খুলনায় ছাত্রশিবিরের আলোচনা সভায় মঞ্জুরুল ইসলাম
বালাকোটের পরও মুসলমানরা থেমে যায়নি বলেই স্বাধীনতা এসেছে
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে বালাকোটের ঘটনা ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রেরণাদানকারী শিক্ষণীয় ঘটনা। বালাকোটের বিপর্যয়ের পরও মুসলমানরা থেমে যায়নি। জেল, জুলুম, ফাঁসি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তসহ বিভিন্ন নির্যাতন তাদের ঈমানকে টলাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ইংরেজদের চলে যেতে হয়েছিল এবং ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। সাইয়েদ আহমদ বেরলভী (রহ.) মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে একটি পরিপূর্ণ ইসলামী সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বহুমুখী চক্রান্ত থেকে হেফাজত করা, দীনকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। গত ৬ মে সোমবার ঐতিহাসিক বালাকোট দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগর সভাপতি তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ ও ফাউন্ডেশন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এতে বক্তব্য দেন মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত হোসেন, সাহালসহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, মুসলমান ও শিখদের মোট ১১টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, অধিকাংশ যুদ্ধে মুসলমানরা জয়লাভ করে। সর্বশেষ ১৮৩১ সালের ৬ মে সম্মুখযুদ্ধে সাইয়েদ আহমদ বেরলভীসহ মোট ১৩৫ জন আলেম শাহাদাতবরণ করেন। পরে বালাকোটের আদলে মাওলানা মওদূদী (রহ.) জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করে ইসলামকে সর্বক্ষেত্রে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ ও আজকের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বালাকোটের ঘটনা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সেই সংগ্রামের পথ ধরে ইংরেজদের বিতাড়িত করা না গেলে আমরা নিজেদের স্বাধীন জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারতাম না।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম জয়-পরাজয়কে বেশি গুরুত্ব দেয় না, ইসলাম যেকোনো কাজের নিয়তকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেই দিন শাহাদাতের জযবা নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে মুসলিমরা লড়েছিল বলে সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত আছে। বালাকোটের যুদ্ধে মুসলমানদের সাময়িক বিপর্যয় হলেও আজকের এ দিনে এটি একটি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আজ শাহাদাতের প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার দিন। আমাদেরও তাদের মতো শাহাদাতের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে দীন প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক সংগ্রামে ভূমিকা পালন করতে হবে।
তৌহিদুর রহমান বলেন, মুসলিম উম্মাহকে সবসময় তাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। দীনের বিজয় হবে সেটি কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আলেমরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল অথচ তা স্বীকার করা হয় না। তিনি আরও বলেন, আধিপত্যবাদীরাই সবসময় ইসলামের বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশে ইসলামী নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। ঈমানদাররা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। সাইয়েদ আহমদ বেরলভী (রহ.) তাওহীদের পক্ষে শিরকের বিপরীতে আন্দোলনের কারণে ইংরেজদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। আজকের এ দিনে নতুন প্রজন্মকে তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। বালাকোটের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের বাংলাদেশে দীন কায়েমের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে। শাহাদাতের তামান্না ছাড়া ঈমানকে দুর্বলতামুক্ত রাখা সম্ভব নয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- পানিশূন্য নলেয়া নদী : জেলে ও কৃষকের দুর্দিন
- শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি ২৮০ হেক্টর জমির ২৫ শতাংশ ধান
- ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান
- ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : শামসুল ইসলাম
- রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় বহমান ২৬৮ নদনদীর সন্ধান পাওয়া গেছে আন্তঃসীমান্ত ১৮টি
- অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জামায়াতে ইসলামী
- অসহায় ও দুস্থ পরিবারের পাশে জামায়াত
- জামায়াতের উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ
- মুরাদনগরে খাল খননের নামে মাটি লুটের অভিযোগ
- দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল
- শোক সংবাদ
- ভোলায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক