বিপদে-আপদে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে : শফিকুর রহমান

গত ২০ এপ্রিল শনিবার বরিশাল জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশে দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ

বরিশাল সংবাদদাতা : উন্নত চরিত্রের মাধ্যমে আমাদের সাধারণ জনগণের নিকট ইসলামের সঠিক দাওয়াত পৌঁছাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। গত ২০ এপ্রিল শনিবার বরিশাল জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এদেশের সাধারণ জনগণের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে, কুরআনের বাণী সকলের নিকট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের নিজেদের কুরআনের কর্মী হিসেবে তৈরি হতে হবে। কাজের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে, বিপদে-আপদে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
জেলা নায়েবে আমীর মাস্টার আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুন্নবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবুল হাসানাত আবদুল হালিম, এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য, উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ।
ভোলায় দায়িত্বশীল সমাবেশ : জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে আল কুরআনের শিক্ষার আলোকে সঠিক দাওয়াত পৌঁছাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াসহ সকল প্ল্যাটফর্মে অহেতুক তর্কে না জড়িয়ে, উত্তম পন্থায়, বাস্তব সাক্ষ্য হয়ে জনগণের নিকট ইসলামের সুমহান আদর্শ উপস্থাপনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। আমীরে জামায়াত বলেন, পৃথিবীতে নানা বিপর্যয় মূলত আমাদের নাফরমানির কারণে। আল্লাহবিমুখ মানুষের নাফারমানিতে বিপর্যয় এলেও এতে শুধু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, বরং সৃষ্টির সবকিছুই ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই মানুষকে নাফরমানি থেকে বিরত রাখতে এবং সত্যের সন্ধান দিতে আমাদের পেরেশানি নিয়ে আন্তরিকতার সাথে দাওয়াতি কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দাওয়াতি কাজ সবসময় নিরাপদ হয় না, ঈমানী শক্তি ও বৈশ্বিক শক্তি নিয়ে ময়দানে কাজ করতে হবে। দাওয়াতি কাজে কঠিন ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল নিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ভোলা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবুল হাসানাত আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশের প্রতিটি প্রান্তে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সংঘবদ্ধ করার কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের প্রত্যেক জনশক্তিকে ইলম ও আমলে সমৃদ্ধ হয়ে সমাজে নৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করতে হবে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, ভোলা জেলার কাজ গতিশীল করার ক্ষেত্রে রুকনদের ভূমিকা অনেক বেশি। তাই জেলার সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কর্মতৎপরতা জোরদার করতে হবে।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাজী সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন। জেলা আমীর মাস্টার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইসমাইল হোসেন মনির, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আক্তারুল্লাহ, মাওলানা আব্বাস উদ্দিন, অধ্যাপক জিয়াউল মোর্শেদ চৌধুরী, মাস্টার নুরুল ইসলাম, বেলায়েত হোসাইন প্রমুখ।
বগুড়ায় রুকন সম্মেলন : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে গত ২০ এপ্রিল শনিবার ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকারের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি মো. মনজুরুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
আমীরে জামায়াত রুকনদের উদ্দেশে বলেন, শপথের জনশক্তি হিসেবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য হতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমরা ইকামতে দীনের কাজ করি। আর এ কাজ কখনো গোপনে নয়, প্রকাশ্যে সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের একমাত্র আল্লাহকেই ভয় করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করা তো জায়েযই নেই। তিনি আরও বলেন, সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুত করতে হবে। নিঃশর্তভাবে নেতৃত্ব মেনে চলতে হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করতে হবে। সন্দেহ-সংশয় দূর করতে হবে। ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াতি কাজ করতে হবে। আগামী ১ বছরের মধ্যে বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলাকে  দাওয়াতি তৎপরতার মাধ্যমে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো হবে, ইনশাআল্লাহ। বক্তব্য রাখেন বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য ও সাবেক পাবনা জেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম, বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।