হাসি
- ইসলামী দাওয়াতের সংজ্ঞা ও পদ্ধতি
- যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো এবং ইসরাইলের গণহত্যা
- দেশ এখন নেই দেশে
- শরীফ আবদুল গোফরানের গান
- জীবনের রংতুলি
- ফিলিস্তিনে রক্ত ঝরে
- দাওয়াতি কাজ
- জায়নামাজ
- নওজোয়ান
- আমি ফিলিস্তিন থেকে বলছি